রোগ

নতুন বছরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর ডিজিটাল হাতিয়ারের কল্যাণে ওষুধের উদ্ভাবন ও বিকাশে রোগীর যত্ন এবং স্বাস্থ্যসেবার বিজনেস মডেলে আসবে অভূতপূর্ব অগ্রগতি। ২০২৪ সাল হবে চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে এক চাঞ্চল্যকর অগ্রযাত্রার বছর। 

ওষুধ খাওয়ার কথা ভুলে যাওয়া লোকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। বহু মানুষ আছেন, যাঁদের রোগ নিরাময়ের জন্য সারা দিনে একাধিকবার ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু বিভিন্ন ব্যস্ততায় নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধ খেতে ভুলে যান। এখন থেকে ওষুধ খাওয়ার কথা আর ভুলবেন না। বলা ভালো, আপনার স্মার্টফোন ভুলতে দেবে না।

লবঙ্গ শরীরের জন্য কতটা আশ্চর্যজনক কাজ করে, তা হয়তো অনেকে জানেন না। প্রতিদিন দুটি করে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে ১৩০টির বেশি বিভিন্ন উপকার পাবেন। এটি দাঁতের ব্যথা উপশমের বহুল ব্যবহৃত উপায়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। 

স্বাদে অতুলনীয় শীতের সবজি ফুলকপি। এই সবজির পুষ্টিগুণও অনেক। হৃদ্‌রোগ, ক্যানসারসহ জটিল কিছু রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে ফুলকপিতে থাকা খনিজ। 

ঠাকুরগাঁওয়ে শিশুদের নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, জ্বরসহ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। হাসপাতালে হঠাৎ করে রোগীর চাপ বাড়ায় ওষুধ, স্যালাইন ও শয্যার সংকট দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর স্বজনেরা।

চলতি বছরে বাংলাদেশে নতুন করে এইচআইভি/এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৫০ জন; যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। এ ছাড়া এ রোগে মৃত্যু হয়েছে ২৬৬ জনের। এক বছরে আক্রান্ত ও মৃত্যু রোগীর সংখ্যার বিচারে এটি সর্বোচ্চ। সেই হিসাবে প্রতিদিন দেশে তিনজনের বেশি মানুষ এই মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হন। 

রোগে অণুজীবের ভূমিকা এবং কীভাবে ভ্যাকসিন দিয়ে রোগ প্রতিরোধ করা যায়, তা আবিষ্কার করা প্রথম দিককার বিজ্ঞানীদের একজন লুই পাস্তুর। আমাদের কাছে অবশ্য তিনি বেশি পরিচিত জলাতঙ্ক রোগের টিকার আবিষ্কারক হিসেবে। ১৮২২ সালের এই দিনে, অর্থাৎ ২৭ ডিসেম্বর ফ্রান্সের দোলে জন্ম নেন এই বিজ্ঞানী। 

বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে নিউমোনিয়ার মতো তীব্র শ্বাসযন্ত্রের রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী অ্যাডিনো ভাইরাসের নতুন এক প্রজাতির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞানীরা বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছে।

সুন্দর এই পৃথিবীতে সবাই সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে চায়। সেই সুস্থ থাকার জন্য অনেকেই অসুস্থতা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করেন। এমন বাতিক তাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায় বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ওই গবেষণা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। 

নেচারে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, গবেষণাপত্র প্রকাশের দিক থেকে ভারতীয়রা তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে থাকলেও তাদের গবেষণাপত্র থেকে উদ্ধৃতি (সাইটেশন) হয় খুবই কম। সেই তালিকা করলে ভারতের অবস্থান হয় ১৫৩ তম। এমনকি ২০২০ সালে ভারতীয় গবেষকেরা যে পরিমাণ নিবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন তার ৩০ শতাংশ থেকে কখনোই কোনো উদ্ধৃতি

মুমূর্ষু রোগীদের নিবিড় পরিচর্যায় ১০টি শয্যা কেনা হয়। অস্ত্রোপচারের জন্য কেনা হয় ১৩টি অবজারভেশন টেবিল, ফ্রন্ট প্যানেল লাইট ও ফোরডি আলট্রাসাউন্ড যন্ত্র। কিন্তু পরিদর্শনে এসব চিকিৎসা সরঞ্জামের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এগুলো হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়েছে কি না তা জানতে

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন আহাম্মদ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ সময়ে শিশুদের গরম কাপড় পরিধানসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্

ছেলে রায়হান কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিন্তু দরিদ্র মা জেসমিন বেগমের (৩৫) ছেলের চিকিৎসার ব্যয় বহনের সামর্থ্য নেই। বাসাবাড়িতে কাজ করে আর মানুষের কাছে চেয়েচিন্তে কোনোমতে সংসার চালান, ছেলের চিকিৎসার টাকা জোগাড়ের চেষ্টা করেন।

সরকারি সহযোগিতায় ভারতীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো মাত্র এক বছরে ৪টি বিরল রোগের ওষুধ তৈরিতে সফল হয়েছে। এর ফলে ওই রোগগুলোর চিকিৎসায় রোগীদের খরচ প্রায় শতভাগ কমে গেছে বলে দাবি করেছে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম। 

হাসপাতালে ভর্তি হলে অনেক রোগীকে শুরুতেই মেরোপেনাম নামের অ্যান্টিবায়োটিক ‘উপহার’ দেওয়া হয়। কিছু চিকিৎসক রোগীর ব্যবস্থাপত্রে অ্যান্টিবায়োটিক না লিখে থাকতেই পারেন না। এ ছাড়া দেশের সব ওষুধের দোকানেই চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি হয়। ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের আগ্রাসী বিপণন তো আছেই।

ডায়াবেটিস এক জটিল বিপাকীয় ব্যাধি। পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এতে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। মূলত ইনসুলিন নামক একটি হরমোনের অভাব কিংবা নিষ্ক্রিয়তার কারণে এমনটি হয়ে থাকে। দীর্ঘস্থায়ী এই রোগের ঝুঁকি সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি। জটিল এ রোগ নিয়ে বিস্তারিত লিখেছ

বাংলাদেশের ২৯ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিস রেটিনোপ্যাথি রোগে আক্রান্ত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অনুষ্ঠিত ‘ডায়াবেটিস অ্যান্ড রেটিনা: ব্রিজিং দ্য গ্যাপ’ সায়েন্টিফিক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।