আবদুল বাছেদ, ঢাকা

গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টান টান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও। তবে এত কর্মব্যস্ততার মাঝেও রাতগুলো উপভোগ করতে ভুল করেন না তিনি। ভোররাত পর্যন্ত দাপ্তরিক কাজ শেষে নেমে পড়েন এক রোমাঞ্চকর অভিযানে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এই রোমাঞ্চ ক্ষমতার টানাপোড়েন বা গোপন বৈঠকের জন্য নয়। এটা ‘অপারেশন হাঁসের ঝোল’। গন্তব্য পূর্বাচলের বিখ্যাত নীলা মার্কেট; লক্ষ্য—গরম গরম হাঁসের মাংস আর চিতই পিঠা। কী এমন রয়েছে ৩০০ ফিটের সেই নীলা মার্কেটের হাঁসের ঝোলে? যার নেশায় সচিবালয় থেকে ভোররাতে তাঁকে ৩০০ ফিটে টেনে নিয়ে যায়? চলুন, নজর দিই সেই নীলা মার্কেটের শেষরাতের লাল-নীল গল্পের ভাঁজে।
৩০০ ফিট এলাকার আশপাশের জায়গাগুলো ঢাকা শহরের ভ্রমণপিয়াসিদের কাছে অনেক আগে থেকে জনপ্রিয়। এর মধ্যে রূপগঞ্জের ‘নীলা মার্কেট’ গড়ে ওঠায় এই অঞ্চলের আকর্ষণ বেড়েছে আরও কয়েক গুণ। বাজারটি কোনো স্থায়ী ভবন নয়; বরং নদীর ধারে ছাউনি দেওয়া অসংখ্য দোকানের সমন্বয়ে তৈরি।
এখানে খাল-বিল-নদী থেকে ধরা দেশি মাছের ঝোল, টাটকা শাকসবজির পাঁচনসহ মুখরোচক খাবারের সমাহার রয়েছে। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ হলো হাঁসের মাংসের সঙ্গে চিতই পিঠা। গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে এখানকার খাবারের দোকানপাট। এই হাঁসের রেসিপি খেতেই ভোররাতে নীলা মার্কেটে যান উপদেষ্টা আসিফ। তবে শেষ রাতে নীলা মার্কেট বন্ধ হলে গুলশানের ওয়েস্টিনে যেতে হয়—সে এক আক্ষেপের বিষয়।

গ্রামীণ নারীরা মাটির চুলায় এক পাশে রান্না করেন হাঁসের ঝোল, অন্য পাশে তৈরি হয় চিতই পিঠা। প্রতি প্লেটে চার থেকে পাঁচ টুকরা মাংস থাকে, সঙ্গে পাওয়া যায় চিতই পিঠা, নরম চাপাটি বা ভাত। দাম মাত্র ২০০-২৫০ টাকার মধ্যে। এই অমৃতের সঙ্গে কি তুলনা হয় হোটেল ওয়েস্টিনের! তবু ‘নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো’ যেমন, তেমনি অগত্যা হয়ে উপদেষ্টা আসিফকে কখনো কখনো হোটেল ওয়েস্টিনের ‘বিস্বাদ’ হাঁস খেতে যেতে হয়।
তবে স্বাদে-মানে ওয়েস্টিনের হাঁসের মাংস হয়তো নীলা মার্কেটের মতো নয়। ইট-সুরকির এ শহরে হাঁস রান্না কি আর গ্রামীণ নারীর হাতের ছোঁয়ার সঙ্গে কোনোভাবে তুলনীয়! আর নদীতীরে বসে হাঁস খাওয়ার অনুভূতিও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ওয়েস্টিনের দেওয়ার সাধ্যি আছে! গুলশানের ওয়েস্টিনে হাঁস খাওয়ার আছেন আরেক বিপত্তি। ওদিকে গেলেই আপনার বিরুদ্ধে উঠতে পারে চাঁদাবাজির অভিযোগ। সেই বিপত্তি অসুর হয়ে ভর করেছে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ওপর।
তাই কবে আসিফ ওয়েস্টিনে যান, আর কবে যান না—সেটি তাঁর মনে থাকে না বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু একটি ‘কুচক্রী মহল’ উপদেষ্টার ‘কঠোর পরিশ্রম’কে মূল্যায়ন না করে তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মতো ঘৃণ্য অপরাধের অভিযোগ তুলছে। ‘নতুন বাংলাদেশে’ আমরা দিনটি কখনোই দেখতে চাইনি। নয়া বন্দোবস্তের বাংলাদেশে আমাদের রাজনীতিবিদেরা দিনরাত জনগণের সেবায় অক্লান্ত খাটুনির পর একটু হাঁসের মাংস খেতে পারবেন না?

আপনিও কি উপদেষ্টা আসিফের মতো নীলা মার্কেটের হাঁসের মাংস খেতে চান? পড়ন্ত বিকেলে অথবা ভোররাতে! তাহলে প্রথমে আপনাকে রাজধানী ঢাকার কুড়িল-বিশ্বরোড পৌঁছাতে হবে। কুড়িল-বিশ্বরোড নেমে রিকশা পাবেন। রিজার্ভ করা অটোরিকশায় চড়ে সরাসরি যেতে পারেন। তবে ভাড়া পড়বে একটু বেশি। অথবা বসুন্ধরা গেট পর্যন্ত রিকশাভাড়া ৩০ টাকা। এরপর সেখান থেকে অটোরিকশায় গেলে জনপ্রতি ভাড়া ৩০-৪০ টাকায় পৌঁছে যাবেন নীলা মার্কেট।
নদীর তীরঘেঁষা নীলা মার্কেটের দোকানগুলোতে চাইলে দেশি মাছ ভাজারও স্বাদ নিতে পারেন। এ ছাড়া রয়েছে কম দামে চায়নিজ খাবারের দোকান এবং নানান রকম মিষ্টি—স্পঞ্জ মিষ্টি, ছানার মিষ্টি, জিলাপি, বালিশ মিষ্টি, সন্দেশ, দই ইত্যাদি।
তবে নীলা মার্কেট শুধু খাবারের জন্য নয়; শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশও এখানে বড় আকর্ষণ। পাশের বালু নদে নৌভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। খোলা জায়গা অনেক, তাই চাইলে দীর্ঘ সময় অবস্থান করা যায়। বিকেলের স্নিগ্ধ সময় এখানে কাটানো সবচেয়ে উপভোগ্য।
পাখির ডাক, নদীর স্রোত আর টিনের চালাঘরের সারি দেখে মনে হয়, যেন ছোট্ট একটুকরো গ্রাম। খাবারের স্বাদও ঠিক গ্রামের বাড়ির মতো।

গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টান টান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও। তবে এত কর্মব্যস্ততার মাঝেও রাতগুলো উপভোগ করতে ভুল করেন না তিনি। ভোররাত পর্যন্ত দাপ্তরিক কাজ শেষে নেমে পড়েন এক রোমাঞ্চকর অভিযানে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এই রোমাঞ্চ ক্ষমতার টানাপোড়েন বা গোপন বৈঠকের জন্য নয়। এটা ‘অপারেশন হাঁসের ঝোল’। গন্তব্য পূর্বাচলের বিখ্যাত নীলা মার্কেট; লক্ষ্য—গরম গরম হাঁসের মাংস আর চিতই পিঠা। কী এমন রয়েছে ৩০০ ফিটের সেই নীলা মার্কেটের হাঁসের ঝোলে? যার নেশায় সচিবালয় থেকে ভোররাতে তাঁকে ৩০০ ফিটে টেনে নিয়ে যায়? চলুন, নজর দিই সেই নীলা মার্কেটের শেষরাতের লাল-নীল গল্পের ভাঁজে।
৩০০ ফিট এলাকার আশপাশের জায়গাগুলো ঢাকা শহরের ভ্রমণপিয়াসিদের কাছে অনেক আগে থেকে জনপ্রিয়। এর মধ্যে রূপগঞ্জের ‘নীলা মার্কেট’ গড়ে ওঠায় এই অঞ্চলের আকর্ষণ বেড়েছে আরও কয়েক গুণ। বাজারটি কোনো স্থায়ী ভবন নয়; বরং নদীর ধারে ছাউনি দেওয়া অসংখ্য দোকানের সমন্বয়ে তৈরি।
এখানে খাল-বিল-নদী থেকে ধরা দেশি মাছের ঝোল, টাটকা শাকসবজির পাঁচনসহ মুখরোচক খাবারের সমাহার রয়েছে। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ হলো হাঁসের মাংসের সঙ্গে চিতই পিঠা। গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে এখানকার খাবারের দোকানপাট। এই হাঁসের রেসিপি খেতেই ভোররাতে নীলা মার্কেটে যান উপদেষ্টা আসিফ। তবে শেষ রাতে নীলা মার্কেট বন্ধ হলে গুলশানের ওয়েস্টিনে যেতে হয়—সে এক আক্ষেপের বিষয়।

গ্রামীণ নারীরা মাটির চুলায় এক পাশে রান্না করেন হাঁসের ঝোল, অন্য পাশে তৈরি হয় চিতই পিঠা। প্রতি প্লেটে চার থেকে পাঁচ টুকরা মাংস থাকে, সঙ্গে পাওয়া যায় চিতই পিঠা, নরম চাপাটি বা ভাত। দাম মাত্র ২০০-২৫০ টাকার মধ্যে। এই অমৃতের সঙ্গে কি তুলনা হয় হোটেল ওয়েস্টিনের! তবু ‘নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো’ যেমন, তেমনি অগত্যা হয়ে উপদেষ্টা আসিফকে কখনো কখনো হোটেল ওয়েস্টিনের ‘বিস্বাদ’ হাঁস খেতে যেতে হয়।
তবে স্বাদে-মানে ওয়েস্টিনের হাঁসের মাংস হয়তো নীলা মার্কেটের মতো নয়। ইট-সুরকির এ শহরে হাঁস রান্না কি আর গ্রামীণ নারীর হাতের ছোঁয়ার সঙ্গে কোনোভাবে তুলনীয়! আর নদীতীরে বসে হাঁস খাওয়ার অনুভূতিও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ওয়েস্টিনের দেওয়ার সাধ্যি আছে! গুলশানের ওয়েস্টিনে হাঁস খাওয়ার আছেন আরেক বিপত্তি। ওদিকে গেলেই আপনার বিরুদ্ধে উঠতে পারে চাঁদাবাজির অভিযোগ। সেই বিপত্তি অসুর হয়ে ভর করেছে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ওপর।
তাই কবে আসিফ ওয়েস্টিনে যান, আর কবে যান না—সেটি তাঁর মনে থাকে না বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু একটি ‘কুচক্রী মহল’ উপদেষ্টার ‘কঠোর পরিশ্রম’কে মূল্যায়ন না করে তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মতো ঘৃণ্য অপরাধের অভিযোগ তুলছে। ‘নতুন বাংলাদেশে’ আমরা দিনটি কখনোই দেখতে চাইনি। নয়া বন্দোবস্তের বাংলাদেশে আমাদের রাজনীতিবিদেরা দিনরাত জনগণের সেবায় অক্লান্ত খাটুনির পর একটু হাঁসের মাংস খেতে পারবেন না?

আপনিও কি উপদেষ্টা আসিফের মতো নীলা মার্কেটের হাঁসের মাংস খেতে চান? পড়ন্ত বিকেলে অথবা ভোররাতে! তাহলে প্রথমে আপনাকে রাজধানী ঢাকার কুড়িল-বিশ্বরোড পৌঁছাতে হবে। কুড়িল-বিশ্বরোড নেমে রিকশা পাবেন। রিজার্ভ করা অটোরিকশায় চড়ে সরাসরি যেতে পারেন। তবে ভাড়া পড়বে একটু বেশি। অথবা বসুন্ধরা গেট পর্যন্ত রিকশাভাড়া ৩০ টাকা। এরপর সেখান থেকে অটোরিকশায় গেলে জনপ্রতি ভাড়া ৩০-৪০ টাকায় পৌঁছে যাবেন নীলা মার্কেট।
নদীর তীরঘেঁষা নীলা মার্কেটের দোকানগুলোতে চাইলে দেশি মাছ ভাজারও স্বাদ নিতে পারেন। এ ছাড়া রয়েছে কম দামে চায়নিজ খাবারের দোকান এবং নানান রকম মিষ্টি—স্পঞ্জ মিষ্টি, ছানার মিষ্টি, জিলাপি, বালিশ মিষ্টি, সন্দেশ, দই ইত্যাদি।
তবে নীলা মার্কেট শুধু খাবারের জন্য নয়; শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশও এখানে বড় আকর্ষণ। পাশের বালু নদে নৌভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। খোলা জায়গা অনেক, তাই চাইলে দীর্ঘ সময় অবস্থান করা যায়। বিকেলের স্নিগ্ধ সময় এখানে কাটানো সবচেয়ে উপভোগ্য।
পাখির ডাক, নদীর স্রোত আর টিনের চালাঘরের সারি দেখে মনে হয়, যেন ছোট্ট একটুকরো গ্রাম। খাবারের স্বাদও ঠিক গ্রামের বাড়ির মতো।
আবদুল বাছেদ, ঢাকা

গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টান টান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও। তবে এত কর্মব্যস্ততার মাঝেও রাতগুলো উপভোগ করতে ভুল করেন না তিনি। ভোররাত পর্যন্ত দাপ্তরিক কাজ শেষে নেমে পড়েন এক রোমাঞ্চকর অভিযানে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এই রোমাঞ্চ ক্ষমতার টানাপোড়েন বা গোপন বৈঠকের জন্য নয়। এটা ‘অপারেশন হাঁসের ঝোল’। গন্তব্য পূর্বাচলের বিখ্যাত নীলা মার্কেট; লক্ষ্য—গরম গরম হাঁসের মাংস আর চিতই পিঠা। কী এমন রয়েছে ৩০০ ফিটের সেই নীলা মার্কেটের হাঁসের ঝোলে? যার নেশায় সচিবালয় থেকে ভোররাতে তাঁকে ৩০০ ফিটে টেনে নিয়ে যায়? চলুন, নজর দিই সেই নীলা মার্কেটের শেষরাতের লাল-নীল গল্পের ভাঁজে।
৩০০ ফিট এলাকার আশপাশের জায়গাগুলো ঢাকা শহরের ভ্রমণপিয়াসিদের কাছে অনেক আগে থেকে জনপ্রিয়। এর মধ্যে রূপগঞ্জের ‘নীলা মার্কেট’ গড়ে ওঠায় এই অঞ্চলের আকর্ষণ বেড়েছে আরও কয়েক গুণ। বাজারটি কোনো স্থায়ী ভবন নয়; বরং নদীর ধারে ছাউনি দেওয়া অসংখ্য দোকানের সমন্বয়ে তৈরি।
এখানে খাল-বিল-নদী থেকে ধরা দেশি মাছের ঝোল, টাটকা শাকসবজির পাঁচনসহ মুখরোচক খাবারের সমাহার রয়েছে। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ হলো হাঁসের মাংসের সঙ্গে চিতই পিঠা। গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে এখানকার খাবারের দোকানপাট। এই হাঁসের রেসিপি খেতেই ভোররাতে নীলা মার্কেটে যান উপদেষ্টা আসিফ। তবে শেষ রাতে নীলা মার্কেট বন্ধ হলে গুলশানের ওয়েস্টিনে যেতে হয়—সে এক আক্ষেপের বিষয়।

