দুই হাজার বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো টিকে আছে রোমান সাম্রাজ্যের স্থাপত্যের কিছু নিদর্শন। রোমের প্যানথিয়ন, স্পেনের সেগোভিয়ার রোমান জলাশয় এবং ইংল্যান্ডের রোমান বাথসের মতো স্থাপনাগুলো আজও দাঁড়িয়ে আছে শক্তভাবে। এই স্থাপনাগুলোর দীর্ঘ স্থায়ীত্বের পেছনে রয়েছে এক বিস্ময়কর উপাদান—রোমান কংক্রিট। তবে এই কংক্রিটের
মিনারের সঙ্গে ইসলামি স্থাপত্যের এক নিবিড় সম্পর্ক জড়িয়ে আছে। এর অবয়ব যেন মনে করিয়ে দেয় ইসলামি শাসন ও মুসলিম শাসকদের নানা কীর্তিগাথা। ইসলামের ইতিহাসে মূলত আজানের শব্দ দূরে পৌঁছানোর জন্য মিনারের ব্যবহার শুরু হয়। একসময় মিনারগুলো থেকে ভেসে আসত ‘আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাউম’-এর মায়াবি ধ্বনি।
মিমার সিনান (১৪৮৯–১৫৮৮) ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের স্থাপত্যশিল্পের এক রত্ন। তিনি উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রধান স্থপতি হিসেবে পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই উসমানীয় স্থাপত্যশিল্প উৎকর্ষের চূড়া স্পর্শ করেছিল।
গত বছরের ৩ মে ব্যতিক্রম স্থাপত্য শৈলীর জেবুন নেসা মসজিদ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল আজকের পত্রিকা। ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় গড়ে ওঠা ওই মসজিদ এবার ঠাঁই করে নিয়েছে বিশ্বের সেরা স্থানগুলো নিয়ে করা টাইম ম্যাগাজিনের তালিকায়।
পৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
‘কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং ২০২৪ অনুযায়ী স্থাপত্যবিদ্যায় সেরা ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, স্থাপত্যবিদ্যা নিয়ে অধ্যয়ন করার জন্য বিশ্বের সেরা ১৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পায়নি বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।
স্থাপত্য ও নকশায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি ‘আইএবি অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩’ প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস (আইএবি)। এ বছর পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ‘নাফ-ডরমেটরি টেকনাফ প্রকল্প’।
রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় গড়ে উঠেছে নান্দনিক স্থাপত্য জেবুন নেসা মসজিদ। শিল্প এলাকা আশুলিয়ার জামগড়ায় নির্মিত এই স্থাপনায় পরিবেশবান্ধব নকশা গুরুত্ব পেয়েছে। ঢাকার আজিমপুরের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদ, দক্ষিণখানের বায়তুর রউফ মসজিদ কিংবা লক্ষ্মীপুরের রামগতির আস-সালাম জামে মসজিদের পর প্রাক
খ্যাতনামা মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের স্থপতির মেরিনা তাবাশ্যুম। স্থাপত্য শিল্পে তিনি এমন রীতির উদ্ভাবন করেছেন, যেখানে স্থানীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের পাশাপাশি ধরিত্রীর সামনের ঝুঁকিগুলোও প্রাধান্য পায়।
দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মেধা ও মনন খাঁটিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুখচ্ছবির নকশা তৈরি করেছেন বগুড়ার স্থাপত্যবিদ এ. বি. এম. মনোয়ারুল হাসান মিঠু। এই নকশা বাস্তব রূপ দিলে স্থাপত্যশিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নরওয়ের ফিয়র্ড অঞ্চলে অদ্ভুত এই ধাতুর গোলকের অর্থ কী? স্থাপত্য ও খাবার প্রেমীরা কিসের টানে সেখানে হাজির হচ্ছেন? ভাসমান এই আর্ট ইনস্টলেশনের নাম ‘স্যামন আই’, যার মধ্যে একটা রেস্তোরাঁও রয়েছে।
স্থাপত্যবিদ্যায় কোথায় পড়বেন? সে প্রশ্নের উত্তর হলো, বিশ্বসেরা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়ানো হয় এ বিষয়টি। পছন্দমতো যেকোনো একটিতে ভর্তি হয়ে গেলেই হয়। কিন্তু সেরাদের সেরা বাছতে গেলে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসবে সামনে।
হাতিরঝিলের বুকে নির্মিত হতে যাছে আকাশছোঁয়া নান্দনিক ভবন ঢাকা টাওয়ার। এটি নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে নগরভিত্তিক স্থাপত্য নির্মাণবিষয়ক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ওএমএ। টাওয়ারটির চূড়ায় থাকবে রেস্তোরাঁ। নেদারল্যান্ডসের কোম্পানি ওএমএর বাংলাদেশে এটাই প্রথম প্রকল্প।
হাজার বছরের ইসলামি স্থাপত্যে স্থান-কাল-পাত্রভেদে নানা বৈচিত্র্য দেখা যায়। এর প্রধান কারণ, পৃথিবীর যে প্রান্তেই ইসলাম প্রচারিত হয়েছে, সেখানে ইসলামের মৌলিক শিক্ষাবিরোধী নয় এমন সব সংস্কৃতিকে কখনোই নিরুৎসাহিত করা হয়নি; বরং মুসলমানেরা সেগুলোকে নিজেদের করে নিয়েছে।
জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্থাপত্য অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ৫ ক্যাটাগরির পদে ৩০ জনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
স্থাপত্য একই সঙ্গে কলা এবং বিজ্ঞানের সম্মিলিত রূপ। স্থাপত্য বিষয়টি অধিকাংশই প্রযুক্তি, নকশা ও নির্মাণের সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও এটি একটি সৃজনশীল ও সাংস্কৃতিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়।
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার মোগল স্থাপত্যের নিদর্শন দেওয়ানের পুল ভাঙা নিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) গণশুনানিকে ‘পাতানো নাটক’ বলে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। এ বিষয়ে সংগঠনটি আইনি পদক্ষেপ নেবে বলেও জানিয়েছে।