কয়েক ছত্র

‘মাঝে মাঝে মৃত্যুচিন্তা এই জীবনটাকে শুদ্ধ করে তোলে।’কথাটা বিশ্বাস করার মতো শুদ্ধ মন তৈরি করাই এই যাপিত জীবনের অঙ্ক। আর অঙ্ক মেলানোর সূত্র?

বিএনপি নামের দলটি অন্য নামে থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বা খালেদা জিয়ার বিএনপি বলে আর কিছু থাকবে কি না, সন্দেহ থেকে যায়। জিয়াউর রহমানের সৃষ্ট বিএনপি দলটির উৎপত্তি সামরিক শাসনের ছাউনির ভেতর

মনের গতি যত দ্রুতই হোক না কেন, সীমানার বাইরে যাওয়ার মতো সক্ষমতা আমাদের নেই। তাই সব গতির ঊর্ধ্বে মনের গতি থাকলেও মনের গতির ঊর্ধ্বেও আরেক গতি রয়েছে। সেই গতি আমাদের অজানা, আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। সেই গতির নাম ইনফিনিটি গতি। মানুষের জ্ঞানভান্ডারের গতির শেষ কোথায় গিয়ে থামবে—এই প্রশ্নের উত্তর এই মুহূর্তে ক

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের প্রতি যে অঙ্গীকার ঘোষণা করে, সেটাই নির্বাচনী ইশতেহার। নির্বাচনী ইশতেহার প্রকারান্তরে রাজনৈতিক দলগুলোর লিখিত চুক্তিপত্র বা ওয়াদা। নির্বাচিত হওয়ার পর ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বা জোট জনগণকে প্রদত্ত অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি পূরণে সচেষ্ট হয়। তবে ভোটে নির

আমরা ভদ্রতার খাতিরে অনেক কিছু এড়িয়ে চলি। এমনকি অনেক সময় সঠিক পর্যবেক্ষণকেও পাত্তা দিই না। সামাজিক বা পারিপার্শ্বিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা নিজেদের বাঁচিয়ে চলতে চাই। কিন্তু কখনো কখনো অপ্রিয় সত্যকে অস্বীকার করার উপায় থাকে না। কবি-সাহিত্যিকদের সমাজের বোদ্ধা মানুষের সঙ্গে তুলনা করা হয় এবং অনেকাংশেই এটা ঠিক।

শীত চলে এল। শীত মানে তার সঙ্গে বড়দিনেরও আসা। বড়দিনে সান্তা ক্লজ বাচ্চাদের জন্য উপহার নিয়ে আসেন। সেই উপহার আমরা কখনো পাইনি। কারণ আমাদের চারপাশে ঈদ, পুজো যতটা দেখেছি, বড়দিন ততটা দেখিনি। তবু শীতের সঙ্গে মিলেমিশে সেই লাল-সাদা রংটা ছিল খুব কাছের জিনিসের মতো। আমাদের ছেলেবেলায় এ সময়ে উঁচু বাক্স বা তাক থেকে

‘আমি তো যুদ্ধে যাব, বেঁচে ফিরলে আমাদের বিয়ে হবে।’ কথাটি বিয়ের কনেকে বলেছিলেন দবিরুদ্দিন মুন্সি। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি টগবগে তরুণ। বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে গিয়েছিলেন। কনে ছিলেন হাসিয়া বেগম। তারপর কনে পছন্দ হওয়ার পরে যুদ্ধে চলে যান।

বরগুনার সদর ইউনিয়নের কড়ইতলী গ্রামের এক প্রবাসী দেশে ফিরে দেড় একর জমিতে আম, জাম ও লিচুর বাগান গড়ে তোলেন। পাখির হাত থেকে ফল রক্ষায় বাগানমালিক গাছগুলো ছোট ফাঁসের জাল দিয়ে ঢেকে দেন। জালের ভেতরে প্রবেশ করতে পারলেও  আর বের হতে না পেরে আটকা পড়ে দিনের পর দিন মারা গেল অনেক পাখি।

অবিভক্ত পাকিস্তানের প্রথম ও শেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর। এই দিনে আওয়ামী লীগ সেই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তখনো আর যাই হোক, ভোট চুরি বা ছিনতাই হয়নি। তবে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী সেই নির্বাচনের পর বিজয়ী শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করেছিল।

বেশ শীত পড়া শুরু হয়েছে। ভোটের বাজার শীতকে অতিক্রম করে গরম হাওয়া ছড়ানোর কাজও শুরু করেছে।  সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রার্থীরা নিজ নিজ মাঠে নেমে পড়বেন অচিরে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন নির্ধারিত হয়েছে, তাই এই কদিনই ভোটারদের কাছে আবেদন-নিবেদনের চূড়ান্ত সময়। প্রার্থী এবং কর্মীরা স্বতঃস্ফূর

আমরা যারা সমালোচনা করি, আমাদের তেমন কোনো যোগ্যতা নেই। তবে যাঁদের বিরুদ্ধে সমালোচনা করি, সেই ব্যক্তিরা নিঃসন্দেহে যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন। তাঁরা অভিজাত, সুনামধারী বটে। তাঁরা এ দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তাই সমালোচিত হওয়ার জন্যও বহু যোগ্যতার দরকার হয়, যা বাংলাদেশের আমলা ও জনপ্রতিনিধ

আগে ঘরানা দুটো ছিল বা দুই পক্ষ। একপক্ষ উচ্চশিক্ষিত ঘরোয়া নারী খুঁজত বিয়ের পাত্রী হিসেবে। পরীক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হলেও লক্ষ্মীমন্ত সংসারী নারী হওয়া চাই। বাইরের কাজ পুরুষ করবে আর ঘরের কাজ নারী। অন্যদিকে গুটিকয়েক পুরুষ স্ত্রীর বাইরে কাজ করা, মানে চাকরি করাকে সমর্থন দিতেন, সম্মানও দিতেন, হতেন সহম

যুদ্ধের নিয়ম অনুসারে, বেসামরিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারী ও শিশু সব সময়ই যুদ্ধের বাইরে থাকে। তবে এবার ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে সবার আগে মৃত্যুর তালিকার ওপরে অবস্থান করছে নারী ও কোমলমতি শিশুরা।

জীবন আসলেই এক চলমান বইয়ের পাতা। বইটা রোমান্টিক নাকি থ্রিলার, মিলনান্তক নাকি বিয়োগান্তক, জীবনমুখী নাকি শুধু মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দেওয়া—তার হিসাব একেক মানুষের কাছে একেক রকম।

রাজশাহী গেলে পদ্মার পাড়ে টি-বাঁধে যাওয়াটা যেন নিয়ম হয়ে গেছে। যেমন ঝকঝকে পরিচ্ছন্ন শহরটা, তেমনি ছিমছাম টি-বাঁধ এলাকা। একেবারে সুনসান বাঁধানো ঘাট। সামনে বিস্তীর্ণ পদ্মা। যেন নিটোল শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে মুঠো মুঠো ঢেউ। বর্ষায় ভরা যৌবনা।

সকালের নরম রোদে ফুটপাত ঘেঁষে দাঁড়ানো সবজি, ফল, মাছ, চায়ের ছোট ছোট ভ্যানগুলো যেন রাস্তাগুলোর প্রাণ। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় যদি একটু গতি কমানো হয়, তাহলে শুধু দেশের নয়, বিদেশের হালচালও ঠিক জানা হয়ে যায়।

রাত করে ঘুমানো যাবে না, সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়ার নির্দেশ এল। আগামীকাল মহালয়া। ভোর না হতেই যেতে হবে শান্তিনিকেতনের পাঠভবনের মাঠে। শান্তিনিকেতন মানেই দুর্বার আকর্ষণ! একটা মোহ টেনে নিয়ে যায় লাল মাটির গন্ধে মেশানো সবুজ প্রকৃতিতে। তাই শরীর ক্লান্ত হলেও এবার যেতেই হবে।