নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে ৪৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চারজনকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
যাঁদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন ভবনের কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান, চা চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুল।
সন্ধ্যার আগে তাঁদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনছার মিলটন সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতের প্রসিকিউশন দপ্তরের রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই নিজাম উদ্দিন ফকির চারজনকে রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামে ভবনটিতে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ৪৬ জন মারা গেছেন। ১১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮টি শিশু রয়েছে।
এ ঘটনায় আজ সকালে রমনা মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন—ভবনটির নিচতলায় থাকা চা কফির দোকান চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক (২৯), গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের মালিক আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ, ভবনের ম্যানেজার মুন্সি হামিমুল আলম বিপুল (৪০) এবং কাচ্চি ভাই নামে রেস্তোরাঁর মালিক মো. সোহেল সিরাজ (৩৪)। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ভবনটির মালিক ও ম্যানেজার সংশ্লিষ্ট যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট এবং দোকান ভাড়া দেন। রেস্টুরেন্টগুলো যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়া রান্নার কাজে গ্যাসের সিলিন্ডার এবং চুলা ব্যবহার করে। রান্নার কাজে ব্যবহারের জন্য ভবনের মালিক ও ম্যানেজারের যোগসাজশে চুমুক, কাচ্চি ভাই, মেজবানী রেস্টুরেন্ট, খানাস ফ্ল্যাগশিপ, স্ট্রিট ওভেন, জেস্টি, হাক্কা ঢাক্কা, শেখহলি, ফয়সাল জুসবার (বার্গার), ওয়াফেলবে, তাওয়াজ, পিৎজা-ইন, ফোকো এবং অ্যামব্রোসিয়া রেস্তোরাঁর মালিকেরা ভবনটির নিচতলায় বিপুল পরিমাণে গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করেন।
তাঁরা জননিরাপত্তা তোয়াক্কা না করে অবহেলা, অসাবধানতা, বেপরোয়া, তাচ্ছিল্যপূর্ণ ও বিপজ্জনকভাবে এই গ্যাস সিলিন্ডার এবং গ্যাসের চুলা ব্যবহার করে আসছিলেন। এই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়। এই আগুনের তাপ ও প্রচণ্ড ধোঁয়া পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে বিভিন্ন ফ্লোরে থাকা রেস্টুরেন্ট ও দোকানে অবস্থানকারী লোকজন আগুনে পুড়ে ও ধোঁয়া শ্বাসনালিতে ঢুকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান এবং গুরুতর আহত হন।
পুলিশ মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করেছে, ভবনটি আবাসিক ভবন হিসেবে নির্মিত হলেও পরবর্তী সময় মালিক ভবনের বিভিন্ন ফ্লোর ব্যবসায়িক কাজে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নেয়।
ভবনটির যেসব তলায় রেস্তোরাঁ ছিল, সেগুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের জন্য ফায়ার সার্ভিসের কোনো অনুমোদন নেয়নি। এ ছাড়া অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি ভবনটিতে ফায়ার এক্সিট সিঁড়িও নেই।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ভবনের মালিক, ম্যানেজার ও রেস্তোরাঁর মালিকেরা ভবন ব্যবহারের যথাযথ নিয়ম মানেননি। তাঁরা আবাসিক ভবনকে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য ভাড়া দিয়েছেন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) দোকান পরিদর্শকদের ম্যানেজ করে অবৈধভাবে রেস্তোরাঁ স্থাপন করে, গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার ব্যবহার করেছেন।
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে ৪৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চারজনকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
যাঁদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন ভবনের কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান, চা চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুল।
সন্ধ্যার আগে তাঁদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনছার মিলটন সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতের প্রসিকিউশন দপ্তরের রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই নিজাম উদ্দিন ফকির চারজনকে রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামে ভবনটিতে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ৪৬ জন মারা গেছেন। ১১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮টি শিশু রয়েছে।
এ ঘটনায় আজ সকালে রমনা মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন—ভবনটির নিচতলায় থাকা চা কফির দোকান চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক (২৯), গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের মালিক আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ, ভবনের ম্যানেজার মুন্সি হামিমুল আলম বিপুল (৪০) এবং কাচ্চি ভাই নামে রেস্তোরাঁর মালিক মো. সোহেল সিরাজ (৩৪)। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ভবনটির মালিক ও ম্যানেজার সংশ্লিষ্ট যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট এবং দোকান ভাড়া দেন। রেস্টুরেন্টগুলো যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়া রান্নার কাজে গ্যাসের সিলিন্ডার এবং চুলা ব্যবহার করে। রান্নার কাজে ব্যবহারের জন্য ভবনের মালিক ও ম্যানেজারের যোগসাজশে চুমুক, কাচ্চি ভাই, মেজবানী রেস্টুরেন্ট, খানাস ফ্ল্যাগশিপ, স্ট্রিট ওভেন, জেস্টি, হাক্কা ঢাক্কা, শেখহলি, ফয়সাল জুসবার (বার্গার), ওয়াফেলবে, তাওয়াজ, পিৎজা-ইন, ফোকো এবং অ্যামব্রোসিয়া রেস্তোরাঁর মালিকেরা ভবনটির নিচতলায় বিপুল পরিমাণে গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করেন।
তাঁরা জননিরাপত্তা তোয়াক্কা না করে অবহেলা, অসাবধানতা, বেপরোয়া, তাচ্ছিল্যপূর্ণ ও বিপজ্জনকভাবে এই গ্যাস সিলিন্ডার এবং গ্যাসের চুলা ব্যবহার করে আসছিলেন। এই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়। এই আগুনের তাপ ও প্রচণ্ড ধোঁয়া পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে বিভিন্ন ফ্লোরে থাকা রেস্টুরেন্ট ও দোকানে অবস্থানকারী লোকজন আগুনে পুড়ে ও ধোঁয়া শ্বাসনালিতে ঢুকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান এবং গুরুতর আহত হন।
পুলিশ মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করেছে, ভবনটি আবাসিক ভবন হিসেবে নির্মিত হলেও পরবর্তী সময় মালিক ভবনের বিভিন্ন ফ্লোর ব্যবসায়িক কাজে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নেয়।
ভবনটির যেসব তলায় রেস্তোরাঁ ছিল, সেগুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের জন্য ফায়ার সার্ভিসের কোনো অনুমোদন নেয়নি। এ ছাড়া অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি ভবনটিতে ফায়ার এক্সিট সিঁড়িও নেই।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ভবনের মালিক, ম্যানেজার ও রেস্তোরাঁর মালিকেরা ভবন ব্যবহারের যথাযথ নিয়ম মানেননি। তাঁরা আবাসিক ভবনকে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য ভাড়া দিয়েছেন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) দোকান পরিদর্শকদের ম্যানেজ করে অবৈধভাবে রেস্তোরাঁ স্থাপন করে, গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার ব্যবহার করেছেন।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। বর্ষার শুরু থেকেই এ বিহারজুড়ে যেন নতুন এক প্রাণের স্পর্শ লেগেছে। লাল, হলুদ, কমলা, বেগুনি ও সাদা নানা রঙের ফুলে ঢেকে গেছে পুরো চত্বর। তার সঙ্গে আলপনায় সাজানো পথ, পাতা-লতা দিয়ে তৈরি পশুপাখির প্রতিকৃতি আর পর্যটকদের পদচারণায়
১ মিনিট আগেবৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতভর টানা ভারী বৃষ্টিতে সড়কের নন্দারাম, চাইল্ল্যাতলী ও চম্পকনগর এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ে। বড় বড় পাথর ও গাছপালাসহ বিপুল পরিমাণ মাটি সড়কের ওপর পড়ে থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকে যায়। নারী ও শিশুসহ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
৯ মিনিট আগেকক্সবাজারের টেকনাফে বোরকা পরে নারীর ছদ্মবেশে চলাফেরার সময় এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তির নাম রসিদ আহমদ (২৭)। তিনি টেকনাফের ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ফরিদ আহমদের ছেলে।
২৬ মিনিট আগেঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুর জেলার শিবচরে কাভার্ডভ্যানের পেছনে মাইক্রোবাস এবং তার পেছনে বাসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে একজন নারীসহ মাইক্রোবাসের দুইজন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ভোরে পদ্মারেল স্টেশন সংলগ্ন এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর সীমানা নামক স্থানের ঢাকাগামী লেনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪১ মিনিট আগে