Ajker Patrika

ফাইজারের ভ্যাকসিন করোনা ঠেকাতে ৯৫ শতাংশের বেশি কার্যকর: গবেষণা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৬ মে ২০২১, ১৪: ৫৯
Thumbnail image

ইসরায়েল: ইসরায়েলে করোনার সংক্রমণ, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর বিরুদ্ধে ফাইজার/বায়োএনটেক টিকার দুটি ডোজ ৯৫ শতাংশেরও বেশি সুরক্ষা দিতে সক্ষম। দেশটির এক গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া যায়। এই গবেষণা প্রভাবশালী চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানচেটে প্রকাশ করা হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়, বিশ্বে টিকাদানে এগিয়ে রয়েছে ইসরায়েল। এই দেশে সবচাইতে বেশি মানুষ টিকা গ্রহণ করেছে বলেও গবেষণায় বলা হয়েছে।

গবেষণায় আরও বলা হয়, ফাইজারের ভ্যাকসিনের একটি ডোজ সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৫৮ শতাংশ, হাসপাতালে ভর্তি ঠেকাতে ৭৬ শতাংশ এবং মৃত্যু ঠেকাতে ৭৭ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম। আর দ্বিতীয় ডোজ নিলে এটি ৯৫ শতাংশের বেশি সুরক্ষা দিতে সক্ষম। ল্যানচেট মেডিকেল জার্নালে গবেষকেরা মূলত ফাইজারের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

গবেষকেরা বলেন, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ কার্যকরভাবে মহামারিটির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে। এটির মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনার প্রাদুর্ভাবে চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব বলেও আশা প্রকাশ করেন গবেষকেরা।

এ নিয়ে গবেষণাটির মূল লেখক ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. শ্যারন অ্যালরয় প্রেইস বলেন, এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী কোনো দেশই জাতীয় জনস্বাস্থ্যের ওপর কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমের প্রভাব বর্ণনা করতে পারেনি। এই তথ্যগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখনো চলমান কিছু চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে হবে। কোভিড-১৯–এর টিকাদান শেষ পর্যন্ত আমাদের মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম বলে প্রত্যাশা করছি।

ইসরায়েলে খুব কম যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার করোনা ধরন পাওয়া গেছে। গত ৩ এপ্রিলের মধ্যে ১৬ বছরের বেশি বয়সী ৭২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ৯০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ইসরায়েলি জনগণ ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পান।

দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার সাত দিন পর দেখা গেছে, ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ সংক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে এবং মৃত্যুর বিরুদ্ধে ৯৬ দশমিক ৭ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে। ফাইজারের ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ উপসর্গ ও উপসর্গহীন সংক্রমণের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৯৭ শতাংশ এবং ৯১ দশমিক ৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে। এছাড়া ভ্যাকসিনটি হাসপাতালে ভর্তি ঠেকাতে ৯৭ দশমিক ২ শতাংশ কার্যকর। ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ১৪ দিন পর সুরক্ষার হার আরও বেড়েছে।

তবে বিশ্বের অন্য অনেক দেশই ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমে ইসরায়েলের অনুকরণ করতে পারবে না বলে জার্নালে মন্তব্যকারীরা বলেন। ইসরায়েল শুধু ফাইজার/বায়োএনটেকের টিকা ব্যবহার করছে। ফাইজার কোম্পানি ভ্যাকসিনের বাস্তব ও বিশ্ব কার্যকারিতা দেখার জন্য ইসরায়েলে ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে। ইসরায়েলে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৭ মার্চ ২০২১ সাল পর্যন্ত জাতীয় লকডাউন রাখা হয়। দেশটিতে গত জানুয়ারিতে করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত