মহানবী

দূরে কোথাও সফরে গেলে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। বিভিন্ন সফরে তিনি স্ত্রীদের কেউ একজনকে সঙ্গে নিতেন। হজ-ওমরাহসহ বিভিন্ন যুদ্ধেও স্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে গেছেন বলে একাধিক হাদিস থেকে জানা যায়।

মক্কার কাফিরদের অত্যাচারে যখন মুসলমানেরা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে, তখন আল্লাহ তাআলার আদেশে সাহাবিগণ মদিনায় হিজরত করতে শুরু করেন। মহানবী (সা.) যখন হজরত আবু বকর (রা.)কে সঙ্গে নিয়ে সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিঁড়ে মদিনায় পৌঁছালেন

পরকালে বিশ্বাস ইসলামের মৌলিক স্তম্ভ। মৃত্যুর পরের জীবনে আল্লাহর কাছে সবাইকে নিজের কৃতকর্মের হিসাব দিতে হবে। তাই আল্লাহর ভয় হৃদয়ে জাগরুক রাখা এবং সব কাজে তাঁর সন্তুষ্টি বিবেচনা করা মুমিনের প্রধান বৈশিষ্ট্য।

সব বিষয়ের মতো মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দাম্পত্যজীবনও মুমিনদের অনুপম আদর্শ। তিনি ছিলেন আদর্শ স্বামী। সাহাবিদেরও তিনি স্ত্রীকে শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসায় চাদরে মুড়িয়ে রাখার শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেন, ‘তোমাদের মধ্যে সে-ই সর্বোত্তম,

মুমিন বান্দা আল্লাহ ছাড়া আর কাউকেই ভয় করে না। সত্য বলায় কখনো কার্পণ্য করে না। ন্যায়ের পথে চলতে দ্বিধা করে না। সব সময় সাহস ও বীরত্বের সঙ্গে আল্লাহর দেওয়া দায়িত্বগুলো পালন করে। মানুষের পাশে দাঁড়ায়।

পরকালে সব বান্দাকেই মহান আল্লাহর কাছে নিজেদের কৃতকর্মের হিসাব দিতে হবে। সেদিন আল্লাহ তাআলা বান্দাদের প্রতি পূর্ণ ইনসাফ করবেন। যার যার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেবেন।

দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, এর মধ্যে দান-সদকা করা অন্যতম। বিভিন্ন স্থানে দান-সদকা করার চেয়ে গরিব আত্মীয়স্বজনকে দান করার গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক এবং উত্তম কাজ হিসেবে স্বীকৃত।

নবীপ্রেম প্রতিটি মুমিনের এক অমূল্য সম্পদ। নবীপ্রেম সবার অন্তরে থাকলেও সবকিছুর ওপরে তাঁকে প্রাধান্য দেওয়া ইমানদারের জন্য ফরজ। প্রতিটি ইমানদারের উচিত একে ধারণ করা এবং অন্তরে লালন করা। নবীপ্রেম ছাড়া কেউ কখনো ইমানদার হতে পারে না।

মহানবী (সা.)-এর রওজা জিয়ারত করা এবং সরাসরি তাঁকে সালাম জানানো নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের ব্যাপার। তবে এর জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু শিষ্টাচার ও আদব। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—

কোরবানির ধারাবাহিকতা আদম (আ.)-এর যুগ থেকেই চালু হয়েছে। কোরআনে কাবিল ও হাবিলের কোরবানির কথা এসেছে। তাঁদের দুজনের কোরবানি থেকে হাবিলের কোরবানি কবুল হয়েছিল। তবে মুসলিম সমাজে কোরবানি ইবরাহিম (আ.)-এর অনুসরণে পালিত হয়। তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে এ উম্মতের ওপর কোরবানি ওয়াজিব করে দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.) কোরবান

আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য কিছু পশু হালাল করেছেন। সেই পশুগুলোর মধ্য থেকে কিছু পশু কোরবানির জন্য বৈধ ঘোষণা করেছেন। যেমন— গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, মহিষ, উট। এসব পশু দিয়েই আমরা কোরবানি করে থাকি। এসব পশুর মাংস খাওয়া সম্পূর্ণ হালাল। তবে এগুলোর কিছু কিছু অংশ খাওয়া মহানবী (সা.) পছন্দ করতেন না।

সামর্থ্যবানদের জন্য নিজের নামে কোরবানি দেওয়া আবশ্যক। আর কোনো ব্যক্তি যদি মৃত্যুর আগে কোরবানি করার অসিয়ত করে যান, তাহলে তাঁর সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ থেকে কোরবানি করা আবশ্যক। এ ছাড়া যেকোনো মৃত মানুষের পক্ষ থেকে কোরবানি করা জায়েজ। এটি হবে নফল কোরবানি।

বনি ইসরাইলের এক যুবক চাচাতো বোনকে বিয়ে করে চাচার বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার ফন্দি এঁটেছিল। তবে মেয়ে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় চাচাকে গোপনে হত্যা করে। পরের দিন চাচার হিতাকাঙ্ক্ষী সেজে সমাজের মানুষের কাছে খুনির বিচার দাবি করে। তবে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে প্রকৃত অপরাধীকে শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। তখন ত

ফিলিস্তিন ও শাম অঞ্চলের শক্তিশালী জাতি আমালিকার সঙ্গে যুদ্ধ করে বনি ইসরাইলকে বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করার আদেশ দিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। তখন বনি ইসরাইলিরা মুসা (আ.)–কে বলেছিল, ‘আপনি ও আপনার রব গিয়ে যুদ্ধ করুন। আমরা এখানে বসে থাকব।’ তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, কেবল আম

আমরা যখন আল্লাহ তাআলার দরবারে হাত তুলি, তখন আমাদের সবার মনেই এ চাওয়া থাকে যেন আমাদের এ প্রার্থনা তাঁর কাছে কবুল হয়। আল্লাহ তাআলা নিজেই ওয়াদা করেছেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।

আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সময় থেকে হজের প্রচলন শুরু হয়। এর পর থেকে মহানবী (সা.)-এর নবী হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার আগ পর্যন্ত পবিত্র মক্কা নগরীতে হজের চল ছিল। গত দেড় হাজার বছরেও বিশেষ কারণ ছাড়া হজ বন্ধ হয়নি। হজকে ঘিরে যে বিষয়টি আরবদের সবচেয়ে বেশি মহান

মহানবী হজরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করার অভিযোগে উত্তেজিত জনতার হাতে মারধরে আহত মিরপুরের ব্যবসায়ী বলছেন, তিনি এমন কোনো পোস্ট করেননি, তাঁর আইডি হ্যাক করে কেউ কাজটি করেছে।