অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সাবেক এমপি জারাহ সুলতানা গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেন, জেরেমি করবিনের সঙ্গে মিলে নতুন বামপন্থী রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করছেন তিনি। ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত করতে।
সুলতানার মতে, ‘ওয়েস্টমিনস্টার ভেঙে পড়েছে। তবে প্রকৃত সংকট আরও গভীর। বর্তমানে মাত্র ৫০টি পরিবার যুক্তরাজ্যের অর্ধেক জনসংখ্যার চেয়েও বেশি সম্পদের মালিক।’
করবিনের সঙ্গে গড়া দল ‘সরকারের ব্যর্থতা ও বিশ্বাসভঙ্গের ধারাবাহিকতার’ পরিবর্তে কার্যকর বিকল্প হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশাবাদী সুলতানা।
তবে বাস্তবে এটি কেমন হবে—তা নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন।
ওয়েস্টমিনস্টারে জন্ম নিতে যাওয়া নতুন এই বামপন্থী উদ্যোগ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা বিস্তারিত তুলে ধরেছে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।
লক্ষ্য কী
সপ্তাহখানেক আগে কল্যাণব্যবস্থা ঘিরে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটার পর প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সরকারের প্রতি জনমনে অসন্তোষ বাড়তে থাকে।
এমন প্রেক্ষাপটে বর্তমান লেবার পার্টির বিপরীতে বাম বিকল্প উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন সুলতানা।
দলটি ঘিরে পরিকল্পনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাও করা হয়নি। তবে সুলতানার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্য থেকে দলটির অগ্রাধিকারের ইঙ্গিত স্পষ্ট।
তিনি জানান, দলের প্রধান লক্ষ্য হবে লেবার, রিফর্ম ও কনজারভেটিভ পার্টির বিকল্প হিসেবে শক্ত অবস্থান তৈরি করা।
এই তিন দলই ধনকুবেরদের পক্ষে লড়াই করছে বলে মনে করেন সুলতানা।
সাবেক এমপির এমন বক্তব্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর জোর দিতে পারে তাঁর দল।
যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকার ‘প্রতিবন্ধীদের কষ্ট বাড়াতে চায়’ বলে অভিযোগ আনেন সুলতানা, যা দেশটিকে শক্তিশালী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে তাঁর সমর্থনের ইঙ্গিত দেয়।
পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে নতুন দলটি ফিলিস্তিনের প্রতি জোরালো সমর্থন প্রদর্শন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, স্টারমারের সরকারের বিরুদ্ধে ‘গাজায় গণহত্যায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ’ করার অভিযোগ তোলেন সুলতানা।
তিনি বলেন, জনগণ চায় যেন সরকারের বাজেট ‘অবিরাম যুদ্ধের’ পেছনে নয়, বরং জনসেবা খাতে বেশি ব্যয় করা হয়। এ থেকে স্পষ্ট, তিনি প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের পক্ষে।
এদিকে জেরেমি করবিনও সমমনা অবস্থান তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্য, বৈষম্য ও যুদ্ধ অপরিহার্য নয়। আমাদের দেশকে এখনই দিক পরিবর্তন করতে হবে।’
কারা থাকছেন এই উদ্যোগে?
সুলতানা জানিয়েছেন, তিনি সাবেক লেবার নেতা করবিনের সঙ্গে মিলে নতুন এই বামপন্থী রাজনৈতিক দলটির নেতৃত্ব দেবেন।
শুরুতে করবিন এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য না করায় গুঞ্জন ওঠে, তিনি হয়তো পুরোপুরি যুক্ত হতে রাজি নন। তবে গত শুক্রবার দুপুরে এক বিবৃতিতে করবিন নিশ্চিত করেন, দল গঠনের বিষয়ে ‘আলোচনা চলছে’।
সুলতানা জানান, দলটিতে যুক্ত হবেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য, কর্মসূচিকেন্দ্রিক কর্মী এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অধিকারকর্মীরা।
ধারণা করা হচ্ছে, নতুন এই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে এমন অনেক লেবার কর্মী ও সমর্থক যুক্ত হবেন, যাঁরা মনে করছেন, স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি অতিমাত্রায় ডান দিকে সরে গেছে। ডানপন্থী দল রিফর্ম ইউকের হুমকি মোকাবিলা করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই সরকারের এই অবস্থান পরিবর্তন।
জনসমর্থন কেমন?
জেরেমি-সুলতানার নতুন দলটির প্রতি জনগণের সমর্থন কেমন হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে দল গঠনের ঘোষণার পর মাত্র এক রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সুলতানার পেজে ১৪ হাজারের বেশি মানুষ সাইন আপ করেন।
দল ঘোষণার আগে ‘মোর ইন কমন’ নামে এক সংস্থা গত মাসে এক জরিপ চালায়। সেখানে জনসাধারণকে জিজ্ঞেস করা হয়, যদি জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে একটি বামপন্থী দল আত্মপ্রকাশ করে, তাহলে তারা কাকে ভোট দেবে।
তাতে ১০ শতাংশ ভোটার জানান, তাঁরা করবিনের নেতৃত্বাধীন নতুন দলকে সমর্থন করবেন।
জরিপ অনুযায়ী, লেবার ও কনজারভেটিভ উভয় দলের প্রতি জনসমর্থন ২০ শতাংশ, অন্যদিকে রিফর্ম ইউকের প্রতি সমর্থন ২৭ শতাংশ।
যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সাবেক এমপি জারাহ সুলতানা গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেন, জেরেমি করবিনের সঙ্গে মিলে নতুন বামপন্থী রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করছেন তিনি। ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত করতে।
সুলতানার মতে, ‘ওয়েস্টমিনস্টার ভেঙে পড়েছে। তবে প্রকৃত সংকট আরও গভীর। বর্তমানে মাত্র ৫০টি পরিবার যুক্তরাজ্যের অর্ধেক জনসংখ্যার চেয়েও বেশি সম্পদের মালিক।’
করবিনের সঙ্গে গড়া দল ‘সরকারের ব্যর্থতা ও বিশ্বাসভঙ্গের ধারাবাহিকতার’ পরিবর্তে কার্যকর বিকল্প হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশাবাদী সুলতানা।
তবে বাস্তবে এটি কেমন হবে—তা নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন।
ওয়েস্টমিনস্টারে জন্ম নিতে যাওয়া নতুন এই বামপন্থী উদ্যোগ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা বিস্তারিত তুলে ধরেছে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।
লক্ষ্য কী
সপ্তাহখানেক আগে কল্যাণব্যবস্থা ঘিরে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটার পর প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সরকারের প্রতি জনমনে অসন্তোষ বাড়তে থাকে।
এমন প্রেক্ষাপটে বর্তমান লেবার পার্টির বিপরীতে বাম বিকল্প উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন সুলতানা।
দলটি ঘিরে পরিকল্পনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাও করা হয়নি। তবে সুলতানার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্য থেকে দলটির অগ্রাধিকারের ইঙ্গিত স্পষ্ট।
তিনি জানান, দলের প্রধান লক্ষ্য হবে লেবার, রিফর্ম ও কনজারভেটিভ পার্টির বিকল্প হিসেবে শক্ত অবস্থান তৈরি করা।
এই তিন দলই ধনকুবেরদের পক্ষে লড়াই করছে বলে মনে করেন সুলতানা।
সাবেক এমপির এমন বক্তব্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর জোর দিতে পারে তাঁর দল।
যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকার ‘প্রতিবন্ধীদের কষ্ট বাড়াতে চায়’ বলে অভিযোগ আনেন সুলতানা, যা দেশটিকে শক্তিশালী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে তাঁর সমর্থনের ইঙ্গিত দেয়।
পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে নতুন দলটি ফিলিস্তিনের প্রতি জোরালো সমর্থন প্রদর্শন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, স্টারমারের সরকারের বিরুদ্ধে ‘গাজায় গণহত্যায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ’ করার অভিযোগ তোলেন সুলতানা।
তিনি বলেন, জনগণ চায় যেন সরকারের বাজেট ‘অবিরাম যুদ্ধের’ পেছনে নয়, বরং জনসেবা খাতে বেশি ব্যয় করা হয়। এ থেকে স্পষ্ট, তিনি প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের পক্ষে।
এদিকে জেরেমি করবিনও সমমনা অবস্থান তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্য, বৈষম্য ও যুদ্ধ অপরিহার্য নয়। আমাদের দেশকে এখনই দিক পরিবর্তন করতে হবে।’
কারা থাকছেন এই উদ্যোগে?
