ধর্ম ও জীবন

আরবি এস্তেখারা শব্দের অর্থ কল্যাণ কামনা করা বা সঠিক দিকনির্দেশনা কামনা করা। আল্লাহ তাআলার কাছে বিশেষ প্রার্থনার মাধ্যমে কোনো বিষয়ের কল্যাণ কামনা করাকে এস্তেখারা বলা হয়। নবী (সা.) গুরুত্বপূর্ণ কাজে এস্তেখারা করতে উৎসাহিত করেছেন। গুরুত্বসহকারে তিনি সাহাবিদের এস্তেখারার পদ্ধতি শিখিয়েছেন।

সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য নিয়মিত ও পরিমিত খাওয়াদাওয়া করা জরুরি। খাদ্য-পানীয় হালাল হওয়া আবশ্যক। খাওয়াদাওয়ার বেশ কিছু ইসলামি শিষ্টাচার রয়েছে, যা মেনে চললে খাওয়াটাও ইবাদত বলে গণ্য হবে। খাওয়া শুরু করার আগে উভয়

জীবিকা উপার্জন মানুষের জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি মানুষের খাদ্য, বাসস্থান এবং পোশাকের মতো মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করে। ব্যবসা-বাণিজ্য জীবিকা উপার্জনের অন্যতম সেরা মাধ্যম। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, একবার নবীজি (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কোন ধরনের উপার্জন সবচেয়ে উত্তম?’ তিনি বললেন, ‘নিজের হা

আজ শনিবার পবিত্র শবে মিরাজ। দিন পেরিয়ে আঁধার নামলেই আসবে মহিমান্বিত এ রজনী। মহানবী হজরত মুোম্মদ (সাঃ)-এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা শবে মিরাজ। ইসলামের ইতিহাসে, এমনকি পুরো নবুওয়াতের ইতিহাসেও এটি এক অবিস্মরণীয় ঘটনা।

মাতৃভাষার মর্যাদা ইসলামে স্বীকৃত। মহানবী (সা.)-এর মাতৃভাষা ছিল আরবি। বায়হাকি শরিফের এক হাদিসে তাঁর আরবিপ্রীতির বিরল নজির পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘তোমরা তিন কারণে আরবদের ভালোবাসবে। প্রথমত, আমি আরবের। দ্বিতীয়ত, পবিত্র কোরআনের ভাষা

আমাদের সমাজে বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে বাবা-মা, ভাইবোনসহ পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে যৌথভাবে থাকাকে উত্তম বিবেচনা করা হয়। পৃথক হয়ে আলাদা ঘরে বসবাস করাকে নিন্দাযোগ্য মনে করা হয়। এ বিষয়ে ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ আছে? স্ত্রীকে কেমন ঘরে রাখার কথা বলে

ইসলামের আবির্ভাবের পরে জাহেলি যুগের যে কয়টি বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল, তার মধ্যে হাবাশা বাজারই সবার শেষে বিলুপ্ত হয়। ইয়েমেন থেকে মক্কা হয়ে সিরিয়া-লেবানন-ফিলিস্তিনের প্রাচীন বাণিজ্যিক সড়কেই ছিল এটির অবস্থান। এখানে

মানুষকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ইমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আল্লাহ তাআলা মদিনার আনসারদের প্রশংসা করে বলেন, ‘যারা আগে থেকেই এ নগরী তথা মদিনায় অবস্থানরত আছে, কেউ তাদের কাছে হিজরত করে এলে তারা তাদের ভালোবাসে।’ (সুরা হাশর: ৯)

মিরাজ মহানবী (সা.)-এর জীবনের অন্যতম সেরা অলৌকিক ঘটনা। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তাঁকে সংক্ষিপ্ততম সময়ে বিশেষ ব্যবস্থায় মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস, সেখান থেকে সাত আসমানের ওপরে আরশ, কুরসি, সিদরাতুল মুনতাহা, জান্নাত, জাহান্নাম ভ্রমণ করিয়েছেন। সেখানে

গালাগালি করা অত্যন্ত নিকৃষ্ট স্বভাব। মুনাফিক ব্যক্তিই অন্যের সঙ্গে কলহ-বিবাদে লিপ্ত হলে মুখ খারাপ করে এবং অবলীলায় অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে। যাপিত জীবনে কত রকম মানুষের সঙ্গেই মেলামেশা ও লেনদেন করতে হয়। এতে কখনো কখনো মতের অমিল দেখা

ইসলামে গয়না পরার ক্ষেত্রে বিধিবিধান রয়েছে, যা নারী-পুরুষ সবার মেনে চলা আবশ্যক। পুরুষের জন্য সোনার তৈরি সব ধরনের গয়না পরা হারাম। রাসুল (সা.) বলেন, ‘রেশমের পোশাক ও স্বর্ণ আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য অবৈধ করা হয়েছে। আর নারীদের জন্য তা বৈধ করা হয়েছে।’ (তিরমিজি)

কপিরাইট বা মেধাস্বত্ব একটি আইনি অধিকার। এতে বলা হয়েছে, কোনো মৌলিক কাজের আবিষ্কারক বা লেখক ছাড়া অন্য কেউ তা ব্যবহার করতে পারবে কি না, কিংবা কোন শর্তে ব্যবহার করতে পারবে, সেই সিদ্ধান্ত দেওয়ার ব্যাপারে ওই লেখক বা আবিষ্কারকের

ভূমিকম্প মহান আল্লাহর অসীম শক্তিমত্তার বহিঃপ্রকাশ। অবাধ্যতার কারণে অতীতে অনেক জাতিকে ভূমিকম্প দিয়ে সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছেন তিনি। যেদিন মহাবিশ্বের আয়ু ফুরিয়ে যাবে, সেদিন ভয়ংকর ভূমিকম্পের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা পুরো সৃষ্টিজগৎ ধ্বংস করে দেবেন। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ভূমিকম্পগুলো এরই ছোট নমুনামাত্র

মহানবী (সা.)-এর ওপর হেরা গুহায় প্রথম কোরআনের যে আয়াত নাজিল হয়েছিল, তা ছিল পড়াসংক্রান্ত। আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-কে বলেছেন, ‘পড়ো, তোমার পালনকর্তার নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা আলাক: ১) সুতরাং মহান প্রতিপালক আল্লাহর নামে পড়ার তাগিদ দিয়েই পবিত্র কোরআন নাজিলের সূচনা হয়েছিল।

দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় মৃত্যু কখনোই মানুষের কাম্য নয়। মহানবী (সা.) নিজেও দুর্ঘটনার মৃত্যু থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। তবে কেউ দুর্ঘটনায় মারা গেলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। মহানবী (সা.) এমন ব্যক্তির জন্য বিরাট সুসংবাদ দিয়েছেন। দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিকে তিনি শহীদ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

মৃত্যু এক অমোঘ সত্য। সব সৃষ্টিকেই একদিন মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে। যার মৃত্যু যখন নির্ধারণ করা হয়েছে, ঠিক তখনই তার মৃত্যু হবে। এক মুহূর্ত আগে-পরে হবে না। তবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আকস্মিকভাবে মারা যাওয়া নিশ্চয়ই কারও জন্য সুখকর নয়। মহানবী (সা.) আকস্মিক মৃত্যু থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন।

আমাদের চারপাশ ও আর্থসামাজিক বাস্তবতা আমাদের এমন অবস্থায় দাঁড় করিয়েছে, আমরা মুনাফার বাইরে কিছু ভাবতে পারি না। ফলে নীতি-নৈতিকতা ও সুকুমার গুণগুলো আমাদের কাছে এখন গৌণ বিবেচিত