ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
মসজিদ আবাদ করা
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হলো, ইবাদতের মাধ্যমে মসজিদ আবাদ করা, প্রাণবন্ত ও চালু রাখা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদগুলো আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ইমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না।’
(সুরা তাওবা: ১৮)
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা
আল্লাহর ঘর এবং ইবাদতের উত্তম স্থান হিসেবে মসজিদ পরিষ্কার রাখা মুমিনের দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে তোমরা তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকুকারী-সিজদাকারীদের জন্য আমার ঘর পবিত্র করো।’ (সুরা বাকারা: ১২৫)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মসজিদের আবর্জনা পরিষ্কার করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর তৈরি করেন।’ (ইবনে মাজাহ)
উত্তম পোশাক পরা
নামাজ আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনকারী ইবাদত। তাই এই সময় সুন্দর পোশাক ও মার্জিত সাজসজ্জা করা জরুরি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বনি আদম, তোমরা প্রতিটি নামাজে সাজসজ্জা (সুন্দর পোশাক) গ্রহণ করো।’ (সুরা আরাফ: ৩১)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ নামাজে দাঁড়াবে, তবে সে যেন সুন্দর পোশাক পরে।’ (তাবারানি)
দুর্গন্ধযুক্ত খাবার পরিহার করা
যেসব খাবার খেলে মুখে গন্ধ হয়, সেগুলো খেয়ে মসজিদে যাওয়া যাবে না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পেঁয়াজ-রসুন বা এ-জাতীয় সবজি খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদের কাছেও না আসে। কেননা মানুষ যেসব কারণে কষ্ট পায়, ফেরেশতারাও একই কারণে কষ্ট পায়।’ (মুসলিম) অবশ্য পেঁয়াজ-রসুন বা এ-জাতীয় গন্ধযুক্ত কিছু খেয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে দুর্গন্ধমুক্ত হয়ে এলে কোনো অসুবিধা নেই।
মসজিদে ঢোকা ও বের হওয়ার শিষ্টাচার মান্য করা
মসজিদে ডান পায়ে প্রবেশ করা এবং বাঁ পায়ে বের হওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তুমি মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন ডান পায়ে শুরু করা এবং যখন মসজিদ থেকে বের হবে, তখন বাম পায়ে শুরু করা তোমার জন্য সুন্নত।’ (মুস্তাদরাক আল-হাকিম)। প্রবেশকালে পড়তে হয় ‘আল্লাহুম্মাফতাহলি আবওয়াবা রাহমাতিকা’ এবং বের হওয়ার সময় পড়তে হয় ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিকা।’
ধীরস্থিরভাবে মসজিদে যাওয়া
মসজিদে যাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো না করে ধীরস্থিরভাবে যাওয়া উত্তম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তোমরা ইকামত শুনবে, তখন নামাজের দিকে চলতে থাকবে। তোমাদের উচিত, স্থিরতা ও গাম্ভীর্য অবলম্বন করা। তাড়াহুড়ো করবে না।’ (বুখারি)
তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় করা
যেকোনো মসজিদই হোক তাতে প্রবেশের পর মসজিদের সম্মানার্থে দুই রাকাত নফল সালাত পড়া উত্তম। একে ইসলামের পরিভাষায় তাহিয়্যাতুল মসজিদ বলা হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে দুই রাকাত নামাজ আদায় না করে বসবে না।’ (বুখারি)
ইতিকাফের নিয়তে অবস্থান করা
মসজিদে যতক্ষণ অবস্থান করা হয়, ততক্ষণ ইতিকাফের নিয়তে অবস্থান করা সুন্নত। এই অবস্থানের মুহূর্তটি নামাজের মধ্যে গণ্য হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কারও মসজিদে অপেক্ষা করাটা নামাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। কারণ সে নামাজের জন্যই বসে আছে।’ (বুখারি)
ইমামের অনুসরণ করা
নামাজে মুসল্লিরা সব সময় ইমামকে অনুসরণ করবেন। কোনোভাবেই নামাজের কোনো কাজ ইমামের আগে করতে যাবেন না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নামাজ পরিপূর্ণ করার জন্য ইমাম নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি যখন রুকু করবেন, তখন তোমরাও রুকু করবে। তিনি যখন রুকু থেকে উঠবেন, তখন তোমরাও উঠবে। তিনি যখন নামাজে বসেন, তখন তোমরাও বসে নামাজ আদায় করবে।’ (বুখারি)
আজানের পর মসজিদ ত্যাগ না করা
আজান হওয়ার পর বৈধ কারণ ছাড়া মসজিদ ত্যাগ করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমার এই মসজিদে আজান শোনার পর প্রয়োজন ছাড়া কোনো লোক বাইরে গিয়ে ফিরে না এলে সে মুনাফিক।’ (তাবারানি)
মুসল্লিদের সামনে দিয়ে চলাচল না করা
নামাজরত মুসল্লিদের সামনে দিয়ে চলাচল করা নিষিদ্ধ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যদি মুসল্লির সামনে দিয়ে চলাচলকারী ব্যক্তি জানত যে তার ওপর কী পরিমাণ বোঝা চেপেছে, তবে ‘‘চল্লিশ’’ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকাকেও সে প্রাধান্য দিত।’ বর্ণনাকারী বলেন, ‘আমি জানি না, তিনি চল্লিশ দিন নাকি চল্লিশ বছর বলেছেন।’ (বুখারি)
মসজিদকে চলার পথ হিসেবে ব্যবহার না করা
ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আসকার ছাড়া মসজিদকে অন্য কাজে ব্যবহার করা অনুচিত; বিশেষ করে মসজিদকে চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা মসজিদকে রাস্তা হিসেবে গ্রহণ কোরো না। কেননা সেটা জিকির ও নামাজের জন্য।’ (তাবারানি)
হারানো বস্তু না খোঁজা এবং বেচাকেনা না করা
মসজিদে হারানো বস্তুর ঘোষণা দেওয়া অথবা বেচাকেনা করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা মসজিদে কোনো লোককে বেচাকেনা করতে দেখলে বলবে, আল্লাহ যেন তোমার ব্যবসায় লাভ না দেন। আর মসজিদে কোনো বস্তু হারানোর ঘোষণা শুনলে তোমরা বলবে, আল্লাহ তা যেন ফিরিয়ে না দেন।’ (তিরমিজি)
অপবিত্র অবস্থায় মসজিদে অবস্থান না করা
যার জন্য গোসল ফরজ হয়ে গেছে, তার পবিত্র হওয়া ছাড়া মসজিদে অবস্থান করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘ঋতুস্রাবযুক্ত নারী এবং অপবিত্র ব্যক্তির জন্য মসজিদে অবস্থান করা আমি বৈধ মনে করি না।’ (আবু দাউদ)
অহেতুক কথাবার্তা না বলা
অন্যের ইবাদত ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোনো অনর্থক ও দুনিয়াবি কথা মসজিদে বলা জায়েজ নয়। মসজিদে চুপচাপ থাকাও ইবাদত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘এমন এক সময় আসবে, যখন মানুষ মসজিদে দুনিয়াবি কথা বলবে, তখন তোমরা তাদের সঙ্গে বোসো না।’ (বুখারি)
একইভাবে বর্তমানে মোবাইল ফোন বন্ধ রাখাও মুসল্লির অন্যতম কর্তব্য। কারণ মসজিদে মোবাইল ফোন বাজলে তা ইবাদতের পরিবেশ নষ্ট করে। তাই মসজিদে প্রবেশের আগে বা যখনই খেয়াল হয়, তখনই মোবাইল বন্ধ করা জরুরি।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
মসজিদ আবাদ করা
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হলো, ইবাদতের মাধ্যমে মসজিদ আবাদ করা, প্রাণবন্ত ও চালু রাখা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদগুলো আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ইমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না।’
(সুরা তাওবা: ১৮)
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা
আল্লাহর ঘর এবং ইবাদতের উত্তম স্থান হিসেবে মসজিদ পরিষ্কার রাখা মুমিনের দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে তোমরা তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকুকারী-সিজদাকারীদের জন্য আমার ঘর পবিত্র করো।’ (সুরা বাকারা: ১২৫)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মসজিদের আবর্জনা পরিষ্কার করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর তৈরি করেন।’ (ইবনে মাজাহ)
উত্তম পোশাক পরা
নামাজ আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনকারী ইবাদত। তাই এই সময় সুন্দর পোশাক ও মার্জিত সাজসজ্জা করা জরুরি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বনি আদম, তোমরা প্রতিটি নামাজে সাজসজ্জা (সুন্দর পোশাক) গ্রহণ করো।’ (সুরা আরাফ: ৩১)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ নামাজে দাঁড়াবে, তবে সে যেন সুন্দর পোশাক পরে।’ (তাবারানি)
দুর্গন্ধযুক্ত খাবার পরিহার করা
যেসব খাবার খেলে মুখে গন্ধ হয়, সেগুলো খেয়ে মসজিদে যাওয়া যাবে না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পেঁয়াজ-রসুন বা এ-জাতীয় সবজি খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদের কাছেও না আসে। কেননা মানুষ যেসব কারণে কষ্ট পায়, ফেরেশতারাও একই কারণে কষ্ট পায়।’ (মুসলিম) অবশ্য পেঁয়াজ-রসুন বা এ-জাতীয় গন্ধযুক্ত কিছু খেয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে দুর্গন্ধমুক্ত হয়ে এলে কোনো অসুবিধা নেই।
মসজিদে ঢোকা ও বের হওয়ার শিষ্টাচার মান্য করা
মসজিদে ডান পায়ে প্রবেশ করা এবং বাঁ পায়ে বের হওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তুমি মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন ডান পায়ে শুরু করা এবং যখন মসজিদ থেকে বের হবে, তখন বাম পায়ে শুরু করা তোমার জন্য সুন্নত।’ (মুস্তাদরাক আল-হাকিম)। প্রবেশকালে পড়তে হয় ‘আল্লাহুম্মাফতাহলি আবওয়াবা রাহমাতিকা’ এবং বের হওয়ার সময় পড়তে হয় ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিকা।’
ধীরস্থিরভাবে মসজিদে যাওয়া
মসজিদে যাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো না করে ধীরস্থিরভাবে যাওয়া উত্তম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তোমরা ইকামত শুনবে, তখন নামাজের দিকে চলতে থাকবে। তোমাদের উচিত, স্থিরতা ও গাম্ভীর্য অবলম্বন করা। তাড়াহুড়ো করবে না।’ (বুখারি)
তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় করা
যেকোনো মসজিদই হোক তাতে প্রবেশের পর মসজিদের সম্মানার্থে দুই রাকাত নফল সালাত পড়া উত্তম। একে ইসলামের পরিভাষায় তাহিয়্যাতুল মসজিদ বলা হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে দুই রাকাত নামাজ আদায় না করে বসবে না।’ (বুখারি)
ইতিকাফের নিয়তে অবস্থান করা
মসজিদে যতক্ষণ অবস্থান করা হয়, ততক্ষণ ইতিকাফের নিয়তে অবস্থান করা সুন্নত। এই অবস্থানের মুহূর্তটি নামাজের মধ্যে গণ্য হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কারও মসজিদে অপেক্ষা করাটা নামাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। কারণ সে নামাজের জন্যই বসে আছে।’ (বুখারি)
ইমামের অনুসরণ করা
নামাজে মুসল্লিরা সব সময় ইমামকে অনুসরণ করবেন। কোনোভাবেই নামাজের কোনো কাজ ইমামের আগে করতে যাবেন না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নামাজ পরিপূর্ণ করার জন্য ইমাম নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি যখন রুকু করবেন, তখন তোমরাও রুকু করবে। তিনি যখন রুকু থেকে উঠবেন, তখন তোমরাও উঠবে। তিনি যখন নামাজে বসেন, তখন তোমরাও বসে নামাজ আদায় করবে।’ (বুখারি)
আজানের পর মসজিদ ত্যাগ না করা
আজান হওয়ার পর বৈধ কারণ ছাড়া মসজিদ ত্যাগ করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমার এই মসজিদে আজান শোনার পর প্রয়োজন ছাড়া কোনো লোক বাইরে গিয়ে ফিরে না এলে সে মুনাফিক।’ (তাবারানি)
মুসল্লিদের সামনে দিয়ে চলাচল না করা
নামাজরত মুসল্লিদের সামনে দিয়ে চলাচল করা নিষিদ্ধ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যদি মুসল্লির সামনে দিয়ে চলাচলকারী ব্যক্তি জানত যে তার ওপর কী পরিমাণ বোঝা চেপেছে, তবে ‘‘চল্লিশ’’ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকাকেও সে প্রাধান্য দিত।’ বর্ণনাকারী বলেন, ‘আমি জানি না, তিনি চল্লিশ দিন নাকি চল্লিশ বছর বলেছেন।’ (বুখারি)
মসজিদকে চলার পথ হিসেবে ব্যবহার না করা
ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আসকার ছাড়া মসজিদকে অন্য কাজে ব্যবহার করা অনুচিত; বিশেষ করে মসজিদকে চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা মসজিদকে রাস্তা হিসেবে গ্রহণ কোরো না। কেননা সেটা জিকির ও নামাজের জন্য।’ (তাবারানি)
হারানো বস্তু না খোঁজা এবং বেচাকেনা না করা
মসজিদে হারানো বস্তুর ঘোষণা দেওয়া অথবা বেচাকেনা করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা মসজিদে কোনো লোককে বেচাকেনা করতে দেখলে বলবে, আল্লাহ যেন তোমার ব্যবসায় লাভ না দেন। আর মসজিদে কোনো বস্তু হারানোর ঘোষণা শুনলে তোমরা বলবে, আল্লাহ তা যেন ফিরিয়ে না দেন।’ (তিরমিজি)
অপবিত্র অবস্থায় মসজিদে অবস্থান না করা
যার জন্য গোসল ফরজ হয়ে গেছে, তার পবিত্র হওয়া ছাড়া মসজিদে অবস্থান করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘ঋতুস্রাবযুক্ত নারী এবং অপবিত্র ব্যক্তির জন্য মসজিদে অবস্থান করা আমি বৈধ মনে করি না।’ (আবু দাউদ)
অহেতুক কথাবার্তা না বলা
অন্যের ইবাদত ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোনো অনর্থক ও দুনিয়াবি কথা মসজিদে বলা জায়েজ নয়। মসজিদে চুপচাপ থাকাও ইবাদত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘এমন এক সময় আসবে, যখন মানুষ মসজিদে দুনিয়াবি কথা বলবে, তখন তোমরা তাদের সঙ্গে বোসো না।’ (বুখারি)
একইভাবে বর্তমানে মোবাইল ফোন বন্ধ রাখাও মুসল্লির অন্যতম কর্তব্য। কারণ মসজিদে মোবাইল ফোন বাজলে তা ইবাদতের পরিবেশ নষ্ট করে। তাই মসজিদে প্রবেশের আগে বা যখনই খেয়াল হয়, তখনই মোবাইল বন্ধ করা জরুরি।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
৯ ঘণ্টা আগেচরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ।
১৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হলো, ইবাদতের মাধ্যমে মসজিদ আবাদ করা, প্রাণবন্ত ও চালু রাখা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদগুলো আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ইমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না।’
০৪ আগস্ট ২০২৩এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
৯ ঘণ্টা আগেচরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ।
১৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
বিয়ে মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এটি কেবল দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবার, দুটি আত্মা ও দুটি হৃদয়ের পবিত্র বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে দাম্পত্যজীবনে গড়ে ওঠে পারস্পরিক ভালোবাসা, শান্তি ও মধুর সম্পর্ক।
তাই ইসলাম এই সম্পর্ককে শুধু সামাজিক চুক্তি হিসেবে দেখেনি, বরং একে করেছে ইবাদতের অংশ। এ কারণেই নবীজি (সা.) পুরুষদের স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা হয়। ১. তার সম্পদ, ২. তার বংশমর্যাদা, ৩. তার সৌন্দর্য, ৪. তার দ্বীনদার। অতএব তুমি দ্বীনদারকেই প্রাধান্য দাও। না হলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫০৯০)
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
কারণ, সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী, সম্পদ পরিবর্তনশীল, বংশমর্যাদা বাহ্যিক মর্যাদা মাত্র; কিন্তু দ্বীনদার হলো এমন এক গুণ, যা জীবনকে আখিরাতের সফলতার পথে নিয়ে যায় এবং দাম্পত্যসম্পর্ককে প্রকৃত অর্থে স্থায়ী সুখ-শান্তির নিশ্চয়তা দেয়।
নবীজি (সা.)-এর এ নির্দেশনার মূল কথা হলো, যখনই দ্বীনদার কোনো নারী পাওয়া যাবে, তখন তাকেই সর্বাগ্রে বিবেচনায় নিতে হবে। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো গুণসম্পন্নাকে প্রাধান্য দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না।
কারণ দ্বীনদার ছাড়া অন্য সব গুণ একসময় ম্লান হয়ে যায়, কিন্তু দ্বীনদারের আলো দাম্পত্যজীবনকে চিরভালোবাসা, আস্থা ও সন্তুষ্টিতে ভরিয়ে রাখে।
অতএব, একজন মুসলিম যুবকের জন্য স্ত্রী নির্বাচনকালে সর্বোত্তম নির্দেশনা হলো, এমন নারীকে বেছে নেওয়া, যিনি দ্বীনদার, আল্লাহভীরু ও ইসলামি আদর্শে জীবন পরিচালনা করতে অভ্যস্ত। এর মাধ্যমে সংসার হবে শান্তিময়, জীবন হবে কল্যাণময় এবং আখিরাত হবে সফল।
লেখক: ইবরাহীম আল খলীল, সহকারী শিক্ষাসচিব, মাদ্রাসা আশরাফুল মাদারিস, তেজগাঁও ঢাকা
বিয়ে মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এটি কেবল দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবার, দুটি আত্মা ও দুটি হৃদয়ের পবিত্র বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে দাম্পত্যজীবনে গড়ে ওঠে পারস্পরিক ভালোবাসা, শান্তি ও মধুর সম্পর্ক।
তাই ইসলাম এই সম্পর্ককে শুধু সামাজিক চুক্তি হিসেবে দেখেনি, বরং একে করেছে ইবাদতের অংশ। এ কারণেই নবীজি (সা.) পুরুষদের স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা হয়। ১. তার সম্পদ, ২. তার বংশমর্যাদা, ৩. তার সৌন্দর্য, ৪. তার দ্বীনদার। অতএব তুমি দ্বীনদারকেই প্রাধান্য দাও। না হলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫০৯০)
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
কারণ, সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী, সম্পদ পরিবর্তনশীল, বংশমর্যাদা বাহ্যিক মর্যাদা মাত্র; কিন্তু দ্বীনদার হলো এমন এক গুণ, যা জীবনকে আখিরাতের সফলতার পথে নিয়ে যায় এবং দাম্পত্যসম্পর্ককে প্রকৃত অর্থে স্থায়ী সুখ-শান্তির নিশ্চয়তা দেয়।
নবীজি (সা.)-এর এ নির্দেশনার মূল কথা হলো, যখনই দ্বীনদার কোনো নারী পাওয়া যাবে, তখন তাকেই সর্বাগ্রে বিবেচনায় নিতে হবে। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো গুণসম্পন্নাকে প্রাধান্য দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না।
কারণ দ্বীনদার ছাড়া অন্য সব গুণ একসময় ম্লান হয়ে যায়, কিন্তু দ্বীনদারের আলো দাম্পত্যজীবনকে চিরভালোবাসা, আস্থা ও সন্তুষ্টিতে ভরিয়ে রাখে।
অতএব, একজন মুসলিম যুবকের জন্য স্ত্রী নির্বাচনকালে সর্বোত্তম নির্দেশনা হলো, এমন নারীকে বেছে নেওয়া, যিনি দ্বীনদার, আল্লাহভীরু ও ইসলামি আদর্শে জীবন পরিচালনা করতে অভ্যস্ত। এর মাধ্যমে সংসার হবে শান্তিময়, জীবন হবে কল্যাণময় এবং আখিরাত হবে সফল।
লেখক: ইবরাহীম আল খলীল, সহকারী শিক্ষাসচিব, মাদ্রাসা আশরাফুল মাদারিস, তেজগাঁও ঢাকা
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হলো, ইবাদতের মাধ্যমে মসজিদ আবাদ করা, প্রাণবন্ত ও চালু রাখা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদগুলো আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ইমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না।’
০৪ আগস্ট ২০২৩নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগেচরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ।
১৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেশাব্বির আহমদ
চরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ। কেউ যখন লজ্জাবোধ হারায়, তার তখন নৈতিক পতনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কেননা কোনো পাপকাজে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে লজ্জাহীন ব্যক্তির আর কোনো দ্বিধা থাকে না।
নবী করিম (সা.) স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, ‘লজ্জা ইমানের একটি বিশেষ শাখা।’ (সহিহ্ বুখারি)। আর এ লজ্জাবোধ মানুষকে ইমান ও স্বচ্ছতার পথে চলতে সহযোগিতা করে। বলা যায়, লজ্জা হলো একটি অভ্যন্তরীণ জবাবদিহির কাঠগড়া, যা মানুষকে পাপ ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। যার মধ্যে লাজুকতা যতটুকু থাকে, সে পাপ ও অন্যায় কাজে লিপ্ত হতে ততটাই সংকোচবোধ করে।
লজ্জাহীনতা কেন নৈতিক পতনের প্রথম ধাপ? কারণ, যখন লজ্জা চলে যায়, তখন আর কোনো কিছুই নৈতিক মানদণ্ড হিসেবে অবশিষ্ট থাকে না। নবীজি (সা.) চরম লজ্জাহীনতার পরিণতি বোঝাতে গিয়ে বলেন, ‘যখন তুমি নির্লজ্জ হয়ে পড়বে, তখন যা ইচ্ছা তা-ই করো।’ (সহিহ্ বুখারি)। তাঁর এ কথাটি মূলত একটি হুঁশিয়ারি। লজ্জাহীনতা মানুষকে সব ধরনের অন্যায় ও অশ্লীল কাজের দিকে ঠেলে দেয়, যা শেষ পর্যন্ত তাকে ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত করে। পক্ষান্তরে লজ্জাশীলতা মানুষকে জান্নাতের পথে নিয়ে যায়। হাদিসের ভাষায়, ‘লজ্জা ইমানের অঙ্গ, আর ইমানদারের স্থান জান্নাত। লজ্জাহীনতা দুশ্চরিত্রের অঙ্গ, আর দুশ্চরিত্রের স্থান জাহান্নাম।’ (জামে তিরমিজি)
চরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ। কেউ যখন লজ্জাবোধ হারায়, তার তখন নৈতিক পতনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কেননা কোনো পাপকাজে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে লজ্জাহীন ব্যক্তির আর কোনো দ্বিধা থাকে না।
নবী করিম (সা.) স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, ‘লজ্জা ইমানের একটি বিশেষ শাখা।’ (সহিহ্ বুখারি)। আর এ লজ্জাবোধ মানুষকে ইমান ও স্বচ্ছতার পথে চলতে সহযোগিতা করে। বলা যায়, লজ্জা হলো একটি অভ্যন্তরীণ জবাবদিহির কাঠগড়া, যা মানুষকে পাপ ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। যার মধ্যে লাজুকতা যতটুকু থাকে, সে পাপ ও অন্যায় কাজে লিপ্ত হতে ততটাই সংকোচবোধ করে।
লজ্জাহীনতা কেন নৈতিক পতনের প্রথম ধাপ? কারণ, যখন লজ্জা চলে যায়, তখন আর কোনো কিছুই নৈতিক মানদণ্ড হিসেবে অবশিষ্ট থাকে না। নবীজি (সা.) চরম লজ্জাহীনতার পরিণতি বোঝাতে গিয়ে বলেন, ‘যখন তুমি নির্লজ্জ হয়ে পড়বে, তখন যা ইচ্ছা তা-ই করো।’ (সহিহ্ বুখারি)। তাঁর এ কথাটি মূলত একটি হুঁশিয়ারি। লজ্জাহীনতা মানুষকে সব ধরনের অন্যায় ও অশ্লীল কাজের দিকে ঠেলে দেয়, যা শেষ পর্যন্ত তাকে ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত করে। পক্ষান্তরে লজ্জাশীলতা মানুষকে জান্নাতের পথে নিয়ে যায়। হাদিসের ভাষায়, ‘লজ্জা ইমানের অঙ্গ, আর ইমানদারের স্থান জান্নাত। লজ্জাহীনতা দুশ্চরিত্রের অঙ্গ, আর দুশ্চরিত্রের স্থান জাহান্নাম।’ (জামে তিরমিজি)
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হলো, ইবাদতের মাধ্যমে মসজিদ আবাদ করা, প্রাণবন্ত ও চালু রাখা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদগুলো আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ইমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না।’
০৪ আগস্ট ২০২৩নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৭ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৬ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৮ মিনিট | ০৬: ৪২ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪৩ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৭ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৬ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৮ মিনিট | ০৬: ৪২ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪৩ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হলো, ইবাদতের মাধ্যমে মসজিদ আবাদ করা, প্রাণবন্ত ও চালু রাখা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদগুলো আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ইমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না।’
০৪ আগস্ট ২০২৩নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
৯ ঘণ্টা আগেচরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ।
১৯ ঘণ্টা আগে