আচ্ছা, একটি ক্যাকটাস কতটুকু লম্বা হতে পারে? যদি শোনেন, কোনো ক্যাকটাসের দৈর্ঘ্য ৫০ ফুট কিংবা তারও বেশি, তাহলে নিশ্চয় অবাক হবেন। সাওয়ারো ক্যাকটাসের বেলায় কথাটি পুরোপুরি সত্য।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, অ্যারিজোনা ও মেক্সিকোর কিছু এলাকায় ছড়িয়ে থাকা সনোরান মরুভূমিতে পাবেন এই ক্যাকটাস। দক্ষিণ অ্যারিজোনা এবং মেক্সিকোর পশ্চিম সনোরান এলাকায় এই ক্যাকটাসদের আধিক্য চোখে পড়ে। তবে দক্ষিণ-পূর্ব ক্যালিফোর্নিয়ায়ও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কিছু ক্যাকটাস।
মরুভূমির শুকনো আবহাওয়ায় চমৎকার মানিয়ে নিয়েছে এরা। নামে ক্যাকটাস হলেও অনেকটা বড় বৃক্ষের মতো উঠে গেছে এর শরীর, সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর শাখা বা বাহুর বিস্তার ঘটে। ওপরের দিকে বাঁকা হয়ে উঠে যাওয়া এ ধরনের বাহুর সংখ্যা অর্ধশতাধিক হতে পারে। অবশ্য কোনো কোনো ক্যাকটাসের শাখা থাকে না।
অন্য ক্যাকটাসের মতো সাওয়ারোরাও কাঁটাময়। বসন্তের শেষে শোভা পায় সাদা ফুল, গ্রীষ্মে ধরে লাল ফল। এদের বেড়ে ওঠা ও টিকে থাকার সবচেয়ে বড় নিয়ামক পানি ও তাপমাত্রা। গাছটি যদি বেশি উঁচু এলাকায় থাকে, তবে শীতল আবহাওয়া এবং তুষারে মারা পড়ার আশঙ্কা থাকে। যদিও সনোরান মরুভূমিতে শীত ও গ্রীষ্ম—দুই ঋতুতেই বৃষ্টি হয়। ধারণা করা হয়, সাওয়ারো বেশির ভাগ আর্দ্রতা সংগ্রহ করে গ্রীষ্মের বৃষ্টি থেকে।
সাওয়ারোর বৈজ্ঞানিক নাম কার্নেগিয়া জাইগেন্টিয়া। শিল্পপতি ও সমাজসেবী অ্যান্ড্রু কার্নেগিয়ার নামে এই নামকরণ। ১৯০৩ সালে অ্যারিজোনার ট্যুসনে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ডেজার্ট বোটানিক্যাল ল্যাবরেটরি। এখন অবশ্য ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার কলেজ অব সায়েন্সের অধীনে টুমামক: পিপল অ্যান্ড হ্যাবিটেটস নামে পরিচালিত হয় এটি।
খরা ও রুক্ষ আবহাওয়ায় টিকে থাকার জন্য সাওয়ারোর বড় অস্ত্র তার পানি সঞ্চয়ের ক্ষমতা। বৃষ্টির সময় কয়েক শ গ্যালন পর্যন্ত পানি জমিয়ে রাখতে পারে এ ধরনের একেকটি উদ্ভিদ।
যত বেশি পানি জমা হয়, সাওয়ারোর বাকল আরও সঞ্চয়ের জন্য জায়গা তৈরি করতে প্রসারিত হতে শুরু করে। তাই এই ক্যাকটাসগুলো খুব ভারী হতে পারে। এমনকি এক টন ওজনের সাওয়ারো ক্যাকটাস আছে।
এ ধরনের ক্যাকটাস মরুভূমির বিভিন্ন বন্য প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে কাজ করে। গিলা কাঠঠোকরা সাধারণত প্রথম প্রাণী হিসেবে সাওয়ারোতে বাসার জন্য গর্ত তৈরি করে। গর্তের চারপাশটা শুকিয়ে একটি শক্ত আবরণে রূপ নেওয়ার জন্য তারা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে। এই পাখিগুলো তাদের বাচ্চাদের বড় করার পরে গর্তগুলো প্যাঁচাসহ আরও নানা জাতের পাখির আশ্রয় হিসেবে কাজ করে।
সাওয়ারো ক্যাকটাস সাধারণত ৪০-৫০ ফুট উচ্চতার হয়। এমনকি ৭০ ফুটের বেশি উচ্চতার ক্যাকটাসের কথাও শোনা যায়। তবে এরা কিন্তু খুব ধীরে ধীরে বাড়ে। প্রথম ১০ বছরে এদের উচ্চতা থাকে মোটে দেড় ইঞ্চি। এমনকি প্রথম বাহু তৈরি হতে ৫০ থেকে ৭০ বছর পর্যন্ত লাগে কখনো কখনো। সাধারণত এসব ক্যাকটাস ১৫০-২০০ বছর বাঁচে। যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া সবচেয়ে বড় ক্যাকটাস এরা।
