আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রশ্ন: আমাদের বিয়ে হয়েছে পাঁচ বছর। এক বছর ধরে আমার স্বামীর কথাবার্তা আর আচরণে পরিবর্তন বুঝতে পারছি। হঠাৎ একদিন সে জানায়, আমাকে তার আর ভালো লাগছে না, এই সংসার ছেড়ে চলে যাবে। সত্যি সত্যি সে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে! আমার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ রাখছে না। আমাদের একটা সন্তান আছে। সে তার দাদির কাছে থাকে।
ওর বয়স এক বছর। আমি ছেলেকে আমার কাছে আনতে চাই। সন্তানকে ওখানে নিরাপদ মনে করি না। কীভাবে আনব সন্তানকে? এই পরিস্থিতিতে করণীয় কী?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কুড়িগ্রাম
উওর: মুসলিম আইন অনুযায়ী বাবা হচ্ছেন নাবালক সন্তানের স্বাভাবিক ও আইনগত অভিভাবক এবং মা হচ্ছেন তার তত্ত্বাবধায়ক। নাবালক সন্তান ছেলে হলে, বয়স সাত বছর হওয়া পর্যন্ত মা থাকবেন তার তত্ত্বাবধায়ক বা জিম্মাদার। অতএব আপনার এক বছর বয়সের ছেলেসন্তানের আইনগত তত্ত্বাবধায়ক বা জিম্মাদার আপনি। দাদির কাছ থেকে আপনি আপনার সন্তান চান, না পেলে পারিবারিক আদালত আইনের ৫ ধারার অধীনে পারিবারিক আদালতে নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব ও তত্ত্বাবধান চেয়ে মামলা করতে পারবেন। এ ছাড়া স্বামীকে বিবাদী করে আপনার দেনমোহর এবং আপনার ও সন্তানের জন্য ওই ৫ ধারার অধীনে ভরণপোষণ চাইতে পারেন।
প্রয়োজনে যেকোনো জেলার জজ কোর্টের ‘ন্যাশনাল লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস’ থেকে আপনি বিনা পয়সায় আইনি সহায়তা পেতে পারেন।
প্রশ্ন: আমি সম্প্রতি একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অনার্স পাস করেছি। যাকে আমি ভালোবাসতাম, সে আমার সহপাঠী। পড়ালেখা শেষ করে আমরা বিয়ে করারও স্বপ্ন দেখি। কিন্তু আমার প্রেমিক অসম্ভব বদমেজাজি। ক্লাস কিংবা ক্লাসের বাইরে অন্য কোনো ছেলের সঙ্গে আমার কথা বলাটা সে পছন্দ করে না। গত কয়েক মাসে তার আচরণে বিরক্ত হয়ে ঠিক করি ওর সঙ্গে সম্পর্ক রাখব না। এ কথা শোনার পর সে আমার গায়ে হাত তোলে। তার কথা হলো, আমি বিয়ে করলে তাকেই করতে হবে। আমি অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারব না। এমনকি অন্য কাউকে বিয়ে করলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। এ জন্য আমি তার নামে থানায় জিডি করব, নাকি অভিযোগ করব?
ফাতেমা, পটিয়া
উওর: আপনি আপনার সংশ্লিষ্ট থানায় একটি জিডি করে রাখতে পারেন। ভবিষ্যতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এটি তাতে সহায়তা করবে। এ ছাড়া আপনি যদি এখনই কোনো প্রতিকার চান তাহলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭ ধারার অধীনে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আপনাকে তিনি প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন এবং গায়ে হাত তোলেন এই মর্মে একটি মামলা দাখিল করতে পারেন। তারপর দুজনের বক্তব্য শুনে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আপনার প্রেমিকের বিপক্ষে অভিযোগ গুরুতর হলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের সময় পর্যন্ত জেলহাজতে আটক রাখতে পারেন। আর নাহলে তাঁর কাছ থেকে জামিনদারসহ বা ছাড়া একটি মুচলেকা সম্পাদন করা সাপেক্ষে জামিন দিতে পারেন।
পরামর্শ দিয়েছেন: নিশাত মাহমুদ, ব্যারিস্টার, সুপ্রিম কোর্ট
প্রশ্ন: আমাদের বিয়ে হয়েছে পাঁচ বছর। এক বছর ধরে আমার স্বামীর কথাবার্তা আর আচরণে পরিবর্তন বুঝতে পারছি। হঠাৎ একদিন সে জানায়, আমাকে তার আর ভালো লাগছে না, এই সংসার ছেড়ে চলে যাবে। সত্যি সত্যি সে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে! আমার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ রাখছে না। আমাদের একটা সন্তান আছে। সে তার দাদির কাছে থাকে।
ওর বয়স এক বছর। আমি ছেলেকে আমার কাছে আনতে চাই। সন্তানকে ওখানে নিরাপদ মনে করি না। কীভাবে আনব সন্তানকে? এই পরিস্থিতিতে করণীয় কী?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কুড়িগ্রাম
উওর: মুসলিম আইন অনুযায়ী বাবা হচ্ছেন নাবালক সন্তানের স্বাভাবিক ও আইনগত অভিভাবক এবং মা হচ্ছেন তার তত্ত্বাবধায়ক। নাবালক সন্তান ছেলে হলে, বয়স সাত বছর হওয়া পর্যন্ত মা থাকবেন তার তত্ত্বাবধায়ক বা জিম্মাদার। অতএব আপনার এক বছর বয়সের ছেলেসন্তানের আইনগত তত্ত্বাবধায়ক বা জিম্মাদার আপনি। দাদির কাছ থেকে আপনি আপনার সন্তান চান, না পেলে পারিবারিক আদালত আইনের ৫ ধারার অধীনে পারিবারিক আদালতে নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব ও তত্ত্বাবধান চেয়ে মামলা করতে পারবেন। এ ছাড়া স্বামীকে বিবাদী করে আপনার দেনমোহর এবং আপনার ও সন্তানের জন্য ওই ৫ ধারার অধীনে ভরণপোষণ চাইতে পারেন।
প্রয়োজনে যেকোনো জেলার জজ কোর্টের ‘ন্যাশনাল লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস’ থেকে আপনি বিনা পয়সায় আইনি সহায়তা পেতে পারেন।
প্রশ্ন: আমি সম্প্রতি একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অনার্স পাস করেছি। যাকে আমি ভালোবাসতাম, সে আমার সহপাঠী। পড়ালেখা শেষ করে আমরা বিয়ে করারও স্বপ্ন দেখি। কিন্তু আমার প্রেমিক অসম্ভব বদমেজাজি। ক্লাস কিংবা ক্লাসের বাইরে অন্য কোনো ছেলের সঙ্গে আমার কথা বলাটা সে পছন্দ করে না। গত কয়েক মাসে তার আচরণে বিরক্ত হয়ে ঠিক করি ওর সঙ্গে সম্পর্ক রাখব না। এ কথা শোনার পর সে আমার গায়ে হাত তোলে। তার কথা হলো, আমি বিয়ে করলে তাকেই করতে হবে। আমি অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারব না। এমনকি অন্য কাউকে বিয়ে করলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। এ জন্য আমি তার নামে থানায় জিডি করব, নাকি অভিযোগ করব?
ফাতেমা, পটিয়া
উওর: আপনি আপনার সংশ্লিষ্ট থানায় একটি জিডি করে রাখতে পারেন। ভবিষ্যতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এটি তাতে সহায়তা করবে। এ ছাড়া আপনি যদি এখনই কোনো প্রতিকার চান তাহলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭ ধারার অধীনে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আপনাকে তিনি প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন এবং গায়ে হাত তোলেন এই মর্মে একটি মামলা দাখিল করতে পারেন। তারপর দুজনের বক্তব্য শুনে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আপনার প্রেমিকের বিপক্ষে অভিযোগ গুরুতর হলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের সময় পর্যন্ত জেলহাজতে আটক রাখতে পারেন। আর নাহলে তাঁর কাছ থেকে জামিনদারসহ বা ছাড়া একটি মুচলেকা সম্পাদন করা সাপেক্ষে জামিন দিতে পারেন।
পরামর্শ দিয়েছেন: নিশাত মাহমুদ, ব্যারিস্টার, সুপ্রিম কোর্ট
পঞ্চাশের পর নিজেদের গুটিয়ে নেওয়া বেশির ভাগ নারীর সাধারণ প্রবণতা। খুব কম সংখ্যার নারী নিজেদের বিকশিত রাখতে পছন্দ করেন। তবে বয়সের কারণে গুটিয়ে না গিয়ে নিজেদের বিকশিত করার এই প্রবণতা এখন কিছুটা বেড়েছে বলা চলে। বিষয়টিকে বলা হচ্ছে ‘মিডলাইফ গ্লো আপ’। বাংলায় একে বলা যায় ‘মাঝবয়সের নয়া দীপ্তি’।
৪ দিন আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। বন্ধুদের সঙ্গে সংযোগ, মতপ্রকাশ, ব্যবসা, এমনকি সচেতনতা তৈরির কাজেও এখন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তির আলোর নিচে গাঢ় হয়ে উঠেছে এক নতুন অন্ধকার, যাকে বলা হয় সাইবার হয়রানি।
৬ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর চারদিক আগুন ও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। সে সময় ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া শুরু করেন শিক্ষিকা মাসুকা বেগম।
৬ দিন আগেকালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে কুটিরশিল্পের অন্যতম বাঁশের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র। একসময় বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পণ্য সংসারের কাজের অন্যতম মাধ্যম হলেও আজ তা প্লাস্টিক জিনিসপত্রের ভিড়ে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। তবু এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে, আর পূর্বপুরুষের পেশা টিকিয়ে রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন মাদারীপুরের রাজৈর
৬ দিন আগে