দুর্ভোগ

বর্ষাকালে সাধারণ নলকূপ ও শ্যালো মেশিনে পানি উঠছেনা। আমনের চাষাবাদ, পাট জাগ দেওয়ার মৌসুম চলছে। এ ছাড়া মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্ম তো আছেই। বর্ষায় পানির জন্য মানুষের এমন হাহাকার আমার জীবনে দেখিনি, এমনকি কোনো দিন কারও কাছ থেকে কাছে শুনিওনি...

বরগুনার আমতলীতে কয়েক দিনের অতিবর্ষণে ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় আমনের বীজতলা পচে গেছে। আর এতেই বিপাকে পরেছে আমতলীর কৃষকেরা। সেই সঙ্গে নতুন করে বীজতলা তৈরি করার জন্য বীজ ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়ে অতিরিক্ত দামে বীজ কিনতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে...

‘বাহে, হামার দুর্দশা কায়ও দ্যাখে না। বাইষ্যা কন আর খড়া রাস্তাটা দিয়্যা হাঁটা যায় না। উপায় না পায়া হাঁটুসমান কাদার ওপর দিয়া চলাচল করুছি। রাস্তা কোনা ঠিক না করায় হামার কষ্ট চিরকাল।’ রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার পাকারপুল মোড়ে দাঁড়িয়ে পাকারপুল-সুড়ঙ্গের বাজার কাঁচা রাস্তা দেখিয়ে কথাগুলো বলেন উপজেলার দক্ষিণ হ

উপজেলায় চিংড়িঘেরে বন্যার পানি প্রবেশ করে ৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রায় ৪৫ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ধসে গেছে। ৯ হাজার ৫৪৭ হেক্টর জমির রোপণ করা চারা, বীজতলা ও শাকসবজির খেত তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বন্যার পানিতে কেরানিহাট বান্দরবান সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে সারা দেশের সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

চাঁদপুর শহরের নিউ ট্রাক রোডের বেহাল অবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসীর দাবি। বর্তমানে সড়কে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

কেউ আন্দোলন বা সমাবেশের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে কিংবা ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করলে নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে না। তাদের ওপর যে দায়িত্ব, সেটি তারা পালন করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

চিকিৎসায় অবহেলার কারণে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগে দুই চিকিৎসককে আটক করে জেলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এই গ্রেপ্তার ঠিক হয়নি বলে দাবি চিকিৎসক সমাজের। এরপর প্রতিবাদ জানাতে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কমেছে নদীর পানি। আজ সোমবার বিকেলে ধরলা নদীর পানি উপজেলার কিশামত শিমুলবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি কমলেও ভোগান্তি কমেনি। নিম্নাঞ্চল থেকে পুরোপুরি পানি না নামায় ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় কৃষকেরা। 

‘ঘরের ভেতরত, বাইরত পানি। রান্দনের জায়গা নাই। টুলের ওপরা চুলা থুইয়া পানিত দাঁড়ে রান্দি। কিন্তু ভাত খাওনের তরকারি নাই। কোনো বেলা লবণ দিয়া, কোনো বেলা কাটলের বিচি দিয়া ভাত খাওন লাগে। একবেলা রান্দি তিনবেলা খাই। খাওনের পানি আনা লাগে দূর থাইকা। খুব কষ্টে আছি।’ কথাগুলো বলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ

বৃষ্টি জনজীবনে স্বস্তি দিলেও কিছু জায়গায় তৈরি করে দুর্ভোগ। যদিও এর দায় বৃষ্টির নয়, মানুষের। স্বস্তির বৃষ্টি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ও মির্জাপুর ইউনিয়নের ৯টি গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ৯ গ্রামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের বাস 

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে ২০১৮ সালে ইছামতী নদীতে সেতু নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। নদীর সাঁকোরপাড় এলাকায় প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। শুধু সেতুর পাইলিংয়ের কাজ করেই লাপাত্তা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অর্ধেক বিলও তুলে নিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক।

চাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশনে আন্তনগর মেঘনা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের গরম পানি ছিটকে গায়ে পড়ে চালক সাঈদ মোহাম্মদ তাহেরের শরীর ঝলসে গেছে। তাঁকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লায় পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় সহস্রাধিক যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। 

এই ইউনিয়নে মোট ২১টি গ্রাম। প্রায় ২৭০০ শিক্ষার্থীর জন্য আছে মাত্র দুটি উচ্চবিদ্যালয়। ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষে এসব গ্রামের শিক্ষার্থীদের পাশের উপজেলা বা সাত আট কিলোমিটার দূরে চরম ভোগান্তি নিয়ে উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য যেতে হয়।

ঈদে টানা পাঁচ দিনের ছুটিতে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত ভ্রমণে পাসপোর্টধারীদের চাপ বেড়েছে। স্বাভাবিক সময়ে দিনে ছয় হাজার যাত্রী যাতায়াত করলেও ঈদের দ্বিতীয় দিন যাত্রীর সংখ্যা ১০ হাজার কাছাকাছি দাঁড়ায়। এতে বন্দরে দালাল চক্রের হয়রানিতে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। 

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে রানীগঞ্জ দক্ষিণপাড়-রৌয়াইল সড়ক ভেঙে আট দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাতে ভোগান্তিতে পড়েছে ১০ গ্রামের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০ হাজার মানুষ।

ঈদ উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, গাজীপুর এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ স্বজনদের কাছে যাবেন। এই বিপুলসংখ্যক ঈদযাত্রীর ৬০ শতাংশ যাবেন সড়কপথে, যার সংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ মানুষ নৌ ও রেলপথে ঢাকা ছাড়বেন।