টানা দুবারের অভাবনীয় সাফল্যের পর এবারও পবিত্র রমজান মাসে বিশেষ মসজিদ পরিচ্ছন্নতা ক্যাম্পেইন ‘পরিচ্ছন্নতাই পবিত্রতা’ নিয়ে এসেছে জনপ্রিয় জীবাণুনাশক ফ্লোর ও সারফেস ক্লিনার লাইজল। এবারও ক্যাম্পেইনটির মাধ্যমে দেশের ১০০টি মসজিদ পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা মুসল্লিদের জন্য মসজিদে ইবাদতের অনুকূল...
মোজার ওপর মাসেহ করা অজুতে পা ধোয়ার বিকল্প। এটি ইসলামে অনুমোদিত। তবে এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যেমন চামড়ার তৈরি মোজা হতে হবে। পবিত্র হয়ে মোজা পরতে হবে। মোজা দিয়ে টাখনু ঢাকা থাকতে হবে। ছেঁড়া থাকলে তা পায়ের কনিষ্ঠাঙুলের তিন আঙুল পরিমাণের কম হতে হবে। ফিতা দিয়ে বাঁধা ছাড়াই পায়ে আটকে থাকতে হবে।
প্রশ্ন: নামাজ আদায় করার সময় অজু ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। এ অবস্থায় নামাজির করণীয় কী? তিনি ইমাম হলে কী করণীয়, মুক্তাদি হলে কী করণীয় এবং একাকী মুসল্লি হলে কী করণীয়?
পানি মৌলিকভাবে পবিত্র ও পবিত্রকারী। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত পানি নাপাক হওয়ার প্রমাণ না পাওয়া যাবে, ততক্ষণ তা পবিত্র বলে গণ্য হবে। যদি পানির সঙ্গে কোনো পবিত্র জিনিস মেশার ফলে পানির রং, ঘ্রাণ বা স্বাদ বদলে যায়। যেমন বন্যার পানির সঙ্গে বালু মিশে গেল, অথবা জাফরান বা সাবান পড়ে পানিতে
ইসলামের বিধান অনুযায়ী অজু বা পবিত্রতা অর্জন হলো ঈমানের অর্ধেক। অজুর মাধ্যমে যেমন বাহ্যিক পবিত্রতা অর্জন হয়, তেমনি অর্জন হয় আন্তরিক পবিত্রতাও। সব সময় অজু অবস্থায় থাকতে চেষ্টা করা নবীজির সুন্নত। হাদিসে অজুর অনেক ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা অনুগ্রহ করে আমাদেরকে এমন এক দ্বীন দান করেছেন, যেখানে ছোট থেকে ছোট বিষয়ে পর্যন্ত চমৎকার সব নির্দেশনা দেওয়া আছে। স্বয়ং নবীজির যুগেই কিছু অমুসলিম এ বিষয়টি নিয়ে উপহাস পর্যন্ত করেছে।
হাত-পা ভেঙে গেলে জোড়া লাগানোর জন্য প্লাস্টার কাঠ বা জিপসাম দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। অনুরূপভাবে দগ্ধ বা আহত স্থান ব্যান্ডেজ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা হয়, এমন অবস্থায় অজু-গোসল করার সময় করণীয় কী? বিস্তারিত জানতে চাই
বর্তমানে সহজেই কাপড় ধোয়ার মাধ্যম হিসেবে অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিন দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পাক-নাপাক সব কাপড় তাতে ধোয়া হয়। প্রশ্ন হলো, ওয়াশিং মেশিনে নাপাক কাপড় ধুলে তা পাক হবে কি না? ইসলামি শরিয়তের আলোকে জানতে চাই
এখন দেশজুড়ে তীব্র শীত পড়ছে। এই সময়ে গোসল করা আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর। জুমার নামাজের আগে গোসল করার যে বিধান ইসলামে রয়েছে, তা কি আবশ্যক? জুমার দিনে গোসল না করলে কি গুনাহ হবে? শরিয়তের আলোকে জানতে চাই।
বর্তমান সময়ে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে প্রচণ্ড শীত পড়ছে। তাই ঠান্ডা পানি দিয়ে অজু-গোসল করা অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অবস্থায় তায়াম্মুম করা বৈধ হবে কি? বিস্তারিত জানতে চাই
দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে আবশ্যকভাবে একজন মুসলমানকে অজু করতে হয়। আর ফরজ গোসল ছাড়াও পরিচ্ছন্নতার জন্য নিয়মতি গোসল করা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। অজুর মোট চারটি ফরজ রয়েছে এবং গোসলের তিনটি ফরজ রয়েছে—যা সঠিকভাবে আদায় না করলে অজু-গোসল আদায় হয় না। বিশেষ করে শীতকালে এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত জরুর
অনেকে মনে করেন, অজু করার সময় পাশের কারও গায়ে অজুতে ব্যবহৃত পানির ছিটা পড়লে তা নাপাক হয়ে যায়। তাই তাঁরা ওই পানি যে স্থানে পড়ে, তা আলাদা করে ধুয়ে ফেলেন এবং নতুনভাবে অজু করেন। ইসলামের দৃষ্টিতে তাঁদের এই ধারণা সঠিক নয়।
আমাদের বাড়ির ছাদে পানি জমিয়ে রাখার জন্য একটি ট্যাংক আছে। অজু-গোসল ও টয়লেটের কাজে ওই পানি ব্যবহার করা হয়। কয়েক দিন আগে ট্যাংকের ভেতরে একটি মরা ইঁদুর পাই আমরা। সেটি ফুলে-ফেটে গেছে। এখন আমার প্রশ্ন হলো, ইঁদুরটির কারণে ট্যাংকের সব পানি কি অপবিত্র হয়ে যাবে? এ ক্ষেত্রে করণীয় কী
ইসলামে দৈহিক পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম হলো অজু ও গোসল। পবিত্রতা ছাড়া নামাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফরজ আদায় করা যায় না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা যদি অপবিত্র অবস্থায় থাকো, তবে নিজেদের শরীর (গোসলের মাধ্যমে) ভালোভাবে পবিত্র করে নাও।’ (সুরা মায়েদা: ৬)
ইসলামে দৈহিক পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি দুটি—অজু ও গোসল। উভয় কাজই পবিত্র পানি ব্যবহার করে সম্পন্ন করতে হয়। তবে স্থান-কাল-পাত্রভেদে পানির বিকল্পও ব্যবহার করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া না গেলে অথবা পানি ব্যবহারে অপারগ হওয়ার শর্ত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসলামে পানির বিকল্প হিসেবে মাটি ব্যব
প্রস্রাব করার ইসলামী শিষ্টাচার রয়েছে। অনেকে তা না মেনে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেন। অনেকে বসে প্রস্রাব করলেও পানি বা টিস্যু ব্যবহার করেন না। এ ক্ষেত্রে শরীর কিংবা কাপড়ে প্রস্রাবের ছিটাফোঁটা লেগে যায়। শরীর ও কাপড় হয়ে যায় অপবিত্র; ইবাদতের উপযুক্ত থাকে না। বিষয়টি আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ মনে হলেও আসলে সাধারণ নয়।
অজু থাকলেও প্রতি নামাজের জন্য আলাদা অজু করা উত্তম। এটি মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তবে সাহাবায়ে কেরামের অনেকেই এক অজু দিয়ে একাধিক নামাজ আদায় করেছেন এবং মহানবী (সা.) তাতে সম্মতি দিয়েছেন। ফলে এক অজু নিয়ে একাধিক নামাজ আদায় করাও জায়েজ। মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী (সা.) এক অজু দিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছিলে