বিএনপির সমাবেশ

রাজধানীতে আজ শনিবার বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উত্তরের জেলাগুলো থেকে ঢাকামুখী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে দু-একটি বাস ছেড়ে গেলেও বিকেলের দিকে এসে তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

গোলাপবাগ থেকে মুগদা স্টেডিয়ামের দূরত্ব এক কিলোমিটারের বেশি। পুরো রাস্তাজুড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা, যা ছুঁয়েছে বাসাবো পর্যন্ত। স্টেডিয়ামের সামনে টিটিপাড়া চেকপোস্টে দেখা মিলল পুলিশের বড় জমায়েত। রায়ট কার, এপিসি, পানি মারার গাড়িসহ জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার সবকিছুই এখানে দাঁড় করানো

ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে ঢাকামুখী যানবাহনে তল্লাশি করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এতে চালক ও যাত্রীরা কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও সমর্থন জানিয়েছেন পরিবহন নেতারা।

স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির সাত সংসদ সদস্য। আজ শনিবার বিএনপির ঢাকার গণসমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সিরাজ দলের পক্ষ থেকেই এই ঘোষণা দেন।

রাজধানীর নয়াপল্টনে নাশকতার আশঙ্কা আছে বলেই রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে। নিরাপদ মনে হলে খুলে দেওয়া হবে। সমাবেশ করে বিএনপির সবাই চলে না যাওয়া পর্যন্ত পুলিশ নিরাপত্তা দেবে

গোলাপবাগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে ঢাকায় নাশকতার কোনো আশঙ্কা নেই। তবু জননিরাপত্তার স্বার্থে শহরজুড়ে বিশ হাজার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান হারুন-অর-রশীদ।

সকাল থেকেই লোকে লোকারণ্য সায়েদাবাদ লাগোয়া গোলাপবাগ মাঠ। বিএনপির এই সমাবেশস্থল ছাড়িয়ে টিটিপাড়া, ফ্লাইওভার, জনপদ মোড়, মানিকনগর থেকে কমলাপুর স্টেডিয়াম হয়ে মুগদা পর্যন্ত রংবেরঙের পোস্টার-ফেস্টুনে একাকার।

রাজধানীর গোলাপবাগে শুরু হয়েছে বিএনপির গণসমাবেশ। এরই মধ্যে শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন রাজপথ এবং অলিগলি নিজেদের দখলে নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। এ সময় মাইকে দেশাত্মবোধক গান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ চলতে শোনা গেছে। নেতা-কর্মীরা ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘বিএনপির দাল

পল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনেই ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করার কথা ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি)। নানা নাটকীয়তার পর সেই সমাবেশ হচ্ছে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালসংলগ্ন গোলাপবাগ মাঠে। তারপরও নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয় ঘিরে রয়েছে ব্যাপক পুলিশি তৎপরতা।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের সামনে ফের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের দাবি করেছে বিএনপি। আজ শনিবার বিএনপির মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এই দাবি করেন। তিনি বলেন, বাড়ির সামনে ও দুই পাশে সকাল থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে

রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে শুরু হয়েছে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে এই সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার

বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে রাজনীতির মাঠ বেশ উত্তপ্ত। নানা জটিলতার পর দলটি আজ শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করেছে ডিএমপির বেঁধে দেওয়া ২৬ শর্তে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে ভীতি, শঙ্কা। শনিবার সকাল থেকেই এই ভয়-শঙ্কার প্রতিফলন ঘটেছে সড়কে। সড়কে গণপরিবহন নেই বললেই চলে, তবে কমেছে সাধ

বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে গাড়ি কম থাকায় পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ। আজ শনিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড় থেকে সাইনবোর্ড এলাকা পর্যন্ত এমন চিত্র দেখা যায়...

ব্যানার বানাতে ব্যস্ত দুদু মিয়া বলেন, দশ বছর যাবত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ফেস্টুন বানাই। কষ্ট হলেও খুবই আনন্দ লাগে। সন্ধা থেকে ফেস্টুন বানানো শুরু করি। এখন রাত প্রায় দুইটা বাজে। এই পর্যন্ত দুই শতাধিক বিভিন্ন সাইজের ফেস্টুন বানানো হয়েছে। চলবে সকাল পর্যন্ত। 

মোড়েলগঞ্জ উপজেলা থেকে ঢাকার গোলাপবাগে মাঠ পর্যন্ত আসতে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ বার পুলিশের চেক ও জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে বলে জানান তুহিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাগেরহাট থেকে নানাভাবে এই মাঠ পর্যন্ত আসতে হয়েছে

রাজধানীর সায়েদাবাদের গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পরেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। একদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীদের ঢল, অন্যদিকে সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন নেতারা

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘পার্টি অফিসে বোমা রেখে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির সন্ত্রাসী পরিকল্পনারই প্রমাণ। নয়াপল্টনের পার্টি অফিসের ভেতরে বোমা রেখে সামনের রাস্তায় সমাবেশের জন্য এত দিন গোঁ ধরে থেকে বিএনপি প্রমাণ করেছে যে, ঢাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়, সন্ত্রাসী কার্যকলাপই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।’