মারিয়া ফেরদৌসী
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল। স্মরণকালের ভয়াবহ ভবনধসের ঘটনা ঘটে। সাভারে রানা প্লাজা ধসে দেশের তৈরি পোশাক কারখানার ইতিহাসে ভয়াবহতম দুর্ঘটনায় নারী-পুরুষনির্বিশেষে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন শ্রমিক প্রাণ হারান। আহত হন দুই হাজারের বেশি মানুষ। আহত ও নিহত শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা আজও সেই ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছেন।
২৫ বছর বয়সী ইয়ানুর সেই রানা প্লাজায় দুর্ঘটনায় একজন আহত শ্রমিক। ২০১৩ সালে তাঁর বয়স ছিল ১৫ বছর। সেই বয়সে তিনি রানা প্লাজার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ২৪ এপ্রিলের দুর্ঘটনার দিনই তাঁকে উদ্ধার করা হয়। সেই দুর্ঘটনায় তিনি দুই পায়ে আঘাত পান। কেটে ফেলতে না হলেও পায়ের ওপর ভর করে স্বাভাবিক কোনো কাজ করতে পারেন না ইয়ানুর। তাঁর স্বামী ও এক সন্তানের সংসার। এখন নিজের উপার্জন নেই বলে পুরোপুরি স্বামীর ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছেন।
রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর তিনি সরকারি উদ্যোগে কোনো চিকিৎসা খরচ পাননি। মালিকপক্ষের কাছ থেকেও মেলেনি ক্ষতিপূরণ। দু-একবার কয়েকটি এনজিওর কাছে চিকিৎসার জন্য গেলেও নিরাশ হয়ে ফিরে এসেছেন। কোনো কোনো জায়গায় আবার অগ্রিম টাকাপয়সা দিয়ে চিকিৎসার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই ১০ বছরে ইয়ানুর তিন লাখ টাকা ঋণ করেছেন। সেই ঋণ শোধ করতে পারেননি; বরং দিন দিন তা বেড়েই চলছে।
আক্ষেপ করে তাঁর স্বামী জানান, ইয়ানুরের তো এমন বোঝা হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু তাঁর পা দুটো পুরো অচল হওয়ার কারণে আত্মীয়স্বজন, পরিবার—সবার কাছে এখন অবহেলিত, অক্ষম হিসেবে পরিচিত।
এই দুর্ঘটনায় আহতদের অনেকের জীবন পরে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। কেউ কেউ ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনযাপন করছেন। অনেককে স্বামী ফেলে রেখে চলে গেছেন। এই বেশি মূল্যের বাজারে স্বামীর একার আয়ে সংসার চলে না। ছেলেটাকে মানুষ করা দূরে থাক, কী করে খেয়ে-পরে বাঁচবেন, সেই চিন্তায় অস্থির ইয়ানুর। তিন লাখ টাকার দেনা কীভাবে পরিশোধ করবেন, সেটাও জানেন না।
দুঃখ করে ইয়ানুর জানান, পাওনাদারদের টাকা সময়মতো শোধ করতে না পারলে মৃত্যু ছাড়া তাঁর উপায় নেই। বছরের পর বছর অনেকে আসেন। তাঁদের কথা লিখে নিয়ে যান, কিন্তু ভাগ্যের কোনো বদল হয় না। ১০ বছর ধরে এসব কথা বলতে বলতে ক্লান্ত ইয়ানুর। তবু তিনি কথাগুলো বলতে চান।
রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার জামিনের কথা শুনে আক্ষেপ আরও বেড়েছে ইয়ানুরের। ‘ধিক্কার’ জানিয়েছেন এ ঘটনায়। ইয়ানুর জানেন, তাঁর এই অক্ষম ধিক্কারে কোথাও কিছু বদলাবে না; বরং যে ক্ষত তৈরি হয়েছে তাঁর জীবনে, সেটা তাঁকেই বয়ে বেড়াতে হবে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল। স্মরণকালের ভয়াবহ ভবনধসের ঘটনা ঘটে। সাভারে রানা প্লাজা ধসে দেশের তৈরি পোশাক কারখানার ইতিহাসে ভয়াবহতম দুর্ঘটনায় নারী-পুরুষনির্বিশেষে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন শ্রমিক প্রাণ হারান। আহত হন দুই হাজারের বেশি মানুষ। আহত ও নিহত শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা আজও সেই ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছেন।
২৫ বছর বয়সী ইয়ানুর সেই রানা প্লাজায় দুর্ঘটনায় একজন আহত শ্রমিক। ২০১৩ সালে তাঁর বয়স ছিল ১৫ বছর। সেই বয়সে তিনি রানা প্লাজার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ২৪ এপ্রিলের দুর্ঘটনার দিনই তাঁকে উদ্ধার করা হয়। সেই দুর্ঘটনায় তিনি দুই পায়ে আঘাত পান। কেটে ফেলতে না হলেও পায়ের ওপর ভর করে স্বাভাবিক কোনো কাজ করতে পারেন না ইয়ানুর। তাঁর স্বামী ও এক সন্তানের সংসার। এখন নিজের উপার্জন নেই বলে পুরোপুরি স্বামীর ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছেন।
রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর তিনি সরকারি উদ্যোগে কোনো চিকিৎসা খরচ পাননি। মালিকপক্ষের কাছ থেকেও মেলেনি ক্ষতিপূরণ। দু-একবার কয়েকটি এনজিওর কাছে চিকিৎসার জন্য গেলেও নিরাশ হয়ে ফিরে এসেছেন। কোনো কোনো জায়গায় আবার অগ্রিম টাকাপয়সা দিয়ে চিকিৎসার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই ১০ বছরে ইয়ানুর তিন লাখ টাকা ঋণ করেছেন। সেই ঋণ শোধ করতে পারেননি; বরং দিন দিন তা বেড়েই চলছে।
আক্ষেপ করে তাঁর স্বামী জানান, ইয়ানুরের তো এমন বোঝা হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু তাঁর পা দুটো পুরো অচল হওয়ার কারণে আত্মীয়স্বজন, পরিবার—সবার কাছে এখন অবহেলিত, অক্ষম হিসেবে পরিচিত।
এই দুর্ঘটনায় আহতদের অনেকের জীবন পরে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। কেউ কেউ ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনযাপন করছেন। অনেককে স্বামী ফেলে রেখে চলে গেছেন। এই বেশি মূল্যের বাজারে স্বামীর একার আয়ে সংসার চলে না। ছেলেটাকে মানুষ করা দূরে থাক, কী করে খেয়ে-পরে বাঁচবেন, সেই চিন্তায় অস্থির ইয়ানুর। তিন লাখ টাকার দেনা কীভাবে পরিশোধ করবেন, সেটাও জানেন না।
দুঃখ করে ইয়ানুর জানান, পাওনাদারদের টাকা সময়মতো শোধ করতে না পারলে মৃত্যু ছাড়া তাঁর উপায় নেই। বছরের পর বছর অনেকে আসেন। তাঁদের কথা লিখে নিয়ে যান, কিন্তু ভাগ্যের কোনো বদল হয় না। ১০ বছর ধরে এসব কথা বলতে বলতে ক্লান্ত ইয়ানুর। তবু তিনি কথাগুলো বলতে চান।
রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার জামিনের কথা শুনে আক্ষেপ আরও বেড়েছে ইয়ানুরের। ‘ধিক্কার’ জানিয়েছেন এ ঘটনায়। ইয়ানুর জানেন, তাঁর এই অক্ষম ধিক্কারে কোথাও কিছু বদলাবে না; বরং যে ক্ষত তৈরি হয়েছে তাঁর জীবনে, সেটা তাঁকেই বয়ে বেড়াতে হবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। নতুন বাজেটে ৫ হাজার ৭৭ কোটি ৮৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ২২২ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
৪ দিন আগেবাড়ি তাঁর খুলনায়। সুন্দরবন, নদীনালা, গাছপালা মিলিয়ে এক অনিন্দ্যসুন্দর জনপদ। সুন্দরবন মানে শুধু বাঘ, মৌয়াল আর মাছ নয়; সেখানে আছে বনবিবির বিশ্বাস, আছে স্থানীয় উপকরণে তৈরি স্থানীয় শিল্প। সবাই সেগুলোর তেমন কদর না করলেও কেউ কেউ তো কদর করেনই। তেমনই একজন ফৌজিয়া ডেইজী।
৪ দিন আগেপলিথিন ও প্লাস্টিক একই জিনিস নয়। তবে পলিথিন মূলত একধরনের প্লাস্টিক। বিশ্বজুড়ে সেই প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে চলছে আন্দোলন। আগামীকাল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। হ্যাশট্যাগ বিট প্লাস্টিক পলিউশন স্লোগান দিয়ে এবার প্লাস্টিকদূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। প্লাস্টিক পরিবেশ দূষণ করে।
৪ দিন আগেআমার স্বামী দেশের বাইরে গেছে পড়াশোনার জন্য। আমাদের দুই বছরের একটি মেয়েসন্তান আছে। রান্নাবান্না, শ্বশুর-শাশুড়ি ও নিজের যত্ন, সন্তানের যত্ন নেওয়া আমার কাজ। বাকি কাজের জন্য লোক আছে। কিন্তু সন্তান সামাল দিতেই আমি নাজেহাল। সন্তানের অতিরিক্ত কান্না সহ্য করতে না পেরে মারধর করি।
৪ দিন আগে