Ajker Patrika

প্রতি বছর ভ্যাকসিন নিতে হতে পারে: ফাইজার

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

করোনার বিরুদ্ধে লড়তে প্রতি বছরই একজন ব্যক্তিকে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফাইজারের ভ্যাকসিন নেওয়া লাগতে পারে। এছাড়া ফাইজারের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নেওয়ার  ১২ মাসের মধ্যে  তৃতীয় বুস্টার ডোজেরও প্রয়োজন হতে পারে। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিতে সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এমনটি জানিয়েছেন ফাইজারের প্রধান নির্বাহী অ্যালবার্ট বোরলা।

মার্কিন কোম্পানি ফাইজারের প্রধান নির্বাহী বলেন, এখন পর্যন্ত অবস্থা হচ্ছে হয়ত ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে তৃতীয় আরেকটি বুস্টার ডোজের প্রয়োজন হতে পারে। এবং পরে প্রতি বছর ভ্যাকসিন নিতে হতে পারে। তবে এখনও কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের নতুন নতুন স্ট্রেইনগুলোর ওপর অনেককিছু নির্ভর করছে।

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতা কতদিন থাকবে এ ব্যাপারে গবেষকরা এখনও নিশ্চিত নন। এর আগে ফাইজার জানিয়েছিল তাদের উৎপাদিত ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর ৯৫ ভাগ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে সক্ষম।

এর আগে এক সাক্ষাৎকারে বোরলা বলেছেন, ভ্যাকসিন অনেক দামি। এই ভ্যাকসিন দেওয়ার কারণে মানুষের জীবন বেঁচে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা এটি খাবারের দামে বিক্রি করছি।

কয়েক মাস আগে বেলজিয়াম সরকারের প্রকাশিত এক তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো যে সব ভ্যাকসিন নিয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে দামি হলো ফাইজারের ভ্যাকসিন।

বুলগেরিয়ান প্রধানমন্ত্রী বয়কো বোরিসোভ এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছেন, ভ্যাকসিনের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে ফাইজার। একটি ডোজের দাম ১২ ইউরো  থেকে বেড়ে ১৯ দশমিক ৫০ ইউরোতে দাঁড়িয়েছে। যেখানে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিনের একটি ডোজ দুই ইউরোতে পাওয়া যাচ্ছে।

বোরলা দাম বৃদ্ধির বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো উন্নত দেশগুলোতে বেশি দামে ভ্যাকসিনগুলো বিক্রি হবে। মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এর চেয়ে আরও কম দামে যাবে। এছাড়া দরিদ্র দেশগুলোতে নাম মাত্র মূল্যে ভ্যাকসিনগুলো বিক্রি হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত