ফাইজার

দেশে চতুর্থ ভ্যাকসিন হিসেবে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া মার্কিন ফার্মা জায়ান্ট ফাইজার–বায়োএনটেকের টিকা আগামী রোববার ঢাকায় আসছে। এদিন রাত ১১টা ২০ মিনিটে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এই টিকা আসার কথা রয়েছে

জাতিসংঘের উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আগামী ২ জুন ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা দেশে আসার কথা রয়েছে। আজ–কালের মধ্যে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত নথিপত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এসে পৌঁছবে বলে জানানো হয়েছে। তবে এই টিকার সংরক্ষণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ

যুক্তরাজ্যের পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণাটি করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। গবেষণায় বলা হয়, যুক্তরাজ্যে পাওয়ার করোনার ভ্যারিয়েন্ট বি.১১৭-এর বিরুদ্ধেও ৮৭ শতাংশ কার্যকর ফাইজার এবং অক্সফোর্ডের দুই ডোজ ভ্যাকসিন।

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে টিকাই এখন একমাত্র ভরসা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়া বেশ কয়েকটি টিকা বিভিন্ন দেশে প্রয়োগ করা হচ্ছে। এর মধ্যে সরবরাহ সঙ্কট দেখা দেওয়ায় অনেক দেশই একাধিক সংস্থার টিকা কেনার চেষ্টা করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছে, একই ব্যক্তি ডোজ পূর্ণ করতে আলাদা কোম্পানির টিকা নিতে

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা দ্য ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সির পক্ষ থেকে বলা হয়, পূর্বে ভ্যাকসিন নিয়ে যে সময়ের সুপারিশ করা হয়েছিল তার চেয়ে বেশি ধরে ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা যাবে।

ইসরায়েলে করোনার সংক্রমণ, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর বিরুদ্ধে ফাইজার/বায়োএনটেক টিকার দুটি ডোজ ৯৫ শতাংশেরও বেশি সুরক্ষা দিতে সক্ষম। দেশটির এক গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া যায়। এই গবেষণা প্রভাবশালী চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানচেটে প্রকাশ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফাইজারের মিশিগানের কালামাজু প্ল্যান্টে তৈরি এই ডোজগুলো মেক্সিকোতে রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত মূলত সাম্প্রতিক সময়ে নেওয়া হয়েছে। কারণ

আগামী বছরই করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার ওষুধ বাজারে আনবে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফাইজার। গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অ্যালবার্ট বোরলা।

মার্কিন কোম্পানি ফাইজারের প্রধান নির্বাহী বলেন, এখন পর্যন্ত অবস্থা হচ্ছে হয়ত ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে তৃতীয় আরেকটি বুস্টার ডোজের প্রয়োজন হতে পারে। এবং পরে প্রতি বছর ভ্যাকসিন নিতে হতে পারে। তবে এখনও কোনো কিছুই নিশ্চিত নয় ।

দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ধান পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন বা  ভ্যারিয়ান্ট  মার্কিন কোম্পানি ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিণের সুরক্ষা ভাঙতে পারে। গতকাল শনিবার ইসরায়েলের এক গবেষণায় এমনটি বলা হয়েছে। তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসরায়েলের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ক্ল্যালিট যৌথভাবে গবেষণা চালিয়েছে। 

হংকং প্রশাসন আজ বুধবার টিকাটি সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। অবশ্য টিকার কার্যকারিতা বা ঝুঁকি নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি কর্তৃপক্ষ।