কবি ও কবিতা

যে লেখে সমুদ্র, আমি তার সামান্য গোধূলি বালি ও ফেনার তীরে বসে থাকা ব্যাকুল ঝিনুক নিজের ছায়ার পাশে হেঁটে এসে এক বুক জলে এ শহর ডুবে যাবে, গোধূলিতে আমাদের এমন অসুখ!

কয়েক মুহূর্তের জন্য মনে হল ঘাড়ের উপর মাথা নেই, পরখ করেও মনে হল, নেই। সত্যি সত‌্যি নেই...

অপার আনন্দে যদি তুমি দূরদিগন্তে তাকাও তবে বিকেলের মেঘ থেকে খসে পড়ে জল; পাখির শরীরে ইচ্ছেমতো ভেজা; বলা যায় কাকভেজা অনায়াসে; ও আমার পদ্মদিঘি, কোন সে শরতে পুষ্পগন্ধময় তোমার হৃদয়?

শিশুরাই দলবদ্ধ হয়ে দলের সন্ধান করে যে রকম পাখির দলের ওড়াউড়ি বৃক্ষের বনের সবুজ প্রকৃতি...

প্রতি পূর্ণিমার মধ্যরাতে একবার আকাশের দিকে তাকাই গৃহত্যাগী হবার মত জোছনা কি উঠেছে?  বালিকা ভুলানো জোছনা নয়। যে জোছনায় বালিকারা ছাদের রেলিং ধরে  ছুটোছুটি করতে করতে বলবে, ও মাগো, সুন্দর চাঁদ!  নবদম্পতির জোছনাও নয়। যে জোছনা দেখে স্বামী গাঢ়স্বরে স্ত্রীকে বলবেন— দেখো নীতু চাঁদটা তোমার মুখের মতোই

জয়ী হবার জোরটা নিয়া চোখ রেখেছি অস্ট্রেলিয়া। সাজলো ক্রিকেট জমলো ক্রিকেট গ্যালারিতে হর্ষধ্বনি, লাল-সবুজে টাইগার দল বাংলাদেশের চোখের মণি।

যদি বলি পাখিদের নিয়ে কোনো কথা সব পাখি উড়ে যায় ফেরত ডানায় মাছরাঙা জলে-চোখ অবিচল আস্থা পরিযায়ী ছুটে চলে, কত ঠিকানায়।  উড়ুক্কু উড়ুক যত, মাছ তার নাম ওড়া মানে পাখি নয়, জানে কয়জন আকাশ হাওয়া ছুঁয়ে, ছুটে অবিশ্রাম প্রকৃতির নিমন্ত্রণে, দূরত্ব যোজন। 

আমরা দু’জনে গোপনে গোপনে ভালোবাসিয়াছি দু’জনায়। শুভ্র কাশবনে, কাননে-কাননে আনন্দহিল্লোল বয়ে যায়। আমাদের প্রেম দেখে আকাশে, মেঘেরাও হলো আজ চঞ্চল। স্তব্ধ-নদীর জল তরঙ্গে উচ্ছল— হলো আজ মিলনের মোহনায়।

যতবার যাই দূরে সরে একা ডেকে নিয়ো তুমি কাছে, তোমার দু’চোখে আমার কিছু দুঃখ জমা আছে। নির্জন কোনো দুপুরের মতো হাহাকার জাগে বুকে, শত বেদনার ফুল ফুটে আছে অভিমানী নতমুখে।

অপেক্ষায় ছিল সকাল না চাইতেই দুপুর এসে গেল বিকেলকে বলে রাখি ইশারায় তুমি দেরি করে এসো… বহুদিন পর দুপুরটাকে বেঁধেছি ভোরের স্নিগ্ধতায়!

নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মরার চেয়ে আত্মহত্যার আরও কোনো সহজতর উপায় আছে কি না, তা জানতে গুগল করেছিল মেয়েটি।

নিজের লাশের পাশে দ হয়ে বসে আছি আদুরে আঙুলে শুনছি নিজেরই কঙ্কাল সে কোন জঞ্জাল ফুঁড়ে এসেছি আমি

আমাকে ভালোবাসো?  তাহলে মুখে বলো না আমার চোখ, আমার কণ্ঠস্বর  আমার নিশ্বাস অনুবাদ করো।

না-জাগানো শরীরেরা তপ্ত অপচয়ে বহুদিন ভয়ে ভয়ে                 শুয়েছিল একে অপরকে জড়িয়ে মুক্তার মালা যে রকম আটকে তাই এসেছে নিঃসাড় দম দেহ ছুঁয়ে রাতের ভেতর                যেসব অঙ্গার ভোর

এক শীত সকালে সবিনয়ে এক মুঠো রোদ্দুর চেয়েছিলে,  সেই থেকে হাত ভরে রোদ্দুর নিয়ে বসে আছি,  তোমাকে দেওয়া হয়ে ওঠেনি।

এই সেই অরণ্যের পাতাঢাকা গোপন নদীটি যে কিনা নিজের দেহ আগুনের কাছে  বন্ধক রেখেছে।  স্রোতের বিপক্ষে গিয়ে যে ধারা নিজের জলে পিপাসা মেটায়।‌

মানুষের যাপন-ভাঙন বুঝে  পাখি বলে গেল,        অনেক উত্তর-যুগ শুরু হয়ে গেছে,         শস্যকণা রেখেছ কোথায়?             প্রহরগুলি হৃদয়রক্তমাংসক্ষরণ।