বাগান

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া গোলচত্বরে সৌন্দর্যবর্ধন ও বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের চারপাশে ফুলের বাগান নজর কাড়ছে পথচারীদের। একসময় যেখানে ছিল নিত্যদিনের যানজট, ধুলাবালু আর ময়লা-আবর্জনায় সেখানে ফুটেছে দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান।

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের হাজারি গুড় আর তানভীরের বাগানের লাল কদমসহ নানা ফুল দেখে বিমোহিত হয়েছেন নীলফামারী ৩ আসনের (জলঢাকার) এমপি মেজর রানা মোহাম্মদ সোহেল (অব)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাল্লা ইউনিয়নে হাজারি গুড় তৈরি এবং বিকেলে উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের ফুলের বাগান দেখতে আসেন তিনি। 

টানা ৩৯ দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল সোমবার থেকে আবারও চালু হচ্ছে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বৈকুণ্ঠপুর চা বাগান। বাগানের এক শ্রমিকের একটি ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে শ্রমিক ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এতে টানা ৩৯ দিন বন্ধ থাকে বাগানের উৎপাদন।

লেখাপড়া শেষ করে ছোট একটি ব্যবসা করতেন মিনারুল হক মিন্টু। তবে কৃষিকাজের প্রতি খুবই ঝোঁক ছিল তাঁর। স্বপ্ন ছিল ফলের বাগান ও খামার করার। সেই স্বপ্ন পূরণে নিজের ৬ একর জমিতে গড়ে তোলেন নানা জাতের ফলের বাগান। আর মাছ চাষের পাশাপাশি গড়েছেন হাঁস, মুরগি, গরু ও ছাগলের খামার।

পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট তৌহিদুল ইসলাম। তাঁর শখ নানা জাতের ক্যাকটাস সংগ্রহ করা। রাজশাহীতে তিনি গড়ে তুলেছেন মরুভূমির ক্যাকটাসের এক বিশাল সংগ্রহ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইতিমধ্যে এই বাগানের ছবি নিয়ে বেশ মাতামাতি হয়েছে। অনেক ক্যাকটাসপ্রেমী বাগান দেখতে ছুটে আসছেন।

বরই চাষে খরচ বেশি হলেও বাগানে সাথি ফল হিসেবে এর কদর বেশ। নতুন কোনো ফলের বাগান করলে জমির বেশির ভাগ অংশ ফাঁকা পড়ে থাকে। তাই প্রথম বছর ওই ফাঁকা স্থানটি বরই চাষ করতে বেছে নিয়েছেন পুঠিয়ার কৃষকেরা। তাঁদের দেখাদেখি ভবিষ্যতে সাথি ফল হিসেবে বরই চাষে আগ্রহী হচ্ছেন আরও অনেকে।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় শুরু হয়েছে নতুন জাতের বরই চাষ। ১৫ মাস আগে ভারত থেকে বীজবিহীন (সিডলেস) জাতের বরইগাছের চারা সংগ্রহ করেন ফজলু হক। এই চারা উপজেলার ঘাটিনা ব্রিজ এলাকায় ৩ বিঘা জমিতে লাগান। ফলন ভালো হওয়ায় এতে আগ্রহ বাড়ছে অন্য কৃষকদের। এদিকে তাঁর বাগানে কাজ করে অন্যদের সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান

রাজশাহীতে ক্যাকটাসের বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন ক্যাকটাসপ্রেমী ট্রাফিক সার্জেন্ট। পেশাগত কাজের বাইরে অবসরের সময়টুকু তিনি ক্যাকটাসের কাঁটার মাঝেই ডুবে থাকেন। 

পড়াশোনা ও চাকরির পাশাপাশি শখের বশে অ্যালোভেরা (ঘৃতকুমারী) চাষ করছেন সদর উপজেলার সাগর হোসেন মাতুব্বর। একতলা ভবনের ছাদের ওপর সাগর গড়ে তুলেছেন এই অ্যালোভেরার বাগান। পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতলসহ বিভিন্ন প্লাস্টিকের বোতল ও নানা ধরনের পরিত্যক্ত পাত্রে লাগিয়েছেন অ্যালোভেরা গাছ। বর্তমানে তাঁর ছাদবাগানে

মিঠাপুকুরে সুপারির ফলনে এবার হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে। গত বছরের তুলনায় এ বছর উৎপাদন ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগানমালিকেরা। বাজারে দরেও বেশি থাকায় খুশি তাঁরা।

বগুড়ার শিবগঞ্জে বসতবাড়ির আঙিনায় পুষ্টিবাগান জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এসব বাগান করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে কৃষকদের। দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণও। এতে প্রতি ইঞ্চি অব্যবহৃত ও অনাবাদি জমির ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে। এদিকে পরিবারে পুষ্টি চাহিদা পূরণ হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ভারতীয় দার্জিলিং জাতের কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন আবু জাহিদ জুয়েল। স্বাদে, আকারে ও রঙে অতুলনীয় তাঁর বাগানের কমলা।

ভারত সীমান্ত ঘেঁষা শ্রীমঙ্গল বিদ্যাবিল চা বাগানের হজম টিলা অনিন্দ্য সুন্দর একটি জায়গা। এর তিন দিকে রয়েছে ছবির মতো চা বাগান, আছে পাহাড়ি ছড়া আর লেবু বাগান।

নিজের ৪৫ শতাংশ জমিতে লেবুর চাষ শুরু করেন বিশ্বনাথ পৌর এলাকার মাসুদ রাব্বানী মোহন। মাত্র ১ বছরের মাথায় সফলতার দেখা পান তিনি। তাঁর বাগানে এখন বিচিবিহীন, কাগজিসহ বেশ কিছু জাতের লেবুর চাষ হচ্ছে। বিক্রির পাশাপাশি গ্রামের মানুষকে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে লেবু দিয়েছেন মোহন।

পীরগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। অনেকেই মাল্টা চাষ করে দেখেছেন লাভের মুখ। বর্তমানে উপজেলায় ছোট-বড় মিলে দুই শতাধিক মাল্টার বাগান রয়েছে।

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পারিবারিক সবজি-পুষ্টি বাগান। কৃষি মন্ত্রণালয় নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষিজমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতে বসতবাড়ির আঙিনাসহ পতিত জমিতে তৈরি করা হয়েছে পারিবারিক সবজি-পুষ্টি বাগান। ‘মুজিব শতবর্ষ’ উপলক্ষে বিনা মূল্যের বীজ পেয়ে সব কৃষকই বাড়ির আঙিনা ও আশপাশের এলাকায় বাগান করে ল

বৃক্ষরাজির শীতল ছায়া আর সবুজের বেষ্টনী। সেই পথ ধরে একটু এগোলেই উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন। ভবনটির পেছনেও রয়েছে পর্যাপ্ত খালি জায়গা। অথচ উন্নয়নের জন্য বর্তমান ভবনটির সামনে থাকা আট বছরের পুরোনো এই বাগানকেই সাবাড় করে দিয়েছে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। এমনকি গাছ কাটতে বন বিভাগের কোনো অনুমতি নেও