গ্রামীণ নারীরা মাটির চুলায় এক পাশে রান্না করেন হাঁসের ঝোল, অন্য পাশে তৈরি হয় চিতই পিঠা। প্রতি প্লেটে চার থেকে পাঁচ টুকরা মাংস থাকে, সঙ্গে পাওয়া যায় চিতই পিঠা, নরম চাপাটি বা ভাত। দাম মাত্র ২০০-২৫০ টাকার মধ্যে। এই অমৃতের সঙ্গে কি তুলনা হয় হোটেল ওয়েস্টিনের! তবু ‘নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো’ যেমন, তেমনি অগত্যা হয়ে উপদেষ্টা আসিফকে কখনো কখনো হোটেল ওয়েস্টিনের ‘বিস্বাদ’ হাঁস খেতে যেতে হয়।
তবে স্বাদে-মানে ওয়েস্টিনের হাঁসের মাংস হয়তো নীলা মার্কেটের মতো নয়। ইট-সুরকির এ শহরে হাঁস রান্না কি আর গ্রামীণ নারীর হাতের ছোঁয়ার সঙ্গে কোনোভাবে তুলনীয়! আর নদীতীরে বসে হাঁস খাওয়ার অনুভূতিও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ওয়েস্টিনের দেওয়ার সাধ্যি আছে! গুলশানের ওয়েস্টিনে হাঁস খাওয়ার আছেন আরেক বিপত্তি। ওদিকে গেলেই আপনার বিরুদ্ধে উঠতে পারে চাঁদাবাজির অভিযোগ। সেই বিপত্তি অসুর হয়ে ভর করেছে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ওপর।
তাই কবে আসিফ ওয়েস্টিনে যান, আর কবে যান না—সেটি তাঁর মনে থাকে না বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু একটি ‘কুচক্রী মহল’ উপদেষ্টার ‘কঠোর পরিশ্রম’কে মূল্যায়ন না করে তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মতো ঘৃণ্য অপরাধের অভিযোগ তুলছে। ‘নতুন বাংলাদেশে’ আমরা দিনটি কখনোই দেখতে চাইনি। নয়া বন্দোবস্তের বাংলাদেশে আমাদের রাজনীতিবিদেরা দিনরাত জনগণের সেবায় অক্লান্ত খাটুনির পর একটু হাঁসের মাংস খেতে পারবেন না?

আপনিও কি উপদেষ্টা আসিফের মতো নীলা মার্কেটের হাঁসের মাংস খেতে চান? পড়ন্ত বিকেলে অথবা ভোররাতে! তাহলে প্রথমে আপনাকে রাজধানী ঢাকার কুড়িল-বিশ্বরোড পৌঁছাতে হবে। কুড়িল-বিশ্বরোড নেমে রিকশা পাবেন। রিজার্ভ করা অটোরিকশায় চড়ে সরাসরি যেতে পারেন। তবে ভাড়া পড়বে একটু বেশি। অথবা বসুন্ধরা গেট পর্যন্ত রিকশাভাড়া ৩০ টাকা। এরপর সেখান থেকে অটোরিকশায় গেলে জনপ্রতি ভাড়া ৩০-৪০ টাকায় পৌঁছে যাবেন নীলা মার্কেট।
নদীর তীরঘেঁষা নীলা মার্কেটের দোকানগুলোতে চাইলে দেশি মাছ ভাজারও স্বাদ নিতে পারেন। এ ছাড়া রয়েছে কম দামে চায়নিজ খাবারের দোকান এবং নানান রকম মিষ্টি—স্পঞ্জ মিষ্টি, ছানার মিষ্টি, জিলাপি, বালিশ মিষ্টি, সন্দেশ, দই ইত্যাদি।
তবে নীলা মার্কেট শুধু খাবারের জন্য নয়; শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশও এখানে বড় আকর্ষণ। পাশের বালু নদে নৌভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। খোলা জায়গা অনেক, তাই চাইলে দীর্ঘ সময় অবস্থান করা যায়। বিকেলের স্নিগ্ধ সময় এখানে কাটানো সবচেয়ে উপভোগ্য।
পাখির ডাক, নদীর স্রোত আর টিনের চালাঘরের সারি দেখে মনে হয়, যেন ছোট্ট একটুকরো গ্রাম। খাবারের স্বাদও ঠিক গ্রামের বাড়ির মতো।

গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টান টান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও। তবে এত কর্মব্যস্ততার মাঝেও রাতগুলো উপভোগ করতে ভুল করেন না তিনি। ভোররাত পর্যন্ত দাপ্তরিক কাজ শেষে নেমে পড়েন এক রোমাঞ্চকর অভিযানে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এই রোমাঞ্চ ক্ষমতার টানাপোড়েন বা গোপন বৈঠকের জন্য নয়। এটা ‘অপারেশন হাঁসের ঝোল’। গন্তব্য পূর্বাচলের বিখ্যাত নীলা মার্কেট; লক্ষ্য—গরম গরম হাঁসের মাংস আর চিতই পিঠা। কী এমন রয়েছে ৩০০ ফিটের সেই নীলা মার্কেটের হাঁসের ঝোলে? যার নেশায় সচিবালয় থেকে ভোররাতে তাঁকে ৩০০ ফিটে টেনে নিয়ে যায়? চলুন, নজর দিই সেই নীলা মার্কেটের শেষরাতের লাল-নীল গল্পের ভাঁজে।
৩০০ ফিট এলাকার আশপাশের জায়গাগুলো ঢাকা শহরের ভ্রমণপিয়াসিদের কাছে অনেক আগে থেকে জনপ্রিয়। এর মধ্যে রূপগঞ্জের ‘নীলা মার্কেট’ গড়ে ওঠায় এই অঞ্চলের আকর্ষণ বেড়েছে আরও কয়েক গুণ। বাজারটি কোনো স্থায়ী ভবন নয়; বরং নদীর ধারে ছাউনি দেওয়া অসংখ্য দোকানের সমন্বয়ে তৈরি।
এখানে খাল-বিল-নদী থেকে ধরা দেশি মাছের ঝোল, টাটকা শাকসবজির পাঁচনসহ মুখরোচক খাবারের সমাহার রয়েছে। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ হলো হাঁসের মাংসের সঙ্গে চিতই পিঠা। গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে এখানকার খাবারের দোকানপাট। এই হাঁসের রেসিপি খেতেই ভোররাতে নীলা মার্কেটে যান উপদেষ্টা আসিফ। তবে শেষ রাতে নীলা মার্কেট বন্ধ হলে গুলশানের ওয়েস্টিনে যেতে হয়—সে এক আক্ষেপের বিষয়।

গ্রামীণ নারীরা মাটির চুলায় এক পাশে রান্না করেন হাঁসের ঝোল, অন্য পাশে তৈরি হয় চিতই পিঠা। প্রতি প্লেটে চার থেকে পাঁচ টুকরা মাংস থাকে, সঙ্গে পাওয়া যায় চিতই পিঠা, নরম চাপাটি বা ভাত। দাম মাত্র ২০০-২৫০ টাকার মধ্যে। এই অমৃতের সঙ্গে কি তুলনা হয় হোটেল ওয়েস্টিনের! তবু ‘নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো’ যেমন, তেমনি অগত্যা হয়ে উপদেষ্টা আসিফকে কখনো কখনো হোটেল ওয়েস্টিনের ‘বিস্বাদ’ হাঁস খেতে যেতে হয়।
তবে স্বাদে-মানে ওয়েস্টিনের হাঁসের মাংস হয়তো নীলা মার্কেটের মতো নয়। ইট-সুরকির এ শহরে হাঁস রান্না কি আর গ্রামীণ নারীর হাতের ছোঁয়ার সঙ্গে কোনোভাবে তুলনীয়! আর নদীতীরে বসে হাঁস খাওয়ার অনুভূতিও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ওয়েস্টিনের দেওয়ার সাধ্যি আছে! গুলশানের ওয়েস্টিনে হাঁস খাওয়ার আছেন আরেক বিপত্তি। ওদিকে গেলেই আপনার বিরুদ্ধে উঠতে পারে চাঁদাবাজির অভিযোগ। সেই বিপত্তি অসুর হয়ে ভর করেছে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ওপর।
তাই কবে আসিফ ওয়েস্টিনে যান, আর কবে যান না—সেটি তাঁর মনে থাকে না বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু একটি ‘কুচক্রী মহল’ উপদেষ্টার ‘কঠোর পরিশ্রম’কে মূল্যায়ন না করে তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মতো ঘৃণ্য অপরাধের অভিযোগ তুলছে। ‘নতুন বাংলাদেশে’ আমরা দিনটি কখনোই দেখতে চাইনি। নয়া বন্দোবস্তের বাংলাদেশে আমাদের রাজনীতিবিদেরা দিনরাত জনগণের সেবায় অক্লান্ত খাটুনির পর একটু হাঁসের মাংস খেতে পারবেন না?

আপনিও কি উপদেষ্টা আসিফের মতো নীলা মার্কেটের হাঁসের মাংস খেতে চান? পড়ন্ত বিকেলে অথবা ভোররাতে! তাহলে প্রথমে আপনাকে রাজধানী ঢাকার কুড়িল-বিশ্বরোড পৌঁছাতে হবে। কুড়িল-বিশ্বরোড নেমে রিকশা পাবেন। রিজার্ভ করা অটোরিকশায় চড়ে সরাসরি যেতে পারেন। তবে ভাড়া পড়বে একটু বেশি। অথবা বসুন্ধরা গেট পর্যন্ত রিকশাভাড়া ৩০ টাকা। এরপর সেখান থেকে অটোরিকশায় গেলে জনপ্রতি ভাড়া ৩০-৪০ টাকায় পৌঁছে যাবেন নীলা মার্কেট।
নদীর তীরঘেঁষা নীলা মার্কেটের দোকানগুলোতে চাইলে দেশি মাছ ভাজারও স্বাদ নিতে পারেন। এ ছাড়া রয়েছে কম দামে চায়নিজ খাবারের দোকান এবং নানান রকম মিষ্টি—স্পঞ্জ মিষ্টি, ছানার মিষ্টি, জিলাপি, বালিশ মিষ্টি, সন্দেশ, দই ইত্যাদি।
তবে নীলা মার্কেট শুধু খাবারের জন্য নয়; শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশও এখানে বড় আকর্ষণ। পাশের বালু নদে নৌভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। খোলা জায়গা অনেক, তাই চাইলে দীর্ঘ সময় অবস্থান করা যায়। বিকেলের স্নিগ্ধ সময় এখানে কাটানো সবচেয়ে উপভোগ্য।
পাখির ডাক, নদীর স্রোত আর টিনের চালাঘরের সারি দেখে মনে হয়, যেন ছোট্ট একটুকরো গ্রাম। খাবারের স্বাদও ঠিক গ্রামের বাড়ির মতো।

আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন।
২ দিন আগে
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
৫ দিন আগে
১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
৭ দিন আগে
চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
৮ দিন আগেসম্পাদকীয়

আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন। বলা হয়, চিত্তরঞ্জন দাশের জীবনদর্শনে প্রভাবিত হয়েই শচীমোহন রেস্তোরাঁটির নাম দেন ‘দেশবন্ধু সুইটমিট অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’। এর উল্টো দিকে তখন ছিল ইত্তেফাক পত্রিকার অফিস।
সেখানকার সাংবাদিকেরা দেশবন্ধুর পরোটা-লুচি-ভাজি-হালুয়া খেতে যেতেন নিয়মিত। কবি-সাহিত্যিক-অভিনয়শিল্পীরাও পছন্দ করতেন এই রেস্তোরাঁর খাবার। এমনকি এফডিসিতে ফরমাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো দেশবন্ধুর নাশতা। এখন হয়তো মানিক মিয়া, রাজ্জাক, কবরী কিংবা শাবানাদের মতো বিখ্যাতরা সেখানে যান না কিন্তু তাতে দেশবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি একটুও। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখনো ঢাকাবাসীর ভিড় দেখা যায় এই রেস্তোরাঁয়। ভাবা যায়, সারা দিনই এখানকার পরোটা-ভাজি বিক্রি হতে থাকে! দুপুরে অবশ্য খাবারের তালিকায় ভাত-মাছ-মাংসও আছে। ছবি: মেহেদী হাসান

আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন। বলা হয়, চিত্তরঞ্জন দাশের জীবনদর্শনে প্রভাবিত হয়েই শচীমোহন রেস্তোরাঁটির নাম দেন ‘দেশবন্ধু সুইটমিট অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’। এর উল্টো দিকে তখন ছিল ইত্তেফাক পত্রিকার অফিস।
সেখানকার সাংবাদিকেরা দেশবন্ধুর পরোটা-লুচি-ভাজি-হালুয়া খেতে যেতেন নিয়মিত। কবি-সাহিত্যিক-অভিনয়শিল্পীরাও পছন্দ করতেন এই রেস্তোরাঁর খাবার। এমনকি এফডিসিতে ফরমাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো দেশবন্ধুর নাশতা। এখন হয়তো মানিক মিয়া, রাজ্জাক, কবরী কিংবা শাবানাদের মতো বিখ্যাতরা সেখানে যান না কিন্তু তাতে দেশবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি একটুও। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখনো ঢাকাবাসীর ভিড় দেখা যায় এই রেস্তোরাঁয়। ভাবা যায়, সারা দিনই এখানকার পরোটা-ভাজি বিক্রি হতে থাকে! দুপুরে অবশ্য খাবারের তালিকায় ভাত-মাছ-মাংসও আছে। ছবি: মেহেদী হাসান

গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টান টান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
১৪ আগস্ট ২০২৫
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
৫ দিন আগে
১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
৭ দিন আগে
চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
৮ দিন আগেকুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ও সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দা শাহীনা সোবহান।
ড. নাসের ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. আবু নাসের রাজীবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক জামানুল ইসলাম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা বিশ্বজিৎ সাহা, কুমারখালী সাহিত্য সংসদের সভাপতি কবি রহমান আজিজ, কবি রজত হুদা ও কবি সবুর বাদশা। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কবি ও কথাসাহিত্যিক সোহেল আমিন বাবু, কবি বাবলু জোয়ার্দার, কবি ও সাংবাদিক মাহমুদ শরীফ, জিটিভির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক কাজী সাইফুল, দৈনিক নয়া দিগন্তের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি (মাল্টিমিডিয়া) সোহাগ মাহমুদ প্রমুখ।
এ সাহিত্য আড্ডায় কুষ্টিয়া ও কুমারখালীর কবি-সাহিত্যিকেরা অংশ নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী জিয়াউর রহমান মানিক।

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ও সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দা শাহীনা সোবহান।
ড. নাসের ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. আবু নাসের রাজীবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক জামানুল ইসলাম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা বিশ্বজিৎ সাহা, কুমারখালী সাহিত্য সংসদের সভাপতি কবি রহমান আজিজ, কবি রজত হুদা ও কবি সবুর বাদশা। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কবি ও কথাসাহিত্যিক সোহেল আমিন বাবু, কবি বাবলু জোয়ার্দার, কবি ও সাংবাদিক মাহমুদ শরীফ, জিটিভির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক কাজী সাইফুল, দৈনিক নয়া দিগন্তের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি (মাল্টিমিডিয়া) সোহাগ মাহমুদ প্রমুখ।
এ সাহিত্য আড্ডায় কুষ্টিয়া ও কুমারখালীর কবি-সাহিত্যিকেরা অংশ নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী জিয়াউর রহমান মানিক।

গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টান টান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
১৪ আগস্ট ২০২৫
আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন।
২ দিন আগে
১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
৭ দিন আগে
চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
৮ দিন আগেসম্পাদকীয়

১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির সরদার ভবনে সরে আসে নান্না মিয়ার ব্যবসা। দোকানের নাম হয় হাজি নান্না বিরিয়ানি।
একে একে লালবাগ চৌরাস্তা, নবাবগঞ্জ বাজার, ফকিরাপুল ও নাজিমুদ্দিন রোডে এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। একই নামে শত শত ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও আসল নান্নার মোরগ পোলাওয়ের স্বাদকে টেক্কা দিতে পারেনি কেউ। তাই তো ভোজনপ্রেমীরা ঠিকই চিনে নেন আদি রেসিপিটি। মোরগ পোলাওয়ের পাশাপাশি হাজি নান্না বিরিয়ানিতে পাওয়া যায় খাসির বিরিয়ানি, খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানি, টিকিয়া, লাবাং ও ফিরনি। প্রতি মাসের ৫ তারিখে থাকে বিশেষ আয়োজন—আস্ত মুরগির পোলাও। ছবি: জাহিদুল ইসলাম

১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির সরদার ভবনে সরে আসে নান্না মিয়ার ব্যবসা। দোকানের নাম হয় হাজি নান্না বিরিয়ানি।
একে একে লালবাগ চৌরাস্তা, নবাবগঞ্জ বাজার, ফকিরাপুল ও নাজিমুদ্দিন রোডে এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। একই নামে শত শত ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও আসল নান্নার মোরগ পোলাওয়ের স্বাদকে টেক্কা দিতে পারেনি কেউ। তাই তো ভোজনপ্রেমীরা ঠিকই চিনে নেন আদি রেসিপিটি। মোরগ পোলাওয়ের পাশাপাশি হাজি নান্না বিরিয়ানিতে পাওয়া যায় খাসির বিরিয়ানি, খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানি, টিকিয়া, লাবাং ও ফিরনি। প্রতি মাসের ৫ তারিখে থাকে বিশেষ আয়োজন—আস্ত মুরগির পোলাও। ছবি: জাহিদুল ইসলাম

গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টান টান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
১৪ আগস্ট ২০২৫
আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন।
২ দিন আগে
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
৫ দিন আগে
চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
৮ দিন আগেসম্পাদকীয়

চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না। ব্যাপারটা ভদ্রলোক করেছিলেন ১৯৩৬ সালে, এ কথা ভুলবেন না। আর সেই যে সেই ‘উত্তরায়ণ’-এ বড়ুয়া সাহেবের জ্বর হওয়ার পরে ক্যামেরা সোজা সিঁড়ি দিয়ে উঠে বিছানায় গিয়ে আছড়ে পড়ল—সেটাই কি ভোলা যায়! কাণ্ডটা ঘটিয়েছেন ভদ্রলোক ডেভিড লিনের ‘অলিভার টুইস্ট’-এর বহু আগে। সাবজেকটিভ ক্যামেরা সম্পর্কে অনেক কথা আজকাল শুনতে পাই, বিভিন্ন পরিচালক নাকি খুব ভালোভাবে ব্যবহার করছেন।
...আমার কাছে গুলিয়ে গেছে সিনেমার প্রাচীন আর আধুনিক বলতে আপনারা কী বোঝাতে চেয়েছেন। এসব ধরনের কথা শুনলে আমার একটা কথাই মনে হয়, কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় ‘দে গরুর গা ধুইয়ে’।
...চলচ্চিত্রের সামাজিক দায়িত্ব সব সময়ে হয়েছে। হয় পজিটিভ, না হয় নেগেটিভভাবে। ছবিটাকে আমি একটা শিল্প বলি। কাজেই মনে করি সর্বশিল্পের শর্ত পালিত হচ্ছে এখানেও। আমি মনে করি না যে সত্যজিৎ রায়ের ‘চারুলতা’ চ্যাপলিনের ‘এসানে’ যুগের এক রিলের ছবিগুলোর চেয়ে বেশি সচেতন।
১৯২৫ সালে তোলা আইজেনস্টাইনের ‘স্ট্রাইক’ ছবির চেয়ে বেশি সমাজসচেতন ছবি কি আজ পর্যন্ত তোলা হয়েছে? পাবস্ট-এর ‘কামেরা ডে শেফট’ আজও পর্যন্ত আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে বেশি সমাজসচেতন একটি ছবি। চারু রায়ের ‘বাংলার মেয়ে’ বহু আগে তোলা—প্রথম বাংলা ছবি, যাতে আউটডোর ব্যবহৃত হয় সবচেয়ে বেশিভাবে, তাতেও সমাজচেতনা পরিপূর্ণ ছিল।
...রবিঠাকুর মশায় একটা বড় ভালো কথা বলে গিয়েছিলেন, ‘শিল্পকে শিল্প হতে হলে সর্বাগ্রে সত্যনিষ্ঠ হতে হয়, তারপরে সৌন্দর্যনিষ্ঠ’। কথাটা ভাবার মতো। যদি পারেন ভেবে দেখবেন।
সূত্র: ঋত্বিক ঘটকের গৃহীত সাক্ষাৎকার, ‘সাক্ষাৎ ঋত্বিক’, শিবাদিত্য দাশগুপ্ত ও সন্দীপন ভট্টাচার্য সম্পাদিত, পৃষ্ঠা ১৮-১৯

চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না। ব্যাপারটা ভদ্রলোক করেছিলেন ১৯৩৬ সালে, এ কথা ভুলবেন না। আর সেই যে সেই ‘উত্তরায়ণ’-এ বড়ুয়া সাহেবের জ্বর হওয়ার পরে ক্যামেরা সোজা সিঁড়ি দিয়ে উঠে বিছানায় গিয়ে আছড়ে পড়ল—সেটাই কি ভোলা যায়! কাণ্ডটা ঘটিয়েছেন ভদ্রলোক ডেভিড লিনের ‘অলিভার টুইস্ট’-এর বহু আগে। সাবজেকটিভ ক্যামেরা সম্পর্কে অনেক কথা আজকাল শুনতে পাই, বিভিন্ন পরিচালক নাকি খুব ভালোভাবে ব্যবহার করছেন।
...আমার কাছে গুলিয়ে গেছে সিনেমার প্রাচীন আর আধুনিক বলতে আপনারা কী বোঝাতে চেয়েছেন। এসব ধরনের কথা শুনলে আমার একটা কথাই মনে হয়, কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় ‘দে গরুর গা ধুইয়ে’।
...চলচ্চিত্রের সামাজিক দায়িত্ব সব সময়ে হয়েছে। হয় পজিটিভ, না হয় নেগেটিভভাবে। ছবিটাকে আমি একটা শিল্প বলি। কাজেই মনে করি সর্বশিল্পের শর্ত পালিত হচ্ছে এখানেও। আমি মনে করি না যে সত্যজিৎ রায়ের ‘চারুলতা’ চ্যাপলিনের ‘এসানে’ যুগের এক রিলের ছবিগুলোর চেয়ে বেশি সচেতন।
১৯২৫ সালে তোলা আইজেনস্টাইনের ‘স্ট্রাইক’ ছবির চেয়ে বেশি সমাজসচেতন ছবি কি আজ পর্যন্ত তোলা হয়েছে? পাবস্ট-এর ‘কামেরা ডে শেফট’ আজও পর্যন্ত আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে বেশি সমাজসচেতন একটি ছবি। চারু রায়ের ‘বাংলার মেয়ে’ বহু আগে তোলা—প্রথম বাংলা ছবি, যাতে আউটডোর ব্যবহৃত হয় সবচেয়ে বেশিভাবে, তাতেও সমাজচেতনা পরিপূর্ণ ছিল।
...রবিঠাকুর মশায় একটা বড় ভালো কথা বলে গিয়েছিলেন, ‘শিল্পকে শিল্প হতে হলে সর্বাগ্রে সত্যনিষ্ঠ হতে হয়, তারপরে সৌন্দর্যনিষ্ঠ’। কথাটা ভাবার মতো। যদি পারেন ভেবে দেখবেন।
সূত্র: ঋত্বিক ঘটকের গৃহীত সাক্ষাৎকার, ‘সাক্ষাৎ ঋত্বিক’, শিবাদিত্য দাশগুপ্ত ও সন্দীপন ভট্টাচার্য সম্পাদিত, পৃষ্ঠা ১৮-১৯

গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টান টান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
১৪ আগস্ট ২০২৫
আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন।
২ দিন আগে
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
৫ দিন আগে
১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
৭ দিন আগে