আবদুল আযীয কাসেমি
মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ বা বেচাকেনা করা কি জায়েজ আছে?
ফারহান ইশরাক, ঢাকা
কপিরাইট বা মেধাস্বত্ব একটি আইনি অধিকার। এতে বলা হয়েছে, কোনো মৌলিক কাজের আবিষ্কারক বা লেখক ছাড়া অন্য কেউ তা ব্যবহার করতে পারবে কি না, কিংবা কোন শর্তে ব্যবহার করতে পারবে, সেই সিদ্ধান্ত দেওয়ার ব্যাপারে ওই লেখক বা আবিষ্কারকের একক ও অনন্য অধিকার থাকবে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, লেখকের মৃত্যুর পর ৬০ বছর পর্যন্ত এ অধিকার পরিবারের জন্য সংরক্ষিত থাকে। এরপর তা জনগণের সম্পদে পরিণত হয়।
এ বিষয়ে ইসলামের বিধান নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ বিরোধিতা করলেও অধিকাংশ আলেমের মতে, মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ করা জায়েজ। অন্যদের তাতে অধিকার থাকবে না এবং এ স্বত্ব বেচাকেনা করাও সম্পূর্ণ বৈধ। এ প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে, আসমার বিন মুদাররিস (রা.) বলেন, আমি নবী (সা.)-এর কাছে এসে তাঁর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করি। তখন তিনি বললেন, ‘যে ব্যক্তি এমন কোনো কূপ বা ঝরনার কাছে পৌঁছায়, যেখানে তার আগে কোনো মুসলমান পৌঁছায়নি, সেই ব্যক্তি ওই কূপ বা ঝরনার মালিক হবে।’ (আবু দাউদ: ৩০৬০)
হাদিসের ভাষ্যকার আল্লামা মুনাবি (রহ.) এ হাদিসের মর্ম নির্ধারণ করে বলেছেন, ‘এমন ভূমি, যা অনাবাদ হয়ে পড়ে ছিল, কোনো ব্যক্তি সেই জমি চাষাযোগ্য করে তুললেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনো কোনো স্কলারের মতে, এই হাদিস ঝরনা, কূপ ও বিভিন্ন খনিও অন্তর্ভুক্ত করে।’ (ফয়জুল কাদির: ৬ / ১৩৮)
যখন লেখার বা প্রকাশের স্বত্ব নিবন্ধন করিয়ে নেওয়া হয় এবং লেখক বা প্রকাশক শ্রম, সময় ও অর্থ ব্যয় করেন, তখন এটি তাঁর একটি আইনি অধিকারে পরিণত হয়। একে একটি মূল্যবান বস্তু হিসেবে গণ্য করা হয়। সুতরাং এই নিবন্ধিত অধিকার প্রচলন অনুযায়ী মূল্যবিশিষ্ট বস্তু সাব্যস্ত করে বেচাকেনা করা বৈধ। উপমহাদেশের বিখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত মাওলানা ফাতহ মুহাম্মাদ লখনবি, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ দেহলবি, দেওবন্দের সাবেক প্রধান মুফতি মুফতি নিজামুদ্দিন, মুফতি আবদুর রহিম লাজপুরি, মুফতি তাকি উসমানিসহ অনেকেই এ মত দিয়ে থাকেন। আর অর্থের বিনিময়ে এ অধিকার থেকে মুক্ত হওয়াকে প্রায় সবাই বৈধ বলেন। (ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ, ফতোয়া নম্বর: ৪৯৭)
উত্তর দিয়েছেন
আবদুল আযীয কাসেমি
শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ বা বেচাকেনা করা কি জায়েজ আছে?
ফারহান ইশরাক, ঢাকা
কপিরাইট বা মেধাস্বত্ব একটি আইনি অধিকার। এতে বলা হয়েছে, কোনো মৌলিক কাজের আবিষ্কারক বা লেখক ছাড়া অন্য কেউ তা ব্যবহার করতে পারবে কি না, কিংবা কোন শর্তে ব্যবহার করতে পারবে, সেই সিদ্ধান্ত দেওয়ার ব্যাপারে ওই লেখক বা আবিষ্কারকের একক ও অনন্য অধিকার থাকবে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, লেখকের মৃত্যুর পর ৬০ বছর পর্যন্ত এ অধিকার পরিবারের জন্য সংরক্ষিত থাকে। এরপর তা জনগণের সম্পদে পরিণত হয়।
এ বিষয়ে ইসলামের বিধান নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ বিরোধিতা করলেও অধিকাংশ আলেমের মতে, মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ করা জায়েজ। অন্যদের তাতে অধিকার থাকবে না এবং এ স্বত্ব বেচাকেনা করাও সম্পূর্ণ বৈধ। এ প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে, আসমার বিন মুদাররিস (রা.) বলেন, আমি নবী (সা.)-এর কাছে এসে তাঁর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করি। তখন তিনি বললেন, ‘যে ব্যক্তি এমন কোনো কূপ বা ঝরনার কাছে পৌঁছায়, যেখানে তার আগে কোনো মুসলমান পৌঁছায়নি, সেই ব্যক্তি ওই কূপ বা ঝরনার মালিক হবে।’ (আবু দাউদ: ৩০৬০)
হাদিসের ভাষ্যকার আল্লামা মুনাবি (রহ.) এ হাদিসের মর্ম নির্ধারণ করে বলেছেন, ‘এমন ভূমি, যা অনাবাদ হয়ে পড়ে ছিল, কোনো ব্যক্তি সেই জমি চাষাযোগ্য করে তুললেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনো কোনো স্কলারের মতে, এই হাদিস ঝরনা, কূপ ও বিভিন্ন খনিও অন্তর্ভুক্ত করে।’ (ফয়জুল কাদির: ৬ / ১৩৮)
যখন লেখার বা প্রকাশের স্বত্ব নিবন্ধন করিয়ে নেওয়া হয় এবং লেখক বা প্রকাশক শ্রম, সময় ও অর্থ ব্যয় করেন, তখন এটি তাঁর একটি আইনি অধিকারে পরিণত হয়। একে একটি মূল্যবান বস্তু হিসেবে গণ্য করা হয়। সুতরাং এই নিবন্ধিত অধিকার প্রচলন অনুযায়ী মূল্যবিশিষ্ট বস্তু সাব্যস্ত করে বেচাকেনা করা বৈধ। উপমহাদেশের বিখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত মাওলানা ফাতহ মুহাম্মাদ লখনবি, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ দেহলবি, দেওবন্দের সাবেক প্রধান মুফতি মুফতি নিজামুদ্দিন, মুফতি আবদুর রহিম লাজপুরি, মুফতি তাকি উসমানিসহ অনেকেই এ মত দিয়ে থাকেন। আর অর্থের বিনিময়ে এ অধিকার থেকে মুক্ত হওয়াকে প্রায় সবাই বৈধ বলেন। (ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ, ফতোয়া নম্বর: ৪৯৭)
উত্তর দিয়েছেন
আবদুল আযীয কাসেমি
শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