ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান

পানাহার মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। পানাহারের কোন কোন নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হবে, সে ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব: ২১) এখানে পানাহারের সুন্নতসম্মত পদ্ধতি আলোচনা করা হলো—
হালাল-হারাম যাচাই করা: মুসলমানদের জন্য হারাম খাবার গ্রহণের সুযোগ নেই। খাবার শুরু করার আগে হালাল-হারাম যাচাই করা আবশ্যক। খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) খাবার সম্বন্ধে না জেনে কোনো খাবারে হাত দিতেন না।’ (বুখারি)
আহারে সন্তুষ্টি প্রকাশ: পরিবেশিত আহারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা মুমিনের দায়িত্ব। এর ফলে রাঁধুনি বা মেজবান খুবই খুশি হন। জাবির (রা.) বলেন, ‘একবার মহানবী (সা.) রুটি খাওয়ার জন্য তরকারি চাইলেন। ঘর থেকে জানানো হলো, তরকারি হিসেবে সিরকা ছাড়া আর কিছু নেই। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সেটাই পেশ করো। রাসুলুল্লাহ (সা.) সিরকা দিয়ে রুটি খাচ্ছিলেন আর বলছিলেন, সিরকা তো অনেক ভালো তরকারি! সিরকা তো অনেক ভালো তরকারি!’ (মুসলিম)
হেলান দিয়ে না বসা: খাবার খাওয়ার সময় হেলান দিয়ে না বসে সোজা হয়ে বসা উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো হেলান দিয়ে বসে খেতেন না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমি কখনো হেলান দিয়ে বসে খাই না।’ (বুখারি)
উপুড় হয়ে পানাহার না করা: অনেকে উপুড় হয়ে শুয়ে আহার গ্রহণ করেন, যা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এর ফলে নানা রোগ সৃষ্টি হতে পারে। সালিম (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) উপুড় হয়ে খেতে নিষেধ করেছেন।’ (ইবন মাজাহ)। আহার গ্রহণ করার সময় আমাদের সমতল জায়গায় বসা উচিত, যা মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) মাটির ওপর ও মেঝেতে বসে খেতেন।’ (শুআবুল ইমান)
দস্তরখানা বিছানো: খাবার পড়ে গেলে তুলে খাওয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত। এ সুন্নত আদায়ের জন্য একটি সহায়ক বস্তু হলো দস্তরখানা। আনাস (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) দস্তরখানা বিছিয়ে খাবার গ্রহণ করতেন।’ (বুখারি)
খাবার ঠান্ডা করে খাওয়া: মাত্রাতিরিক্ত গরম খাবার গ্রহণ করা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এমন খাবার মহানবী (সা.) পছন্দ করতেন না। তাই খাবার স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘খাবার ঠান্ডা করে খাওয়া অধিক বরকতের কারণ।’ (মুসনাদ)
খাওয়ার আগে-পরে হাত ধোয়া: মহানবী (সা.) খাওয়ার আগে উভয় হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতেন। আয়শা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আহার করতেন, তখন উভয় হাত ধুয়ে নিতেন।’ (আবু দাউদ)। অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে নিজের হাতে লেগে থাকা তেল-চর্বি না ধুয়েই ঘুমিয়ে গেল, আর কোনো কিছুর দ্বারা আক্রান্ত হলো, এর দায় যেন সে নিজের ঘাড়েই চাপায়।’ (আবু দাউদ)
বিসমিল্লাহ বলা ও ডান হাতে খাওয়া: মহানবী (সা.) পানাহারের শুরুতে বিসমিল্লাহ্ বলতেন এবং ডান হাত দিয়ে আহার গ্রহণ করতেন। তিনি সঙ্গীদেরও এ বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করেছেন। ‘ওমর ইবনে আবি সালামা (রা.) বলেন, ‘আমি ছোট ছেলে হিসেবে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর তত্ত্বাবধানে ছিলাম। খাবার পাত্রে আমার হাত ছোটাছুটি করত। রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘বৎস, তুমি যখন খাবে তখন বিসমিল্লাহ বলবে। ডান হাতে খাবে এবং নিজের সামনে থেকে খাবে; পাত্রের এদিক-ওদিক থেকে নয়।’ (বুখারি)
দোয়া পড়া: মহানবী (সা.) আহারের শুরুতে দোয়া পড়তেন। এতে খাবারে বরকত হয়। দোয়া ছাড়া শয়তান খাবারের বরকত নষ্ট করে দেয়। একদিন মহানবী (সা.) এবং সাহাবিদের সামনে সুস্বাদু খাবার পেশ করা হলো। তাঁরা তৃপ্তিভরে খেলেন। তখন মহানবী (সা.) বললেন, ‘যখন তোমাদের সামনে এমন সুস্বাদু খাবার পেশ করা হয় এবং তোমরা খাবার শুরু করো, তখন বলো ‘বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারাকাতিহি।’ (শুআবুল ইমান)
আহারে দোষ-ত্রুটি না ধরা: খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরা উচিত নয়। কেননা মহানবী (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না; ভালো লাগলে খেতেন, না লাগলে খেতেন না। আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো কোনো খাবারের দোষ ধরেননি। পছন্দ হলে খেয়েছেন, নইলে না।’ (মুসনাদ)
তিন আঙুলে আহার: রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃদ্ধা, তর্জনী ও মধ্যমা আঙুল ব্যবহার করে খাবার খেতেন এবং খাবার শেষে আঙুল চেটে খেতেন। বর্ণিত আছে, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) তিন আঙুল দিয়ে খেতেন এবং হাত মোছার আগে তা চেটে খেতেন।’ (মুসলিম) মহানবী (সা.) বলেন, ‘আঙুল চাটার আগে যেন কেউ রুমাল দিয়ে তার হাত মোছে। কারণ তার জানা নেই খাবারের কোন অংশে বরকত রয়েছে।’ (তিরমিজি)
পরিমিত খাওয়া: খাবার আল্লাহর একটি নিয়ামত। সর্বদা স্বাভাবিক পরিমাণ খাবার খাওয়া উচিত। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলে খাবার নষ্ট হওয়া ছাড়াও পেটের সমস্যা হতে পারে। মহানবী (সা.) পেট তিন ভাগ করে খেতেন। তিনি বলেন, ‘পেটের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য, এক-তৃতীয়াংশ পানি এবং অবশিষ্টাংশ শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করার জন্য।’ (নাসায়ি)
তিন শ্বাসে পান করা: মহানবী (সা.) তিন শ্বাসে পান করতেন। তিনি বলেন, ‘উটের মতো এক নিশ্বাসে পানি পান কোরো না; বরং দুই বা তিন নিশ্বাসে পান করো।’ (তিরমিজি)
আল্লাহর প্রশংসা করা: পানাহার শেষে আল্লাহর প্রশংসাস্বরূপ ‘আলহামদু লিল্লাহ’ বলা সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ ওই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে খাওয়ার পর বা পান করার পর আল্লাহর প্রশংসা করে।’ (মুসলিম)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

পানাহার মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। পানাহারের কোন কোন নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হবে, সে ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব: ২১) এখানে পানাহারের সুন্নতসম্মত পদ্ধতি আলোচনা করা হলো—
হালাল-হারাম যাচাই করা: মুসলমানদের জন্য হারাম খাবার গ্রহণের সুযোগ নেই। খাবার শুরু করার আগে হালাল-হারাম যাচাই করা আবশ্যক। খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) খাবার সম্বন্ধে না জেনে কোনো খাবারে হাত দিতেন না।’ (বুখারি)
আহারে সন্তুষ্টি প্রকাশ: পরিবেশিত আহারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা মুমিনের দায়িত্ব। এর ফলে রাঁধুনি বা মেজবান খুবই খুশি হন। জাবির (রা.) বলেন, ‘একবার মহানবী (সা.) রুটি খাওয়ার জন্য তরকারি চাইলেন। ঘর থেকে জানানো হলো, তরকারি হিসেবে সিরকা ছাড়া আর কিছু নেই। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সেটাই পেশ করো। রাসুলুল্লাহ (সা.) সিরকা দিয়ে রুটি খাচ্ছিলেন আর বলছিলেন, সিরকা তো অনেক ভালো তরকারি! সিরকা তো অনেক ভালো তরকারি!’ (মুসলিম)
হেলান দিয়ে না বসা: খাবার খাওয়ার সময় হেলান দিয়ে না বসে সোজা হয়ে বসা উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো হেলান দিয়ে বসে খেতেন না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমি কখনো হেলান দিয়ে বসে খাই না।’ (বুখারি)
উপুড় হয়ে পানাহার না করা: অনেকে উপুড় হয়ে শুয়ে আহার গ্রহণ করেন, যা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এর ফলে নানা রোগ সৃষ্টি হতে পারে। সালিম (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) উপুড় হয়ে খেতে নিষেধ করেছেন।’ (ইবন মাজাহ)। আহার গ্রহণ করার সময় আমাদের সমতল জায়গায় বসা উচিত, যা মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) মাটির ওপর ও মেঝেতে বসে খেতেন।’ (শুআবুল ইমান)
দস্তরখানা বিছানো: খাবার পড়ে গেলে তুলে খাওয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত। এ সুন্নত আদায়ের জন্য একটি সহায়ক বস্তু হলো দস্তরখানা। আনাস (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) দস্তরখানা বিছিয়ে খাবার গ্রহণ করতেন।’ (বুখারি)
খাবার ঠান্ডা করে খাওয়া: মাত্রাতিরিক্ত গরম খাবার গ্রহণ করা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এমন খাবার মহানবী (সা.) পছন্দ করতেন না। তাই খাবার স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘খাবার ঠান্ডা করে খাওয়া অধিক বরকতের কারণ।’ (মুসনাদ)
খাওয়ার আগে-পরে হাত ধোয়া: মহানবী (সা.) খাওয়ার আগে উভয় হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতেন। আয়শা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আহার করতেন, তখন উভয় হাত ধুয়ে নিতেন।’ (আবু দাউদ)। অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে নিজের হাতে লেগে থাকা তেল-চর্বি না ধুয়েই ঘুমিয়ে গেল, আর কোনো কিছুর দ্বারা আক্রান্ত হলো, এর দায় যেন সে নিজের ঘাড়েই চাপায়।’ (আবু দাউদ)
বিসমিল্লাহ বলা ও ডান হাতে খাওয়া: মহানবী (সা.) পানাহারের শুরুতে বিসমিল্লাহ্ বলতেন এবং ডান হাত দিয়ে আহার গ্রহণ করতেন। তিনি সঙ্গীদেরও এ বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করেছেন। ‘ওমর ইবনে আবি সালামা (রা.) বলেন, ‘আমি ছোট ছেলে হিসেবে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর তত্ত্বাবধানে ছিলাম। খাবার পাত্রে আমার হাত ছোটাছুটি করত। রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘বৎস, তুমি যখন খাবে তখন বিসমিল্লাহ বলবে। ডান হাতে খাবে এবং নিজের সামনে থেকে খাবে; পাত্রের এদিক-ওদিক থেকে নয়।’ (বুখারি)
দোয়া পড়া: মহানবী (সা.) আহারের শুরুতে দোয়া পড়তেন। এতে খাবারে বরকত হয়। দোয়া ছাড়া শয়তান খাবারের বরকত নষ্ট করে দেয়। একদিন মহানবী (সা.) এবং সাহাবিদের সামনে সুস্বাদু খাবার পেশ করা হলো। তাঁরা তৃপ্তিভরে খেলেন। তখন মহানবী (সা.) বললেন, ‘যখন তোমাদের সামনে এমন সুস্বাদু খাবার পেশ করা হয় এবং তোমরা খাবার শুরু করো, তখন বলো ‘বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারাকাতিহি।’ (শুআবুল ইমান)
আহারে দোষ-ত্রুটি না ধরা: খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরা উচিত নয়। কেননা মহানবী (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না; ভালো লাগলে খেতেন, না লাগলে খেতেন না। আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো কোনো খাবারের দোষ ধরেননি। পছন্দ হলে খেয়েছেন, নইলে না।’ (মুসনাদ)
তিন আঙুলে আহার: রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃদ্ধা, তর্জনী ও মধ্যমা আঙুল ব্যবহার করে খাবার খেতেন এবং খাবার শেষে আঙুল চেটে খেতেন। বর্ণিত আছে, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) তিন আঙুল দিয়ে খেতেন এবং হাত মোছার আগে তা চেটে খেতেন।’ (মুসলিম) মহানবী (সা.) বলেন, ‘আঙুল চাটার আগে যেন কেউ রুমাল দিয়ে তার হাত মোছে। কারণ তার জানা নেই খাবারের কোন অংশে বরকত রয়েছে।’ (তিরমিজি)
পরিমিত খাওয়া: খাবার আল্লাহর একটি নিয়ামত। সর্বদা স্বাভাবিক পরিমাণ খাবার খাওয়া উচিত। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলে খাবার নষ্ট হওয়া ছাড়াও পেটের সমস্যা হতে পারে। মহানবী (সা.) পেট তিন ভাগ করে খেতেন। তিনি বলেন, ‘পেটের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য, এক-তৃতীয়াংশ পানি এবং অবশিষ্টাংশ শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করার জন্য।’ (নাসায়ি)
তিন শ্বাসে পান করা: মহানবী (সা.) তিন শ্বাসে পান করতেন। তিনি বলেন, ‘উটের মতো এক নিশ্বাসে পানি পান কোরো না; বরং দুই বা তিন নিশ্বাসে পান করো।’ (তিরমিজি)
আল্লাহর প্রশংসা করা: পানাহার শেষে আল্লাহর প্রশংসাস্বরূপ ‘আলহামদু লিল্লাহ’ বলা সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ ওই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে খাওয়ার পর বা পান করার পর আল্লাহর প্রশংসা করে।’ (মুসলিম)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান

পানাহার মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। পানাহারের কোন কোন নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হবে, সে ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব: ২১) এখানে পানাহারের সুন্নতসম্মত পদ্ধতি আলোচনা করা হলো—
হালাল-হারাম যাচাই করা: মুসলমানদের জন্য হারাম খাবার গ্রহণের সুযোগ নেই। খাবার শুরু করার আগে হালাল-হারাম যাচাই করা আবশ্যক। খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) খাবার সম্বন্ধে না জেনে কোনো খাবারে হাত দিতেন না।’ (বুখারি)
আহারে সন্তুষ্টি প্রকাশ: পরিবেশিত আহারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা মুমিনের দায়িত্ব। এর ফলে রাঁধুনি বা মেজবান খুবই খুশি হন। জাবির (রা.) বলেন, ‘একবার মহানবী (সা.) রুটি খাওয়ার জন্য তরকারি চাইলেন। ঘর থেকে জানানো হলো, তরকারি হিসেবে সিরকা ছাড়া আর কিছু নেই। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সেটাই পেশ করো। রাসুলুল্লাহ (সা.) সিরকা দিয়ে রুটি খাচ্ছিলেন আর বলছিলেন, সিরকা তো অনেক ভালো তরকারি! সিরকা তো অনেক ভালো তরকারি!’ (মুসলিম)
হেলান দিয়ে না বসা: খাবার খাওয়ার সময় হেলান দিয়ে না বসে সোজা হয়ে বসা উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো হেলান দিয়ে বসে খেতেন না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমি কখনো হেলান দিয়ে বসে খাই না।’ (বুখারি)
উপুড় হয়ে পানাহার না করা: অনেকে উপুড় হয়ে শুয়ে আহার গ্রহণ করেন, যা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এর ফলে নানা রোগ সৃষ্টি হতে পারে। সালিম (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) উপুড় হয়ে খেতে নিষেধ করেছেন।’ (ইবন মাজাহ)। আহার গ্রহণ করার সময় আমাদের সমতল জায়গায় বসা উচিত, যা মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) মাটির ওপর ও মেঝেতে বসে খেতেন।’ (শুআবুল ইমান)
দস্তরখানা বিছানো: খাবার পড়ে গেলে তুলে খাওয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত। এ সুন্নত আদায়ের জন্য একটি সহায়ক বস্তু হলো দস্তরখানা। আনাস (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) দস্তরখানা বিছিয়ে খাবার গ্রহণ করতেন।’ (বুখারি)
খাবার ঠান্ডা করে খাওয়া: মাত্রাতিরিক্ত গরম খাবার গ্রহণ করা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এমন খাবার মহানবী (সা.) পছন্দ করতেন না। তাই খাবার স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘খাবার ঠান্ডা করে খাওয়া অধিক বরকতের কারণ।’ (মুসনাদ)
খাওয়ার আগে-পরে হাত ধোয়া: মহানবী (সা.) খাওয়ার আগে উভয় হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতেন। আয়শা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আহার করতেন, তখন উভয় হাত ধুয়ে নিতেন।’ (আবু দাউদ)। অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে নিজের হাতে লেগে থাকা তেল-চর্বি না ধুয়েই ঘুমিয়ে গেল, আর কোনো কিছুর দ্বারা আক্রান্ত হলো, এর দায় যেন সে নিজের ঘাড়েই চাপায়।’ (আবু দাউদ)
বিসমিল্লাহ বলা ও ডান হাতে খাওয়া: মহানবী (সা.) পানাহারের শুরুতে বিসমিল্লাহ্ বলতেন এবং ডান হাত দিয়ে আহার গ্রহণ করতেন। তিনি সঙ্গীদেরও এ বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করেছেন। ‘ওমর ইবনে আবি সালামা (রা.) বলেন, ‘আমি ছোট ছেলে হিসেবে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর তত্ত্বাবধানে ছিলাম। খাবার পাত্রে আমার হাত ছোটাছুটি করত। রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘বৎস, তুমি যখন খাবে তখন বিসমিল্লাহ বলবে। ডান হাতে খাবে এবং নিজের সামনে থেকে খাবে; পাত্রের এদিক-ওদিক থেকে নয়।’ (বুখারি)
দোয়া পড়া: মহানবী (সা.) আহারের শুরুতে দোয়া পড়তেন। এতে খাবারে বরকত হয়। দোয়া ছাড়া শয়তান খাবারের বরকত নষ্ট করে দেয়। একদিন মহানবী (সা.) এবং সাহাবিদের সামনে সুস্বাদু খাবার পেশ করা হলো। তাঁরা তৃপ্তিভরে খেলেন। তখন মহানবী (সা.) বললেন, ‘যখন তোমাদের সামনে এমন সুস্বাদু খাবার পেশ করা হয় এবং তোমরা খাবার শুরু করো, তখন বলো ‘বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারাকাতিহি।’ (শুআবুল ইমান)
আহারে দোষ-ত্রুটি না ধরা: খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরা উচিত নয়। কেননা মহানবী (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না; ভালো লাগলে খেতেন, না লাগলে খেতেন না। আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো কোনো খাবারের দোষ ধরেননি। পছন্দ হলে খেয়েছেন, নইলে না।’ (মুসনাদ)
তিন আঙুলে আহার: রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃদ্ধা, তর্জনী ও মধ্যমা আঙুল ব্যবহার করে খাবার খেতেন এবং খাবার শেষে আঙুল চেটে খেতেন। বর্ণিত আছে, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) তিন আঙুল দিয়ে খেতেন এবং হাত মোছার আগে তা চেটে খেতেন।’ (মুসলিম) মহানবী (সা.) বলেন, ‘আঙুল চাটার আগে যেন কেউ রুমাল দিয়ে তার হাত মোছে। কারণ তার জানা নেই খাবারের কোন অংশে বরকত রয়েছে।’ (তিরমিজি)
পরিমিত খাওয়া: খাবার আল্লাহর একটি নিয়ামত। সর্বদা স্বাভাবিক পরিমাণ খাবার খাওয়া উচিত। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলে খাবার নষ্ট হওয়া ছাড়াও পেটের সমস্যা হতে পারে। মহানবী (সা.) পেট তিন ভাগ করে খেতেন। তিনি বলেন, ‘পেটের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য, এক-তৃতীয়াংশ পানি এবং অবশিষ্টাংশ শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করার জন্য।’ (নাসায়ি)
তিন শ্বাসে পান করা: মহানবী (সা.) তিন শ্বাসে পান করতেন। তিনি বলেন, ‘উটের মতো এক নিশ্বাসে পানি পান কোরো না; বরং দুই বা তিন নিশ্বাসে পান করো।’ (তিরমিজি)
আল্লাহর প্রশংসা করা: পানাহার শেষে আল্লাহর প্রশংসাস্বরূপ ‘আলহামদু লিল্লাহ’ বলা সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ ওই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে খাওয়ার পর বা পান করার পর আল্লাহর প্রশংসা করে।’ (মুসলিম)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

পানাহার মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। পানাহারের কোন কোন নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হবে, সে ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব: ২১) এখানে পানাহারের সুন্নতসম্মত পদ্ধতি আলোচনা করা হলো—
হালাল-হারাম যাচাই করা: মুসলমানদের জন্য হারাম খাবার গ্রহণের সুযোগ নেই। খাবার শুরু করার আগে হালাল-হারাম যাচাই করা আবশ্যক। খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) খাবার সম্বন্ধে না জেনে কোনো খাবারে হাত দিতেন না।’ (বুখারি)
আহারে সন্তুষ্টি প্রকাশ: পরিবেশিত আহারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা মুমিনের দায়িত্ব। এর ফলে রাঁধুনি বা মেজবান খুবই খুশি হন। জাবির (রা.) বলেন, ‘একবার মহানবী (সা.) রুটি খাওয়ার জন্য তরকারি চাইলেন। ঘর থেকে জানানো হলো, তরকারি হিসেবে সিরকা ছাড়া আর কিছু নেই। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সেটাই পেশ করো। রাসুলুল্লাহ (সা.) সিরকা দিয়ে রুটি খাচ্ছিলেন আর বলছিলেন, সিরকা তো অনেক ভালো তরকারি! সিরকা তো অনেক ভালো তরকারি!’ (মুসলিম)
হেলান দিয়ে না বসা: খাবার খাওয়ার সময় হেলান দিয়ে না বসে সোজা হয়ে বসা উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো হেলান দিয়ে বসে খেতেন না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমি কখনো হেলান দিয়ে বসে খাই না।’ (বুখারি)
উপুড় হয়ে পানাহার না করা: অনেকে উপুড় হয়ে শুয়ে আহার গ্রহণ করেন, যা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এর ফলে নানা রোগ সৃষ্টি হতে পারে। সালিম (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) উপুড় হয়ে খেতে নিষেধ করেছেন।’ (ইবন মাজাহ)। আহার গ্রহণ করার সময় আমাদের সমতল জায়গায় বসা উচিত, যা মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) মাটির ওপর ও মেঝেতে বসে খেতেন।’ (শুআবুল ইমান)
দস্তরখানা বিছানো: খাবার পড়ে গেলে তুলে খাওয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত। এ সুন্নত আদায়ের জন্য একটি সহায়ক বস্তু হলো দস্তরখানা। আনাস (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) দস্তরখানা বিছিয়ে খাবার গ্রহণ করতেন।’ (বুখারি)
খাবার ঠান্ডা করে খাওয়া: মাত্রাতিরিক্ত গরম খাবার গ্রহণ করা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এমন খাবার মহানবী (সা.) পছন্দ করতেন না। তাই খাবার স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘খাবার ঠান্ডা করে খাওয়া অধিক বরকতের কারণ।’ (মুসনাদ)
খাওয়ার আগে-পরে হাত ধোয়া: মহানবী (সা.) খাওয়ার আগে উভয় হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতেন। আয়শা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আহার করতেন, তখন উভয় হাত ধুয়ে নিতেন।’ (আবু দাউদ)। অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে নিজের হাতে লেগে থাকা তেল-চর্বি না ধুয়েই ঘুমিয়ে গেল, আর কোনো কিছুর দ্বারা আক্রান্ত হলো, এর দায় যেন সে নিজের ঘাড়েই চাপায়।’ (আবু দাউদ)
বিসমিল্লাহ বলা ও ডান হাতে খাওয়া: মহানবী (সা.) পানাহারের শুরুতে বিসমিল্লাহ্ বলতেন এবং ডান হাত দিয়ে আহার গ্রহণ করতেন। তিনি সঙ্গীদেরও এ বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করেছেন। ‘ওমর ইবনে আবি সালামা (রা.) বলেন, ‘আমি ছোট ছেলে হিসেবে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর তত্ত্বাবধানে ছিলাম। খাবার পাত্রে আমার হাত ছোটাছুটি করত। রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘বৎস, তুমি যখন খাবে তখন বিসমিল্লাহ বলবে। ডান হাতে খাবে এবং নিজের সামনে থেকে খাবে; পাত্রের এদিক-ওদিক থেকে নয়।’ (বুখারি)
দোয়া পড়া: মহানবী (সা.) আহারের শুরুতে দোয়া পড়তেন। এতে খাবারে বরকত হয়। দোয়া ছাড়া শয়তান খাবারের বরকত নষ্ট করে দেয়। একদিন মহানবী (সা.) এবং সাহাবিদের সামনে সুস্বাদু খাবার পেশ করা হলো। তাঁরা তৃপ্তিভরে খেলেন। তখন মহানবী (সা.) বললেন, ‘যখন তোমাদের সামনে এমন সুস্বাদু খাবার পেশ করা হয় এবং তোমরা খাবার শুরু করো, তখন বলো ‘বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারাকাতিহি।’ (শুআবুল ইমান)
আহারে দোষ-ত্রুটি না ধরা: খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরা উচিত নয়। কেননা মহানবী (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না; ভালো লাগলে খেতেন, না লাগলে খেতেন না। আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো কোনো খাবারের দোষ ধরেননি। পছন্দ হলে খেয়েছেন, নইলে না।’ (মুসনাদ)
তিন আঙুলে আহার: রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃদ্ধা, তর্জনী ও মধ্যমা আঙুল ব্যবহার করে খাবার খেতেন এবং খাবার শেষে আঙুল চেটে খেতেন। বর্ণিত আছে, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) তিন আঙুল দিয়ে খেতেন এবং হাত মোছার আগে তা চেটে খেতেন।’ (মুসলিম) মহানবী (সা.) বলেন, ‘আঙুল চাটার আগে যেন কেউ রুমাল দিয়ে তার হাত মোছে। কারণ তার জানা নেই খাবারের কোন অংশে বরকত রয়েছে।’ (তিরমিজি)
পরিমিত খাওয়া: খাবার আল্লাহর একটি নিয়ামত। সর্বদা স্বাভাবিক পরিমাণ খাবার খাওয়া উচিত। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলে খাবার নষ্ট হওয়া ছাড়াও পেটের সমস্যা হতে পারে। মহানবী (সা.) পেট তিন ভাগ করে খেতেন। তিনি বলেন, ‘পেটের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য, এক-তৃতীয়াংশ পানি এবং অবশিষ্টাংশ শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করার জন্য।’ (নাসায়ি)
তিন শ্বাসে পান করা: মহানবী (সা.) তিন শ্বাসে পান করতেন। তিনি বলেন, ‘উটের মতো এক নিশ্বাসে পানি পান কোরো না; বরং দুই বা তিন নিশ্বাসে পান করো।’ (তিরমিজি)
আল্লাহর প্রশংসা করা: পানাহার শেষে আল্লাহর প্রশংসাস্বরূপ ‘আলহামদু লিল্লাহ’ বলা সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ ওই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে খাওয়ার পর বা পান করার পর আল্লাহর প্রশংসা করে।’ (মুসলিম)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পানাহার মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। পানাহারের কোন কোন নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হবে, সে ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’
১০ নভেম্বর ২০২৩
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেআবরার নাঈম

মক্কার ১৩০ কিলোমিটার দূরে কাদিদের নিকটবর্তী মুশাল্লাল নামের স্থান। সেখানেই উম্মে মাবাদ খুজইয়ার বাড়ি। উম্মে মাবাদ হলেন আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, অতিথিপরায়ণ এক বিদুষী নারী—যিনি নিজ বাড়ির আঙিনায় বসে থাকতেন মুসাফিরদের মেহমানদারি করার জন্য।
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন। উম্মে মাবাদ বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আপনাকে দেওয়ার মতো কিছু থাকলে এতটুকু কার্পণ্য করতাম না।’
পালের বকরিগুলোও ছিল দুধশূন্য। এ সময় তাঁবুর এক কোণে নবী (সা.) জীর্ণশীর্ণ এক বকরি দেখে বললেন, ‘এটা কেমন?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘শারীরিক দুর্বলতায় এটি পালের পেছনে পড়ে গেছে।’
নবী (সা.) বললেন, ‘এটি কি দুধ দেয়?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এটা তার পক্ষে অসম্ভব।’
নবী (সা.) বললেন, ‘তুমি আমাকে এটার দুধ দোহনের অনুমতি দেবে?’ তিনি বললেন, ‘আমার পিতামাতা আপনার ওপর কোরবান হোক! আপনি এটার মধ্যে দুধ দেখলে নির্বিঘ্নে দোহন করুন।’
নবী (সা.) বকরিটিকে কাছে এনে ওলানে তাঁর হাত বুলিয়ে দিলেন এবং আল্লাহর নিকট দোয়া করলেন।
শুরু হলো নবীজি (সা.)-এর মুজিজা। বকরিটি সঙ্গে সঙ্গে পা ছড়িয়ে দিল। দুধে ওলান ভরে গেল। নবী (সা.) বড় দেখে পাত্র চাইলেন। পাত্র আনা হলো। নবী (সা.) দুধ দোহালেন। প্রথমে উম্মে মাবাদ পান করে তৃপ্ত হলেন। পরে একে একে সবাই। সবশেষে নবীজি (সা.) নিজেও পান করে পরিতৃপ্ত হলেন। এরপর আবারও সেই পাত্রভর্তি দুধ দোহন করে বাড়িতে রেখে যাত্রা শুরু করলেন।
খানিক বাদে আবু মাবাদ বাড়িতে এসে পাত্রভর্তি দুধ দেখে অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘বকরির পাল তো ছিল দূরে। ঘরেও নেই দুধেল বকরি! তবে দুধ পেলে কোথায়?’
তখন উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এ তো সেই বরকতের হাতের ছোঁয়া, যিনি অল্প সময়ের জন্য আমার মেহমান হয়েছিলেন।’
উম্মে মাবাদ খুব সুনিপুণভাবে স্বামীর কাছে নবীজির বর্ণনা দিলেন। আবু মাবাদ বললেন, ‘আল্লাহর কসম! তিনি তো সেই কুরাইশি ব্যক্তি—যাঁর কথা ইতিপূর্বে বহুত শুনেছি। শত্রুরা তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। খুব শখ ছিল তাঁর সঙ্গ দেওয়া। কখনো এ সুযোগ এলে তা হাতছাড়া করব না।’ (আর রাহিকুল মাখতুম: ২৮৯-২৯০, মুসতাদরাকে হাকেম: ৪৩২৬)

মক্কার ১৩০ কিলোমিটার দূরে কাদিদের নিকটবর্তী মুশাল্লাল নামের স্থান। সেখানেই উম্মে মাবাদ খুজইয়ার বাড়ি। উম্মে মাবাদ হলেন আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, অতিথিপরায়ণ এক বিদুষী নারী—যিনি নিজ বাড়ির আঙিনায় বসে থাকতেন মুসাফিরদের মেহমানদারি করার জন্য।
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন। উম্মে মাবাদ বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আপনাকে দেওয়ার মতো কিছু থাকলে এতটুকু কার্পণ্য করতাম না।’
পালের বকরিগুলোও ছিল দুধশূন্য। এ সময় তাঁবুর এক কোণে নবী (সা.) জীর্ণশীর্ণ এক বকরি দেখে বললেন, ‘এটা কেমন?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘শারীরিক দুর্বলতায় এটি পালের পেছনে পড়ে গেছে।’
নবী (সা.) বললেন, ‘এটি কি দুধ দেয়?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এটা তার পক্ষে অসম্ভব।’
নবী (সা.) বললেন, ‘তুমি আমাকে এটার দুধ দোহনের অনুমতি দেবে?’ তিনি বললেন, ‘আমার পিতামাতা আপনার ওপর কোরবান হোক! আপনি এটার মধ্যে দুধ দেখলে নির্বিঘ্নে দোহন করুন।’
নবী (সা.) বকরিটিকে কাছে এনে ওলানে তাঁর হাত বুলিয়ে দিলেন এবং আল্লাহর নিকট দোয়া করলেন।
শুরু হলো নবীজি (সা.)-এর মুজিজা। বকরিটি সঙ্গে সঙ্গে পা ছড়িয়ে দিল। দুধে ওলান ভরে গেল। নবী (সা.) বড় দেখে পাত্র চাইলেন। পাত্র আনা হলো। নবী (সা.) দুধ দোহালেন। প্রথমে উম্মে মাবাদ পান করে তৃপ্ত হলেন। পরে একে একে সবাই। সবশেষে নবীজি (সা.) নিজেও পান করে পরিতৃপ্ত হলেন। এরপর আবারও সেই পাত্রভর্তি দুধ দোহন করে বাড়িতে রেখে যাত্রা শুরু করলেন।
খানিক বাদে আবু মাবাদ বাড়িতে এসে পাত্রভর্তি দুধ দেখে অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘বকরির পাল তো ছিল দূরে। ঘরেও নেই দুধেল বকরি! তবে দুধ পেলে কোথায়?’
তখন উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এ তো সেই বরকতের হাতের ছোঁয়া, যিনি অল্প সময়ের জন্য আমার মেহমান হয়েছিলেন।’
উম্মে মাবাদ খুব সুনিপুণভাবে স্বামীর কাছে নবীজির বর্ণনা দিলেন। আবু মাবাদ বললেন, ‘আল্লাহর কসম! তিনি তো সেই কুরাইশি ব্যক্তি—যাঁর কথা ইতিপূর্বে বহুত শুনেছি। শত্রুরা তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। খুব শখ ছিল তাঁর সঙ্গ দেওয়া। কখনো এ সুযোগ এলে তা হাতছাড়া করব না।’ (আর রাহিকুল মাখতুম: ২৮৯-২৯০, মুসতাদরাকে হাকেম: ৪৩২৬)

পানাহার মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। পানাহারের কোন কোন নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হবে, সে ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’
১০ নভেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ

হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন অত্যন্ত হাস্যোজ্জ্বল ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। সাহাবায়ে-কেরামের সঙ্গে তিনি কখনো হালকা রসিকতা করতেন; কিন্তু কখনোই তাঁর মুখ থেকে অসত্য বা আঘাতমূলক কোনো কথা বের হতো না। হাদিস শরিফে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমি তো মজা করেও সত্য ছাড়া কিছু বলি না।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৯০)। এই হাদিসে শিক্ষণীয় বিষয় হলো—মজার মধ্যেও সত্যতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সমাজে অনেকেই হাস্যরসের নামে মিথ্যা, গালি কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেন, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
হাসি-কৌতুক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হৃদয়ের কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অতিরিক্ত হাসি হৃদয়কে মেরে ফেলে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৯৩)। অনবরত হাসাহাসি ও কৌতুক অনুচিত কাজ। ইসলাম মানুষকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেনি; বরং আনন্দকে করেছে সংযমের মাধ্যমে সুন্দর ও অর্থবহ। কারও দোষ, আকৃতি, জাতি, ভাষা বা আর্থিক অবস্থা নিয়ে উপহাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে উপহাস না করে। হতে পারে তারা তাদের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
বর্তমান সময়ে বিনোদনের নামে টিভি-অনুষ্ঠান, ইউটিউব-ভিডিও কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন কৌতুক ছড়িয়ে পড়ছে। প্র্যাংকের নামে অন্যের সম্মান নষ্ট করতেও মানুষের দ্বিধাবোধ হচ্ছে না। অথচ একজন মুমিনের হাসি-কৌতুক হওয়া উচিত বিনয়ী, শালীন ও কল্যাণমুখী, যা কাউকে আঘাত না করে; বরং ভালোবাসা ও সম্প্রীতি বাড়ায়।
অতএব একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য হাসি-কৌতুকে পরিমিতি বোধ বজায় রাখা জরুরি।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন অত্যন্ত হাস্যোজ্জ্বল ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। সাহাবায়ে-কেরামের সঙ্গে তিনি কখনো হালকা রসিকতা করতেন; কিন্তু কখনোই তাঁর মুখ থেকে অসত্য বা আঘাতমূলক কোনো কথা বের হতো না। হাদিস শরিফে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমি তো মজা করেও সত্য ছাড়া কিছু বলি না।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৯০)। এই হাদিসে শিক্ষণীয় বিষয় হলো—মজার মধ্যেও সত্যতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সমাজে অনেকেই হাস্যরসের নামে মিথ্যা, গালি কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেন, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
হাসি-কৌতুক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হৃদয়ের কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অতিরিক্ত হাসি হৃদয়কে মেরে ফেলে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৯৩)। অনবরত হাসাহাসি ও কৌতুক অনুচিত কাজ। ইসলাম মানুষকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেনি; বরং আনন্দকে করেছে সংযমের মাধ্যমে সুন্দর ও অর্থবহ। কারও দোষ, আকৃতি, জাতি, ভাষা বা আর্থিক অবস্থা নিয়ে উপহাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে উপহাস না করে। হতে পারে তারা তাদের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
বর্তমান সময়ে বিনোদনের নামে টিভি-অনুষ্ঠান, ইউটিউব-ভিডিও কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন কৌতুক ছড়িয়ে পড়ছে। প্র্যাংকের নামে অন্যের সম্মান নষ্ট করতেও মানুষের দ্বিধাবোধ হচ্ছে না। অথচ একজন মুমিনের হাসি-কৌতুক হওয়া উচিত বিনয়ী, শালীন ও কল্যাণমুখী, যা কাউকে আঘাত না করে; বরং ভালোবাসা ও সম্প্রীতি বাড়ায়।
অতএব একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য হাসি-কৌতুকে পরিমিতি বোধ বজায় রাখা জরুরি।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

পানাহার মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। পানাহারের কোন কোন নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হবে, সে ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’
১০ নভেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পানাহার মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। পানাহারের কোন কোন নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হবে, সে ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’
১০ নভেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১ দিন আগে