Ajker Patrika

অনাবাদি জমিতে পুষ্টিবাগান

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ০৯
অনাবাদি জমিতে পুষ্টিবাগান

বগুড়ার শিবগঞ্জে বসতবাড়ির আঙিনায় পুষ্টিবাগান জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এসব বাগান করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে কৃষকদের। দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণও। এতে প্রতি ইঞ্চি অব্যবহৃত ও অনাবাদি জমির ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে। এদিকে পরিবারে পুষ্টি চাহিদা পূরণ হচ্ছে।

কৃষকেরা বলছেন বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষ করার ফলে তাঁরা নিজেরাই পরিচর্যা করতে পারছেন। পরিবারের সবজির চাহিদা পূরণ করতে বাইরে থেকে সবজি কিনতে হচ্ছে না।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে ১০০টি বাড়িতে পুষ্টিবাগান করা হবে। এখন পর্যন্ত উপজেলার ১২ ইউনিয়নের ২০০ বাড়িতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ১২শ বাড়িতে পুষ্টিবাগান করা হবে। মুজিববর্ষে যে সব গৃহহীন ব্যক্তি বসতবাড়ি পেয়েছেন সে সব বাড়িকে প্রদর্শনীর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ জনপদের বসতবাড়ির আঙিনা, পুকুর-খালের পাড়, বাড়ির আশপাশ, স্যাঁতসেঁতে ছায়াযুক্ত স্থানে সবজি-মসলা চাষ হবে। সেই সঙ্গে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য কৃষক পরিবারগুলাতে সবজি ও মসলার চাষাবাদ করা হবে। এতে বাড়ি বাড়ি গড়ে উঠবে পুষ্টিবাগান। বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি চাষের পাশাপাশি হলুদ, মরিচ ও আদাসহ মসলা জাতীয় ফসলের চাষ হবে সেখানে।

উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের রহবল এলাকার কৃষক জেলাল হোসেন (৫০) বলেন, ‘বসত বাড়ির পাশে যে স্বল্প পতিত জায়গা ছিল সেখানে পুষ্টি বাগান স্থাপন করে ১০ থেকে ১২ প্রকার শাক সবজির চাষ করছি। বাড়ির আঙিনায় হওয়ায় নিজেই এর পরিচর্যা করতে পারি। এখন আমাদের বাজার থেকে শাক সবজি কিনতে হয় না।’

উপজেলার রহবল ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুর রহমান জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা যেমন পূরণ হবে তেমনি কৃষক ধীরে ধীরে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহারের পরিবর্তে জমিতে ভার্মি কম্পোস্ট ও জৈব সারের ব্যবহার শিখবে। ফলে মাটিতে প্রচুর জৈব পদার্থ যুক্ত হবে, মাটির ক্ষয় কম হবে। মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে ও সংরক্ষিত থাকবে পরিবেশ। একই সঙ্গে মানুষের পুষ্টিহীনতা দূর হওয়ার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার বলেন, ফসল চাষের আধুনিক কলাকৌশল বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাবেন প্রদর্শনীভূক্ত কৃষক-কৃষাণী। ফলে উৎপাদনে যুগোপযোগী প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তাঁরা শস্যের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। এমনকি প্রকল্পভুক্ত ফসলের উৎপাদন, সংগ্রহ, গ্রেডিং, প্যাকিংসহ বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত হয়ে নারীদের কর্মসংস্থান বাড়বে। ফলে পারিবারিক আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত