ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

আরবি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ শব্দদ্বয়ের অর্থ ‘নবীদের জীবন’। মৃত্যুর পর কবরে নবীদের বিশেষ জীবন লাভ করাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ বলা হয়। মৃত্যুর পর সব নবীরই কবরে বিশেষ জীবন দান করা হয়—এ অর্থে তাঁরা জীবিত। বিষয়টি কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। অর্থাৎ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে তাঁদের দুনিয়ার জীবনের ইতি ঘটেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি তো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল।’ (সুরা জুমার: ৩০) তবে মৃত্যুর পর তাঁরা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক বিশেষ জীবন লাভ করেছেন। তাই তাঁরা কবরে জীবিত।
নবীদের কবরের বিশেষ জীবনের বৈশিষ্ট্য হলো, কবরের জীবনে সাধারণ মুমিন ও শহীদদের জীবন থেকে নবীদের জীবন পূর্ণাঙ্গ ও উন্নত। এ ছাড়া দুনিয়ার জীবনের সঙ্গে কবরের জীবনের কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। যেমন কবরে তাঁদের পবিত্র দেহ সুরক্ষিত রয়েছে। তাঁরা কবরে নামাজ আদায় করেন। তাঁদের কবরের কাছে গিয়ে দরুদ-সালাম পেশ করলে তাঁরা তা সরাসরি শোনেন। দূর থেকে কেউ দরুদ-সালাম পাঠালে ফেরেশতারা তা তাঁদের কাছে পৌঁছে দেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁরা বিশেষ রিজিকপ্রাপ্ত হন। ইমাম বায়হাকি (রহ.) ‘আল ইতিকাদ’ গ্রন্থে বলেন, ‘সব নবীর জান কবজ করার পর তা আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁরা শহীদদের মতো রবের কাছে জীবিত।’ (আল ইতিকাদ, পৃ. ৪১৫; আত-তালখিসুল হাবির: ২ / ২৫৪; আল-বাদরুল মুনির: ৫ / ২৯২)
কবরের জগতে সব মানুষের একধরনের জীবন আছে। তবে কোরআনে সাধারণ মানুষ কবরে জীবিত—এমন কথা বলা হয়নি। অবশ্য শহীদদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে। শহীদদের জীবন সাধারণের চেয়ে উন্নত ও ভিন্নতর। শহীদদের জীবিত থাকার অর্থ শুধু রুহের জীবন নয়; দেহের সঙ্গে এ জীবনের সম্পর্ক রয়েছে এবং তাঁরা রিজিকপ্রাপ্ত হন। তবে এ জীবনের ধরন উপলব্ধি করা যায় না।
নবীদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে শহীদদের চেয়ে বেশি। কাজেই নবীদের জীবন শহীদদের চেয়ে বেশি উন্নত।
ইসলামি বিশ্বাস মোতাবেক নবীগণ কবরে জীবিত। তাঁরা কবরে নামাজ আদায় করেন। কোন নামাজ বা কত রাকাত আদায় করেন তা জানা না গেলেও নামাজ আদায় করার বিষয়টি হাদিস থেকে স্পষ্ট জানা যায়। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘নবীগণ কবরে জীবিত, তাঁরা নামাজ আদায় করেন।’ (মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৩৪২৫; হায়াতুল আম্বিয়া, বায়হাকি: ১-৪)
এ ছাড়া মুসা (আ.) তাঁর কবরে সশরীরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছেন। নবী (সা.) কবরের অবস্থানটিও উল্লেখ করেছেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি মিরাজের রাতে (বায়তুল মাকদিসের পাশে) লাল বালুর ঢিবির কাছে মুসা (আ.)-এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছি। তখন তিনি তাঁর কবরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন।’ (মুসলিম: ২৩৪৭)
নবীদের শরীর মাটির জন্য হারাম। তাঁরা কবরে সশরীরে জীবিত থাকেন। আউস ইবনে আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর একটি হলো—জুমার দিন। এ দিনেই আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ দিনেই শিঙায় ফুঁক দেওয়া হবে, আর এ দিনেই সব প্রাণী মৃত্যুবরণ করবে। সুতরাং এ দিনে তোমরা আমার ওপর বেশি করে দরুদ ও সালাম পাঠাও। তোমাদের দরুদ ও সালাম আমার কাছে পেশ করা হবে।’ সাহাবিগণ বললেন, ‘আমাদের দরুদ ও সালাম আপনার কাছে কীভাবে পেশ করা হবে—অথচ আপনি (মাটির সঙ্গে মিশে) ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যাবেন?’ নবী (সা.) বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা মাটির জন্য নবীদের দেহ খাওয়া হারাম করে দিয়েছেন।’ অর্থাৎ কবরে নবীদের দেহ দুনিয়ায় জীবিত মানুষের মতোই অক্ষত থাকে। এর সঙ্গে আত্মার গভীর সম্পর্কও থাকে। ফলে কবরে থেকেও দরুদ ও সালাম পাওয়াতে কোনো অসুবিধা নেই। (আবু দাউদ: ১০৪৭; ইবনে খুজাইমা: ১৭৩৩; মুসতাদরাকে হাকিম: ১০২৯; মুসনাদে আহমাদ: ১৬১৬২) হাদিসটি ভিন্ন সনদে আবুদ্দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘সুতরাং আল্লাহর নবী জীবিত ও রিজিকপ্রাপ্ত।’ (ইবনে মাযাহ: ১৬৩৭)
কবরের পাশ থেকে সালাত ও সালাম পেশ করলে রাসুলুল্লাহ (সা.) তা সরাসরি শুনতে পান। প্রশ্ন হতে পারে, মাটির নিচ থেকে সালাম কী করে শোনেন? এর উত্তর হলো—প্রথমত, এটি কবর জীবনের বিষয়। হাদিসে সালাত ও সালাম শুনতে পাওয়ার কথা এসেছে, তাই তা বিশ্বাস করতে হবে। তবে কীভাবে শোনেন, তা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। দ্বিতীয়ত, নবী (সা.) দুনিয়াতে জীবিত অবস্থায়ও অনেক সময় মাটির নিচে কবরে সংঘটিত আজাব শুনতে পেয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে আমার কবরের পাশে আমার ওপর সালাত পেশ করে, আমি তা শুনি। আর যে দূর থেকে আমার ওপর দরুদ পড়ে, তা আমার কাছে পৌঁছানো হয়।’ (ফাতহুল বারি: ৬ / ৬০৫; আল-কাওলুল বাদি, পৃ. ১৬০)
ইসলামি বিশ্বাস মতে, আমাদের মহানবী (সা.)ও কবরে সশরীরে জীবিত। এ জীবন কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। যে কেউ তাঁকে সালাম দিলে তিনি উত্তর দেন। দিনরাত সর্বাবস্থায়ই কবরের কাছ ও দূর থেকে নবী (সা.)-এর ওপর সালাত ও সালাম অব্যাহত থাকে। সারাক্ষণ কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে সালাত ও সালাম পেশ করতে থাকে। আর নবী (সা.) তার উত্তর দিতে থাকেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘(মৃত্যুর পর) যে আমাকে সালাম করবে, সেই আমাকে এ অবস্থায় পাবে যে আল্লাহ তাআলা আমার মধ্যে (এর আগেই) রুহ ফিরিয়ে দিয়েছেন।’ অর্থাৎ মৃত্যুর পরই আমার রুহ আমার মধ্যে ফিরিয়ে দিয়ে জীবিত করে দেবেন, যাতে আমি তার সালামের জবাব দিই। (আবু দাউদ: ২০৪১)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

আরবি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ শব্দদ্বয়ের অর্থ ‘নবীদের জীবন’। মৃত্যুর পর কবরে নবীদের বিশেষ জীবন লাভ করাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ বলা হয়। মৃত্যুর পর সব নবীরই কবরে বিশেষ জীবন দান করা হয়—এ অর্থে তাঁরা জীবিত। বিষয়টি কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। অর্থাৎ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে তাঁদের দুনিয়ার জীবনের ইতি ঘটেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি তো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল।’ (সুরা জুমার: ৩০) তবে মৃত্যুর পর তাঁরা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক বিশেষ জীবন লাভ করেছেন। তাই তাঁরা কবরে জীবিত।
নবীদের কবরের বিশেষ জীবনের বৈশিষ্ট্য হলো, কবরের জীবনে সাধারণ মুমিন ও শহীদদের জীবন থেকে নবীদের জীবন পূর্ণাঙ্গ ও উন্নত। এ ছাড়া দুনিয়ার জীবনের সঙ্গে কবরের জীবনের কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। যেমন কবরে তাঁদের পবিত্র দেহ সুরক্ষিত রয়েছে। তাঁরা কবরে নামাজ আদায় করেন। তাঁদের কবরের কাছে গিয়ে দরুদ-সালাম পেশ করলে তাঁরা তা সরাসরি শোনেন। দূর থেকে কেউ দরুদ-সালাম পাঠালে ফেরেশতারা তা তাঁদের কাছে পৌঁছে দেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁরা বিশেষ রিজিকপ্রাপ্ত হন। ইমাম বায়হাকি (রহ.) ‘আল ইতিকাদ’ গ্রন্থে বলেন, ‘সব নবীর জান কবজ করার পর তা আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁরা শহীদদের মতো রবের কাছে জীবিত।’ (আল ইতিকাদ, পৃ. ৪১৫; আত-তালখিসুল হাবির: ২ / ২৫৪; আল-বাদরুল মুনির: ৫ / ২৯২)
কবরের জগতে সব মানুষের একধরনের জীবন আছে। তবে কোরআনে সাধারণ মানুষ কবরে জীবিত—এমন কথা বলা হয়নি। অবশ্য শহীদদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে। শহীদদের জীবন সাধারণের চেয়ে উন্নত ও ভিন্নতর। শহীদদের জীবিত থাকার অর্থ শুধু রুহের জীবন নয়; দেহের সঙ্গে এ জীবনের সম্পর্ক রয়েছে এবং তাঁরা রিজিকপ্রাপ্ত হন। তবে এ জীবনের ধরন উপলব্ধি করা যায় না।
নবীদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে শহীদদের চেয়ে বেশি। কাজেই নবীদের জীবন শহীদদের চেয়ে বেশি উন্নত।
ইসলামি বিশ্বাস মোতাবেক নবীগণ কবরে জীবিত। তাঁরা কবরে নামাজ আদায় করেন। কোন নামাজ বা কত রাকাত আদায় করেন তা জানা না গেলেও নামাজ আদায় করার বিষয়টি হাদিস থেকে স্পষ্ট জানা যায়। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘নবীগণ কবরে জীবিত, তাঁরা নামাজ আদায় করেন।’ (মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৩৪২৫; হায়াতুল আম্বিয়া, বায়হাকি: ১-৪)
এ ছাড়া মুসা (আ.) তাঁর কবরে সশরীরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছেন। নবী (সা.) কবরের অবস্থানটিও উল্লেখ করেছেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি মিরাজের রাতে (বায়তুল মাকদিসের পাশে) লাল বালুর ঢিবির কাছে মুসা (আ.)-এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছি। তখন তিনি তাঁর কবরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন।’ (মুসলিম: ২৩৪৭)
নবীদের শরীর মাটির জন্য হারাম। তাঁরা কবরে সশরীরে জীবিত থাকেন। আউস ইবনে আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর একটি হলো—জুমার দিন। এ দিনেই আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ দিনেই শিঙায় ফুঁক দেওয়া হবে, আর এ দিনেই সব প্রাণী মৃত্যুবরণ করবে। সুতরাং এ দিনে তোমরা আমার ওপর বেশি করে দরুদ ও সালাম পাঠাও। তোমাদের দরুদ ও সালাম আমার কাছে পেশ করা হবে।’ সাহাবিগণ বললেন, ‘আমাদের দরুদ ও সালাম আপনার কাছে কীভাবে পেশ করা হবে—অথচ আপনি (মাটির সঙ্গে মিশে) ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যাবেন?’ নবী (সা.) বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা মাটির জন্য নবীদের দেহ খাওয়া হারাম করে দিয়েছেন।’ অর্থাৎ কবরে নবীদের দেহ দুনিয়ায় জীবিত মানুষের মতোই অক্ষত থাকে। এর সঙ্গে আত্মার গভীর সম্পর্কও থাকে। ফলে কবরে থেকেও দরুদ ও সালাম পাওয়াতে কোনো অসুবিধা নেই। (আবু দাউদ: ১০৪৭; ইবনে খুজাইমা: ১৭৩৩; মুসতাদরাকে হাকিম: ১০২৯; মুসনাদে আহমাদ: ১৬১৬২) হাদিসটি ভিন্ন সনদে আবুদ্দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘সুতরাং আল্লাহর নবী জীবিত ও রিজিকপ্রাপ্ত।’ (ইবনে মাযাহ: ১৬৩৭)
কবরের পাশ থেকে সালাত ও সালাম পেশ করলে রাসুলুল্লাহ (সা.) তা সরাসরি শুনতে পান। প্রশ্ন হতে পারে, মাটির নিচ থেকে সালাম কী করে শোনেন? এর উত্তর হলো—প্রথমত, এটি কবর জীবনের বিষয়। হাদিসে সালাত ও সালাম শুনতে পাওয়ার কথা এসেছে, তাই তা বিশ্বাস করতে হবে। তবে কীভাবে শোনেন, তা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। দ্বিতীয়ত, নবী (সা.) দুনিয়াতে জীবিত অবস্থায়ও অনেক সময় মাটির নিচে কবরে সংঘটিত আজাব শুনতে পেয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে আমার কবরের পাশে আমার ওপর সালাত পেশ করে, আমি তা শুনি। আর যে দূর থেকে আমার ওপর দরুদ পড়ে, তা আমার কাছে পৌঁছানো হয়।’ (ফাতহুল বারি: ৬ / ৬০৫; আল-কাওলুল বাদি, পৃ. ১৬০)
ইসলামি বিশ্বাস মতে, আমাদের মহানবী (সা.)ও কবরে সশরীরে জীবিত। এ জীবন কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। যে কেউ তাঁকে সালাম দিলে তিনি উত্তর দেন। দিনরাত সর্বাবস্থায়ই কবরের কাছ ও দূর থেকে নবী (সা.)-এর ওপর সালাত ও সালাম অব্যাহত থাকে। সারাক্ষণ কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে সালাত ও সালাম পেশ করতে থাকে। আর নবী (সা.) তার উত্তর দিতে থাকেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘(মৃত্যুর পর) যে আমাকে সালাম করবে, সেই আমাকে এ অবস্থায় পাবে যে আল্লাহ তাআলা আমার মধ্যে (এর আগেই) রুহ ফিরিয়ে দিয়েছেন।’ অর্থাৎ মৃত্যুর পরই আমার রুহ আমার মধ্যে ফিরিয়ে দিয়ে জীবিত করে দেবেন, যাতে আমি তার সালামের জবাব দিই। (আবু দাউদ: ২০৪১)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

আরবি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ শব্দদ্বয়ের অর্থ ‘নবীদের জীবন’। মৃত্যুর পর কবরে নবীদের বিশেষ জীবন লাভ করাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ বলা হয়। মৃত্যুর পর সব নবীরই কবরে বিশেষ জীবন দান করা হয়—এ অর্থে তাঁরা জীবিত। বিষয়টি কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। অর্থাৎ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে তাঁদের দুনিয়ার জীবনের ইতি ঘটেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি তো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল।’ (সুরা জুমার: ৩০) তবে মৃত্যুর পর তাঁরা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক বিশেষ জীবন লাভ করেছেন। তাই তাঁরা কবরে জীবিত।
নবীদের কবরের বিশেষ জীবনের বৈশিষ্ট্য হলো, কবরের জীবনে সাধারণ মুমিন ও শহীদদের জীবন থেকে নবীদের জীবন পূর্ণাঙ্গ ও উন্নত। এ ছাড়া দুনিয়ার জীবনের সঙ্গে কবরের জীবনের কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। যেমন কবরে তাঁদের পবিত্র দেহ সুরক্ষিত রয়েছে। তাঁরা কবরে নামাজ আদায় করেন। তাঁদের কবরের কাছে গিয়ে দরুদ-সালাম পেশ করলে তাঁরা তা সরাসরি শোনেন। দূর থেকে কেউ দরুদ-সালাম পাঠালে ফেরেশতারা তা তাঁদের কাছে পৌঁছে দেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁরা বিশেষ রিজিকপ্রাপ্ত হন। ইমাম বায়হাকি (রহ.) ‘আল ইতিকাদ’ গ্রন্থে বলেন, ‘সব নবীর জান কবজ করার পর তা আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁরা শহীদদের মতো রবের কাছে জীবিত।’ (আল ইতিকাদ, পৃ. ৪১৫; আত-তালখিসুল হাবির: ২ / ২৫৪; আল-বাদরুল মুনির: ৫ / ২৯২)
কবরের জগতে সব মানুষের একধরনের জীবন আছে। তবে কোরআনে সাধারণ মানুষ কবরে জীবিত—এমন কথা বলা হয়নি। অবশ্য শহীদদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে। শহীদদের জীবন সাধারণের চেয়ে উন্নত ও ভিন্নতর। শহীদদের জীবিত থাকার অর্থ শুধু রুহের জীবন নয়; দেহের সঙ্গে এ জীবনের সম্পর্ক রয়েছে এবং তাঁরা রিজিকপ্রাপ্ত হন। তবে এ জীবনের ধরন উপলব্ধি করা যায় না।
নবীদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে শহীদদের চেয়ে বেশি। কাজেই নবীদের জীবন শহীদদের চেয়ে বেশি উন্নত।
ইসলামি বিশ্বাস মোতাবেক নবীগণ কবরে জীবিত। তাঁরা কবরে নামাজ আদায় করেন। কোন নামাজ বা কত রাকাত আদায় করেন তা জানা না গেলেও নামাজ আদায় করার বিষয়টি হাদিস থেকে স্পষ্ট জানা যায়। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘নবীগণ কবরে জীবিত, তাঁরা নামাজ আদায় করেন।’ (মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৩৪২৫; হায়াতুল আম্বিয়া, বায়হাকি: ১-৪)
এ ছাড়া মুসা (আ.) তাঁর কবরে সশরীরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছেন। নবী (সা.) কবরের অবস্থানটিও উল্লেখ করেছেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি মিরাজের রাতে (বায়তুল মাকদিসের পাশে) লাল বালুর ঢিবির কাছে মুসা (আ.)-এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছি। তখন তিনি তাঁর কবরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন।’ (মুসলিম: ২৩৪৭)
নবীদের শরীর মাটির জন্য হারাম। তাঁরা কবরে সশরীরে জীবিত থাকেন। আউস ইবনে আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর একটি হলো—জুমার দিন। এ দিনেই আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ দিনেই শিঙায় ফুঁক দেওয়া হবে, আর এ দিনেই সব প্রাণী মৃত্যুবরণ করবে। সুতরাং এ দিনে তোমরা আমার ওপর বেশি করে দরুদ ও সালাম পাঠাও। তোমাদের দরুদ ও সালাম আমার কাছে পেশ করা হবে।’ সাহাবিগণ বললেন, ‘আমাদের দরুদ ও সালাম আপনার কাছে কীভাবে পেশ করা হবে—অথচ আপনি (মাটির সঙ্গে মিশে) ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যাবেন?’ নবী (সা.) বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা মাটির জন্য নবীদের দেহ খাওয়া হারাম করে দিয়েছেন।’ অর্থাৎ কবরে নবীদের দেহ দুনিয়ায় জীবিত মানুষের মতোই অক্ষত থাকে। এর সঙ্গে আত্মার গভীর সম্পর্কও থাকে। ফলে কবরে থেকেও দরুদ ও সালাম পাওয়াতে কোনো অসুবিধা নেই। (আবু দাউদ: ১০৪৭; ইবনে খুজাইমা: ১৭৩৩; মুসতাদরাকে হাকিম: ১০২৯; মুসনাদে আহমাদ: ১৬১৬২) হাদিসটি ভিন্ন সনদে আবুদ্দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘সুতরাং আল্লাহর নবী জীবিত ও রিজিকপ্রাপ্ত।’ (ইবনে মাযাহ: ১৬৩৭)
কবরের পাশ থেকে সালাত ও সালাম পেশ করলে রাসুলুল্লাহ (সা.) তা সরাসরি শুনতে পান। প্রশ্ন হতে পারে, মাটির নিচ থেকে সালাম কী করে শোনেন? এর উত্তর হলো—প্রথমত, এটি কবর জীবনের বিষয়। হাদিসে সালাত ও সালাম শুনতে পাওয়ার কথা এসেছে, তাই তা বিশ্বাস করতে হবে। তবে কীভাবে শোনেন, তা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। দ্বিতীয়ত, নবী (সা.) দুনিয়াতে জীবিত অবস্থায়ও অনেক সময় মাটির নিচে কবরে সংঘটিত আজাব শুনতে পেয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে আমার কবরের পাশে আমার ওপর সালাত পেশ করে, আমি তা শুনি। আর যে দূর থেকে আমার ওপর দরুদ পড়ে, তা আমার কাছে পৌঁছানো হয়।’ (ফাতহুল বারি: ৬ / ৬০৫; আল-কাওলুল বাদি, পৃ. ১৬০)
ইসলামি বিশ্বাস মতে, আমাদের মহানবী (সা.)ও কবরে সশরীরে জীবিত। এ জীবন কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। যে কেউ তাঁকে সালাম দিলে তিনি উত্তর দেন। দিনরাত সর্বাবস্থায়ই কবরের কাছ ও দূর থেকে নবী (সা.)-এর ওপর সালাত ও সালাম অব্যাহত থাকে। সারাক্ষণ কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে সালাত ও সালাম পেশ করতে থাকে। আর নবী (সা.) তার উত্তর দিতে থাকেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘(মৃত্যুর পর) যে আমাকে সালাম করবে, সেই আমাকে এ অবস্থায় পাবে যে আল্লাহ তাআলা আমার মধ্যে (এর আগেই) রুহ ফিরিয়ে দিয়েছেন।’ অর্থাৎ মৃত্যুর পরই আমার রুহ আমার মধ্যে ফিরিয়ে দিয়ে জীবিত করে দেবেন, যাতে আমি তার সালামের জবাব দিই। (আবু দাউদ: ২০৪১)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

আরবি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ শব্দদ্বয়ের অর্থ ‘নবীদের জীবন’। মৃত্যুর পর কবরে নবীদের বিশেষ জীবন লাভ করাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ বলা হয়। মৃত্যুর পর সব নবীরই কবরে বিশেষ জীবন দান করা হয়—এ অর্থে তাঁরা জীবিত। বিষয়টি কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। অর্থাৎ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে তাঁদের দুনিয়ার জীবনের ইতি ঘটেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি তো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল।’ (সুরা জুমার: ৩০) তবে মৃত্যুর পর তাঁরা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক বিশেষ জীবন লাভ করেছেন। তাই তাঁরা কবরে জীবিত।
নবীদের কবরের বিশেষ জীবনের বৈশিষ্ট্য হলো, কবরের জীবনে সাধারণ মুমিন ও শহীদদের জীবন থেকে নবীদের জীবন পূর্ণাঙ্গ ও উন্নত। এ ছাড়া দুনিয়ার জীবনের সঙ্গে কবরের জীবনের কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। যেমন কবরে তাঁদের পবিত্র দেহ সুরক্ষিত রয়েছে। তাঁরা কবরে নামাজ আদায় করেন। তাঁদের কবরের কাছে গিয়ে দরুদ-সালাম পেশ করলে তাঁরা তা সরাসরি শোনেন। দূর থেকে কেউ দরুদ-সালাম পাঠালে ফেরেশতারা তা তাঁদের কাছে পৌঁছে দেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁরা বিশেষ রিজিকপ্রাপ্ত হন। ইমাম বায়হাকি (রহ.) ‘আল ইতিকাদ’ গ্রন্থে বলেন, ‘সব নবীর জান কবজ করার পর তা আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁরা শহীদদের মতো রবের কাছে জীবিত।’ (আল ইতিকাদ, পৃ. ৪১৫; আত-তালখিসুল হাবির: ২ / ২৫৪; আল-বাদরুল মুনির: ৫ / ২৯২)
কবরের জগতে সব মানুষের একধরনের জীবন আছে। তবে কোরআনে সাধারণ মানুষ কবরে জীবিত—এমন কথা বলা হয়নি। অবশ্য শহীদদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে। শহীদদের জীবন সাধারণের চেয়ে উন্নত ও ভিন্নতর। শহীদদের জীবিত থাকার অর্থ শুধু রুহের জীবন নয়; দেহের সঙ্গে এ জীবনের সম্পর্ক রয়েছে এবং তাঁরা রিজিকপ্রাপ্ত হন। তবে এ জীবনের ধরন উপলব্ধি করা যায় না।
নবীদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে শহীদদের চেয়ে বেশি। কাজেই নবীদের জীবন শহীদদের চেয়ে বেশি উন্নত।
ইসলামি বিশ্বাস মোতাবেক নবীগণ কবরে জীবিত। তাঁরা কবরে নামাজ আদায় করেন। কোন নামাজ বা কত রাকাত আদায় করেন তা জানা না গেলেও নামাজ আদায় করার বিষয়টি হাদিস থেকে স্পষ্ট জানা যায়। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘নবীগণ কবরে জীবিত, তাঁরা নামাজ আদায় করেন।’ (মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৩৪২৫; হায়াতুল আম্বিয়া, বায়হাকি: ১-৪)
এ ছাড়া মুসা (আ.) তাঁর কবরে সশরীরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছেন। নবী (সা.) কবরের অবস্থানটিও উল্লেখ করেছেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি মিরাজের রাতে (বায়তুল মাকদিসের পাশে) লাল বালুর ঢিবির কাছে মুসা (আ.)-এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছি। তখন তিনি তাঁর কবরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন।’ (মুসলিম: ২৩৪৭)
নবীদের শরীর মাটির জন্য হারাম। তাঁরা কবরে সশরীরে জীবিত থাকেন। আউস ইবনে আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর একটি হলো—জুমার দিন। এ দিনেই আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ দিনেই শিঙায় ফুঁক দেওয়া হবে, আর এ দিনেই সব প্রাণী মৃত্যুবরণ করবে। সুতরাং এ দিনে তোমরা আমার ওপর বেশি করে দরুদ ও সালাম পাঠাও। তোমাদের দরুদ ও সালাম আমার কাছে পেশ করা হবে।’ সাহাবিগণ বললেন, ‘আমাদের দরুদ ও সালাম আপনার কাছে কীভাবে পেশ করা হবে—অথচ আপনি (মাটির সঙ্গে মিশে) ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যাবেন?’ নবী (সা.) বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা মাটির জন্য নবীদের দেহ খাওয়া হারাম করে দিয়েছেন।’ অর্থাৎ কবরে নবীদের দেহ দুনিয়ায় জীবিত মানুষের মতোই অক্ষত থাকে। এর সঙ্গে আত্মার গভীর সম্পর্কও থাকে। ফলে কবরে থেকেও দরুদ ও সালাম পাওয়াতে কোনো অসুবিধা নেই। (আবু দাউদ: ১০৪৭; ইবনে খুজাইমা: ১৭৩৩; মুসতাদরাকে হাকিম: ১০২৯; মুসনাদে আহমাদ: ১৬১৬২) হাদিসটি ভিন্ন সনদে আবুদ্দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘সুতরাং আল্লাহর নবী জীবিত ও রিজিকপ্রাপ্ত।’ (ইবনে মাযাহ: ১৬৩৭)
কবরের পাশ থেকে সালাত ও সালাম পেশ করলে রাসুলুল্লাহ (সা.) তা সরাসরি শুনতে পান। প্রশ্ন হতে পারে, মাটির নিচ থেকে সালাম কী করে শোনেন? এর উত্তর হলো—প্রথমত, এটি কবর জীবনের বিষয়। হাদিসে সালাত ও সালাম শুনতে পাওয়ার কথা এসেছে, তাই তা বিশ্বাস করতে হবে। তবে কীভাবে শোনেন, তা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। দ্বিতীয়ত, নবী (সা.) দুনিয়াতে জীবিত অবস্থায়ও অনেক সময় মাটির নিচে কবরে সংঘটিত আজাব শুনতে পেয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে আমার কবরের পাশে আমার ওপর সালাত পেশ করে, আমি তা শুনি। আর যে দূর থেকে আমার ওপর দরুদ পড়ে, তা আমার কাছে পৌঁছানো হয়।’ (ফাতহুল বারি: ৬ / ৬০৫; আল-কাওলুল বাদি, পৃ. ১৬০)
ইসলামি বিশ্বাস মতে, আমাদের মহানবী (সা.)ও কবরে সশরীরে জীবিত। এ জীবন কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। যে কেউ তাঁকে সালাম দিলে তিনি উত্তর দেন। দিনরাত সর্বাবস্থায়ই কবরের কাছ ও দূর থেকে নবী (সা.)-এর ওপর সালাত ও সালাম অব্যাহত থাকে। সারাক্ষণ কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে সালাত ও সালাম পেশ করতে থাকে। আর নবী (সা.) তার উত্তর দিতে থাকেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘(মৃত্যুর পর) যে আমাকে সালাম করবে, সেই আমাকে এ অবস্থায় পাবে যে আল্লাহ তাআলা আমার মধ্যে (এর আগেই) রুহ ফিরিয়ে দিয়েছেন।’ অর্থাৎ মৃত্যুর পরই আমার রুহ আমার মধ্যে ফিরিয়ে দিয়ে জীবিত করে দেবেন, যাতে আমি তার সালামের জবাব দিই। (আবু দাউদ: ২০৪১)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১৭ ঘণ্টা আগে
মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে...
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৩ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৪ মিনিট | ০৫: ৫৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৮ মিনিট | ০৫: ২৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৫ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৩ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৪ মিনিট | ০৫: ৫৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৮ মিনিট | ০৫: ২৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৫ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আরবি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ শব্দদ্বয়ের অর্থ ‘নবীদের জীবন’। মৃত্যুর পর কবরে নবীদের বিশেষ জীবন লাভ করাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ বলা হয়। মৃত্যুর পর সব নবীরই কবরে বিশেষ জীবন দান করা হয়—এ অর্থে তাঁরা জীবিত। বিষয়টি কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। অর্থাৎ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে তাঁদের
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১৭ ঘণ্টা আগে
মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে...
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আরবি শব্দ তহারাত-এর আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা। আর শরয়ি দৃষ্টিতে তহারাত হলো বিশেষ পদ্ধতিতে অপবিত্রতা থেকে শুদ্ধ হওয়া।
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
পবিত্রতা মানুষকে করে তোলে ফেরেশতার অনুরূপ। তার হৃদয় হয়ে ওঠে নির্মল। আত্মা হয় প্রেরণার আধার। অন্যদিকে, অপবিত্রতা মানুষকে ঠেলে দেয় শয়তানের কুমন্ত্রণার দরজায়।
যে ব্যক্তি সর্বদা পবিত্রতায় যত্নবান, তার অন্তরে জন্ম নেয় আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার যোগ্যতা। সে দেখে সততা ও আলোয় ভরা স্বপ্ন। তার চরিত্রে ফুটে ওঠে অভূতপূর্ব আত্মিক সৌন্দর্য।
পবিত্রতা শুধু শরীরের পরিচ্ছন্নতা নয়, এটি আত্মার পরিশুদ্ধতার প্রতীক। এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্রতা রক্ষা করার একটি মহৎ উপায়। তাই পবিত্রতার মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ ও পরিপূর্ণ রাখা প্রতিটি মুসলিমের নৈতিক দায়িত্ব এবং সফল জীবনের মূল চাবিকাঠি।
লেখক: মুফতি আবু রায়হান আল মাহমুদ, প্রিন্সিপাল, গাঙ্গাটিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসা বাখরাবাদ, কুমিল্লা।

আরবি শব্দ তহারাত-এর আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা। আর শরয়ি দৃষ্টিতে তহারাত হলো বিশেষ পদ্ধতিতে অপবিত্রতা থেকে শুদ্ধ হওয়া।
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
পবিত্রতা মানুষকে করে তোলে ফেরেশতার অনুরূপ। তার হৃদয় হয়ে ওঠে নির্মল। আত্মা হয় প্রেরণার আধার। অন্যদিকে, অপবিত্রতা মানুষকে ঠেলে দেয় শয়তানের কুমন্ত্রণার দরজায়।
যে ব্যক্তি সর্বদা পবিত্রতায় যত্নবান, তার অন্তরে জন্ম নেয় আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার যোগ্যতা। সে দেখে সততা ও আলোয় ভরা স্বপ্ন। তার চরিত্রে ফুটে ওঠে অভূতপূর্ব আত্মিক সৌন্দর্য।
পবিত্রতা শুধু শরীরের পরিচ্ছন্নতা নয়, এটি আত্মার পরিশুদ্ধতার প্রতীক। এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্রতা রক্ষা করার একটি মহৎ উপায়। তাই পবিত্রতার মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ ও পরিপূর্ণ রাখা প্রতিটি মুসলিমের নৈতিক দায়িত্ব এবং সফল জীবনের মূল চাবিকাঠি।
লেখক: মুফতি আবু রায়হান আল মাহমুদ, প্রিন্সিপাল, গাঙ্গাটিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসা বাখরাবাদ, কুমিল্লা।

আরবি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ শব্দদ্বয়ের অর্থ ‘নবীদের জীবন’। মৃত্যুর পর কবরে নবীদের বিশেষ জীবন লাভ করাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ বলা হয়। মৃত্যুর পর সব নবীরই কবরে বিশেষ জীবন দান করা হয়—এ অর্থে তাঁরা জীবিত। বিষয়টি কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। অর্থাৎ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে তাঁদের
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১৭ ঘণ্টা আগে
মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে...
১৮ ঘণ্টা আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক মহামুহূর্ত তৈরি করে।
জমাদিউল আউয়াল মাস হিজরি বর্ষপঞ্জির মধ্যবর্তী এক শান্ত সময়। ইসলামি ইতিহাসে এই মাসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে—বিশেষত নবী করিম (সা.)-এর সাহাবিদের কিছু যুদ্ধ এবং ইসলামি সমাজের পুনর্গঠনের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এটি এমন এক মাস, যা আমাদের আল্লাহর পথে অবিচল থাকার, আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা তাঁর পথে দৃঢ় থাকে।’ (সুরা সাফ: ৪)
জুমা শ্রেষ্ঠতম দিন
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হয়, এমন দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো শুক্রবার। এই দিনেই আদম সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দিনেই জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য বিশেষ ইবাদতের দিন। এদিনে গোসল করা, সুন্দর পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও সালাত আদায় করা—এসব আমল অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
এই জুমা ও পুরো মাসে কিছু আমল করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত পাওয়ার আশা করা যায়:
১. আত্মশুদ্ধি ও তওবা: অতীতের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
২. সুরা কাহফ তিলাওয়াত: নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুক্রবারে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাকে এক শুক্রবার থেকে পরের শুক্রবার পর্যন্ত নুর দান করেন।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩৩৯২)
৩. দরুদ শরিফ বেশি পরিমাণে পড়া: নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা আমার প্রতি বেশি দরুদ পাঠ করো—কারণ, তোমাদের দরুদ আমাকে পৌঁছে দেওয়া হয়।’ (সুনান আবু দাউদ: ১৫৩১)
৪. দরিদ্র ও অভাবীদের সহায়তা: মাসের শুরুতে দান-সদকা করলে পুরো মাসে বরকত আসে।
৫. দোয়া কবুলের সময়: শুক্রবারে আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টি বিশেষ দোয়া কবুলের সময়।
এই জুমা হোক জীবনের নতুন দিকনির্দেশনা
জমাদিউল আউয়ালের প্রথম জুমা কেবল একটি তারিখ নয়; এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু নেক আমল চিরস্থায়ী। নতুন মাসের শুরু যেন নতুন প্রেরণা হয়ে আসে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে।’ (সুরা রাদ: ১১)। তাই আসুন, এই পবিত্র জুমায় নিজেদের পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করি—নামাজে মনোযোগ দিই, কোরআন পাঠে নিয়মিত হই, মনের গ্লানি দূর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জীবন উৎসর্গ করি।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক মহামুহূর্ত তৈরি করে।
জমাদিউল আউয়াল মাস হিজরি বর্ষপঞ্জির মধ্যবর্তী এক শান্ত সময়। ইসলামি ইতিহাসে এই মাসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে—বিশেষত নবী করিম (সা.)-এর সাহাবিদের কিছু যুদ্ধ এবং ইসলামি সমাজের পুনর্গঠনের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এটি এমন এক মাস, যা আমাদের আল্লাহর পথে অবিচল থাকার, আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা তাঁর পথে দৃঢ় থাকে।’ (সুরা সাফ: ৪)
জুমা শ্রেষ্ঠতম দিন
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হয়, এমন দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো শুক্রবার। এই দিনেই আদম সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দিনেই জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য বিশেষ ইবাদতের দিন। এদিনে গোসল করা, সুন্দর পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও সালাত আদায় করা—এসব আমল অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
এই জুমা ও পুরো মাসে কিছু আমল করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত পাওয়ার আশা করা যায়:
১. আত্মশুদ্ধি ও তওবা: অতীতের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
২. সুরা কাহফ তিলাওয়াত: নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুক্রবারে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাকে এক শুক্রবার থেকে পরের শুক্রবার পর্যন্ত নুর দান করেন।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩৩৯২)
৩. দরুদ শরিফ বেশি পরিমাণে পড়া: নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা আমার প্রতি বেশি দরুদ পাঠ করো—কারণ, তোমাদের দরুদ আমাকে পৌঁছে দেওয়া হয়।’ (সুনান আবু দাউদ: ১৫৩১)
৪. দরিদ্র ও অভাবীদের সহায়তা: মাসের শুরুতে দান-সদকা করলে পুরো মাসে বরকত আসে।
৫. দোয়া কবুলের সময়: শুক্রবারে আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টি বিশেষ দোয়া কবুলের সময়।
এই জুমা হোক জীবনের নতুন দিকনির্দেশনা
জমাদিউল আউয়ালের প্রথম জুমা কেবল একটি তারিখ নয়; এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু নেক আমল চিরস্থায়ী। নতুন মাসের শুরু যেন নতুন প্রেরণা হয়ে আসে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে।’ (সুরা রাদ: ১১)। তাই আসুন, এই পবিত্র জুমায় নিজেদের পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করি—নামাজে মনোযোগ দিই, কোরআন পাঠে নিয়মিত হই, মনের গ্লানি দূর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জীবন উৎসর্গ করি।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

আরবি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ শব্দদ্বয়ের অর্থ ‘নবীদের জীবন’। মৃত্যুর পর কবরে নবীদের বিশেষ জীবন লাভ করাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ বলা হয়। মৃত্যুর পর সব নবীরই কবরে বিশেষ জীবন দান করা হয়—এ অর্থে তাঁরা জীবিত। বিষয়টি কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। অর্থাৎ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে তাঁদের
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১৫ ঘণ্টা আগে
মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে...
১৮ ঘণ্টা আগেকাউসার লাবীব

মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে সম্পূর্ণরূপে হারাম ঘোষণা করেছে। ধর্ষণকে ইসলামে ব্যভিচারের (জিনা) চেয়েও ভয়ংকর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধে ইসলাম ব্যক্তিগত আত্মশুদ্ধি থেকে শুরু করে সামাজিক প্রতিরোধ এবং অপরাধীর জন্য কঠোর শাস্তির সমন্বিত ব্যবস্থা দিয়েছে।
ধর্ষণ বা ব্যভিচার এক দিনে সংঘটিত হয় না; বরং এটি ধাপে ধাপে অশ্লীলতার পথ ধরে আসে। তাই ইসলাম অপরাধের উৎসমুখেই লাগাম টেনে ধরার জন্য নারী-পুরুষ উভয়কে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
কঠোরভাবে পর্দার বিধান ও অবাধ মেলামেশা বন্ধ: পর্দার বিধান নারী-পুরুষের মধ্যে দূরত্ব ও নিরাপদ সম্পর্ক বজায় রাখে। নারীদের তাদের রূপ-সৌন্দর্য স্বামী ও মাহরাম (যাদের সঙ্গে বিয়ে বৈধ নয়) ব্যতীত অন্য কারও সামনে প্রকাশ না করতে এবং বাইরে যাওয়ার সময় শালীন পোশাক পরিধান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, পরিবার ও শিক্ষাব্যবস্থায় তাকওয়াভিত্তিক (খোদাভীতি) নৈতিক শিক্ষা দেওয়া অপরিহার্য, যা আত্মশুদ্ধি ও অপরাধ থেকে দূরে থাকতে সহায়ক।
ধর্ষকের কঠোরতম শাস্তির নিশ্চয়তা
ইসলামে ব্যভিচার, বলপ্রয়োগ এবং সম্ভ্রম লুণ্ঠনের সমন্বয়ে গঠিত একটি মারাত্মক অপরাধ হলো ধর্ষণ। তাই ধর্ষকের শাস্তি অত্যন্ত কঠোর এবং তাতে কোনো প্রকার দয়া-মায়া প্রদর্শনের সুযোগ নেই।

মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে সম্পূর্ণরূপে হারাম ঘোষণা করেছে। ধর্ষণকে ইসলামে ব্যভিচারের (জিনা) চেয়েও ভয়ংকর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধে ইসলাম ব্যক্তিগত আত্মশুদ্ধি থেকে শুরু করে সামাজিক প্রতিরোধ এবং অপরাধীর জন্য কঠোর শাস্তির সমন্বিত ব্যবস্থা দিয়েছে।
ধর্ষণ বা ব্যভিচার এক দিনে সংঘটিত হয় না; বরং এটি ধাপে ধাপে অশ্লীলতার পথ ধরে আসে। তাই ইসলাম অপরাধের উৎসমুখেই লাগাম টেনে ধরার জন্য নারী-পুরুষ উভয়কে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
কঠোরভাবে পর্দার বিধান ও অবাধ মেলামেশা বন্ধ: পর্দার বিধান নারী-পুরুষের মধ্যে দূরত্ব ও নিরাপদ সম্পর্ক বজায় রাখে। নারীদের তাদের রূপ-সৌন্দর্য স্বামী ও মাহরাম (যাদের সঙ্গে বিয়ে বৈধ নয়) ব্যতীত অন্য কারও সামনে প্রকাশ না করতে এবং বাইরে যাওয়ার সময় শালীন পোশাক পরিধান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, পরিবার ও শিক্ষাব্যবস্থায় তাকওয়াভিত্তিক (খোদাভীতি) নৈতিক শিক্ষা দেওয়া অপরিহার্য, যা আত্মশুদ্ধি ও অপরাধ থেকে দূরে থাকতে সহায়ক।
ধর্ষকের কঠোরতম শাস্তির নিশ্চয়তা
ইসলামে ব্যভিচার, বলপ্রয়োগ এবং সম্ভ্রম লুণ্ঠনের সমন্বয়ে গঠিত একটি মারাত্মক অপরাধ হলো ধর্ষণ। তাই ধর্ষকের শাস্তি অত্যন্ত কঠোর এবং তাতে কোনো প্রকার দয়া-মায়া প্রদর্শনের সুযোগ নেই।

আরবি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ শব্দদ্বয়ের অর্থ ‘নবীদের জীবন’। মৃত্যুর পর কবরে নবীদের বিশেষ জীবন লাভ করাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ বলা হয়। মৃত্যুর পর সব নবীরই কবরে বিশেষ জীবন দান করা হয়—এ অর্থে তাঁরা জীবিত। বিষয়টি কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। অর্থাৎ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে তাঁদের
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১৭ ঘণ্টা আগে