ইসলাম ডেস্ক

ইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
খেরুয়া মসজিদের অবস্থান
ঐতিহাসিক এই মসজিদটি বগুড়া জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে শেরপুর উপজেলার খন্দকারটোলায় অবস্থিত। শেরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশায় ৫ মিনিটের পথ।
খেরুয়া মসজিদের নির্মাতা ও নির্মাণকাল
মসজিদের সম্মুখ দেয়ালে উৎকীর্ণ আরবি-ফারসি শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৫৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৯৮৯ হিজরিতে) জওহর আলী কাকশালের পুত্র মুরাদ খান কাকশাল এটি নির্মাণ করেন। কাকশাল উপাধি ছিল তুর্কিদের। আইন-ই-আকবরি গ্রন্থে এ অঞ্চলকে শেরপুর মোর্চা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
খেরুয়া মসজিদের নাম
আরবি-ফারসিতে ‘খেরুয়া’ বলে কোনো শব্দ পাওয়া যায় না। ধারণা করা হয়, আরবি ‘খয়র’ (কল্যাণ) শব্দ থেকেই এ নামটি এসেছে। অনেক প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলেন, খেরুয়া শব্দটি ফারসি ‘খায়ের গাহ’ শব্দ থেকেও উদ্ভূত হতে পারে।
খেরুয়া মসজিদের নির্মাণশৈলী
মসজিদটি সুলতানি ও মোগল স্থাপত্যশৈলীর মিশেলে নির্মিত। মসজিদের নিচের অংশে ভূমি পরিকল্পনা মোগল স্থাপত্যরীতির আর ওপরের অংশ সুলতানি রীতিতে নির্মিত। বাইরে থেকে উত্তর-দক্ষিণে মসজিদের দৈর্ঘ্য ৫৭ ফুট এবং প্রস্থ সাড়ে ২৪ ফুট।
আর ভেতর থেকে মসজিদের দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট এবং প্রস্থে সাড়ে ১২ ফুট। পূর্ব দেয়ালে তিনটি খিলান। দরজার মাঝেরটি আকারে খানিক বড়। দরজা বরাবর আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে অর্ধগোলাকার মেহরাবগুলো স্থাপিত। এখানেও মাঝেরটি অপর দুটি থেকে বড়। বড় দরজার দুপাশে দুটি শিলালিপি ছিল। তার একটি এখনো স্থাপিত থাকলেও অপরটি রয়েছে করাচি জাদুঘরে।
উত্তর আর দক্ষিণ দেয়ালেও আছে ১টি করে দরজা। মসজিদের ছাদে ৩.৭১ মিটার ব্যাসের উপুড় করা বাটি সদৃশ তিনটি গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজের ইটের গাঁথুনি খুবই নান্দনিক। গম্বুজের সম্পূর্ণ ভর চার কোণের চারটি প্রকাণ্ড অষ্ট ভূজ মিনার এবং চুনসুরকিতে গাঁথা পাতলা লাল ইটের ১.৮১ মিটার চওড়া দেয়ালের ওপর। মসজিদের কার্নিশ ধনুকের মতো বাঁকা। কালের ঘর্ষণে ক্ষয়ে গেছে দেয়ালে করা পোড়ামাটির শিল্পকর্ম এবং ইটের ওপরের বাহারি নকশা।
খেরুয়া মসজিদের সামনে রয়েছে বিশাল মাঠ। মাঠের চতুর্দিকে রয়েছে তাল, নারিকেল, আম ও কদমগাছের সারি। কথিত আছে, মসজিদের মাঠে যে কবর, তা আবদুস সামাদ ফকির নামের এক ব্যক্তির; যিনি মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ করেন।
খেরুয়া মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব
বাংলায় মোগল শাসনের সূচনা হয় ১৫৭৬ সালে। মোগল শাসনের সূচনা কালের মসজিদ হিসেবে খেরুয়া মসজিদের পৃথক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ মসজিদটি তৎকালীন বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
খেরুয়া মসজিদের বর্তমান অবস্থা
খেরুয়া মসজিদে বর্তমানে ওয়াক্তিয়া, জুমা, তারাবিসহ দুই ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদের ভেতরে সর্বসাকল্যে ৫০-৬০ জন মানুষ সংকুলান হয়। বাকিদের বাইরে চট বিছিয়ে দাঁড়াতে হয়।
১৯৮৮ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদটি সংস্কার করে। এরপর আর উল্লেখযোগ্য সংস্কার হয়নি বললেই চলে। বাইরে থেকে ভালো দেখা গেলেও মসজিদের ভেতরের ইটগুলো ক্ষয়ে যেতে শুরু করেছে। ক্রমেই ঝুরঝুরে হয়ে যাচ্ছে ইটগুলো। মোগল আমলের এই ঐতিহাসিক স্থাপনাকে টিকিয়ে রাখতে অতি দ্রুত সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: মুজাহিদ আল কারিম,ইসলামবিষয়ক গবেষক

ইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
খেরুয়া মসজিদের অবস্থান
ঐতিহাসিক এই মসজিদটি বগুড়া জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে শেরপুর উপজেলার খন্দকারটোলায় অবস্থিত। শেরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশায় ৫ মিনিটের পথ।
খেরুয়া মসজিদের নির্মাতা ও নির্মাণকাল
মসজিদের সম্মুখ দেয়ালে উৎকীর্ণ আরবি-ফারসি শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৫৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৯৮৯ হিজরিতে) জওহর আলী কাকশালের পুত্র মুরাদ খান কাকশাল এটি নির্মাণ করেন। কাকশাল উপাধি ছিল তুর্কিদের। আইন-ই-আকবরি গ্রন্থে এ অঞ্চলকে শেরপুর মোর্চা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
খেরুয়া মসজিদের নাম
আরবি-ফারসিতে ‘খেরুয়া’ বলে কোনো শব্দ পাওয়া যায় না। ধারণা করা হয়, আরবি ‘খয়র’ (কল্যাণ) শব্দ থেকেই এ নামটি এসেছে। অনেক প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলেন, খেরুয়া শব্দটি ফারসি ‘খায়ের গাহ’ শব্দ থেকেও উদ্ভূত হতে পারে।
খেরুয়া মসজিদের নির্মাণশৈলী
মসজিদটি সুলতানি ও মোগল স্থাপত্যশৈলীর মিশেলে নির্মিত। মসজিদের নিচের অংশে ভূমি পরিকল্পনা মোগল স্থাপত্যরীতির আর ওপরের অংশ সুলতানি রীতিতে নির্মিত। বাইরে থেকে উত্তর-দক্ষিণে মসজিদের দৈর্ঘ্য ৫৭ ফুট এবং প্রস্থ সাড়ে ২৪ ফুট।
আর ভেতর থেকে মসজিদের দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট এবং প্রস্থে সাড়ে ১২ ফুট। পূর্ব দেয়ালে তিনটি খিলান। দরজার মাঝেরটি আকারে খানিক বড়। দরজা বরাবর আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে অর্ধগোলাকার মেহরাবগুলো স্থাপিত। এখানেও মাঝেরটি অপর দুটি থেকে বড়। বড় দরজার দুপাশে দুটি শিলালিপি ছিল। তার একটি এখনো স্থাপিত থাকলেও অপরটি রয়েছে করাচি জাদুঘরে।
উত্তর আর দক্ষিণ দেয়ালেও আছে ১টি করে দরজা। মসজিদের ছাদে ৩.৭১ মিটার ব্যাসের উপুড় করা বাটি সদৃশ তিনটি গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজের ইটের গাঁথুনি খুবই নান্দনিক। গম্বুজের সম্পূর্ণ ভর চার কোণের চারটি প্রকাণ্ড অষ্ট ভূজ মিনার এবং চুনসুরকিতে গাঁথা পাতলা লাল ইটের ১.৮১ মিটার চওড়া দেয়ালের ওপর। মসজিদের কার্নিশ ধনুকের মতো বাঁকা। কালের ঘর্ষণে ক্ষয়ে গেছে দেয়ালে করা পোড়ামাটির শিল্পকর্ম এবং ইটের ওপরের বাহারি নকশা।
খেরুয়া মসজিদের সামনে রয়েছে বিশাল মাঠ। মাঠের চতুর্দিকে রয়েছে তাল, নারিকেল, আম ও কদমগাছের সারি। কথিত আছে, মসজিদের মাঠে যে কবর, তা আবদুস সামাদ ফকির নামের এক ব্যক্তির; যিনি মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ করেন।
খেরুয়া মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব
বাংলায় মোগল শাসনের সূচনা হয় ১৫৭৬ সালে। মোগল শাসনের সূচনা কালের মসজিদ হিসেবে খেরুয়া মসজিদের পৃথক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ মসজিদটি তৎকালীন বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
খেরুয়া মসজিদের বর্তমান অবস্থা
খেরুয়া মসজিদে বর্তমানে ওয়াক্তিয়া, জুমা, তারাবিসহ দুই ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদের ভেতরে সর্বসাকল্যে ৫০-৬০ জন মানুষ সংকুলান হয়। বাকিদের বাইরে চট বিছিয়ে দাঁড়াতে হয়।
১৯৮৮ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদটি সংস্কার করে। এরপর আর উল্লেখযোগ্য সংস্কার হয়নি বললেই চলে। বাইরে থেকে ভালো দেখা গেলেও মসজিদের ভেতরের ইটগুলো ক্ষয়ে যেতে শুরু করেছে। ক্রমেই ঝুরঝুরে হয়ে যাচ্ছে ইটগুলো। মোগল আমলের এই ঐতিহাসিক স্থাপনাকে টিকিয়ে রাখতে অতি দ্রুত সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: মুজাহিদ আল কারিম,ইসলামবিষয়ক গবেষক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
২ ঘণ্টা আগে
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
এ বিষয়ে কোনো সৌদি আরবের সরকারি নীতি পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানায় এই সংবাদমাধ্যম।
৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সংবাদমাধ্যমটির ফ্যাক্টচেক থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, যেখানে দাবি করা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা থেকে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়নি।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের মিথ্যা দাবি মাঝেমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হজ বা ওমরাহর মৌসুমে এমন গুজব বেশি বিস্তার লাভ করে। এসব তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়াই কাম্য।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
এ বিষয়ে কোনো সৌদি আরবের সরকারি নীতি পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানায় এই সংবাদমাধ্যম।
৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সংবাদমাধ্যমটির ফ্যাক্টচেক থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, যেখানে দাবি করা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা থেকে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়নি।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের মিথ্যা দাবি মাঝেমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হজ বা ওমরাহর মৌসুমে এমন গুজব বেশি বিস্তার লাভ করে। এসব তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়াই কাম্য।

ইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
১৯ জুন ২০২৫
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
২০ ঘণ্টা আগেতাসনিফ আবীদ

মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
কেবল সম্পর্ক নয়, বরং বন্ধুত্ব হতে হবে পরিশুদ্ধ, নীতিনির্ভর ও পরকালমুখী। চলার পথে আমরা সবাই বন্ধুত্ব করি—কখনো প্রয়োজনে, কখনো স্বার্থে, কখনো পরিস্থিতিতে। কিন্তু প্রকৃত বন্ধু কে? যে আমাদের চিন্তা, কর্ম ও দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ইসলাম তাই কেবল বন্ধুত্ব গড়ে তোলার আহ্বানই দেয়নি, দিয়েছে সচেতনতার দিকনির্দেশনাও।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ইমানদার পুরুষ এবং ইমানদার নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে, অসৎ কাজে নিষেধ করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ মান্য করে চলে। তাদের প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে।’ (সুরা তাওবা: ৭১)
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই বিরাগ—এটাই মুসলমানের সম্পর্কের মূলনীতি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে কাউকে ভালোবাসে আল্লাহর জন্য, কাউকে কিছু দেয় আল্লাহর জন্য, কারও সঙ্গে রাগ করে আল্লাহর জন্য—সে তার ইমান পূর্ণ করল।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্)। এমন বন্ধুত্ব টিকে থাকে দুনিয়া ও আখিরাতে। অন্যদিকে স্বার্থ, দম্ভ, আভিজাত্য বা জৌলুশের ওপর নির্মিত বন্ধুত্ব টেকে না।
ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো বন্ধুর কিছু গুণাবলি হলো—সে সৎ পরামর্শদাতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত। নিজে সৎ জীবনযাপন করে এবং অন্যকেও অনৈতিকতা থেকে দূরে রাখে। গোপন কথা গোপন রাখে, বিশ্বাস ভঙ্গ করে না। বিপদে-আপদে পাশে থাকে, অসুস্থতায় খোঁজ নেয়, দাওয়াতে সাড়া দেয়। এক কথায়, ভালো বন্ধু আপনার আখিরাতকেও সুন্দর করে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কই পরকালের পাথেয়।

মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
কেবল সম্পর্ক নয়, বরং বন্ধুত্ব হতে হবে পরিশুদ্ধ, নীতিনির্ভর ও পরকালমুখী। চলার পথে আমরা সবাই বন্ধুত্ব করি—কখনো প্রয়োজনে, কখনো স্বার্থে, কখনো পরিস্থিতিতে। কিন্তু প্রকৃত বন্ধু কে? যে আমাদের চিন্তা, কর্ম ও দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ইসলাম তাই কেবল বন্ধুত্ব গড়ে তোলার আহ্বানই দেয়নি, দিয়েছে সচেতনতার দিকনির্দেশনাও।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ইমানদার পুরুষ এবং ইমানদার নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে, অসৎ কাজে নিষেধ করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ মান্য করে চলে। তাদের প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে।’ (সুরা তাওবা: ৭১)
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই বিরাগ—এটাই মুসলমানের সম্পর্কের মূলনীতি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে কাউকে ভালোবাসে আল্লাহর জন্য, কাউকে কিছু দেয় আল্লাহর জন্য, কারও সঙ্গে রাগ করে আল্লাহর জন্য—সে তার ইমান পূর্ণ করল।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্)। এমন বন্ধুত্ব টিকে থাকে দুনিয়া ও আখিরাতে। অন্যদিকে স্বার্থ, দম্ভ, আভিজাত্য বা জৌলুশের ওপর নির্মিত বন্ধুত্ব টেকে না।
ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো বন্ধুর কিছু গুণাবলি হলো—সে সৎ পরামর্শদাতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত। নিজে সৎ জীবনযাপন করে এবং অন্যকেও অনৈতিকতা থেকে দূরে রাখে। গোপন কথা গোপন রাখে, বিশ্বাস ভঙ্গ করে না। বিপদে-আপদে পাশে থাকে, অসুস্থতায় খোঁজ নেয়, দাওয়াতে সাড়া দেয়। এক কথায়, ভালো বন্ধু আপনার আখিরাতকেও সুন্দর করে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কই পরকালের পাথেয়।

ইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
১৯ জুন ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৯ মিনিট | ০৬: ২৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫২ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৩ মিনিট | ০৫: ০৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৯ মিনিট | ০৬: ২৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫২ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৩ মিনিট | ০৫: ০৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
১৯ জুন ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
২ ঘণ্টা আগে
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৮ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
এ বিষয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) অন্য এক হাদিসে বলেছেন, ‘কেউ তার ভাইকে কাফের বলে সম্বোধন করলে উভয়ের মধ্যে যেকোনো একজনের ওপর তা ফিরে আসবে। যাকে কাফের বলা হয়েছে, সে কাফের হলে তো হলোই; নতুবা কথাটি বক্তার ওপর ফিরে আসবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪০৪)
ইসলামের বিধান হলো, কারও থেকে কুফরি কোনো কাজ বা কথা প্রকাশ পেলেও তাকে সরাসরি তাকফির করা বা কাফের ঘোষণা দেওয়া সাধারণ মানুষের কাজ নয়। ইসলামবিষয়ক গবেষকেরা ওই ব্যক্তির সার্বিক অবস্থা যাচাই-বাছাই করে ইসলামের মূলনীতি সামনে রেখে ফতোয়া দেবেন।
তবে সতর্কতার বিষয় হলো, শরিয়তের দৃষ্টিতে অমুসলিমরা স্পষ্টতই কাফের। তাদের কুফরকে কেউ কুফর না মানা অথবা তাদের কুফরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া যাবে না। (আশ শিফা: ২/২৮১)
ইমাম আবুল মাআলি (রহ.) বলেন, ‘কোনো কাফেরকে মুসলমান বলে চালিয়ে দেওয়া এবং কোনো মুসলমানকে দ্বীন থেকে বের করে দেওয়া, দুটোই জঘন্য।’ (ইকফারুল মুলহিদিন: ২৭)
মোটকথা হলো, কাউকে তাকফির করা তথা কাফের ঘোষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। একইভাবে অতিমাত্রায় ছাড়াছাড়ি করে কাফের বা মুরতাদকে মুসলিম আখ্যা দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মূলনীতির অনুসরণ করতে হবে। (শরহে আকিদাতুত তাহাবি: পৃষ্ঠা-৯১)
নবী করিম (সা.) উম্মতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো মুমিনকে কুফরের অপবাদ দেওয়া তাকে হত্যা করার মতোই।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১০৫)। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
এ বিষয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) অন্য এক হাদিসে বলেছেন, ‘কেউ তার ভাইকে কাফের বলে সম্বোধন করলে উভয়ের মধ্যে যেকোনো একজনের ওপর তা ফিরে আসবে। যাকে কাফের বলা হয়েছে, সে কাফের হলে তো হলোই; নতুবা কথাটি বক্তার ওপর ফিরে আসবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪০৪)
ইসলামের বিধান হলো, কারও থেকে কুফরি কোনো কাজ বা কথা প্রকাশ পেলেও তাকে সরাসরি তাকফির করা বা কাফের ঘোষণা দেওয়া সাধারণ মানুষের কাজ নয়। ইসলামবিষয়ক গবেষকেরা ওই ব্যক্তির সার্বিক অবস্থা যাচাই-বাছাই করে ইসলামের মূলনীতি সামনে রেখে ফতোয়া দেবেন।
তবে সতর্কতার বিষয় হলো, শরিয়তের দৃষ্টিতে অমুসলিমরা স্পষ্টতই কাফের। তাদের কুফরকে কেউ কুফর না মানা অথবা তাদের কুফরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া যাবে না। (আশ শিফা: ২/২৮১)
ইমাম আবুল মাআলি (রহ.) বলেন, ‘কোনো কাফেরকে মুসলমান বলে চালিয়ে দেওয়া এবং কোনো মুসলমানকে দ্বীন থেকে বের করে দেওয়া, দুটোই জঘন্য।’ (ইকফারুল মুলহিদিন: ২৭)
মোটকথা হলো, কাউকে তাকফির করা তথা কাফের ঘোষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। একইভাবে অতিমাত্রায় ছাড়াছাড়ি করে কাফের বা মুরতাদকে মুসলিম আখ্যা দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মূলনীতির অনুসরণ করতে হবে। (শরহে আকিদাতুত তাহাবি: পৃষ্ঠা-৯১)
নবী করিম (সা.) উম্মতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো মুমিনকে কুফরের অপবাদ দেওয়া তাকে হত্যা করার মতোই।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১০৫)। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

ইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
১৯ জুন ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
২ ঘণ্টা আগে
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে