Ajker Patrika

অজুর পানিতে ঝরে পড়ে অদেখা গুনাহ

আবরার নাঈম 
অজু। ছবি: সংগৃহীত
অজু। ছবি: সংগৃহীত

পবিত্রতা ছাড়া নামাজ কবুল হয় না। আর পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম হলো অজু। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল ((সা.)) বলেন, ‘পবিত্রতা ছাড়া নামাজ কবুল হয় না। আর হারাম উপায়ে প্রাপ্ত সম্পদের সদকাও কবুল হয় না।’ (জামে তিরমিজি: ১)

অন্য হাদিসে অজুর গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে এভাবে, হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘জান্নাতের চাবি হচ্ছে নামাজ, আর নামাজের চাবি হচ্ছে অজু।’ (জামে তিরমিজি: ৪)। অর্থাৎ চাবি ছাড়া যেমন তালা খোলা যায় না। তদ্রূপ পবিত্রতা ছাড়াও নামাজ হয় না।

অজু একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। অজুতে রয়েছে বহুবিধ উপকার। নিম্নে তা প্রদত্ত হলো—

১. কিয়ামতের দিন হাত-পা ও চেহারার উজ্জ্বলত: নুআইম মুজমির (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রা.)-এর সঙ্গে মসজিদের ছাদে উঠলাম। অতঃপর তিনি অজু করে বললেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি—কিয়ামতের দিন আমার উম্মতকে এমন অবস্থায় আহ্বান করা হবে যে, অজুর প্রভাবে তাদের হাত-পা ও মুখমণ্ডল উজ্জ্বল থাকবে। তাই তোমাদের মধ্যে যে এ উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে পারে, সে যেন তা করে। (সহিহ্ বুখারি: ১৩৬)

২. গুনাহ মাফ ও মর্যাদা বৃদ্ধি: হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি কি তোমাদের বলব না, আল্লাহ তাআলা কি দিয়ে গুনাহ মুছে দেন এবং মর্যাদা বাড়িয়ে দেন?’ সাহাবাগণ বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, হ্যাঁ (বলে দিন)।’ তিনি বললেন, ‘কষ্ট থাকার পরেও ভালোভাবে অজু করা, মসজিদের দিকে বেশি বেশি যাতায়াত করা এবং এক নামাজ শেষ করে পরবর্তী নামাজের জন্য অপেক্ষায় থাকা। আর এটাই হল ‘রিবাত’ (প্রস্তুতি)।’ (জামে তিরমিজি: ৫১)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত