রুশা চৌধুরী
‘মাঝে মাঝে মৃত্যুচিন্তা এই জীবনটাকে শুদ্ধ করে তোলে।’
কথাটা বিশ্বাস করার মতো শুদ্ধ মন তৈরি করাই এই যাপিত জীবনের অঙ্ক। আর অঙ্ক মেলানোর সূত্র?
এই নৃত্যপাগল ব্যাকুলতা বিশ্বপরাণে নিত্য আমায় জাগিয়ে রাখে, শান্তি না মানে
আরে, সূত্রটা যে সুর হয়ে এলো!
গানটা যখন প্রথম শুনেছিলাম, সুরের সঙ্গে কথাগুলোও সেই ‘অচেনা নয়নের প্রতি নিমেষহত করেছিল’! এ আমার ভাষা নয়। এই ভাষা ‘তাঁর’, যে আমায় বাঁচিয়ে রাখে। শুধু আমাকে না, আমার মতো অনেককেই। তাঁর নাম ‘রবীন্দ্রনাথ’।
কত ছোট ছোট উপঢৌকন, ভালো লাগা, মন্দ লাগা, চাওয়া, প্রত্যাশা, না পাওয়া আর অবহেলায় এ জীবন সাজানো। জীবন বয়ে যায়, ‘বহে নিরন্তর’! যাদের জীবনে ‘রবিঠাকুরের গান’ বা এমনি কোনো ‘গান’ নেই, তারা কি জানতে পারে, ‘প্রতিটা মুহূর্ত তা যতটা কঠিনই হোক না কেন একটু হলেও সুর তাতে থাকেই’?
গানের বাণী বলে ওঠে বহু জটিল মুহূর্ত...‘সে ছুঁয়ে গেল নুয়ে গেল রে...’ অমনি জীবন সরল হতে চায়!
শুধু রবিঠাকুর নয়, কত কে গানের ডালি নিয়ে এসেছে। সবচেয়ে আশ্চর্য হচ্ছে গানগুলো সব ঠিক ‘স্মৃতিতে’ রয়ে যায়।
আমি তোমায় যত শুনিয়েছিলেম গান...
কবে কী শুনিয়েছিলাম সেই হিসাব তোলা থাকে। গান তো শুধু ব্যাকরণ মেনে চলে না, তাই হিসাবের বাইরে তারা প্রাণের কাছে থাকুক।
সেই যে গানটা, ‘রোদনভরা এ বসন্ত সখী কখনো আসেনি বুঝি আগে’...শুনলেই দুচোখ ভরে কান্না চলে আসে। গানের বাণীর এই যে এক অসীম আকুলতা তা আর কিছুতে কি আছে? সুর না জানলেও ক্ষতি নেই, কথাগুলোই যে জীবনের কোনো একপর্যায়ে ঘটে যাওয়া গল্পের রেশ! প্রতিটা গানের বাণীই তাই চিরন্তন।
আমার একটি কথা বাঁশি জানে, বাঁশিই জানে...
বাঁশি থাকার দরকার নেই, বাণীগুলো চিরকালের সত্য হয়ে আছে, ‘আমার সেই কথাটি শুধু আমার বাঁশির কাছেই জমা দেওয়া আছে।’
সেদিন গুনগুন করছিলাম,
আমার নিশীথরাতের বাদলধারা, এসো হে গোপনে আমার স্বপনলোকে দিশাহারা...
কন্যা বলে উঠল, ‘ছোটবেলায় এই গানটা আমার খুব ভালো লাগত!’
চমকে তাকিয়েছিলাম! এ কী গানের গভীর বাণী না এর মনভোলানো সুর...যা বারো-তেরো বছর বয়সের মনকেও আচ্ছন্ন করতে পেরেছিল! মন বলে উঠল, ‘জোনাকি কি সুখে ঐ ডানা দুটি মেলেছ?’ গানই তবে এই জীবনের বয়ে চলার গতির ডানা!
ত্রিশ বছর আগে প্রথম শোনা কবীর সুমনের সেই গানটা—
গান তুমি হও আমার মেয়ের ঘুমিয়ে পড়া মুখ,
তাকিয়ে থাকি এটাই আমার বেঁচে থাকার সুখ...
কথাগুলোর মর্ম বুঝতে ভালোবাসা বোঝা লাগে! প্রতি পলে পলে গান যেন প্রথম ভালোবাসা হয়ে আমাকে এক অনিঃশেষ পথের পাশ থেকে, আত্মজার সামনে নিয়ে আসে। মুগ্ধ আমি নিমেষহত হই, বেঁচে থাকতে শিখি।
কন্যা যখন গায়,
প্রাণ যে আমার বাঁশি শোনে নীল গগনে,
গান হয়ে যায় নিজের মনে যাহাই বাকি
সে আমার গোপন কথা শুনে যাও সখী
বোঝা যায়, সমস্ত জীবনবাণীতে সুর ঢেলে যাকে ধারণ করেছিলাম, সে ঠিক আমার মতো না ভাবলেও গানের সুরেই হাসে। আমার থেকে সবটা নিয়ে নিজের মতোই হয়ে উঠতে চায়।
এ জীবনে গানের কাছে, সুরের কাছে ‘রবি’র কাছে প্রতিদিন ঋণী হই, শোধ দেওয়ার সাধ যদি থাকেও, সাধ্য একটুখানিও নেই!
মৃত্যু খুব সহজ যেমন না, কঠিনও তেমনি নয়, এটা শুধুই অনুভবের। সবচেয়ে কঠিন শুধু ‘নিজের জীবনসত্য ঠিক রেখে অন্যকে বুঝতে চেষ্টা করা’। ভীষণ কঠিন কাজ কি? পৃথিবীর কজন মানুষ এমনটা পারে?
ক্ষুদ্রতাকে অসীমতা দিয়ে জয়ের চেষ্টায় ‘গান’ আমাদের পথ দেখাক, হাতটা থাকুক রবির আলোয় ভরা সুরেলা কারও হাতে।
লেখক: আবৃত্তিশিল্পী
‘মাঝে মাঝে মৃত্যুচিন্তা এই জীবনটাকে শুদ্ধ করে তোলে।’
কথাটা বিশ্বাস করার মতো শুদ্ধ মন তৈরি করাই এই যাপিত জীবনের অঙ্ক। আর অঙ্ক মেলানোর সূত্র?
এই নৃত্যপাগল ব্যাকুলতা বিশ্বপরাণে নিত্য আমায় জাগিয়ে রাখে, শান্তি না মানে
আরে, সূত্রটা যে সুর হয়ে এলো!
গানটা যখন প্রথম শুনেছিলাম, সুরের সঙ্গে কথাগুলোও সেই ‘অচেনা নয়নের প্রতি নিমেষহত করেছিল’! এ আমার ভাষা নয়। এই ভাষা ‘তাঁর’, যে আমায় বাঁচিয়ে রাখে। শুধু আমাকে না, আমার মতো অনেককেই। তাঁর নাম ‘রবীন্দ্রনাথ’।
কত ছোট ছোট উপঢৌকন, ভালো লাগা, মন্দ লাগা, চাওয়া, প্রত্যাশা, না পাওয়া আর অবহেলায় এ জীবন সাজানো। জীবন বয়ে যায়, ‘বহে নিরন্তর’! যাদের জীবনে ‘রবিঠাকুরের গান’ বা এমনি কোনো ‘গান’ নেই, তারা কি জানতে পারে, ‘প্রতিটা মুহূর্ত তা যতটা কঠিনই হোক না কেন একটু হলেও সুর তাতে থাকেই’?
গানের বাণী বলে ওঠে বহু জটিল মুহূর্ত...‘সে ছুঁয়ে গেল নুয়ে গেল রে...’ অমনি জীবন সরল হতে চায়!
শুধু রবিঠাকুর নয়, কত কে গানের ডালি নিয়ে এসেছে। সবচেয়ে আশ্চর্য হচ্ছে গানগুলো সব ঠিক ‘স্মৃতিতে’ রয়ে যায়।
আমি তোমায় যত শুনিয়েছিলেম গান...
কবে কী শুনিয়েছিলাম সেই হিসাব তোলা থাকে। গান তো শুধু ব্যাকরণ মেনে চলে না, তাই হিসাবের বাইরে তারা প্রাণের কাছে থাকুক।
সেই যে গানটা, ‘রোদনভরা এ বসন্ত সখী কখনো আসেনি বুঝি আগে’...শুনলেই দুচোখ ভরে কান্না চলে আসে। গানের বাণীর এই যে এক অসীম আকুলতা তা আর কিছুতে কি আছে? সুর না জানলেও ক্ষতি নেই, কথাগুলোই যে জীবনের কোনো একপর্যায়ে ঘটে যাওয়া গল্পের রেশ! প্রতিটা গানের বাণীই তাই চিরন্তন।
আমার একটি কথা বাঁশি জানে, বাঁশিই জানে...
বাঁশি থাকার দরকার নেই, বাণীগুলো চিরকালের সত্য হয়ে আছে, ‘আমার সেই কথাটি শুধু আমার বাঁশির কাছেই জমা দেওয়া আছে।’
সেদিন গুনগুন করছিলাম,
আমার নিশীথরাতের বাদলধারা, এসো হে গোপনে আমার স্বপনলোকে দিশাহারা...
কন্যা বলে উঠল, ‘ছোটবেলায় এই গানটা আমার খুব ভালো লাগত!’
চমকে তাকিয়েছিলাম! এ কী গানের গভীর বাণী না এর মনভোলানো সুর...যা বারো-তেরো বছর বয়সের মনকেও আচ্ছন্ন করতে পেরেছিল! মন বলে উঠল, ‘জোনাকি কি সুখে ঐ ডানা দুটি মেলেছ?’ গানই তবে এই জীবনের বয়ে চলার গতির ডানা!
ত্রিশ বছর আগে প্রথম শোনা কবীর সুমনের সেই গানটা—
গান তুমি হও আমার মেয়ের ঘুমিয়ে পড়া মুখ,
তাকিয়ে থাকি এটাই আমার বেঁচে থাকার সুখ...
কথাগুলোর মর্ম বুঝতে ভালোবাসা বোঝা লাগে! প্রতি পলে পলে গান যেন প্রথম ভালোবাসা হয়ে আমাকে এক অনিঃশেষ পথের পাশ থেকে, আত্মজার সামনে নিয়ে আসে। মুগ্ধ আমি নিমেষহত হই, বেঁচে থাকতে শিখি।
কন্যা যখন গায়,
প্রাণ যে আমার বাঁশি শোনে নীল গগনে,
গান হয়ে যায় নিজের মনে যাহাই বাকি
সে আমার গোপন কথা শুনে যাও সখী
বোঝা যায়, সমস্ত জীবনবাণীতে সুর ঢেলে যাকে ধারণ করেছিলাম, সে ঠিক আমার মতো না ভাবলেও গানের সুরেই হাসে। আমার থেকে সবটা নিয়ে নিজের মতোই হয়ে উঠতে চায়।
এ জীবনে গানের কাছে, সুরের কাছে ‘রবি’র কাছে প্রতিদিন ঋণী হই, শোধ দেওয়ার সাধ যদি থাকেও, সাধ্য একটুখানিও নেই!
মৃত্যু খুব সহজ যেমন না, কঠিনও তেমনি নয়, এটা শুধুই অনুভবের। সবচেয়ে কঠিন শুধু ‘নিজের জীবনসত্য ঠিক রেখে অন্যকে বুঝতে চেষ্টা করা’। ভীষণ কঠিন কাজ কি? পৃথিবীর কজন মানুষ এমনটা পারে?
ক্ষুদ্রতাকে অসীমতা দিয়ে জয়ের চেষ্টায় ‘গান’ আমাদের পথ দেখাক, হাতটা থাকুক রবির আলোয় ভরা সুরেলা কারও হাতে।
লেখক: আবৃত্তিশিল্পী
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