Ajker Patrika

ক্যাকটাসের প্রেমে ট্রাফিক সার্জেন্ট

রিমন রহমান, রাজশাহী
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৬: ০৯
ক্যাকটাসের প্রেমে ট্রাফিক সার্জেন্ট

একেক মানুষ একেক জিনিস সংগ্রহে রাখতে পছন্দ করেন। পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট তৌহিদুল ইসলাম সংগ্রহ করেন নানা জাতের ক্যাকটাস। তিনি রাজশাহীতে গড়ে তুলেছেন ক্যাকটাসের এক বিশাল সাম্রাজ্য। পেশাগত কাজের বাইরে অবসরের সময়টুকু তিনি ক্যাকটাসের কাঁটার মাঝেই ডুবে থাকেন।

জানা যায়, সার্জেন্ট তৌহিদুল ইসলাম রাজশাহী নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত। তাঁর দেশের বাড়ি কুষ্টিয়া। রাজশাহীতে আসার পর সাহেববাজারের ইসমাইল হোসেন নামের এক নার্সারি ব্যবসায়ীকে নিয়ে গড়ে তুলেন ক্যাকটাসের ছাদবাগান। তাঁর ছাদবাগানে এখন আছে প্রায় ৪০০ জাতের ৫০ হাজারেরও বেশি ক্যাকটাস। এগুলোর বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। তবে ক্যাকটাস বিক্রি করেন না তৌহিদুল ইসলাম।

ছাদবাগানের ক্যাকটাসসম্প্রতি তৌহিদুলের ছাদবাগানে গিয়ে দেখা যায়, তিনি তিনটি শেডে টবে সাজিয়ে রেখেছেন ক্যাকটাস। একটি শেডে ক্যাকটাসের বীজ থেকে বের করা হয় চারা। এপিথেলান্থা, মাইক্রোমেরিস ক্রিস্টাটা, উবেলম্যানিয়া, পেকটিনিফেরা, অ্যাজটেকিয়াম, রিটেরি, পিগমেওসিরাস বিবলির মতো দুর্লভ ক্যাকটাস আছে এই ছাদবাগানে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাদবাগান দেখতে এসে শ্রাবণী খাতুন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি গাছ ভালোবাসি। ক্যাকটাসের প্রতি আগ্রহটা আরও বেশি। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ছাদবাগান দেখে সশরীরে দেখতে এসেছি। এসে খুবই ভালো লাগল। এত কালেকশন আমি আমার জীবনেও দেখিনি।’

ছাদবাগানের ক্যাকটাসএ বিষয়ে ক্যাকটাসপ্রেমী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, 'স্কুল থেকেই আমার নেশা ক্যাকটাস সংগ্রহ করা। যখন অনার্সে পড়তাম তখন  ক্যাকটাস সংগ্রহে কিছুটা ভাটা পড়ে। পরবর্তীতে চাকরি পাওয়ার পর আবার ক্যাকটাস সংগ্রহ করতে থাকি। চাকরির সুবাদে রাজশাহীতে বদলি হওয়ার পর পরিচয় হয় ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে। তাঁর নার্সারি আছে। ক্যাকটাস সম্পর্কেও তাঁর জানাশোনাও ভালো। তাই রাজশাহীতে একটি ছাদ ভাড়া নিয়ে দুজন মিলে শুরু করি ক্যাকটাস সংগ্রহ।

ছাদবাগানের ক্যাকটাসতৌহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে এই ক্যাকটাস বাগান শুরু করি। যারা দেশের বাইরের থেকে ক্যাকটাস আনেন তাদের কাছ থেকেও সংগ্রহ করি। এ ছাড়া আমি নিজে বাইরে থেকে বীজ নিয়ে এসে এখানে চারা করি। ফলে ক্যাকটাসের সংগ্রহ বাড়ছে। আমরা দুজন ক্যাকটাস ক্রস করার কারণে কিছু নতুন জাত বাড়ছে। এখানে প্রায় ৪০০ ধরনের ক্যাকটাস হয়েছে। অনেক ক্যাকটাসপ্রেমী বাগান দেখতে আসতে চান। আমি সময় দিতে পারি না। অনেকে আবার ছুটির দিনের সঙ্গে মিলিয়ে আসেন। আমার ইচ্ছা ভবিষ্যতে একটা ক্যাকটাস পার্ক তৈরি করার। যেখানে দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ আসবে। এতে ক্যাকটাস সবার কাছে পরিচিত হবে। এ ছাড়া ক্যাকটাসকে সহজলভ্য করাই আমার লক্ষ্য।'

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের সমাবেশের জন্য বিশেষ ট্রেন, যে ব্যাখ্যা দিল রেল মন্ত্রণালয়

আবাসিক হোটেলে অভিযানে গিয়ে অবরুদ্ধ ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তারা, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে উদ্ধার

কোটালীপাড়ায় আওয়ামী লীগের দেড় হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১২

শর্তের জালে মার্কিন চাপ

হাবিপ্রবিতে শাস্তি পাচ্ছেন ছাত্রলীগের ১০২ জন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত