Ajker Patrika

৫৬ বছরের ইতিহাসে ২০ নারীর অর্জন

মৌনতা আমিন
‘হার্ট ল্যাম্প’ বইয়ের লেখক বানু মুশতাক ও অনুবাদক দীপা ভাস্তি। ছবি: সংগৃহীত
‘হার্ট ল্যাম্প’ বইয়ের লেখক বানু মুশতাক ও অনুবাদক দীপা ভাস্তি। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ ভারতের মুসলিম নারীদের জীবনসংগ্রাম, নিপীড়ন ও প্রতিরোধের চিত্র ফুটে উঠেছে ‘হার্ট ল্যাম্প’ নামের বইটিতে। ছোটগল্পের এই সংকলনে রয়েছে ১৯৯০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে লেখা ১২টি গল্প। কন্নড় ভাষায় গল্পগুলো লিখেছেন বানু মুশতাক। সম্প্রতি এই বইয়ের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার জিতেছেন। তিনিই প্রথম কন্নড় ভাষার লেখক হিসেবে আন্তর্জাতিক এই পুরস্কার জিতলেন। গল্পগুলো ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন দীপা ভাস্তি।

১৯৬৯ সাল থেকে প্রতিবছর ইংরেজি ভাষায় লেখা সেরা উপন্যাসকে সম্মান জানিয়ে দেওয়া হয় বুকার পুরস্কার। গত ৫৬ বছরে ২০ জন নারী এই পুরস্কার পেয়েছেন।

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বুকার যেমন পুরস্কারের একটি মানদণ্ড তৈরি করেছে, তেমনি নারী সাহিত্যিকদের এবং নারীর কণ্ঠস্বরও তুলে ধরেছে বিশ্বমঞ্চে। পুরস্কারের প্রথম কয়েক দশকে নারীরা তুলনামূলকভাবে কম স্বীকৃতি পেলেও সময়ের পরিক্রমায় তাঁরা হয়ে উঠেছেন এই পুরস্কারের অন্যতম অংশ। যদিও কোনো ক্ষেত্রে নারীদের আলাদা করে দেখার কারণ নেই বলে মনে করা হয়। তবু নানান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে যেকোনো ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সংখ্যার একটা আলোচনা থেকেই যায়। সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে বুকারের ইতিহাসে ২০২৪ সালের চিত্র ছিল কিছুটা ভিন্ন। বুকারের ইতিহাসে সে বছর ছয়জন চূড়ান্ত প্রতিযোগীর মধ্যে পাঁচজন ছিলেন নারী! বিষয়টি শুধু একটি পরিসংখ্যান নয়, বরং বিশ্বসাহিত্যে নারীদের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও গুরুত্বের প্রতিফলন হিসেবেও দেখা হয়।

Book

এই নারী লেখকেরা এসেছেন প্রায় সব মহাদেশ থেকে। এ ঘটনা প্রমাণ করে, নারীর সাহিত্যিক কণ্ঠ এখন বৈশ্বিক ও বহুবিধ। নারী লেখকেরা বরাবরই সমাজ, রাজনীতি, পারিবারিক কাঠামো এবং নারী অভিজ্ঞতাকে উপস্থাপন করেছেন। বুকারে গত বছরের বিষয়টি স্পষ্ট করেছে যে নারীদের উপস্থিতি শুধু কোটার জন্য নয়, বরং তাঁরা সাহিত্যের মানচিত্র পাল্টে দিচ্ছেন।

বার্নিস রুবেনস, হিলারি ম্যানটেল, ডরিস লেসিং ও মার্গারেট অ্যাটউড। ছবি: সংগৃহীত
বার্নিস রুবেনস, হিলারি ম্যানটেল, ডরিস লেসিং ও মার্গারেট অ্যাটউড। ছবি: সংগৃহীত

বুকার পুরস্কারের ইতিহাসে প্রথম নারী বিজয়ী ছিলেন বার্নিস রুবেনস। ১৯৭০ সালে ‘দ্য ইলেকটেড মেম্বার’ উপন্যাসের জন্য পুরস্কৃত হন তিনি। এরপর ডরিস লেসিং, মার্গারেট অ্যাটউড, হিলারি ম্যানটেল, অরুন্ধতী রায়, বারবারা কিংসলভার, আনা বার্নসসহ অনেক নারী সাহিত্যিক বুকার জিতেছেন। তাঁরা তাঁদের লেখার মধ্য দিয়ে নিজেদের সাহিত্যিক শক্তি এবং গভীরতা প্রমাণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে হিলারি ম্যানটেল দুবার বুকার জিতেছেন; ২০০৯ সালে ‘উলফ হল’ এবং ২০১২ সালে ‘ব্রিং আপ দ্য বডিজ’ উপন্যাসের জন্য। এই অর্জন এখন পর্যন্ত শুধু তিনজন সাহিত্যিকের ঝুলিতে আছে। ২০১৮ সালে ‘মিল্কম্যান’ উপন্যাসের জন্য আনা বার্নস প্রথম আইরিশ নারী হিসেবে বুকার জয় করেন। তাঁর সাহসী ও পরীক্ষামূলক গদ্য আজও সাহিত্য বিশ্লেষকদের মুগ্ধ করে। ২০২৪ সালে ব্রিটিশ লেখিকা স্যামান্থা হার্ভি মহাকাশচারীদের নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘অরবিটাল’-এর জন্য বুকার পুরস্কার পান। তার আগে ২০১৯ সালে কানাডিয়ান লেখিকা মার্গারেট অ্যাটউড এবং ব্রিটিশ-নাইজেরিয়ান লেখিকা বার্নারডিন এভারিস্টো যৌথভাবে বুকার পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।

সূত্র: দ্য বুকার প্রাইজেস, দ্য স্ট্যান্ডার্ড

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রফেসর আনোয়ারা আ.লীগের লোক হলে এত অপমান নিয়ে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হতো না: ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময়

রাশিয়া-পাকিস্তান চুক্তি: দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষমতার ভারসাম্যে নতুন মোড়ের ইঙ্গিত

ফারুক কেন নিঃসঙ্গ হলেন

বৃষ্টির রাতে সব গরু নিয়ে বাগানে চোর, তবে...

ছাত্রদল সভাপতির পদ হারানোর গুঞ্জন, সম্পাদক বললেন প্রোপাগান্ডা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত