ইশতিয়াক হাসান
চীনের গুইলিনে গেলে দেখা পাবেন আশ্চর্য সুন্দর এক গুহার। এর ভেতরের চুনাপাথরে তৈরি নানা কাঠামো দেখে রীতিমতো চমকে উঠবেন। এগুলোর কোনো কোনোটা পৌরাণিক প্রাণীর অবয়বের, কোনোটা হয়তো সবজির মতো, কোনোটি ঝাড়বাতি কিংবা মাছের আদলের, এমনকি স্ট্যাচু অব লিবার্টির সঙ্গে মিল আছে এমন চুনাপাথরও আছে। রিড ফ্লুট কেভ নামের এই গুহাকে আবার আলোকিত করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন বাতি দিয়ে। সবকিছু মিলিয়ে জায়গাটি হয়ে উঠেছে পর্যটকদের খুব প্রিয় এক ভ্রমণ গন্তব্যে।
মজার ঘটনা, ১৯৪০-এর দশকে নতুন করে আবিষ্কৃত হলে হাজার বছর আগেও এখানে মানুষের আনাগোনা ছিল। আর গুহাটি কবে সৃষ্টি হয়েছে, এটা শুনলে চমকে উঠবেন—আনুমানিক ১৮ কোটি বছর আগে। গুহাটির দৈর্ঘ্য ২৪০ মিটার বা ৭৮৭ ফুট।
এখন বরং এর নাম রিড ফ্লুট কেভ কেন হলো, তা জানার চেষ্টা করি। গুহা এলাকার প্রবেশপথের কাছে বিপুল হারে জন্মেছে নলখাগড়া। এসব নলখাগড়া অনেক সময়ই স্থানীয় বাসিন্দারা নিয়ে যান বাঁশি ও ছোটখাটো বাদ্যযন্ত্র বানাতে। বুঝতেই পারছেন, এর থেকেই গুহাটির নাম হয়ে গেছে রিড ফ্লুট কেভ, অর্থাৎ নলখাগড়ার বাঁশির গুহা।
তবে এই নলখাগড়ার সন্ধান করতে গিয়েই গুহাটির খোঁজ মিলেছে, তা কিন্তু নয়। এটা নতুনভাবে আবিষ্কার করেন একদল শরণার্থী, যাঁরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি সেনাদের থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছিলেন গুহাটিতে। তবে তাঁদের এই গুহা নিয়ে গবেষণা বা ভেতরের অন্ধি-সন্ধিতে অনুসন্ধানের সুযোগ ছিল না। পরে যারা গুহাটিতে ঢোকেন, তাঁরা এখানকার পাথরের দেয়ালে হাজার বছর আগের কালির লেখা আবিষ্কার করেন। গবেষকেরা জানান, এগুলো ৭৯২ সালে তাং রাজবংশের সময়কার। ওই সময় গুহায় আসা কবি-সাহিত্যিকদের রচিত কবিতা ও ভ্রমণকাহিনি এগুলো।
লাখ লাখ বছর ধরে নরম চুনাপাথরের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহের কারণে নানা ধরনের কাঠামোর সৃষ্টি হয়েছে গুহারাজ্যে। এগুলোর মধ্যে হয়েছে স্ট্যালেকলাইট (গুহার ছাদ থেকে ঝুলন্ত চুনাপাথরের স্তম্ভ), স্ট্যালাগমাইট (গুহার তল থেকে ওঠে যাওয়া চুনাপাথরের স্তম্ভ) এবং মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত বিভিন্ন পাথুরে স্তম্ভ।
রীতিমতো অদ্ভুত ধরনের দুটি স্ট্যালাগমাইট আছে। একটি স্নোম্যান বা তুষার মানবের মতো। মনে হবে প্রচণ্ড শীতে সে দুই হাত পকেটে পুরে রেখেছে। আরেকটি আবার গোলাকার স্তম্ভ আকারের পাইনগাছের মতো। দেখে মনে হবে এর শাখাগুলো ঢেকে আছে তুষার আর বরফের পুরু স্তরে।
গুহার ভেতরে সবচেয়ে চওড়া জায়গা ক্রিস্টাল প্যালেস। বিশাল একটি হলঘরের মতো এটি। চারদিক থেকেই ঝুলছে স্ট্যালেকটাইট। দেখে মনে হতে পারে একের পর এক ঝাড়বাতি ঝুলছে। এদিকে আলোর কারসাজিতে কোনো কোনো স্ট্যালাগমাইটকে মনে হয় লাফিয়ে ওঠা মাছ। ক্রিস্টাল প্যালেস ছেড়ে যাওয়ার পর ছোট কিছু সরু গলির দেখা মেলে।
গুহার বিভিন্ন পাথরের ফাটলে ও ফাঁকে নানা ধরনের বর্ণিল বাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এগুলো এমনভাবে লুকানো থাকে যে পর্যটকেরা সহজে এর উপস্থিতি টের পান না। তবে গুহাময় ছড়িয়ে পড়ে নিয়নের মিষ্টি একটা আলো। নানা ধরনের আশ্চর্য পাথুরে কাঠামো এতে আলোকিত হয়ে অদ্ভুত এক সৌন্দর্যের জন্ম দেয়। আর এই সবকিছু মিলিয়ে গুহাটি পরিণত হয়েছে এই অঞ্চলের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্রে।
গুইলিন শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে নলখাগড়ার বাঁশির গুহার দূরত্ব কেবল পাঁচ কিলোমিটার। কাজেই একবার শহরটিতে পৌঁছাতে পারলে আধা দিন হাতে রাখলেই আশ্চর্য এই গুহারাজ্য ঘুরে আসা সম্ভব।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এটলাস অবসকিউরা, ট্রাভেল চায়না গাইড, নেটিভ প্ল্যানেট ডট কম
চীনের গুইলিনে গেলে দেখা পাবেন আশ্চর্য সুন্দর এক গুহার। এর ভেতরের চুনাপাথরে তৈরি নানা কাঠামো দেখে রীতিমতো চমকে উঠবেন। এগুলোর কোনো কোনোটা পৌরাণিক প্রাণীর অবয়বের, কোনোটা হয়তো সবজির মতো, কোনোটি ঝাড়বাতি কিংবা মাছের আদলের, এমনকি স্ট্যাচু অব লিবার্টির সঙ্গে মিল আছে এমন চুনাপাথরও আছে। রিড ফ্লুট কেভ নামের এই গুহাকে আবার আলোকিত করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন বাতি দিয়ে। সবকিছু মিলিয়ে জায়গাটি হয়ে উঠেছে পর্যটকদের খুব প্রিয় এক ভ্রমণ গন্তব্যে।
মজার ঘটনা, ১৯৪০-এর দশকে নতুন করে আবিষ্কৃত হলে হাজার বছর আগেও এখানে মানুষের আনাগোনা ছিল। আর গুহাটি কবে সৃষ্টি হয়েছে, এটা শুনলে চমকে উঠবেন—আনুমানিক ১৮ কোটি বছর আগে। গুহাটির দৈর্ঘ্য ২৪০ মিটার বা ৭৮৭ ফুট।
এখন বরং এর নাম রিড ফ্লুট কেভ কেন হলো, তা জানার চেষ্টা করি। গুহা এলাকার প্রবেশপথের কাছে বিপুল হারে জন্মেছে নলখাগড়া। এসব নলখাগড়া অনেক সময়ই স্থানীয় বাসিন্দারা নিয়ে যান বাঁশি ও ছোটখাটো বাদ্যযন্ত্র বানাতে। বুঝতেই পারছেন, এর থেকেই গুহাটির নাম হয়ে গেছে রিড ফ্লুট কেভ, অর্থাৎ নলখাগড়ার বাঁশির গুহা।
তবে এই নলখাগড়ার সন্ধান করতে গিয়েই গুহাটির খোঁজ মিলেছে, তা কিন্তু নয়। এটা নতুনভাবে আবিষ্কার করেন একদল শরণার্থী, যাঁরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি সেনাদের থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছিলেন গুহাটিতে। তবে তাঁদের এই গুহা নিয়ে গবেষণা বা ভেতরের অন্ধি-সন্ধিতে অনুসন্ধানের সুযোগ ছিল না। পরে যারা গুহাটিতে ঢোকেন, তাঁরা এখানকার পাথরের দেয়ালে হাজার বছর আগের কালির লেখা আবিষ্কার করেন। গবেষকেরা জানান, এগুলো ৭৯২ সালে তাং রাজবংশের সময়কার। ওই সময় গুহায় আসা কবি-সাহিত্যিকদের রচিত কবিতা ও ভ্রমণকাহিনি এগুলো।
লাখ লাখ বছর ধরে নরম চুনাপাথরের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহের কারণে নানা ধরনের কাঠামোর সৃষ্টি হয়েছে গুহারাজ্যে। এগুলোর মধ্যে হয়েছে স্ট্যালেকলাইট (গুহার ছাদ থেকে ঝুলন্ত চুনাপাথরের স্তম্ভ), স্ট্যালাগমাইট (গুহার তল থেকে ওঠে যাওয়া চুনাপাথরের স্তম্ভ) এবং মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত বিভিন্ন পাথুরে স্তম্ভ।
রীতিমতো অদ্ভুত ধরনের দুটি স্ট্যালাগমাইট আছে। একটি স্নোম্যান বা তুষার মানবের মতো। মনে হবে প্রচণ্ড শীতে সে দুই হাত পকেটে পুরে রেখেছে। আরেকটি আবার গোলাকার স্তম্ভ আকারের পাইনগাছের মতো। দেখে মনে হবে এর শাখাগুলো ঢেকে আছে তুষার আর বরফের পুরু স্তরে।
গুহার ভেতরে সবচেয়ে চওড়া জায়গা ক্রিস্টাল প্যালেস। বিশাল একটি হলঘরের মতো এটি। চারদিক থেকেই ঝুলছে স্ট্যালেকটাইট। দেখে মনে হতে পারে একের পর এক ঝাড়বাতি ঝুলছে। এদিকে আলোর কারসাজিতে কোনো কোনো স্ট্যালাগমাইটকে মনে হয় লাফিয়ে ওঠা মাছ। ক্রিস্টাল প্যালেস ছেড়ে যাওয়ার পর ছোট কিছু সরু গলির দেখা মেলে।
গুহার বিভিন্ন পাথরের ফাটলে ও ফাঁকে নানা ধরনের বর্ণিল বাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এগুলো এমনভাবে লুকানো থাকে যে পর্যটকেরা সহজে এর উপস্থিতি টের পান না। তবে গুহাময় ছড়িয়ে পড়ে নিয়নের মিষ্টি একটা আলো। নানা ধরনের আশ্চর্য পাথুরে কাঠামো এতে আলোকিত হয়ে অদ্ভুত এক সৌন্দর্যের জন্ম দেয়। আর এই সবকিছু মিলিয়ে গুহাটি পরিণত হয়েছে এই অঞ্চলের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্রে।
গুইলিন শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে নলখাগড়ার বাঁশির গুহার দূরত্ব কেবল পাঁচ কিলোমিটার। কাজেই একবার শহরটিতে পৌঁছাতে পারলে আধা দিন হাতে রাখলেই আশ্চর্য এই গুহারাজ্য ঘুরে আসা সম্ভব।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এটলাস অবসকিউরা, ট্রাভেল চায়না গাইড, নেটিভ প্ল্যানেট ডট কম
সময়টা ১৮৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরের সকাল। এক সুসজ্জিত ব্যক্তি সান ফ্রান্সিসকোর ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো ইভনিং বুলেটিনের’ কার্যালয়ে প্রবেশ করে একটি ঘোষণাপত্র জমা দেন, যেখানে নিজেকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তি ছিলেন জোশুয়া নর্টন।
৮ দিন আগেআজ ফোর টুয়েন্টি (৪২০) দিবস। সংখ্যাটা পড়েই ভাবছেন প্রতারকদের দিবস আজ? না না। এই ফোর টুয়েন্টি সেই ফোর টুয়েন্টি নয়। পশ্চিমা বিশ্বে এই সংখ্যা গাঁজা সংস্কৃতির কোড ভাষা।
১০ দিন আগেসাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপ ও এশিয়ায় বিপুল পরিমাণে পাচার হচ্ছে বড় আকারের লাখ লাখ পিঁপড়া। ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলোতে এসব পিঁপড়া পোষা প্রাণী হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। আফ্রিকার দেশ কেনিয়া থেকে সম্প্রতি হাজার হাজার জীবন্ত পিঁপড়া পাচারকালে ৪ চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে।
১৪ দিন আগেগত বছর একটি রাতের অনুষ্ঠানে এক ভ্লগারের ক্যামেরায় অপ্রত্যাশিত এবং অশালীন মন্তব্য করে রাতারাতি ভাইরাল হন হেইলি ওয়েলচ। দ্রুতই ‘হক তুয়াহ’ নামে খ্যাতি পান তিনি। সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন এই তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, নিজের নামে চালু করা বিতর্কিত ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে...
১৬ দিন আগে