ইজাজুল হক

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবতার মুক্তিদূত। বিশ্বজাহানের জন্য কল্যাণ ও রহমত হয়ে তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন। মানুষকে সত্যের পথ দেখানো এবং ইহকালীন-পরকালীন সাফল্যের নির্দেশনা দেওয়াই তাঁর জীবনের মিশন ছিল। তবে যাঁরা তাঁর আহ্বানে ইসলামের পথে আসেননি, তাঁদের সঙ্গেও তিনি মানবিক আচরণ করেছেন। সাহাবিদেরও নির্দেশ দিয়েছেন, অমুসলিমদের সঙ্গে ইনসাফপূর্ণ আচরণ করার। মুসলিম সমাজে বসবাসরত অমুসলিমদের সব মানবিক অধিকার নিশ্চিত করাই ইসলামের শিক্ষা। এ বিষয়ে নবীজির হাদিস থেকে কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হলো—
অধিকার রক্ষা করা
অমুসলিমদের অধিকার রক্ষা করতে হবে। একাধিক সাহাবি বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সাবধান! মুআহিদের (রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিম) সঙ্গে যদি কেউ খারাপ ব্যবহার করে বা তার অধিকার খর্ব করে বা তাকে সাধ্যের বাইরে কাজ চাপিয়ে দেয় বা অনুমতি ছাড়া তার কোনো কিছু আত্মসাৎ করে, তবে আমি কিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেব।’ (আবু দাউদ)
অন্য হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুআহিদকে (রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিম) হত্যা করবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণই পাবে না, অথচ ৪০ বছরের দূরত্ব থেকে জান্নাতের ঘ্রাণ শোঁকা যাবে।’ (বুখারি)
অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া
অমুসলিম পরিচিতজন অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া নবীজির সুন্নত। আনাস (রা.) বলেন, এক ইহুদি বালক নবীজির সেবা করত। একবার সে অসুস্থ হয়ে পড়ল। নবীজি তাকে দেখতে গেলেন। তিনি তার শিয়রে বসলেন এবং তাকে ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দিলেন। ছেলেটি পাশে বসে থাকা বাবার দিকে তাকাল। তার বাবা বললেন, তুমি নবীজির আনুগত্য করো। তখন সে ইসলাম গ্রহণ করে। নবীজি বেরিয়ে আসতে আসতে বললেন, ‘সব প্রশংসা আল্লাহর, যিনি ছেলেটিকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করেছেন।’ (বুখারি)
ব্যবসা-বাণিজ্য করা
অমুসলিমদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করা যাবে। মহানবী (সা.) অমুসলিমদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ও লেনদেন করতেন। হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল এক ইহুদি থেকে বাকিতে কিছু খাবার কিনেছিলেন এবং তাকে বন্ধক হিসেবে একটি বর্ম রাখতে দিয়েছিলেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কোমল আচরণ করা
আত্মীয়স্বজনদের কেউ অমুসলিম থাকলে আত্মীয়তার কারণে যে আন্তরিকতা পাওয়ার অধিকার তার রয়েছে, তাতে কমানো যাবে না। আসমা বিনতে আবু বকার সিদ্দিক (রা.) বলেন, ‘আমার মা পৌত্তলিক থাকা অবস্থায় আমার ঘরে এলেন। আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আমার মা আমাকে
দেখতে এসেছেন এবং আমার সমাদর প্রত্যাশা করছেন। আমি কি তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারি? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ, তোমার মায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখো।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কল্যাণ কামনা করা
অমুসলিমদের হেদায়তের দোয়া ও কল্যাণ কামনা করা উচিত। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, তোফাইল ইবনে আমর নবীজির কাছে এসে বললেন, ‘ইসলাম গ্রহণ প্রত্যাখ্যান করে দাউস গোত্র ধ্বংস হয়েছে। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।’ জবাবে নবীজি বললেন, ‘হে আল্লাহ, দাউস গোত্রকে পথ দেখান এবং ইসলামে নিয়ে আসুন।’ (বুখারি)
উপহার দেওয়া
অমুসলিম পরিচিতজনদের উপহারও দেওয়া যায়। ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, ওমর একবার এক ব্যক্তির গায়ে এক টুকরো রেশমি কাপড় দেখতে পেলেন, যা সে বিক্রি করার জন্য রেখেছে। তখন ওমর নবীজিকে বললেন, ‘শুক্রবারে এবং প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পরিধান করার জন্য কাপড়টি কিনে নেন।’ নবীজি বললেন, ‘এটি সে-ই পরিধান করে, যে আখিরাতে কোনো ভাগ পাবে না।’ পরে আল্লাহর রাসুল (সা.) একই ধরনের কিছু রেশমি কাপড় পেলেন এবং একটি ওমরের কাছে পাঠালেন। তখন ওমর নবীজিকে বললেন, ‘আপনি এই কাপড় সম্পর্কে যা বলেছেন, তারপর কীভাবে আমি এটি পরব?’ নবীজি বললেন, ‘আমি তোমাকে এটি পরার জন্য দিইনি। তুমি তা বিক্রি করে দিতে পারো বা কাউকে উপহার দিতে পারো।’ তখন ওমর তা মক্কায় তাঁর এক ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দিলেন, যিনি তখনো ইসলাম গ্রহণ করেননি। (বুখারি) এ ঘটনায় নবীজি কোনোরকম আপত্তিও জানাননি।
উপহার নেওয়া
অমুসলিমদের উপহার নেওয়াও যায়। মহানবী (সা.) অমুসলিমদের থেকে উপহার গ্রহণ করেছেন। এক ইহুদি নারী তাঁকে একটি ভেড়া উপহার দিয়েছিলেন, যেটি থেকে তিনি অল্প খেয়েছিলেন এবং তা বিষ মাখানো বলে প্রমাণিত হয়েছিল। নবীজি তাকে ক্ষমা করে দেন। অবশ্য, সেই ভেড়ার মাংস বিশর ইবনুল বারা নামের এক সাহাবিও খেয়েছিলেন এবং তিনি মারা গিয়েছিলেন। ফলে ওই নারীকে এই অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। (বুখারি)
শ্রদ্ধাবোধ
মৃত অমুসলিম ব্যক্তির জন্য মানবিক শ্রদ্ধাবোধ রাখাও নবীজির সুন্নত। জাবির ইবনে হাইয়ান বলেন, নবীজি ও তাঁর সাহাবিরা এক ইহুদির মরদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় চোখের আড়ালে যাওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন।’ (নাসায়ি)
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবতার মুক্তিদূত। বিশ্বজাহানের জন্য কল্যাণ ও রহমত হয়ে তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন। মানুষকে সত্যের পথ দেখানো এবং ইহকালীন-পরকালীন সাফল্যের নির্দেশনা দেওয়াই তাঁর জীবনের মিশন ছিল। তবে যাঁরা তাঁর আহ্বানে ইসলামের পথে আসেননি, তাঁদের সঙ্গেও তিনি মানবিক আচরণ করেছেন। সাহাবিদেরও নির্দেশ দিয়েছেন, অমুসলিমদের সঙ্গে ইনসাফপূর্ণ আচরণ করার। মুসলিম সমাজে বসবাসরত অমুসলিমদের সব মানবিক অধিকার নিশ্চিত করাই ইসলামের শিক্ষা। এ বিষয়ে নবীজির হাদিস থেকে কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হলো—
অধিকার রক্ষা করা
অমুসলিমদের অধিকার রক্ষা করতে হবে। একাধিক সাহাবি বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সাবধান! মুআহিদের (রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিম) সঙ্গে যদি কেউ খারাপ ব্যবহার করে বা তার অধিকার খর্ব করে বা তাকে সাধ্যের বাইরে কাজ চাপিয়ে দেয় বা অনুমতি ছাড়া তার কোনো কিছু আত্মসাৎ করে, তবে আমি কিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেব।’ (আবু দাউদ)
অন্য হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুআহিদকে (রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিম) হত্যা করবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণই পাবে না, অথচ ৪০ বছরের দূরত্ব থেকে জান্নাতের ঘ্রাণ শোঁকা যাবে।’ (বুখারি)
অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া
অমুসলিম পরিচিতজন অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া নবীজির সুন্নত। আনাস (রা.) বলেন, এক ইহুদি বালক নবীজির সেবা করত। একবার সে অসুস্থ হয়ে পড়ল। নবীজি তাকে দেখতে গেলেন। তিনি তার শিয়রে বসলেন এবং তাকে ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দিলেন। ছেলেটি পাশে বসে থাকা বাবার দিকে তাকাল। তার বাবা বললেন, তুমি নবীজির আনুগত্য করো। তখন সে ইসলাম গ্রহণ করে। নবীজি বেরিয়ে আসতে আসতে বললেন, ‘সব প্রশংসা আল্লাহর, যিনি ছেলেটিকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করেছেন।’ (বুখারি)
ব্যবসা-বাণিজ্য করা
অমুসলিমদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করা যাবে। মহানবী (সা.) অমুসলিমদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ও লেনদেন করতেন। হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল এক ইহুদি থেকে বাকিতে কিছু খাবার কিনেছিলেন এবং তাকে বন্ধক হিসেবে একটি বর্ম রাখতে দিয়েছিলেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কোমল আচরণ করা
আত্মীয়স্বজনদের কেউ অমুসলিম থাকলে আত্মীয়তার কারণে যে আন্তরিকতা পাওয়ার অধিকার তার রয়েছে, তাতে কমানো যাবে না। আসমা বিনতে আবু বকার সিদ্দিক (রা.) বলেন, ‘আমার মা পৌত্তলিক থাকা অবস্থায় আমার ঘরে এলেন। আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আমার মা আমাকে
দেখতে এসেছেন এবং আমার সমাদর প্রত্যাশা করছেন। আমি কি তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারি? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ, তোমার মায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখো।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কল্যাণ কামনা করা
অমুসলিমদের হেদায়তের দোয়া ও কল্যাণ কামনা করা উচিত। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, তোফাইল ইবনে আমর নবীজির কাছে এসে বললেন, ‘ইসলাম গ্রহণ প্রত্যাখ্যান করে দাউস গোত্র ধ্বংস হয়েছে। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।’ জবাবে নবীজি বললেন, ‘হে আল্লাহ, দাউস গোত্রকে পথ দেখান এবং ইসলামে নিয়ে আসুন।’ (বুখারি)
উপহার দেওয়া
অমুসলিম পরিচিতজনদের উপহারও দেওয়া যায়। ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, ওমর একবার এক ব্যক্তির গায়ে এক টুকরো রেশমি কাপড় দেখতে পেলেন, যা সে বিক্রি করার জন্য রেখেছে। তখন ওমর নবীজিকে বললেন, ‘শুক্রবারে এবং প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পরিধান করার জন্য কাপড়টি কিনে নেন।’ নবীজি বললেন, ‘এটি সে-ই পরিধান করে, যে আখিরাতে কোনো ভাগ পাবে না।’ পরে আল্লাহর রাসুল (সা.) একই ধরনের কিছু রেশমি কাপড় পেলেন এবং একটি ওমরের কাছে পাঠালেন। তখন ওমর নবীজিকে বললেন, ‘আপনি এই কাপড় সম্পর্কে যা বলেছেন, তারপর কীভাবে আমি এটি পরব?’ নবীজি বললেন, ‘আমি তোমাকে এটি পরার জন্য দিইনি। তুমি তা বিক্রি করে দিতে পারো বা কাউকে উপহার দিতে পারো।’ তখন ওমর তা মক্কায় তাঁর এক ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দিলেন, যিনি তখনো ইসলাম গ্রহণ করেননি। (বুখারি) এ ঘটনায় নবীজি কোনোরকম আপত্তিও জানাননি।
উপহার নেওয়া
অমুসলিমদের উপহার নেওয়াও যায়। মহানবী (সা.) অমুসলিমদের থেকে উপহার গ্রহণ করেছেন। এক ইহুদি নারী তাঁকে একটি ভেড়া উপহার দিয়েছিলেন, যেটি থেকে তিনি অল্প খেয়েছিলেন এবং তা বিষ মাখানো বলে প্রমাণিত হয়েছিল। নবীজি তাকে ক্ষমা করে দেন। অবশ্য, সেই ভেড়ার মাংস বিশর ইবনুল বারা নামের এক সাহাবিও খেয়েছিলেন এবং তিনি মারা গিয়েছিলেন। ফলে ওই নারীকে এই অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। (বুখারি)
শ্রদ্ধাবোধ
মৃত অমুসলিম ব্যক্তির জন্য মানবিক শ্রদ্ধাবোধ রাখাও নবীজির সুন্নত। জাবির ইবনে হাইয়ান বলেন, নবীজি ও তাঁর সাহাবিরা এক ইহুদির মরদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় চোখের আড়ালে যাওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন।’ (নাসায়ি)
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১ দিন আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
পৃথিবীতে ভালোভাবে জীবনযাপন করার জন্য, উন্নতির জন্য পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা থাকা অপরিহার্য। আর শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার পর তা বজায় রাখার জন্য আপস-নিষ্পত্তির মন-মানসিকতা থাকতে হবে। কেননা, বিচিত্র স্বভাবের মানুষ নিয়েই হয় সমাজ। সব মানুষ এক মেজাজের নয়। তুচ্ছ ও নগণ্য বিষয়েও অনেক সময় পরস্পরে মনোমালিন্য হয়, কথা-কাটাকাটি হয়। একসঙ্গে চলতে গেলে এমনটি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বিষয়টি এভাবেই ছেড়ে দিলে একপর্যায়ে তা ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি, সংঘর্ষ পর্যন্ত গড়ায়। তাই এই বিচিত্র স্বভাবের মানুষদের নিয়ে সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে নিজেদের মধ্যে রাখতে হবে আপস-নিষ্পত্তির অনন্য গুণ।
ইসলামপূর্ব সময়ে কাবা পুনর্নির্মাণের পর হাজরে আসওয়াদ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। তখন প্রিয় নবী (সা.) চাদরে হাজরে আসওয়াদ রেখে সব গোত্রপ্রধানকে নিয়ে নিজ হাতে তা প্রতিস্থাপন করেন এবং এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের নিষ্পত্তি করেন।
আপস-নিষ্পত্তি দ্বারা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, এমনকি এক রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের বিবাদ দূর হয় এবং শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপিত হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ক্ষমা করে দেয় ও আপস-নিষ্পত্তি করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে আছে।’ (সুরা শুরা: ৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আপস-নিষ্পত্তিকে নামাজ, রোজা এবং জাকাত থেকেও উত্তম আমল বলেছেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৩৯)
স্বাভাবিক কথায় মীমাংসা করা সম্ভব না হলে, আগে বেড়ে কথা হেরফের করারও অনুমতি আছে। তা মিথ্যা হবে না। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যারা এমন করে হাদিসে তাদের মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত না করে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। (সহিহ্ বুখারি: ২৫১৩)

সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
পৃথিবীতে ভালোভাবে জীবনযাপন করার জন্য, উন্নতির জন্য পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা থাকা অপরিহার্য। আর শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার পর তা বজায় রাখার জন্য আপস-নিষ্পত্তির মন-মানসিকতা থাকতে হবে। কেননা, বিচিত্র স্বভাবের মানুষ নিয়েই হয় সমাজ। সব মানুষ এক মেজাজের নয়। তুচ্ছ ও নগণ্য বিষয়েও অনেক সময় পরস্পরে মনোমালিন্য হয়, কথা-কাটাকাটি হয়। একসঙ্গে চলতে গেলে এমনটি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বিষয়টি এভাবেই ছেড়ে দিলে একপর্যায়ে তা ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি, সংঘর্ষ পর্যন্ত গড়ায়। তাই এই বিচিত্র স্বভাবের মানুষদের নিয়ে সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে নিজেদের মধ্যে রাখতে হবে আপস-নিষ্পত্তির অনন্য গুণ।
ইসলামপূর্ব সময়ে কাবা পুনর্নির্মাণের পর হাজরে আসওয়াদ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। তখন প্রিয় নবী (সা.) চাদরে হাজরে আসওয়াদ রেখে সব গোত্রপ্রধানকে নিয়ে নিজ হাতে তা প্রতিস্থাপন করেন এবং এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের নিষ্পত্তি করেন।
আপস-নিষ্পত্তি দ্বারা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, এমনকি এক রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের বিবাদ দূর হয় এবং শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপিত হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ক্ষমা করে দেয় ও আপস-নিষ্পত্তি করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে আছে।’ (সুরা শুরা: ৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আপস-নিষ্পত্তিকে নামাজ, রোজা এবং জাকাত থেকেও উত্তম আমল বলেছেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৩৯)
স্বাভাবিক কথায় মীমাংসা করা সম্ভব না হলে, আগে বেড়ে কথা হেরফের করারও অনুমতি আছে। তা মিথ্যা হবে না। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যারা এমন করে হাদিসে তাদের মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত না করে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। (সহিহ্ বুখারি: ২৫১৩)

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবতার মুক্তিদূত। বিশ্বজাহানের জন্য কল্যাণ ও রহমত হয়ে তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন। মানুষকে সত্যের পথ দেখানো এবং ইহকালীন-পরকালীন সাফল্যের নির্দেশনা দেওয়াই তাঁর জীবনের মিশন ছিল। তবে যাঁরা তাঁর আহ্বানে ইসলামের পথে আসেননি, তাঁদের সঙ্গেও তিনি মানবিক আচরণ করেছেন। সাহাবিদেরও নি
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১ দিন আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৩ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৪ মিনিট | ০৫: ৫৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৮ মিনিট | ০৫: ২৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৫ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৩ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৪ মিনিট | ০৫: ৫৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৮ মিনিট | ০৫: ২৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৫ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবতার মুক্তিদূত। বিশ্বজাহানের জন্য কল্যাণ ও রহমত হয়ে তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন। মানুষকে সত্যের পথ দেখানো এবং ইহকালীন-পরকালীন সাফল্যের নির্দেশনা দেওয়াই তাঁর জীবনের মিশন ছিল। তবে যাঁরা তাঁর আহ্বানে ইসলামের পথে আসেননি, তাঁদের সঙ্গেও তিনি মানবিক আচরণ করেছেন। সাহাবিদেরও নি
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
৬ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১ দিন আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

আরবি শব্দ তহারাত-এর আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা। আর শরয়ি দৃষ্টিতে তহারাত হলো বিশেষ পদ্ধতিতে অপবিত্রতা থেকে শুদ্ধ হওয়া।
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
পবিত্রতা মানুষকে করে তোলে ফেরেশতার অনুরূপ। তার হৃদয় হয়ে ওঠে নির্মল। আত্মা হয় প্রেরণার আধার। অন্যদিকে, অপবিত্রতা মানুষকে ঠেলে দেয় শয়তানের কুমন্ত্রণার দরজায়।
যে ব্যক্তি সর্বদা পবিত্রতায় যত্নবান, তার অন্তরে জন্ম নেয় আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার যোগ্যতা। সে দেখে সততা ও আলোয় ভরা স্বপ্ন। তার চরিত্রে ফুটে ওঠে অভূতপূর্ব আত্মিক সৌন্দর্য।
পবিত্রতা শুধু শরীরের পরিচ্ছন্নতা নয়, এটি আত্মার পরিশুদ্ধতার প্রতীক। এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্রতা রক্ষা করার একটি মহৎ উপায়। তাই পবিত্রতার মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ ও পরিপূর্ণ রাখা প্রতিটি মুসলিমের নৈতিক দায়িত্ব এবং সফল জীবনের মূল চাবিকাঠি।
লেখক: মুফতি আবু রায়হান আল মাহমুদ, প্রিন্সিপাল, গাঙ্গাটিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসা বাখরাবাদ, কুমিল্লা।

আরবি শব্দ তহারাত-এর আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা। আর শরয়ি দৃষ্টিতে তহারাত হলো বিশেষ পদ্ধতিতে অপবিত্রতা থেকে শুদ্ধ হওয়া।
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
পবিত্রতা মানুষকে করে তোলে ফেরেশতার অনুরূপ। তার হৃদয় হয়ে ওঠে নির্মল। আত্মা হয় প্রেরণার আধার। অন্যদিকে, অপবিত্রতা মানুষকে ঠেলে দেয় শয়তানের কুমন্ত্রণার দরজায়।
যে ব্যক্তি সর্বদা পবিত্রতায় যত্নবান, তার অন্তরে জন্ম নেয় আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার যোগ্যতা। সে দেখে সততা ও আলোয় ভরা স্বপ্ন। তার চরিত্রে ফুটে ওঠে অভূতপূর্ব আত্মিক সৌন্দর্য।
পবিত্রতা শুধু শরীরের পরিচ্ছন্নতা নয়, এটি আত্মার পরিশুদ্ধতার প্রতীক। এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্রতা রক্ষা করার একটি মহৎ উপায়। তাই পবিত্রতার মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ ও পরিপূর্ণ রাখা প্রতিটি মুসলিমের নৈতিক দায়িত্ব এবং সফল জীবনের মূল চাবিকাঠি।
লেখক: মুফতি আবু রায়হান আল মাহমুদ, প্রিন্সিপাল, গাঙ্গাটিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসা বাখরাবাদ, কুমিল্লা।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবতার মুক্তিদূত। বিশ্বজাহানের জন্য কল্যাণ ও রহমত হয়ে তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন। মানুষকে সত্যের পথ দেখানো এবং ইহকালীন-পরকালীন সাফল্যের নির্দেশনা দেওয়াই তাঁর জীবনের মিশন ছিল। তবে যাঁরা তাঁর আহ্বানে ইসলামের পথে আসেননি, তাঁদের সঙ্গেও তিনি মানবিক আচরণ করেছেন। সাহাবিদেরও নি
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১ দিন আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক মহামুহূর্ত তৈরি করে।
জমাদিউল আউয়াল মাস হিজরি বর্ষপঞ্জির মধ্যবর্তী এক শান্ত সময়। ইসলামি ইতিহাসে এই মাসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে—বিশেষত নবী করিম (সা.)-এর সাহাবিদের কিছু যুদ্ধ এবং ইসলামি সমাজের পুনর্গঠনের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এটি এমন এক মাস, যা আমাদের আল্লাহর পথে অবিচল থাকার, আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা তাঁর পথে দৃঢ় থাকে।’ (সুরা সাফ: ৪)
জুমা শ্রেষ্ঠতম দিন
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হয়, এমন দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো শুক্রবার। এই দিনেই আদম সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দিনেই জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য বিশেষ ইবাদতের দিন। এদিনে গোসল করা, সুন্দর পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও সালাত আদায় করা—এসব আমল অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
এই জুমা ও পুরো মাসে কিছু আমল করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত পাওয়ার আশা করা যায়:
১. আত্মশুদ্ধি ও তওবা: অতীতের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
২. সুরা কাহফ তিলাওয়াত: নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুক্রবারে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাকে এক শুক্রবার থেকে পরের শুক্রবার পর্যন্ত নুর দান করেন।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩৩৯২)
৩. দরুদ শরিফ বেশি পরিমাণে পড়া: নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা আমার প্রতি বেশি দরুদ পাঠ করো—কারণ, তোমাদের দরুদ আমাকে পৌঁছে দেওয়া হয়।’ (সুনান আবু দাউদ: ১৫৩১)
৪. দরিদ্র ও অভাবীদের সহায়তা: মাসের শুরুতে দান-সদকা করলে পুরো মাসে বরকত আসে।
৫. দোয়া কবুলের সময়: শুক্রবারে আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টি বিশেষ দোয়া কবুলের সময়।
এই জুমা হোক জীবনের নতুন দিকনির্দেশনা
জমাদিউল আউয়ালের প্রথম জুমা কেবল একটি তারিখ নয়; এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু নেক আমল চিরস্থায়ী। নতুন মাসের শুরু যেন নতুন প্রেরণা হয়ে আসে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে।’ (সুরা রাদ: ১১)। তাই আসুন, এই পবিত্র জুমায় নিজেদের পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করি—নামাজে মনোযোগ দিই, কোরআন পাঠে নিয়মিত হই, মনের গ্লানি দূর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জীবন উৎসর্গ করি।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক মহামুহূর্ত তৈরি করে।
জমাদিউল আউয়াল মাস হিজরি বর্ষপঞ্জির মধ্যবর্তী এক শান্ত সময়। ইসলামি ইতিহাসে এই মাসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে—বিশেষত নবী করিম (সা.)-এর সাহাবিদের কিছু যুদ্ধ এবং ইসলামি সমাজের পুনর্গঠনের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এটি এমন এক মাস, যা আমাদের আল্লাহর পথে অবিচল থাকার, আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা তাঁর পথে দৃঢ় থাকে।’ (সুরা সাফ: ৪)
জুমা শ্রেষ্ঠতম দিন
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হয়, এমন দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো শুক্রবার। এই দিনেই আদম সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দিনেই জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য বিশেষ ইবাদতের দিন। এদিনে গোসল করা, সুন্দর পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও সালাত আদায় করা—এসব আমল অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
এই জুমা ও পুরো মাসে কিছু আমল করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত পাওয়ার আশা করা যায়:
১. আত্মশুদ্ধি ও তওবা: অতীতের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
২. সুরা কাহফ তিলাওয়াত: নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুক্রবারে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাকে এক শুক্রবার থেকে পরের শুক্রবার পর্যন্ত নুর দান করেন।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩৩৯২)
৩. দরুদ শরিফ বেশি পরিমাণে পড়া: নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা আমার প্রতি বেশি দরুদ পাঠ করো—কারণ, তোমাদের দরুদ আমাকে পৌঁছে দেওয়া হয়।’ (সুনান আবু দাউদ: ১৫৩১)
৪. দরিদ্র ও অভাবীদের সহায়তা: মাসের শুরুতে দান-সদকা করলে পুরো মাসে বরকত আসে।
৫. দোয়া কবুলের সময়: শুক্রবারে আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টি বিশেষ দোয়া কবুলের সময়।
এই জুমা হোক জীবনের নতুন দিকনির্দেশনা
জমাদিউল আউয়ালের প্রথম জুমা কেবল একটি তারিখ নয়; এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু নেক আমল চিরস্থায়ী। নতুন মাসের শুরু যেন নতুন প্রেরণা হয়ে আসে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে।’ (সুরা রাদ: ১১)। তাই আসুন, এই পবিত্র জুমায় নিজেদের পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করি—নামাজে মনোযোগ দিই, কোরআন পাঠে নিয়মিত হই, মনের গ্লানি দূর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জীবন উৎসর্গ করি।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবতার মুক্তিদূত। বিশ্বজাহানের জন্য কল্যাণ ও রহমত হয়ে তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন। মানুষকে সত্যের পথ দেখানো এবং ইহকালীন-পরকালীন সাফল্যের নির্দেশনা দেওয়াই তাঁর জীবনের মিশন ছিল। তবে যাঁরা তাঁর আহ্বানে ইসলামের পথে আসেননি, তাঁদের সঙ্গেও তিনি মানবিক আচরণ করেছেন। সাহাবিদেরও নি
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১ দিন আগে