সুলতানা জানিয়েছেন, তিনি সাবেক লেবার নেতা করবিনের সঙ্গে মিলে নতুন এই বামপন্থী রাজনৈতিক দলটির নেতৃত্ব দেবেন।
শুরুতে করবিন এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য না করায় গুঞ্জন ওঠে, তিনি হয়তো পুরোপুরি যুক্ত হতে রাজি নন। তবে গত শুক্রবার দুপুরে এক বিবৃতিতে করবিন নিশ্চিত করেন, দল গঠনের বিষয়ে ‘আলোচনা চলছে’।
সুলতানা জানান, দলটিতে যুক্ত হবেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য, কর্মসূচিকেন্দ্রিক কর্মী এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অধিকারকর্মীরা।
ধারণা করা হচ্ছে, নতুন এই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে এমন অনেক লেবার কর্মী ও সমর্থক যুক্ত হবেন, যাঁরা মনে করছেন, স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি অতিমাত্রায় ডান দিকে সরে গেছে। ডানপন্থী দল রিফর্ম ইউকের হুমকি মোকাবিলা করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই সরকারের এই অবস্থান পরিবর্তন।
জনসমর্থন কেমন?
জেরেমি-সুলতানার নতুন দলটির প্রতি জনগণের সমর্থন কেমন হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে দল গঠনের ঘোষণার পর মাত্র এক রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সুলতানার পেজে ১৪ হাজারের বেশি মানুষ সাইন আপ করেন।
দল ঘোষণার আগে ‘মোর ইন কমন’ নামে এক সংস্থা গত মাসে এক জরিপ চালায়। সেখানে জনসাধারণকে জিজ্ঞেস করা হয়, যদি জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে একটি বামপন্থী দল আত্মপ্রকাশ করে, তাহলে তারা কাকে ভোট দেবে।
তাতে ১০ শতাংশ ভোটার জানান, তাঁরা করবিনের নেতৃত্বাধীন নতুন দলকে সমর্থন করবেন।
জরিপ অনুযায়ী, লেবার ও কনজারভেটিভ উভয় দলের প্রতি জনসমর্থন ২০ শতাংশ, অন্যদিকে রিফর্ম ইউকের প্রতি সমর্থন ২৭ শতাংশ।
তিনি বলেন, কাউকে পেছনে রেখে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়া যায় না। তাই নারীসমাজের দাবি, সংসদে নারীর এক-তৃতীয়াংশ আসন বাড়াতে হবে এবং এসব আসনে সরাসরি নির্বাচন করতে হবে। পশ্চাৎপদ অংশকে এগিয়ে নিতে সুযোগ প্রয়োজন। নারীকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে দলগুলোকে নারী আন্দোলনের দাবিকে গুরুত্ব দিতে হবে, মানুষের কণ
৩ দিন আগে‘দিনে কত ঘণ্টা খাটি, তার কোনো হিসাব নাই। বিয়ের আগে বাবার জমিতে কাজ করেছি, বিয়ের পরে করছি স্বামীর জমিতে। কাজের নামও নাই, দামও নাই।’
৬ দিন আগে‘তখন তোমার একুশ বছর বোধ হয়...’ আরতি মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে সেই কালজয়ী গানটা মনে আছে নিশ্চয়। তাবাসসুম মোস্তফা রাফার গল্পটা শুনে সেই গানের কথা মনে পড়ে। বয়স মাত্র ২১। এ বয়সেই প্রেম ও ব্যবসা—দুটোতেই সফল। ১২ সদস্যের দল নিয়ে পরিচালনা করেন ‘শপিং স্টল’ নামে একটি অনলাইন শপ। লিখেছেন মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।
৬ দিন আগেআমি ছোটবেলা থেকে পারিবারিকভাবে মানসিক নির্যাতনের মধ্যে বড় হয়েছি। মা-বাবার সম্পর্ক সব সময় খারাপ ছিল—মারামারি, ঝগড়া, মানসিক অশান্তি চোখের সামনে দেখেছি। মায়ের সহায়তা পাইনি। ছোটবেলা থেকে অপমান সয়ে এসেছি। মা অনেক সময় অন্যদের সামনে খাটো করত। কিন্তু
৬ দিন আগে