সাওয়ারোর বেশির ভাগ শিকড় মাত্র চার-ছয় ইঞ্চি গভীরে যায়। তবে একটি গভীর শিকড় রয়েছে, যেটি মাটির দুই ফুটের বেশি গভীরে চলে যায়।
সাওয়ারো মারা যাওয়ার পর এটি ঘরের ছাদ, বেড়া ও আসবাব তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। পাখিরা বাসা বাঁধে এমন গর্ত বা ‘সাওয়ারো বুট’ মৃত সাওয়ারো গাছের মধ্যে পাওয়া যায়। আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ানরা এগুলোকে পানির পাত্র হিসেবে ব্যবহার করত।
পাঠক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা মেক্সিকো ভ্রমণে গেলে এমন একটি আশ্চর্য গাছ দেখার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না আশা করি।
সূত্র: ডেজার্ট মিউজিয়াম ডট অর্গ, ডেজার্ট বোটানিক্যাল গার্ডেন
আচ্ছা, একটি ক্যাকটাস কতটুকু লম্বা হতে পারে? যদি শোনেন, কোনো ক্যাকটাসের দৈর্ঘ্য ৫০ ফুট কিংবা তারও বেশি, তাহলে নিশ্চয় অবাক হবেন। সাওয়ারো ক্যাকটাসের বেলায় কথাটি পুরোপুরি সত্য।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, অ্যারিজোনা ও মেক্সিকোর কিছু এলাকায় ছড়িয়ে থাকা সনোরান মরুভূমিতে পাবেন এই ক্যাকটাস। দক্ষিণ অ্যারিজোনা এবং মেক্সিকোর পশ্চিম সনোরান এলাকায় এই ক্যাকটাসদের আধিক্য চোখে পড়ে। তবে দক্ষিণ-পূর্ব ক্যালিফোর্নিয়ায়ও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কিছু ক্যাকটাস।
মরুভূমির শুকনো আবহাওয়ায় চমৎকার মানিয়ে নিয়েছে এরা। নামে ক্যাকটাস হলেও অনেকটা বড় বৃক্ষের মতো উঠে গেছে এর শরীর, সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর শাখা বা বাহুর বিস্তার ঘটে। ওপরের দিকে বাঁকা হয়ে উঠে যাওয়া এ ধরনের বাহুর সংখ্যা অর্ধশতাধিক হতে পারে। অবশ্য কোনো কোনো ক্যাকটাসের শাখা থাকে না।
অন্য ক্যাকটাসের মতো সাওয়ারোরাও কাঁটাময়। বসন্তের শেষে শোভা পায় সাদা ফুল, গ্রীষ্মে ধরে লাল ফল। এদের বেড়ে ওঠা ও টিকে থাকার সবচেয়ে বড় নিয়ামক পানি ও তাপমাত্রা। গাছটি যদি বেশি উঁচু এলাকায় থাকে, তবে শীতল আবহাওয়া এবং তুষারে মারা পড়ার আশঙ্কা থাকে। যদিও সনোরান মরুভূমিতে শীত ও গ্রীষ্ম—দুই ঋতুতেই বৃষ্টি হয়। ধারণা করা হয়, সাওয়ারো বেশির ভাগ আর্দ্রতা সংগ্রহ করে গ্রীষ্মের বৃষ্টি থেকে।
সাওয়ারোর বৈজ্ঞানিক নাম কার্নেগিয়া জাইগেন্টিয়া। শিল্পপতি ও সমাজসেবী অ্যান্ড্রু কার্নেগিয়ার নামে এই নামকরণ। ১৯০৩ সালে অ্যারিজোনার ট্যুসনে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ডেজার্ট বোটানিক্যাল ল্যাবরেটরি। এখন অবশ্য ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার কলেজ অব সায়েন্সের অধীনে টুমামক: পিপল অ্যান্ড হ্যাবিটেটস নামে পরিচালিত হয় এটি।
খরা ও রুক্ষ আবহাওয়ায় টিকে থাকার জন্য সাওয়ারোর বড় অস্ত্র তার পানি সঞ্চয়ের ক্ষমতা। বৃষ্টির সময় কয়েক শ গ্যালন পর্যন্ত পানি জমিয়ে রাখতে পারে এ ধরনের একেকটি উদ্ভিদ।
যত বেশি পানি জমা হয়, সাওয়ারোর বাকল আরও সঞ্চয়ের জন্য জায়গা তৈরি করতে প্রসারিত হতে শুরু করে। তাই এই ক্যাকটাসগুলো খুব ভারী হতে পারে। এমনকি এক টন ওজনের সাওয়ারো ক্যাকটাস আছে।
এ ধরনের ক্যাকটাস মরুভূমির বিভিন্ন বন্য প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে কাজ করে। গিলা কাঠঠোকরা সাধারণত প্রথম প্রাণী হিসেবে সাওয়ারোতে বাসার জন্য গর্ত তৈরি করে। গর্তের চারপাশটা শুকিয়ে একটি শক্ত আবরণে রূপ নেওয়ার জন্য তারা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে। এই পাখিগুলো তাদের বাচ্চাদের বড় করার পরে গর্তগুলো প্যাঁচাসহ আরও নানা জাতের পাখির আশ্রয় হিসেবে কাজ করে।
সাওয়ারো ক্যাকটাস সাধারণত ৪০-৫০ ফুট উচ্চতার হয়। এমনকি ৭০ ফুটের বেশি উচ্চতার ক্যাকটাসের কথাও শোনা যায়। তবে এরা কিন্তু খুব ধীরে ধীরে বাড়ে। প্রথম ১০ বছরে এদের উচ্চতা থাকে মোটে দেড় ইঞ্চি। এমনকি প্রথম বাহু তৈরি হতে ৫০ থেকে ৭০ বছর পর্যন্ত লাগে কখনো কখনো। সাধারণত এসব ক্যাকটাস ১৫০-২০০ বছর বাঁচে। যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া সবচেয়ে বড় ক্যাকটাস এরা।
সাওয়ারোর বেশির ভাগ শিকড় মাত্র চার-ছয় ইঞ্চি গভীরে যায়। তবে একটি গভীর শিকড় রয়েছে, যেটি মাটির দুই ফুটের বেশি গভীরে চলে যায়।
সাওয়ারো মারা যাওয়ার পর এটি ঘরের ছাদ, বেড়া ও আসবাব তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। পাখিরা বাসা বাঁধে এমন গর্ত বা ‘সাওয়ারো বুট’ মৃত সাওয়ারো গাছের মধ্যে পাওয়া যায়। আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ানরা এগুলোকে পানির পাত্র হিসেবে ব্যবহার করত।
পাঠক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা মেক্সিকো ভ্রমণে গেলে এমন একটি আশ্চর্য গাছ দেখার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না আশা করি।
সূত্র: ডেজার্ট মিউজিয়াম ডট অর্গ, ডেজার্ট বোটানিক্যাল গার্ডেন
সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপ ও এশিয়ায় বিপুল পরিমাণে পাচার হচ্ছে বড় আকারের লাখ লাখ পিঁপড়া। ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলোতে এসব পিঁপড়া পোষা প্রাণী হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। আফ্রিকার দেশ কেনিয়া থেকে সম্প্রতি হাজার হাজার জীবন্ত পিঁপড়া পাচারকালে ৪ চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে।
৩ দিন আগেগত বছর একটি রাতের অনুষ্ঠানে এক ভ্লগারের ক্যামেরায় অপ্রত্যাশিত এবং অশালীন মন্তব্য করে রাতারাতি ভাইরাল হন হেইলি ওয়েলচ। দ্রুতই ‘হক তুয়াহ’ নামে খ্যাতি পান তিনি। সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন এই তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, নিজের নামে চালু করা বিতর্কিত ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে...
৫ দিন আগেরাজনীতি তো বটেই, একের পর এক উদ্ভট কথা আর কাণ্ডের জন্যও আলোচনায় থাকেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বুধবার (২ এপ্রিল) বিশ্বজুড়ে শতাধিক দেশের ওপর পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। এরপর থেকেই এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা গুরুগম্ভীর আলোচনা, বিশ্লেষণ চলছে। আবার সামাজিক মাধ্যমে চলছে
১৫ দিন আগেচলচ্চিত্রের প্রতি উন্মাদনা যুগ যুগ ধরে। প্রিয় নায়কের, পছন্দের চলচ্চিত্রের পোস্টার ও কার্ড সংগ্রহে রাখার বাতিক অনেকেরই। এমনই একজন সংগ্রাহক যুক্তরাষ্ট্রের রিয়েল এস্টেট এজেন্ট ডুইট ক্লিভল্যান্ড। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে জমিয়েছেন চলচ্চিত্রের পোস্টার ও লবি কার্ড। এবার তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁর সংগ্র
১৬ মার্চ ২০২৫