উপকূলীয় জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা একটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও নদীভাঙনের মুখোমুখি হচ্ছে এই উপজেলার ঢালচর, চর কুকরিমুকরি ও মুজিবনগর ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার। এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনযাপন যেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে এক অবিরাম সংগ্রাম।
নিম্নচাপ জনিত ঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসে, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবে সারা দেশে টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। আজ শুক্রবার সকালে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব ফেসবুকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাব ও টানা বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুরে দুই উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মেঘনা নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটের ফেরি-লঞ্চ চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের জলোচ্ছ্বাসে দুবলারচরে মারা গেছে হরিণ। শেলারচরে ভেসে যাওয়ার সময় একটি হরিণ উদ্ধার করে সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার সকালে সুন্দরবন ৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে।