দেওয়ান আতিকুর রহমান
হ্যাংওভার
কয়েক মুহূর্তের জন্য মনে হল ঘাড়ের উপর মাথা নেই, পরখ করেও মনে হল, নেই। সত্যি সত্যি নেই!
ডান পকেটে হাত ঢুকাতেই দেখি এককাপ গরম চা!
একদম টাটকা, রক্তের মতো নোনতা!
পরপরই মনে হল আমি বসে আছি প্রিন্টের ছাদে। গাছ থেকে বরই পেড়ে খাচ্ছি...।
এই শহরে প্রেমিকা নামে কোনো ঠিকানা নেই আমার। হুটহাট নেমে যাই অচিন কোনো ইস্টিশনে। মাথার ভেতর বব ডিলান ঘুরঘুর করতেই মনে হল...যাক, মাথাটা ফেরত পাওয়া গেল ঠিকঠাক।
শীত বিকেলগুলো পাখি, স্বাধীন। সময়ের চেয়ে দীর্ঘ মনে হয় নিজের ছায়া। মনে হয় দুকদম হাঁটলেই পৌঁছে যাব সুর্যাস্তের কাছে। হলুদ সরিষাখেতে উড়ে যাওয়া শালিকের ঝাঁক ঢুকে পড়ে চোখের তারায়। বুকের ভেতর আস্ত একটা মেঘনা নদী নিয়ে আমি হেঁটে যাই নিজের লাশের দিকে...!
ঘোরগ্রস্ত দিন
এই সব বোধহীন দিন
দীনহীন, ক্লান্তিকর
জীবন যাপন
এই সব বেঁচে থাকা।
কুয়োতলার শেওলার মতন
ক্লেদ ভীষণ
ভী-ষ-ণ!
তবুও ছায়া ছায়া
বিকেলগুলো
কোনো এক সুদূর দিনের
ফেলে আসা মায়ার
মতন!
মায়া কিংবা ধূম্রজাল
ঘোরও বলা যায়,
গোধূলির শেষ আলো
যতটা নরম। তারও
কিছু বেশি স্নিগ্ধ করে রাখে!
মুহূর্ত খানেক।
তা-র-প-র
বয়ে যায় সহস্র বছর…
ছুটিতে যাব
চোখ বুজলেই পিঠে গজাবে প্রজাপতির ডানা
করোটির ভেতর আটকে পড়া হাওয়ায় বেড়াব উড়ে
আকাশে-আকাশে, ঘাসে
ফানুস উড়িয়ে উড়িয়ে ক্লান্ত
তবু ফিরব না
ফেরার কোনো তাড়া থাকবে না
এবার আমি ছুটিতে যাব, সত্যি
কবরের মতো শান্ত, গভীর, অফুরান ছুটিতে!
উপলব্ধি
দুধ সাদা কাফনের ভেতর
শান্ত স্নিগ্ধ বাবার মুখ
তারপর মা!
এখন আমার ঘরের
দেয়াল ছাদ সব
কাফনে মোড়ানো ধবধবে সাদা
মাঝখানে শুধু
আলো হয়ে আছে
শৈশবে হারিয়ে যাওয়া
রঙিন মার্বেল!
হ্যাংওভার
কয়েক মুহূর্তের জন্য মনে হল ঘাড়ের উপর মাথা নেই, পরখ করেও মনে হল, নেই। সত্যি সত্যি নেই!
ডান পকেটে হাত ঢুকাতেই দেখি এককাপ গরম চা!
একদম টাটকা, রক্তের মতো নোনতা!
পরপরই মনে হল আমি বসে আছি প্রিন্টের ছাদে। গাছ থেকে বরই পেড়ে খাচ্ছি...।
এই শহরে প্রেমিকা নামে কোনো ঠিকানা নেই আমার। হুটহাট নেমে যাই অচিন কোনো ইস্টিশনে। মাথার ভেতর বব ডিলান ঘুরঘুর করতেই মনে হল...যাক, মাথাটা ফেরত পাওয়া গেল ঠিকঠাক।
শীত বিকেলগুলো পাখি, স্বাধীন। সময়ের চেয়ে দীর্ঘ মনে হয় নিজের ছায়া। মনে হয় দুকদম হাঁটলেই পৌঁছে যাব সুর্যাস্তের কাছে। হলুদ সরিষাখেতে উড়ে যাওয়া শালিকের ঝাঁক ঢুকে পড়ে চোখের তারায়। বুকের ভেতর আস্ত একটা মেঘনা নদী নিয়ে আমি হেঁটে যাই নিজের লাশের দিকে...!
ঘোরগ্রস্ত দিন
এই সব বোধহীন দিন
দীনহীন, ক্লান্তিকর
জীবন যাপন
এই সব বেঁচে থাকা।
কুয়োতলার শেওলার মতন
ক্লেদ ভীষণ
ভী-ষ-ণ!
তবুও ছায়া ছায়া
বিকেলগুলো
কোনো এক সুদূর দিনের
ফেলে আসা মায়ার
মতন!
মায়া কিংবা ধূম্রজাল
ঘোরও বলা যায়,
গোধূলির শেষ আলো
যতটা নরম। তারও
কিছু বেশি স্নিগ্ধ করে রাখে!
মুহূর্ত খানেক।
তা-র-প-র
বয়ে যায় সহস্র বছর…
ছুটিতে যাব
চোখ বুজলেই পিঠে গজাবে প্রজাপতির ডানা
করোটির ভেতর আটকে পড়া হাওয়ায় বেড়াব উড়ে
আকাশে-আকাশে, ঘাসে
ফানুস উড়িয়ে উড়িয়ে ক্লান্ত
তবু ফিরব না
ফেরার কোনো তাড়া থাকবে না
এবার আমি ছুটিতে যাব, সত্যি
কবরের মতো শান্ত, গভীর, অফুরান ছুটিতে!
উপলব্ধি
দুধ সাদা কাফনের ভেতর
শান্ত স্নিগ্ধ বাবার মুখ
তারপর মা!
এখন আমার ঘরের
দেয়াল ছাদ সব
কাফনে মোড়ানো ধবধবে সাদা
মাঝখানে শুধু
আলো হয়ে আছে
শৈশবে হারিয়ে যাওয়া
রঙিন মার্বেল!
হিমালয় পাই এর নতুন বই’ ডিটাচমেন্ট টু ডিপার্চার’ প্রকাশিত হয়েছে। বইটি বাজারে এনেছে জনপ্রিয় প্রকাশনা সংস্থা আদর্শ প্রকাশনী। বইটিতে মূলত উত্তর ভারতের বিভিন্ন শহর পরিভ্রমণের প্রেক্ষিতে লেখকের সোশিওলজিকাল, পলিটিক্যাল কালচারাল, হিস্টরিকাল, এনথ্রোপলজিকাল যেসব পর্যবেক্ষণ তৈরি হয়েছে সেগুলোকেই সোশ্যাল থিসিসরূ
১৪ দিন আগে‘স্বাধীনতা সাম্য সম্প্রীতির জন্য কবিতা’ স্লোগান নিয়ে শুরু হচ্ছে জাতীয় কবিতা উৎসব ২০২৫। আগামী ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কবিতার এই আসর। আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এটি জানানো হয়েছে...
২১ দিন আগেবাংলা একাডেমি ২০২৪ সালের ষাণ্মাসিক ফেলোশিপ এবং ছয়টি পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেছে। মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, বিজ্ঞান, শিল্পকলা এবং ভাষা গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন। এ ছাড়া প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য, নাটক এবং কথাসাহিত্যে অবদানের জন্য মোট ছয়টি পুরস্কার দেওয়া হচ্
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪সূক্ষ্মচিন্তার খসড়াকে ধারণ করে শিল্প-সাহিত্য ভিত্তিক ছোটকাগজ ‘বামিহাল’। বগুড়ার সবুজ শ্যামল মায়াময় ‘বামিহাল’ গ্রামের নাম থেকেই এর নাম। ‘বামিহাল’ বিশ্বাস করে বাংলার আবহমান জীবন, মানুষ-প্রকৃতি কিংবা সুচিন্তার বিশ্বমুখী সূক্ষ্ম ভাবনার প্রকাশই আগামীর সবুজ-শ্যামল মানববসতি বিনির্মাণ করতে পারে...
২১ ডিসেম্বর ২০২৪