মহানবী

মহানবী হজরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করার অভিযোগে উত্তেজিত জনতার হাতে মারধরে আহত মিরপুরের ব্যবসায়ী বলছেন, তিনি এমন কোনো পোস্ট করেননি, তাঁর আইডি হ্যাক করে কেউ কাজটি করেছে।

গুনাহে লিপ্ত হওয়া মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। নবী-রাসুলগণ ছাড়া পৃথিবীর সব মানুষই গুনাহগার। তবে গুনাহের পর অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে তওবা করাই একজন মুমিনের বৈশিষ্ট্য। নির্জনে কোনো গুনাহের কাজ করে ফেললে তা গোপন রেখেই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া ইসলামের শিক্ষা।

ইসলামে ভুল শুধরে দেওয়ার সুনির্দিষ্ট আদব রয়েছে। ব্যক্তির সম্মানের প্রতি লক্ষ রেখেই তা করতে হয়। কাউকে সবার সামনে অপমানিত করে ভুল শুধরে দেওয়ার পদ্ধতি ইসলাম অনুমোদন করে না। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কখনোই ভুল শুধরে দিতে কঠোরতার পথ বেছে নেননি। কেউ ভুল করলে একান্তে ডেকে নরম ভাষায় বা ইঙ্গিতে ভুল ধরিয়ে দিয়

দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য ফরজ। এর মধ্যে ফজরের নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। ফজরের নামাজ যথাসময়ে আদায় করতে না পারার অর্থ হলো শয়তানের কাছে দিনের প্রথম পরাজয়টি মেনে নেওয়া। মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে, সে (সারা দিন) আল্লাহর সুরক্ষায় থাকবে। (মুসল

হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সময়েই আল্লাহ তাআলা হজের বিধান দিয়েছিলেন। তবে সময়ের সঙ্গে মানুষ তাতে ব্যাপক বিকৃতি সাধন করে। এক সময় কাবাঘরে মূর্তি স্থাপন করে সেই বিকৃতির চূড়ান্ত রূপ দেয়। ইবরাহিম (আ.)-এর পর থেকে ইসলামের আগের এই যুগটিকে ইসলামের ইতিহাসে জাহিলি যুগ হিসেবে চিত্রিত করা হয়। 

হিজরি সনের ১১তম মাস জিলকদ। চার পবিত্র মাসের একটি এটি। এই মাসে ইসলামের ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। এখানে ইসলামের প্রাথমিক যুগের কয়েকটির কথা তুলে ধরা হলো—

আজকাল পণ্যের দাম বাড়ার পেছনে যে বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয়, তা হলো বিভিন্ন উপায়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া। সিন্ডিকেট, মজুতদারি, কালোবাজারিসহ অসংখ্য অপরাধমূলক কাজ আমাদের বাজারব্যবস্থা কলুষিত করে রেখেছে।

আরবি তাওয়াক্কুল শব্দের অর্থ ভরসা করা, নির্ভর করা। শরিয়তের পরিভাষায়, কোনো কাজে উপায়-উপকরণ অবলম্বন করার পর আল্লাহ তাআলার ওপর পূর্ণ ভরসা রাখার নাম তাওয়াক্কুল। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘...মুমিনদের তো আল্লাহর ওপরই নির্ভর করা উচিত।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২২) 

পানাহারে ইসলামের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ শিষ্টাচার। সাধারণভাবে খাওয়াদাওয়া বসে করাই মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তবে প্রয়োজনের সময় কখনো কখনো দাঁড়িয়েও পানাহার করার অনুমতি আছে।

পবিত্র কোরআনে বারবার মা-বাবার যথাযথ যত্ন নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে সুন্দর ও মার্জিত আচরণ করা, তাঁদের আনুগত্য করা এবং বিশেষ করে বার্ধক্যে তাঁদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখার জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার দায়ে রাজধানীর বকশি বাজারের বেগম বদরুন্নেসা কলেজের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহানকে দুই বছর ৭ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আল্লাহ তাআলার সব সৃষ্টি একটি পরিবার সমতুল্য। তাদের প্রতি দয়া করা ইবাদত। চাই তা জীবজন্তু হোক আর পোকামাকড় হোক। সবার প্রতি দয়া করা ও কোমল হওয়ার নির্দেশ দেয় ইসলাম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে দয়া করে না, সে দয়া পায় না।’ (বুখারি)

পবিত্র কোরআনের ৮৫ তম সুরা—সুরা বুরুজের প্রথম ১০ আয়াতে আসহাবুল উখদুদের ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এসেছে। প্রথম ৩ আয়াতে আল্লাহ চারটি বস্তুর নামে শপথ করে চতুর্থ আয়াত থেকে মূল কাহিনিতে প্রবেশ করেছেন। সেই চার বস্তু হলো—কক্ষপথ বিশিষ্ট আকাশ, কেয়ামতের দিন, আরাফাতের দিন এবং শুক্রবার। মুফাসসিরগণ বলেছেন, ঘটনার গুর

পবিত্র কোরআনের ৬৭ নম্বর সুরা—সুরা মুলক। মক্কায় অবতীর্ণ সুরাটির আয়াত সংখ্যা ৩০। এই সুরার বিশেষ ফজিলতের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সা.) প্রতিদিন এশার পর সুরাটি তিলাওয়াত করতেন।

আরবি সাহাবি শব্দের অর্থ সঙ্গী বা সহচর। ইসলামের পরিভাষায় সাহাবি বলা হয়, যাঁরা মুমিন অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য হলেও নবীজির সান্নিধ্য লাভে ধন্য হয়েছেন। তবে কেউ কেউ বলেছেন, মোটামুটি দীর্ঘ সময় নবীজির সান্নিধ্যে কাটালে তাঁকে সাহাবি বলা হয়।

পৃথিবীর উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক উপকরণটি হলো শ্রম। আর নিরলস শ্রমের পরাকাষ্ঠা যারা বহন করেন তাঁরাই শ্রমিক। ইসলামে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা যথাযথভাবে স্বীকৃত। ইবনে মাজাহর হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) ওফাতকালীন যে উপদেশ দিয়েছেন তা হলো, তোমরা নামাজ এবং অধীনস্থদের ব্যাপারে সাবধান থেকো। এখানে অধীনস্থ

আরবি চান্দ্র বছরের দশম মাস শাওয়াল। এ মাস আমল ও ইবাদতের জন্য অত্যন্ত উর্বর। ‘শাওয়াল’ আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো উঁচু করা, উন্নতকরণ, পাল্লা ভারী হওয়া ইত্যাদি। প্রতিটি অর্থের সঙ্গেই শাওয়াল মাসের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।