আমজাদ ইউনুস
১৪ শতকের প্রথম দিকে ইবনে বতুতা পবিত্র জেরুজালেমের দিকে যাত্রা করেন। টাঙ্গিয়ার শহর থেকে উত্তর আফ্রিকা, তারপর মিসর হয়ে সেই যাত্রা শুরু করেন। তখন মিসর মামলুক সুলতান আল-নাসির মুহাম্মদ বিন কালাউনের শাসনাধীন ছিল। মিসরে থাকা অবস্থায় তিনি জেরুজালেম ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। গাজা থেকে তাঁর ভ্রমণ শুরু হয়। তারপর হেবরন শহরে যান। সেখানে তিনি ইব্রাহিমি মসজিদ পরিদর্শন করেছিলেন। এরপর ফিলিস্তিন ভ্রমণ করেন।
ফিলিস্তিনে ভ্রমণকালে তিনি সেখানকার কয়েকজন ধর্মীয় পণ্ডিত ও সুফির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি গাজার প্রখ্যাত ব্যক্তি কাজি শামসুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন সালেম আর আনাতোলিয়ার বিখ্যাত সুফি আস সালেহ আল আবেদ আবু আবদুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি মসজিদুল আকসা ও সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন করেন এবং সেই সবের বিস্তারিত বিবরণ মার্জিত ও সত্য ভাষায় তাঁর ভ্রমণকাহিনিতে তুলে ধরেন।
ডোম অব দ্য রকের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ইবনে বতুতা। এটি তাঁর জীবনে দেখা সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ভবনগুলোর একটি বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘খ্যাতির দিক থেকে পবিত্র তীর্থস্থান মক্কা ও মদিনার পরে জেরুজালেম তৃতীয়। এখান থেকেই আমাদের নবী (সা.) মিরাজে গমন করেন। খ্রিষ্টানরা এই নগর অধিকার করে সুরক্ষিতভাবে বসবাস শুরু করতে পারে আশঙ্কা করে বিখ্যাত সম্রাট সালাহউদ্দিন ও তাঁর পরবর্তী শাসকগণ এর প্রাচীরগুলো নষ্ট করে ফেলেন। জেরুজালেমের পবিত্র মসজিদ অতি সুদৃশ্য এবং পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মসজিদ। পূর্ব থেকে পশ্চিমে এর দৈর্ঘ্য ৭৫২ হাত এবং প্রস্থ ৪৩৫ হাত। মসজিদের তিন দিকে অনেক প্রবেশপথ আছে। যত দূর দেখেছি, মসজিদটির দক্ষিণ দিকে আছে মাত্র একটি দরজা। এই দরজা দিয়ে শুধু ইমাম প্রবেশ করেন। এই মসজিদ অনাবৃত একটি বৃহৎ চত্বরবিশেষ।’
ইবনে বতুতা আরও লেখেন, ‘কিন্তু আল-আকসা এর ব্যতিক্রম। আল-আকসা মসজিদের ছাদ কারুকার্যখচিত এবং সোনালি ও বিভিন্ন রঙে রঞ্জিত। মসজিদের অংশবিশেষ ছাদ দ্বারা আবৃত। মসজিদটির গম্বুজ গঠনের শোভা সৌন্দর্য ও দৃঢ়তায় অতুলনীয়। গম্বুজটি মাঝখানে অবস্থিত। মার্বেল পাথরের একটি সিঁড়ি রয়েছে। গম্বুজের চারটি দরজা, চতুষ্পার্শ্ব ও অভ্যন্তর মার্বেল পাথরে মণ্ডিত। ভেতর এবং বাইরের কারুকার্য ও সাজসজ্জা এত সুন্দর যে ভাষায় তা বর্ণনা করা যায় না। এর অধিকাংশই স্বর্ণাবৃত। তাকালেই চোখ ঝলসে যায়, বিদ্যুচ্চমকের মতো মনে হয়। গম্বুজের মধ্যস্থলে পবিত্র প্রস্তরখণ্ড। এখান থেকেই আমাদের প্রিয় নবী (সা.) মিরাজে গমন করেন। এই প্রস্তরখণ্ড একটি মানুষের সমান বাইরের দিকে বাড়ানো। তার নিচেই রয়েছে ছোট একটি প্রকোষ্ঠ। নিচে নেমে যাওয়ার সিঁড়িও রয়েছে। প্রস্তরখণ্ড ঘিরে আছে দুই প্রস্থ আবেষ্টনী। যে আবেষ্টনী প্রস্তরখণ্ড থেকে অপেক্ষাকৃত কাছে, সেটি অতি সুন্দরভাবে লোহা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। অন্যটি কাঠের তৈরি।’
১৪ শতকের প্রথম দিকে ইবনে বতুতা পবিত্র জেরুজালেমের দিকে যাত্রা করেন। টাঙ্গিয়ার শহর থেকে উত্তর আফ্রিকা, তারপর মিসর হয়ে সেই যাত্রা শুরু করেন। তখন মিসর মামলুক সুলতান আল-নাসির মুহাম্মদ বিন কালাউনের শাসনাধীন ছিল। মিসরে থাকা অবস্থায় তিনি জেরুজালেম ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। গাজা থেকে তাঁর ভ্রমণ শুরু হয়। তারপর হেবরন শহরে যান। সেখানে তিনি ইব্রাহিমি মসজিদ পরিদর্শন করেছিলেন। এরপর ফিলিস্তিন ভ্রমণ করেন।
ফিলিস্তিনে ভ্রমণকালে তিনি সেখানকার কয়েকজন ধর্মীয় পণ্ডিত ও সুফির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি গাজার প্রখ্যাত ব্যক্তি কাজি শামসুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন সালেম আর আনাতোলিয়ার বিখ্যাত সুফি আস সালেহ আল আবেদ আবু আবদুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি মসজিদুল আকসা ও সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন করেন এবং সেই সবের বিস্তারিত বিবরণ মার্জিত ও সত্য ভাষায় তাঁর ভ্রমণকাহিনিতে তুলে ধরেন।
ডোম অব দ্য রকের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ইবনে বতুতা। এটি তাঁর জীবনে দেখা সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ভবনগুলোর একটি বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘খ্যাতির দিক থেকে পবিত্র তীর্থস্থান মক্কা ও মদিনার পরে জেরুজালেম তৃতীয়। এখান থেকেই আমাদের নবী (সা.) মিরাজে গমন করেন। খ্রিষ্টানরা এই নগর অধিকার করে সুরক্ষিতভাবে বসবাস শুরু করতে পারে আশঙ্কা করে বিখ্যাত সম্রাট সালাহউদ্দিন ও তাঁর পরবর্তী শাসকগণ এর প্রাচীরগুলো নষ্ট করে ফেলেন। জেরুজালেমের পবিত্র মসজিদ অতি সুদৃশ্য এবং পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মসজিদ। পূর্ব থেকে পশ্চিমে এর দৈর্ঘ্য ৭৫২ হাত এবং প্রস্থ ৪৩৫ হাত। মসজিদের তিন দিকে অনেক প্রবেশপথ আছে। যত দূর দেখেছি, মসজিদটির দক্ষিণ দিকে আছে মাত্র একটি দরজা। এই দরজা দিয়ে শুধু ইমাম প্রবেশ করেন। এই মসজিদ অনাবৃত একটি বৃহৎ চত্বরবিশেষ।’
ইবনে বতুতা আরও লেখেন, ‘কিন্তু আল-আকসা এর ব্যতিক্রম। আল-আকসা মসজিদের ছাদ কারুকার্যখচিত এবং সোনালি ও বিভিন্ন রঙে রঞ্জিত। মসজিদের অংশবিশেষ ছাদ দ্বারা আবৃত। মসজিদটির গম্বুজ গঠনের শোভা সৌন্দর্য ও দৃঢ়তায় অতুলনীয়। গম্বুজটি মাঝখানে অবস্থিত। মার্বেল পাথরের একটি সিঁড়ি রয়েছে। গম্বুজের চারটি দরজা, চতুষ্পার্শ্ব ও অভ্যন্তর মার্বেল পাথরে মণ্ডিত। ভেতর এবং বাইরের কারুকার্য ও সাজসজ্জা এত সুন্দর যে ভাষায় তা বর্ণনা করা যায় না। এর অধিকাংশই স্বর্ণাবৃত। তাকালেই চোখ ঝলসে যায়, বিদ্যুচ্চমকের মতো মনে হয়। গম্বুজের মধ্যস্থলে পবিত্র প্রস্তরখণ্ড। এখান থেকেই আমাদের প্রিয় নবী (সা.) মিরাজে গমন করেন। এই প্রস্তরখণ্ড একটি মানুষের সমান বাইরের দিকে বাড়ানো। তার নিচেই রয়েছে ছোট একটি প্রকোষ্ঠ। নিচে নেমে যাওয়ার সিঁড়িও রয়েছে। প্রস্তরখণ্ড ঘিরে আছে দুই প্রস্থ আবেষ্টনী। যে আবেষ্টনী প্রস্তরখণ্ড থেকে অপেক্ষাকৃত কাছে, সেটি অতি সুন্দরভাবে লোহা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। অন্যটি কাঠের তৈরি।’
ইসলামে সন্তানের সুন্দর ও অর্থবহ নাম রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব। কারণ নাম শুধু পরিচয়ের মাধ্যম নয়, বরং তার ব্যক্তিত্ব ও জীবনের ওপর এর এক গভীর প্রভাব থাকে। এ কারণে অভিভাবকের উচিত এমন নাম নির্বাচন করা, যা ইসলামি ভাবধারার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং যার অর্থ সুন্দর ও কল্যাণকর।
১ ঘণ্টা আগেপরিবারে শান্তি অতি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। পরিবারে যখন শান্তি থাকে—সবাই মানসিকভাবে স্থিতিশীল থাকে, নিজেদের মাঝে বিশ্বাস ও সম্মান বৃদ্ধি পায়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সন্তানরা সঠিক মূল্যবোধ শিখে এবং তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে প্রেরণা পায়। শান্তি ছাড়া পরিবার কখনো পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না।
৩ ঘণ্টা আগেজীবনের নানা চাপ, অস্থিরতা আর অপ্রাপ্তি আমাদের মনে দুশ্চিন্তা এনে দেয়। তবে একজন মুমিনের জন্য দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির পথ তার ইমানের মধ্যেই নিহিত। এখানে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার কয়েকটি আমল তুলে ধরা হলো।
৯ ঘণ্টা আগেআরবি আজান শব্দের অর্থ ঘোষণা। আজান ইসলামের অন্যতম নিদর্শন। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের জন্য আজানের মাধ্যমেই আহ্বান করা হয়। আজান শুনে আজানের জবাব দেওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তিনি বলেন, ‘যখন আজান শুনবে, এর জবাবে মুআজ্জিনের অনুরূপ তোমরাও বলবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১১)
২১ ঘণ্টা আগে