Ajker Patrika

ডিডিটির বিরুদ্ধে র‍্যাচেল

ফিচার ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

১৮৭৪ সালে ডাইক্লোরো ডাইফিনাইল ট্রাইক্লোরো ইথেন, অর্থাৎ ডিডিটি আবিষ্কার যে মানবজাতির জন্য বুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে, সে কথা কেউ ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করতে পারেনি। এর অতিরিক্ত ব্যবহারের নেতিবাচক ফল টের পেতে শুরু করলে পরিবেশবাদীরা এর বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করেন। তাঁদের মধ্যে র‍্যাচেল কারসন অন্যতম।

র‍্যাচেল কারসন ছিলেন মার্কিন জীববিজ্ঞানী ও লেখক। তিনি আধুনিক পরিবেশ আন্দোলনের জন্য পরিচিত। তাঁর বিখ্যাত বই ‘সাল্যান্ট স্প্রিং’-এর মাধ্যমে তিনি বিশ্বজুড়ে পরিবেশ সচেতনতা সৃষ্টি করেন। বইটির মাধ্যমে তিনি কীটনাশক ব্যবহারের বিরূপ প্রভাব নিয়ে বৈজ্ঞানিক ও সামাজিক আন্দোলনের সূচনা করেন। মানুষ জানতে পারে, কীভাবে ডিডিটি ও অন্যান্য কীটনাশক পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলছে, কীভাবে পাখিরা মারা যাচ্ছে বা তাদের ডিম ফুটছে না, কীভাবে এসব রাসায়নিক মানুষের স্বাস্থ্য, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। কৃষি, রাসায়নিক তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান ও শিল্পপতিরা তাঁকে আক্রমণ করে। শুধু তা-ই নয়, তাঁর বইটি ‘ভীতি ছড়ানো’ বলে প্রচার চালায়। তবে বৈজ্ঞানিক তথ্য, বিশ্লেষণ ও সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া বইটির পক্ষে যায়। তারপরও র‍্যাচেলের ‘সাল্যান্ট স্প্রিং’ নামের বইটি ১৯৮৯ সালে নিষিদ্ধ করা হয়।

১৯৯০ সালে বাংলাদেশে ডিডিটি ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ২০০০ সালে জোহানেসবার্গে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১২২ দেশ ক্ষতিকর ১২টি রাসায়নিকের ব্যবহার সীমিত করতে সম্মত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পশ্চিমবঙ্গে আটক দুই আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশ কর্মকর্তা, পরে মুক্তি

সভা শেষে সরকারি গাড়িতেই গরু নিয়ে গেলেন ইউএনও

যশোরে বিএনপি ও যুবদল নেতার বাড়িতে কাফনের কাপড়, দা, চিরকুট পাঠিয়ে হুমকি

১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা

নিউজিল্যান্ডের সংসদে হাকা, দুনিয়া কাঁপানো সেই সাংসদেরা বরখাস্ত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত