সম্পাদকীয়
রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার ভোর পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ নারী ও শিশু। একটি পরিবারের চার সদস্যদের সবাই পুড়ে মারা গেছে। ভিকারুননিসা নূন স্কুলের এক শিক্ষক ও তাঁর মেয়ে এবং বুয়েটের এক ছাত্রীর মৃত্যুর খবরও নিশ্চিত হওয়া গেছে। গুরুতর আহত আরও কয়েকজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
আজকের পত্রিকায় শুক্রবার প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, গ্রিন কোজি কটেজ নামের সাততলা ভবনের নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত পুরোটাই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে নিচতলায় একাধিক কাপড়ের দোকান এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যের যন্ত্রাংশ বিক্রি হয়।
দ্বিতীয় তলা থেকে শুরু করে ওপরের দিকে কাচ্চি ভাই, কেএফসি, পিজ্জা ইনসহ বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। ভবনটিতে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। আগুন দ্রুত পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। আটকে পড়ে অনেক মানুষ। বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় খেতে আসা লোকজন এবং দোকান ও রেস্তোরাঁর কর্মীদের আর্তচিৎকারে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের ল টার্ন টেবল লেডার (টিটিএল) ব্যবহার করে আটকে পড়াদের নামিয়ে আনার কাজ শুরু করেন। ফায়ারের ১২টি ইউনিট কাজ করে ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিআইডির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, ‘ভবনের নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। তবে শর্টসার্কিট না গ্যাসের কারণে হয়েছে, সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আলামত সংগ্রহ করে ল্যাবে কেমিক্যাল টেস্ট করার পর আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মানবসৃষ্ট কোনো ত্রুটি থাকলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন উল্লেখ করেছেন।
যখনই কোনো মর্মস্তুদ ঘটনা ঘটে, তখনই বড়কর্তাদের মুখ থেকে ছাড় না দেওয়ার কথা উচ্চারিত হয়। এমন কথা আমরা অতীতেও বহুবার শুনেছি। দেখেছি কত তদন্ত কমিটি। কিন্তু বন্ধ হয়নি অনিয়ম। পরিকল্পিত নগরায়ণের কথা শুধু বক্তৃতায় শোনা যায়, বাস্তবে দেখা যায় না। বহুতল ভবনে থাকে না আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।
রাজধানীর মধ্যবিত্তদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বলে খ্যাত ‘নাটকপাড়া’ বেইলি রোডের একটি রেস্টুরেন্টে নৈশ আহারে গিয়ে এতগুলো প্রাণ ঝরে গেল! কে নেবে এর দায়? কারও গাফিলতি কিংবা আইন না মানার কারণে যদি কারও মৃত্যু ঘটে, তাকে কি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলা হবে না?
এই শহরে যানবাহন নিরাপদ নয়, ভবন নিরাপদ নয়, রেস্টুরেন্ট, বিনোদন পার্ক—কিছুই নিরাপদ নয়। শৃঙ্খলাহীনতা, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করার বেপরোয়া মনোভাবের কারণে নিয়মিত কত প্রাণ যায়, কত কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়, কিন্তু দায়িত্বহীনতার অবসান হয় না। আর কত মৃত্যু দেখলে, আর কত স্বজন হারানো মানুষের হাহাকার শুনলে আমরা দায়িত্বসচেতন হয়ে উঠব?
রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার ভোর পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ নারী ও শিশু। একটি পরিবারের চার সদস্যদের সবাই পুড়ে মারা গেছে। ভিকারুননিসা নূন স্কুলের এক শিক্ষক ও তাঁর মেয়ে এবং বুয়েটের এক ছাত্রীর মৃত্যুর খবরও নিশ্চিত হওয়া গেছে। গুরুতর আহত আরও কয়েকজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
আজকের পত্রিকায় শুক্রবার প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, গ্রিন কোজি কটেজ নামের সাততলা ভবনের নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত পুরোটাই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে নিচতলায় একাধিক কাপড়ের দোকান এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যের যন্ত্রাংশ বিক্রি হয়।
দ্বিতীয় তলা থেকে শুরু করে ওপরের দিকে কাচ্চি ভাই, কেএফসি, পিজ্জা ইনসহ বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। ভবনটিতে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। আগুন দ্রুত পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। আটকে পড়ে অনেক মানুষ। বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় খেতে আসা লোকজন এবং দোকান ও রেস্তোরাঁর কর্মীদের আর্তচিৎকারে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের ল টার্ন টেবল লেডার (টিটিএল) ব্যবহার করে আটকে পড়াদের নামিয়ে আনার কাজ শুরু করেন। ফায়ারের ১২টি ইউনিট কাজ করে ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিআইডির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, ‘ভবনের নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। তবে শর্টসার্কিট না গ্যাসের কারণে হয়েছে, সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আলামত সংগ্রহ করে ল্যাবে কেমিক্যাল টেস্ট করার পর আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মানবসৃষ্ট কোনো ত্রুটি থাকলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন উল্লেখ করেছেন।
যখনই কোনো মর্মস্তুদ ঘটনা ঘটে, তখনই বড়কর্তাদের মুখ থেকে ছাড় না দেওয়ার কথা উচ্চারিত হয়। এমন কথা আমরা অতীতেও বহুবার শুনেছি। দেখেছি কত তদন্ত কমিটি। কিন্তু বন্ধ হয়নি অনিয়ম। পরিকল্পিত নগরায়ণের কথা শুধু বক্তৃতায় শোনা যায়, বাস্তবে দেখা যায় না। বহুতল ভবনে থাকে না আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।
রাজধানীর মধ্যবিত্তদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বলে খ্যাত ‘নাটকপাড়া’ বেইলি রোডের একটি রেস্টুরেন্টে নৈশ আহারে গিয়ে এতগুলো প্রাণ ঝরে গেল! কে নেবে এর দায়? কারও গাফিলতি কিংবা আইন না মানার কারণে যদি কারও মৃত্যু ঘটে, তাকে কি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলা হবে না?
এই শহরে যানবাহন নিরাপদ নয়, ভবন নিরাপদ নয়, রেস্টুরেন্ট, বিনোদন পার্ক—কিছুই নিরাপদ নয়। শৃঙ্খলাহীনতা, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করার বেপরোয়া মনোভাবের কারণে নিয়মিত কত প্রাণ যায়, কত কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়, কিন্তু দায়িত্বহীনতার অবসান হয় না। আর কত মৃত্যু দেখলে, আর কত স্বজন হারানো মানুষের হাহাকার শুনলে আমরা দায়িত্বসচেতন হয়ে উঠব?
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