মহিষের পালের পানিতে ডোবাডুবির অভ্যাস আছে। পুকুর, নদী, পাহাড়ি ছড়ায় নাকটা ভাসিয়ে গোসল করতে দেখা যায় এদের অনেক সময়ই। তাই বলে নিশ্চয় আশা করবেন না এরা সুইমিংপুলে নেমে পড়েছে। কিন্তু এটাই ঘটেছে ইংল্যান্ডের এসেক্সের এক সুইমিংপুলে।
এসেক্সের ওই সুইমিংপুলটি অ্যান্ডি ও লিনেট্টি স্মিথের। চাকরি থেকে অবসর নেওয়া এই দম্পতি জানান, ১৮টি মহিষ তাঁদের বাড়ির এলাকায় ঢুকে পড়ে। এগুলোর মধ্যে আটটি নামে তাঁদের নতুন সুইমিংপুলটিতে। মহিষগুলো বাগানেরও বারোটা বাজিয়ে দেয়।
অবশ্য মহিষের পালের এই হানা দেওয়ার ঘটনাটি এখনকার নয়, গত বছরের জুলাইয়ের। বিষয়টি আলোচনায় আসে ঘটনার প্রায় ১১ মাস পর ওই দম্পতি সম্প্রতি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পর। অ্যান্ডি ও লিনেট্টি জানান এক একটা মোষের ওজন ছিল ৬০০ কেজি। বাগান ও সুইমিংপুলের ব্যাপক ক্ষতি করে ওগুলো। মহিষ ব্রিড করার একটি খামার থেকে ওগুলো তাঁদের বাড়িতে এসে ওঠে, এতে ২৫ হাজার পাউন্ডের মতো ক্ষতি হয় বলে জানান দম্পতি। এদের মধ্যে আটটি ৭০ হাজার পাউন্ডের সুইমিংপুলটিতে হামলে পড়ে। মহিষগুলো বেড়া ও বাগানের ফুলেরও অনেক ক্ষতি করে।
গত জুলাইয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ায় বেড়াটা নষ্ট হয়ে গেলে তাদের চড়ে বেড়ানোর জায়গা ও স্মিথদের বাগানের মাঝখানের কাঠের বেড়া ভেঙে ও গুল্মের ঝাড় পেরিয়ে স্মিথদের জমিতে ঢুকে পড়ে মহিষগুলো।
‘আমার স্ত্রী সকালের চা বানাতে গিয়ে রান্নাঘরের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখে আটটি মহিষ সুইমিংপুলে নেমে পড়েছে,’ বলেন অ্যান্ডি স্মিথ, ‘তিনি ৯৯৯-এ ফোন দিলে ফায়ার ব্রিগেড মজা করে কলটা দেওয়া হয়েছে ধরে নেয়। বিষয়টি বিশ্বাস করাতে বেগ পেতে হয় তাঁকে। যখন ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা আসেন, তখন তাঁদের জ্যাকেট দেখে বিভ্রান্ত হয়ে একটি মোষ তাঁদের দিকে তেড়ে যায়।’
পরে ওই খামারের মালিক মহিষগুলোকে পানি থেকে তুলতে ও নিয়ে যেতে সাহায্য করেন। ওয়াটার বাফেলো বা মহিষ এশিয়ান বাফেলো বা এশীয় মোষ নামেও পরিচিত। এক একটি উচ্চতায় ৬ ফুট পর্যন্ত হতে পারে, মদ্দা মোষের শিং দেড় মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।
শুরুতে স্মিথ দম্পতি বুঝতে পারছিলেন না কীভাবে তাঁদের পুলে এল মহিষগুলো। তারপরই বাগানের একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করলেন। ফুটেজে দেখা যায়, সেদিন মানে রোববার সকালে বাগানে প্রবেশ ঘটে মহিষগুলোর। এদের একটি পুলে নেমে পড়ে। বাকিগুলো বাগান তছনছ করতে থাকে। পরের পনেরো মিনিটে আরও সাতটি মহিষ পুলে নেমে পরিষ্কার পানিকে কালো বর্ণে রূপ দেয়। ওই দম্পতি জানান, মহিষগুলোর সুইমিংপুলে নেমে পড়ার ঘটনায় এটি ব্যবহার করার মতো অবস্থায় ছিল না। প্রতিদিন ৭৫ গ্যালন করে পানি চুইয়ে বের হতে থাকে ওটা থেকে।
মি. স্মিথ মনে করেন ভারী এই প্রাণীগুলো ইচ্ছা করে নয়, বরং সুইমিংপুলের পিচ্ছিল টাইলসে পা হড়কে পানির মধ্যে পড়ে। আর একবার সেখানে পড়ার পর বের হতে পারেনি।
এদিকে খামারটির বিমা প্রতিষ্ঠান এনএফইউ মিউচুয়াল দায় মেনে নিলেও বিষয়টি সমাধান করতে প্রায় এক বছর লাগিয়ে ফেলে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২৫ হাজার পাউন্ড দেয় প্রতিষ্ঠানটি। একই সঙ্গে দেরির জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয় তাদের পক্ষ থেকে।
অতএব পাঠক, সুইমিংপুলে নামলে মহিষের ব্যাপারে সাবধান। বলা তো যায় না কখন আশপাশের কোন মহিষের পালের সুইমিংপুলে নামার শখ হয়।
সূত্র: গার্ডিয়ান, ডেইলি মেইল
মহিষের পালের পানিতে ডোবাডুবির অভ্যাস আছে। পুকুর, নদী, পাহাড়ি ছড়ায় নাকটা ভাসিয়ে গোসল করতে দেখা যায় এদের অনেক সময়ই। তাই বলে নিশ্চয় আশা করবেন না এরা সুইমিংপুলে নেমে পড়েছে। কিন্তু এটাই ঘটেছে ইংল্যান্ডের এসেক্সের এক সুইমিংপুলে।
এসেক্সের ওই সুইমিংপুলটি অ্যান্ডি ও লিনেট্টি স্মিথের। চাকরি থেকে অবসর নেওয়া এই দম্পতি জানান, ১৮টি মহিষ তাঁদের বাড়ির এলাকায় ঢুকে পড়ে। এগুলোর মধ্যে আটটি নামে তাঁদের নতুন সুইমিংপুলটিতে। মহিষগুলো বাগানেরও বারোটা বাজিয়ে দেয়।
অবশ্য মহিষের পালের এই হানা দেওয়ার ঘটনাটি এখনকার নয়, গত বছরের জুলাইয়ের। বিষয়টি আলোচনায় আসে ঘটনার প্রায় ১১ মাস পর ওই দম্পতি সম্প্রতি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পর। অ্যান্ডি ও লিনেট্টি জানান এক একটা মোষের ওজন ছিল ৬০০ কেজি। বাগান ও সুইমিংপুলের ব্যাপক ক্ষতি করে ওগুলো। মহিষ ব্রিড করার একটি খামার থেকে ওগুলো তাঁদের বাড়িতে এসে ওঠে, এতে ২৫ হাজার পাউন্ডের মতো ক্ষতি হয় বলে জানান দম্পতি। এদের মধ্যে আটটি ৭০ হাজার পাউন্ডের সুইমিংপুলটিতে হামলে পড়ে। মহিষগুলো বেড়া ও বাগানের ফুলেরও অনেক ক্ষতি করে।
গত জুলাইয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ায় বেড়াটা নষ্ট হয়ে গেলে তাদের চড়ে বেড়ানোর জায়গা ও স্মিথদের বাগানের মাঝখানের কাঠের বেড়া ভেঙে ও গুল্মের ঝাড় পেরিয়ে স্মিথদের জমিতে ঢুকে পড়ে মহিষগুলো।
‘আমার স্ত্রী সকালের চা বানাতে গিয়ে রান্নাঘরের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখে আটটি মহিষ সুইমিংপুলে নেমে পড়েছে,’ বলেন অ্যান্ডি স্মিথ, ‘তিনি ৯৯৯-এ ফোন দিলে ফায়ার ব্রিগেড মজা করে কলটা দেওয়া হয়েছে ধরে নেয়। বিষয়টি বিশ্বাস করাতে বেগ পেতে হয় তাঁকে। যখন ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা আসেন, তখন তাঁদের জ্যাকেট দেখে বিভ্রান্ত হয়ে একটি মোষ তাঁদের দিকে তেড়ে যায়।’
পরে ওই খামারের মালিক মহিষগুলোকে পানি থেকে তুলতে ও নিয়ে যেতে সাহায্য করেন। ওয়াটার বাফেলো বা মহিষ এশিয়ান বাফেলো বা এশীয় মোষ নামেও পরিচিত। এক একটি উচ্চতায় ৬ ফুট পর্যন্ত হতে পারে, মদ্দা মোষের শিং দেড় মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।
শুরুতে স্মিথ দম্পতি বুঝতে পারছিলেন না কীভাবে তাঁদের পুলে এল মহিষগুলো। তারপরই বাগানের একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করলেন। ফুটেজে দেখা যায়, সেদিন মানে রোববার সকালে বাগানে প্রবেশ ঘটে মহিষগুলোর। এদের একটি পুলে নেমে পড়ে। বাকিগুলো বাগান তছনছ করতে থাকে। পরের পনেরো মিনিটে আরও সাতটি মহিষ পুলে নেমে পরিষ্কার পানিকে কালো বর্ণে রূপ দেয়। ওই দম্পতি জানান, মহিষগুলোর সুইমিংপুলে নেমে পড়ার ঘটনায় এটি ব্যবহার করার মতো অবস্থায় ছিল না। প্রতিদিন ৭৫ গ্যালন করে পানি চুইয়ে বের হতে থাকে ওটা থেকে।
মি. স্মিথ মনে করেন ভারী এই প্রাণীগুলো ইচ্ছা করে নয়, বরং সুইমিংপুলের পিচ্ছিল টাইলসে পা হড়কে পানির মধ্যে পড়ে। আর একবার সেখানে পড়ার পর বের হতে পারেনি।
এদিকে খামারটির বিমা প্রতিষ্ঠান এনএফইউ মিউচুয়াল দায় মেনে নিলেও বিষয়টি সমাধান করতে প্রায় এক বছর লাগিয়ে ফেলে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২৫ হাজার পাউন্ড দেয় প্রতিষ্ঠানটি। একই সঙ্গে দেরির জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয় তাদের পক্ষ থেকে।
অতএব পাঠক, সুইমিংপুলে নামলে মহিষের ব্যাপারে সাবধান। বলা তো যায় না কখন আশপাশের কোন মহিষের পালের সুইমিংপুলে নামার শখ হয়।
সূত্র: গার্ডিয়ান, ডেইলি মেইল
চীনের হুবেই প্রদেশের শিয়াংইয়াং শহরে ঘটেছে এক আজব দুর্ঘটনা। বাগানে কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে একটি পাথরে বসেছিলেন ৭২ বছর বয়সী এক নারী। বসতেই গরমের আঁচ টের পেলেন খুব ভালোমতো! মাত্র ১০ সেকেন্ডেই তাঁর নিতম্ব পুড়ে গেল। যেনতেন পোড়া নয়, রীতিমতো ‘থার্ড ডিগ্রি বার্ন।’ এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
১১ ঘণ্টা আগেসাপের কামড়ে মানুষ মারা যাবে—এ তো চিরচেনা খবর! কিন্তু এবার খবর উল্টো। বিহারের এক প্রত্যন্ত গ্রামে ১ বছরের এক শিশু কামড়ে মেরে ফেলেছে বিষধর গোখরাকে! চোখ কপালে তুলে দেওয়া এই ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের পশ্চিম চম্পারণ জেলার মোহাচ্ছি বাংকটওয়া গ্রামে। স্থানীয়রা বলছেন, এমন ঘটনা তাঁরা জীবনে কখনো দেখেননি—শুধু সিনেমাতে
২ দিন আগে‘নির্ভীক’ শব্দটা অনেকেই গর্বের সঙ্গে ব্যবহার করেন। কিন্তু মানুষ সত্যিকার অর্থে পুরোপুরি নির্ভীক নয়। জন্মগতভাবে মানুষের ভয় খুব সীমিত—মাত্র দুটি। গবেষণা বলছে, মানুষ জন্মগতভাবে যেসব ভয় নিয়ে আসে, তার মধ্যে রয়েছে উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ার ভয় এবং বিকট শব্দে চমকে ওঠা।
৩ দিন আগেবেশির ভাগ বিড়ালপ্রেমীই আতঙ্কে থাকেন, কখন তাদের পোষা বিড়াল কোনো ইঁদুর বা পাখি শিকার করে বাসায় নিয়ে আসে। তবে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরের এক পরিবারের বিড়ালের কর্মকাণ্ড এই সাধারণ দুশ্চিন্তার চেয়েও ভয়াবহ। কারণ, তাদের ১৫ মাস বয়সী বিড়ালটি একা পুরো এলাকায় চুরির রাজত্ব কায়েম করেছে। পুরো এলাকার অপরাধ জগতে
৩ দিন আগে