ধর্ম ও জীবন

কিছু হতভাগ্য মানুষদের ওপর ফেরেশতারা অভিশাপ দেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের কথা এখানে তুলে ধরা হলো— এক. আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার সাহাবিগণকে গালি দেয়, তার ওপর আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতা ও সব মানুষের অভিশাপ।’ (আল মুজামুল কাবির)

যিনি আজান দেন, তাঁকে আমরা মুয়াজ্জিন বলি। মুয়াজ্জিনদের সুমধুর আজান শুনেই আমরা নামাজের প্রস্তুতি গ্রহণ করি। ইসলামে মুয়াজ্জিনদের অনেক সম্মান ও মর্যাদা রয়েছে। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা মুয়াজ্জিনদের অফুরন্ত নিয়ামত দান করবেন। 

খেজুর আল্লাহর বড় নেয়ামত। এটি সুস্বাদু ও রক্তবর্ধক একটি ফল। কোরআন-হাদিসে খেজুরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেক বর্ণনা রয়েছে। মহানবী (সা.)-এর সময় খেজুর আরববাসীদের প্রধান কৃষিপণ্য ও প্রধান খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হতো। মাওয়ারদি (রহ.) বলেন, ‘স্ত্রীলোক যখন প্রসবে অসুবিধার সম্মুখীন হয়, তখন খেজুর অপেক্ষা উপকারী বস্

সালাম শান্তির পয়গাম। ঘরে-বাইরে সর্বত্র সালাম প্রচার-প্রসারের আদেশ দিয়েছেন রাসুল (সা.)। সালাম নিয়ে আমাদের মধ্যে কিছু ভুল প্রচলন রয়েছে, যা পরিহার করা উচিত।

ইহকালীন ও পরকালীন জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামের সার্বিক নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। ইসলামের অনুসরণ ও অনুকরণ জীবনকে শান্তিময় করে তোলে। নবী-রাসুলগণ মানুষকে শান্তির পথ দেখিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা লাভ করেছেন, তাঁরা রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন।

১৪ শতকের প্রথম দিকে ইবনে বতুতা পবিত্র জেরুজালেমের দিকে যাত্রা করেন। টাঙ্গিয়ার শহর থেকে উত্তর আফ্রিকা, তারপর মিসর হয়ে সেই যাত্রা শুরু করেন। তখন মিসর মামলুক সুলতান আল-নাসির মুহাম্মদ বিন কালাউনের শাসনাধীন ছিল। মিসরে থাকা অবস্থায় তিনি জেরুজালেম ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। গাজা থেকে তাঁর ভ্রমণ শুরু হয়।

মানব জাতির প্রতি মহানবী (সা.)-এর যে বিপুল অবদান রয়েছে, তার স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে ভালোবাসা উপহার দেওয়া ইমানের দাবি। মুমিন মাত্রই এই মহামানবের অকুণ্ঠ ভালোবাসা লালন করে। পবিত্র কোরআন-হাদিসে নবীপ্রেমের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা এসেছে।

মসজিদের মাইক ব্যবহারে ইসলামের নির্দেশনা কী? অতিরিক্ত উঁচু আওয়াজে আজান দেওয়া বা মসজিদ থেকে লাইন টেনে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত বাসাবাড়ির ছাদে মাইক লাগানো যাবে কি? মসজিদের মাইকে আজান ছাড়া আর কী কী প্রচার করা যাবে? 

আরবি সালাম শব্দের অর্থ শান্তি, দোয়া, কল্যাণ ইত্যাদি। সালাম ইসলামি অভিবাদনসূচক শব্দ। পাশাপাশি এটি একটি দোয়াও। চেনা-অচেনা যে কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে সালামের মাধ্যমে অভিবাদন জানানো সুন্নত। এর মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও শ্রদ্ধা তৈরি হয়।

একজন মুসলমানকে আল্লাহর কাছে পরিপূর্ণ ইমানদার হিসেবে বিবেচিত হতে হলে ইমান আনার পাশাপাশি আরও অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। পবিত্র কোরআনের সুরা তওবার একটি আয়াতে তেমনই বিশেষ কিছু কাজের কথা বলা হয়েছে, যা জান্নাতে যাওয়ার কারণ।

খাবার আল্লাহর বিশেষ এক নিয়ামত। সৃষ্টির প্রতি স্রষ্টার অশেষ কৃপা ও অনুগ্রহ। প্রয়োজনমাফিক খাবার গ্রহণ করতে কোনো অসুবিধা নেই; তবে অপচয় করা মারাত্মক গুনাহের কাজ। আজকাল বিভিন্ন ভোজের অনুষ্ঠান ও নামীদামি রেস্টুরেন্টে এত এত খাবার অপচয় বা নষ্ট করা হয়, যা বলা বাহুল্য।

একজন মুসলিমের দৈনন্দিন জীবনে ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এ শিক্ষা দ্বারা দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা অর্জিত হয়। মহান আল্লাহ যাকে পছন্দ করেন, তাকেই তিনি ধর্মীয় জ্ঞান দান করেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা যার কল্যাণ চান, তাকে ধর্মীয় জ্ঞান দান করেন। আল্লাহই দানকারী আর আমি বণ্টনকারী।’ (মুসলিম)

পানাহার মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। পানাহারের কোন কোন নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হবে, সে ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’

ইসলামের সোনালি ইতিহাসে অনেক মুসলিম মনীষী বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছেন। জ্ঞান-বিজ্ঞানের এমন কোনো শাখা নেই, যেখানে মুসলিম মনীষীরা অবদান রাখেননি। তেমনই এক মুসলিম বিজ্ঞানীর নাম ইবনে বাইতার। তাঁর পুরো নাম আবু মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ মালেকি। আন্দালুসিয়ার মালেকা গ্রামে তাঁর জন্ম।

মুমিনগণ পরস্পর ভাই ভাই। (সুরা হুজুরাত: ১০)। তারা একে অপরকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসবে—এটা ইমানের দাবি। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য মুসলমানদের পারস্পরিক ভালোবাসার অনেক ফজিলত রয়েছে।

জানাজার নামাজ আদায়ের পদ্ধতি কী? এতে কোন কাজটি করা আবশ্যক এবং কোনটি সুন্নত? শরিয়তের আলোকে জানালে উপকৃত হব।

ইসলামে পৃথিবীর শেষ দিনকে কিয়ামত বলা হয়। পৃথিবী সেই দিন ধ্বংস হয়ে যাবে। মানুষকে তার প্রতিপালকের মুখোমুখি হতে হবে। কৃতকর্মের হিসাব দিতে হবে। দিনটি হবে অত্যন্ত কঠিন। হাশরের ময়দানে কোনো ছায়া থাকবে না। মানুষ ঘামের সমুদ্রে হাবুডুবু খাবে।