মুফতি হাসান আরিফ
আমাদের বলা হয় মাছে-ভাতে বাঙালি। এ দেশের এক সময়ের চিত্র ছিল—গোলা ভরা ধান আর পুকুর ভরা মাছ। নদীতে জাল ফেললেই ধরা পড়তো বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই জীবন এখন আর নেই বললেই চলে। সময়ের পরিক্রমায় হারিয়ে গেছে গোলা। আর পুকুর ভরে হয়ে গেছে বাড়ি-ঘর।
তবুও প্রতিনিয়ত আমাদের খাবারের তালিকায় মাছ থাকে। মাছ আমাদের অন্যতম পছন্দের আমিষ।
মাছের রয়েছে নানা উপকারিতা। গবেষকদের মতে, ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ সামুদ্রিক মাছ, যেমন স্যালমন, সার্ডিন ইত্যাদি সপ্তাহে দুই দিন খেলে মস্তিষ্কের ক্ষয় রোধ হয়। এ ছাড়া প্রতিদিন মাছ খেলে শরীরে কোলাজেন বাড়ে। ত্বক এবং চুল, দুটোর জন্যই ভালো কোলাজেন। মাছ রক্তে চিনির মাত্রা বজায় রাখে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে মাছ।
মাছ কেনা, কাটা, বাছা, ধোয়ার সময় কখনো শরীরে বা কাপড়ে মাছের রক্ত কিংবা পানি লেগে থাকে। এই রক্ত বা পানি কি নাপাক? এগুলো শরীরে, কাপড়ে লাগলে কী তা নাপাক হয়ে যাবে? এমন শরীর, কাপড় নিয়ে কি নামাজ আদায় বা কোরআন তিলাওয়াত করা যাবে?—এমন প্রশ্ন অনেকেরই মনে।
মাছের রক্ত বা পানি কি নাপাক
ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুযায়ী—মাছের রক্ত বা পানি কোনোটিই নাপাক নয়। তাই মাছ কেনা, কাটা, বাছা, ধোয়ার সময় কাপড়ে বা শরীরে লাগলে তা নাপাক হবে না। এই শরীর, কাপড় নিয়ে নামাজ আদায় করা যাবে, কোরআন তিলাওয়াতও করা যাবে।
তথ্যসূত্র- বাদায়েউস সনায়ে ১/১৯৫, বাহরুর রায়েক: ১/২৪৭, রদ্দুল মুহতার: ১/৩২২, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৪৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/৪৬
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আমাদের বলা হয় মাছে-ভাতে বাঙালি। এ দেশের এক সময়ের চিত্র ছিল—গোলা ভরা ধান আর পুকুর ভরা মাছ। নদীতে জাল ফেললেই ধরা পড়তো বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই জীবন এখন আর নেই বললেই চলে। সময়ের পরিক্রমায় হারিয়ে গেছে গোলা। আর পুকুর ভরে হয়ে গেছে বাড়ি-ঘর।
তবুও প্রতিনিয়ত আমাদের খাবারের তালিকায় মাছ থাকে। মাছ আমাদের অন্যতম পছন্দের আমিষ।
মাছের রয়েছে নানা উপকারিতা। গবেষকদের মতে, ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ সামুদ্রিক মাছ, যেমন স্যালমন, সার্ডিন ইত্যাদি সপ্তাহে দুই দিন খেলে মস্তিষ্কের ক্ষয় রোধ হয়। এ ছাড়া প্রতিদিন মাছ খেলে শরীরে কোলাজেন বাড়ে। ত্বক এবং চুল, দুটোর জন্যই ভালো কোলাজেন। মাছ রক্তে চিনির মাত্রা বজায় রাখে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে মাছ।
মাছ কেনা, কাটা, বাছা, ধোয়ার সময় কখনো শরীরে বা কাপড়ে মাছের রক্ত কিংবা পানি লেগে থাকে। এই রক্ত বা পানি কি নাপাক? এগুলো শরীরে, কাপড়ে লাগলে কী তা নাপাক হয়ে যাবে? এমন শরীর, কাপড় নিয়ে কি নামাজ আদায় বা কোরআন তিলাওয়াত করা যাবে?—এমন প্রশ্ন অনেকেরই মনে।
মাছের রক্ত বা পানি কি নাপাক
ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুযায়ী—মাছের রক্ত বা পানি কোনোটিই নাপাক নয়। তাই মাছ কেনা, কাটা, বাছা, ধোয়ার সময় কাপড়ে বা শরীরে লাগলে তা নাপাক হবে না। এই শরীর, কাপড় নিয়ে নামাজ আদায় করা যাবে, কোরআন তিলাওয়াতও করা যাবে।
তথ্যসূত্র- বাদায়েউস সনায়ে ১/১৯৫, বাহরুর রায়েক: ১/২৪৭, রদ্দুল মুহতার: ১/৩২২, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৪৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/৪৬
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবানদের ওপর তা আদায় করা আবশ্যক। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না তার ব্যাপারে হাদিসে কঠোর বার্তা এসেছে। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যার কোরবানি করার সামর্থ্য আছে, কিন্তু কোরবানি করে না—সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’
১২ ঘণ্টা আগেআরবি পঞ্জিকার সর্বশেষ মাস জিলহজ। ১২ মাসের মাঝে এটি একটু আলাদা। হালকা শিউলি ফুলের মত করে আসে। মুসলিমদের জন্য এর গুরুত্ব এতটাই যে—এই মাসেই জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সফর ‘হজ’ হয়ে থাকে।
১৬ ঘণ্টা আগেকালো জাদু এক রহস্যময় ও বিতর্কিত বিদ্যা। এর মাধ্যমে মানুষ অপশক্তি ব্যবহার করে অন্যের ক্ষতি বা নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়। শয়তান মানুষকে যতভাবে পথভ্রষ্ট করে—এর মধ্যে অন্যতম জাদুবিদ্যা। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে একে হারাম ও পাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ জন্য কালো জাদু সর্বদা হারাম।
২১ ঘণ্টা আগেনামাজ আদায়ের জন্য পবিত্রতা অর্জন আবশ্যক। বলা যায়—পবিত্রতা হচ্ছে নামাজের চাবি। কিন্তু লাগাতার প্রস্রাব বের হওয়ার মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ মানুষের মতো অজু ধরে রাখা সম্ভব নয়। তাদের ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা কী?
২ দিন আগে