বেইলি রোড

রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে ৪৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চারজনকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ঢাকায় বেইলি রোডে ভবনে আগুনের ঘটনায় নিহত আরও একটি মরদেহ শনাক্তের পর হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁর নাম কে এম মিনহাজ উদ্দিন (২৬)। আজ শনিবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়। এ সময় মিনহাজের বড় ভাই আমিনুল ইসলাম খান মরদেহটি বুঝে নেন। 

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এ শোক প্রকাশ করেন 

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) দোকান পরিদর্শক অফিসারদের ম্যানেজ করে অবৈধভাবে বেইলি রোডের ওই গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে রেস্তোরাঁ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ 

ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা ২টা। বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীদের ভিড়। এত মানুষের জটলার মাঝেও কেমন একটা নীরবতা বিরাজ করছে। ঘরের ভেতর থেকে মাঝেমধ্যে বিলাপের সুর ভেসে আসছে। একটু এগিয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে দেখা যায় ইডেন কলেজের ‘অভিশ্রুতি বৃষ্টি’ লেখা একটি ক্রেস্ট ও ছবিসংবলিত ‘বৃষ্টি খাতুন’ নামের একটি পরীক্ষার প্রবে

রাজধানীতে যত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে সিলগালা করতে তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) চিঠি দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া এই চিঠি দেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে আহত অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল ১১ জনকে। তাদের মধ্যে ছয়জন সুস্থ হওয়ায় তাদের শিগগির ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে আগুনে পুড়ে ৪৬ জন নিহতের ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যু সংঘটনের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ। 

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার ভোর পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ নারী ও শিশু। একটি পরিবারের চার সদস্যদের সবাই পুড়ে মারা গেছে। ভিকারুননিসা নূন স্কুলের এক শিক্ষক ও তাঁর মেয়ে এবং বুয়েটের এক

একমাত্র শিশু সন্তানের আবদার রক্ষা করতে আরও চার স্বজনকে নিয়ে রাজধানীর বেইলি রোডে রেস্টুরেন্টে খেতে যান পিরোজপুরের তানজিনা এশা। আগুন লাগলে সন্তান–স্বজনদের বাইরে বের করে বাঁচাতে পারলেও দগ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। 

সাংবাদিক মেয়ের সঙ্গে কথা বলবেন। তাই হন্যে হয়ে নিজের মোবাইল ফোন খুঁজছেন মা বিউটি বেগম। কখনো ফোনের জন্য চিৎকার করে সারা বাড়ি মাথায় তুলছেন। ফোনকল পেলেই ঢাকায় মেয়ে বৃষ্টি খাতুনের কাছে ছুটে যাবেন। ছোট মেয়ে বর্ষা মাকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন। প্রতিবেশীরাও যেন শোকে পাথর হয়ে গেছেন!

‘আমার তো সব শেষ। ছেলে-বউ, নাতি-নাতনি কেউ নাই, আমি অহন কেমনে বাঁচুম। তোমড়া কেউ হেরারে আইন্না দেও’—বুক ফাটা বিলাপ করে কথাগুলো বলছিলেন নিহত ইতালিপ্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেনের বৃদ্ধা মা হেলেনা বেগম। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার প্রবাসী ওই পরিবারের সব সদস্

বেইলি রোডে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৬ জনের একজন সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, তিনি সম্প্রতি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হলেন তিনি!

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ এ পর্যন্ত ৪৬ জনের নিহত হয়েছেন। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও গভীর শোক প্রকাশ করছে। পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ অনুসন্ধান করে দায়ী সংস্থা ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দা

রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে আগুনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। আজ শুক্রবার রাজধানী থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজনসহ ছয় পরিবারের ১৫ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশই এ ভবনের রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে গিয়েছিলেন।

ঢাকার বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কুমিল্লার দুই আপন বোন ও এক খালাতো বোন নিহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন—আপন দুই বোন ফৌজিয়া আফরিন রিয়া, সাদিয়া আফরিন আলিশা ও খালাতো বোন নুসরাত জাহান নিমু।