মাওলানা ইসমাইল নাজিম
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ। পরকালেও সর্বোচ্চ মর্যাদায় আসীন হবেন; জান্নাতের সর্বোৎকৃষ্ট স্থানে বসবাস করবেন। পার্থিব জীবনে যাঁরা তাঁর সাক্ষাৎ পেয়েছেন, তাঁরা পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মানুষে পরিণত হয়েছেন। তেমনি পরকালেও কিছু মানুষ তাঁর সান্নিধ্যলাভে ধন্য হবেন; জান্নাতে তাঁর সঙ্গে অবস্থান করবেন। হাদিসের আলোকে এমন ব্যক্তিদের কথা তুলে ধরা হলো—
বেশি বেশি সিজদাকারী: সাহাবি রবিআ ইবনে কাব আসলামি (রা.)-কে নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমার যা ইচ্ছা আমার কাছে চাও।’ তিনি বললেন, ‘আমার প্রথম ও শেষ চাওয়া একটাই—জান্নাতে আপনার সান্নিধ্য।’ তখন নবী (সা.) বলেছেন, ‘তাহলে বেশি বেশি সিজদা দিয়ে আমাকে সাহায্য করো।’ (মুসলিম: ৪৮৯)
এতিমের লালনপালনকারী: সাহাবি সাহল ইবনে সাআদ (রা.) বর্ণনা করেন, একবার নবী (সা.) মধ্যমা ও শাহাদত আঙুলের মধ্যে সামান্য ফাঁক করলেন। এরপর এই দুই আঙুলের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, ‘আমি এবং এতিমের দায়িত্ব গ্রহণকারী জান্নাতে এভাবে (পাশাপাশি) থাকব।’ (বুখারি: ৫৩০৪)
কন্যা বা বোনের দায়িত্ব পালনকারী: সাহাবি আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুটি কন্যাসন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেবে, আমি এবং সে এভাবে জান্নাতে থাকব।’ (মধ্যমা ও শাহাদত আঙুলের দিকে ইঙ্গিত করে)। তিরমিজি: ১৯১৪) অন্য হাদিসে বোনের লালনপালনকারীর ব্যাপারেও একই কথা এসেছে। (ইবনে হিব্বান: ৪৪৭)
উত্তম চরিত্রের অধিকারী: সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, একদিন নবী (সা.) বললেন, ‘আমি কি তোমাদের ওই ব্যক্তির কথা জানাব না, যে কিয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে প্রিয় এবং কাছে থাকবে?’ সাহাবায়ে কেরাম চুপ রইলেন। নবীজি একই প্রশ্ন দুই বা তিনবার করলেন। তখন তাঁরা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, অবশ্যই বলুন।’ তিনি বললেন, ‘সে হলো ওই ব্যক্তি, যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর।’ (আহমাদ: ৬৭৩৫)
নবীপ্রেমিক: সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, ওই ব্যক্তি সম্পর্কে আপনি কী বলেন, যে কোনো সম্প্রদায়কে ভালোবাসে, তবে তাদের পর্যায়ে যেতে পারেনি। উত্তরে রাসুল (সা.) বললেন, ‘যে ব্যক্তি যাদের ভালোবাসে (আখিরাতে) সে তাদের সঙ্গে থাকবে।’ (বুখারি: ৬১৬৯) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে আমাকে ভালোবাসে, সে আমার সঙ্গে জান্নাতে থাকবে।’ (তিরমিজি: ২৬৭৮)
বেশি বেশি দরুদ পাঠকারী: সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শুনে রাখো, যে আমার প্রতি বেশি পরিমাণে দরুদ পড়বে, কিয়ামতের দিন সে আমার সবচেয়ে কাছে থাকবে।’ (তিরমিজি: ৪৮৪)
তাকওয়া অবলম্বনকারী: সাহাবি মুআজ ইবনে জাবাল (রা.)-কে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমার পরিবারের লোকজন মনে করে, তারা আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ। অথচ বিষয়টা এমন না; আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ ওই ব্যক্তি, যে তাকওয়ার জীবন কাটায়।’ (আহমাদ: ২২০৫২)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ। পরকালেও সর্বোচ্চ মর্যাদায় আসীন হবেন; জান্নাতের সর্বোৎকৃষ্ট স্থানে বসবাস করবেন। পার্থিব জীবনে যাঁরা তাঁর সাক্ষাৎ পেয়েছেন, তাঁরা পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মানুষে পরিণত হয়েছেন। তেমনি পরকালেও কিছু মানুষ তাঁর সান্নিধ্যলাভে ধন্য হবেন; জান্নাতে তাঁর সঙ্গে অবস্থান করবেন। হাদিসের আলোকে এমন ব্যক্তিদের কথা তুলে ধরা হলো—
বেশি বেশি সিজদাকারী: সাহাবি রবিআ ইবনে কাব আসলামি (রা.)-কে নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমার যা ইচ্ছা আমার কাছে চাও।’ তিনি বললেন, ‘আমার প্রথম ও শেষ চাওয়া একটাই—জান্নাতে আপনার সান্নিধ্য।’ তখন নবী (সা.) বলেছেন, ‘তাহলে বেশি বেশি সিজদা দিয়ে আমাকে সাহায্য করো।’ (মুসলিম: ৪৮৯)
এতিমের লালনপালনকারী: সাহাবি সাহল ইবনে সাআদ (রা.) বর্ণনা করেন, একবার নবী (সা.) মধ্যমা ও শাহাদত আঙুলের মধ্যে সামান্য ফাঁক করলেন। এরপর এই দুই আঙুলের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, ‘আমি এবং এতিমের দায়িত্ব গ্রহণকারী জান্নাতে এভাবে (পাশাপাশি) থাকব।’ (বুখারি: ৫৩০৪)
কন্যা বা বোনের দায়িত্ব পালনকারী: সাহাবি আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুটি কন্যাসন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেবে, আমি এবং সে এভাবে জান্নাতে থাকব।’ (মধ্যমা ও শাহাদত আঙুলের দিকে ইঙ্গিত করে)। তিরমিজি: ১৯১৪) অন্য হাদিসে বোনের লালনপালনকারীর ব্যাপারেও একই কথা এসেছে। (ইবনে হিব্বান: ৪৪৭)
উত্তম চরিত্রের অধিকারী: সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, একদিন নবী (সা.) বললেন, ‘আমি কি তোমাদের ওই ব্যক্তির কথা জানাব না, যে কিয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে প্রিয় এবং কাছে থাকবে?’ সাহাবায়ে কেরাম চুপ রইলেন। নবীজি একই প্রশ্ন দুই বা তিনবার করলেন। তখন তাঁরা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, অবশ্যই বলুন।’ তিনি বললেন, ‘সে হলো ওই ব্যক্তি, যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর।’ (আহমাদ: ৬৭৩৫)
নবীপ্রেমিক: সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, ওই ব্যক্তি সম্পর্কে আপনি কী বলেন, যে কোনো সম্প্রদায়কে ভালোবাসে, তবে তাদের পর্যায়ে যেতে পারেনি। উত্তরে রাসুল (সা.) বললেন, ‘যে ব্যক্তি যাদের ভালোবাসে (আখিরাতে) সে তাদের সঙ্গে থাকবে।’ (বুখারি: ৬১৬৯) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে আমাকে ভালোবাসে, সে আমার সঙ্গে জান্নাতে থাকবে।’ (তিরমিজি: ২৬৭৮)
বেশি বেশি দরুদ পাঠকারী: সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শুনে রাখো, যে আমার প্রতি বেশি পরিমাণে দরুদ পড়বে, কিয়ামতের দিন সে আমার সবচেয়ে কাছে থাকবে।’ (তিরমিজি: ৪৮৪)
তাকওয়া অবলম্বনকারী: সাহাবি মুআজ ইবনে জাবাল (রা.)-কে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমার পরিবারের লোকজন মনে করে, তারা আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ। অথচ বিষয়টা এমন না; আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ ওই ব্যক্তি, যে তাকওয়ার জীবন কাটায়।’ (আহমাদ: ২২০৫২)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
বিয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য একটি আদর্শ পরিবার গঠন। যে পরিবারের সদস্যরা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর আদেশগুলো পালন করবে, নিষেধসমূহ থেকে বেঁচে থাকবে।
১২ ঘণ্টা আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান । হজ - ওমরাহকে কেন্দ্র করে পুরো বিশ্বের সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ছুটে যান মক্কায় । কেননা এই দুই ইবাদতের জন্য সফর করে মক্কায় যাওয়া আবশ্যক । তবে পবিত্র এই সফরে বাধাগ্রস্ত হলে এবং হজে যেতে না পারলে ইসলামের সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে । ইহরাম বাঁধার পর হজ বা ওমরাহ সফরে যেতে
১ দিন আগেকোনো ধনি ব্যক্তি যদি হজ ফরজ হওয়ার পর শারীরিকভাবে সমর্থ থাকতে হজ করেননি, এখন স্থায়ীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং কোনোভাবেই নিজে গিয়ে হজ আদায় করতে না পারছেন না—তাহলে শরিয়ত তাঁকে বিকল্প ব্যবস্থা দিয়েছে। এ বিকল্প ব্যবস্থার নাম ‘বদলি হজ।’
২ দিন আগেবছরজুড়ে ঋতুর পালাবদল ও সময়ের বৈচিত্র্য নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহর অনন্য দান। একেক মৌসুমে একেক রকম আলো-বাতাস আমরা পাই। শীত ও গ্রীষ্ম বছরের প্রধানতম দুটি ঋতু।
৩ দিন আগে