একুশে বইমেলা

জ্যাম ঠেলতে ঠেলতে এগিয়ে চলেছি বইমেলার দিকে। এ যেন স্বপ্নের দৌড়। দৌড়াচ্ছি কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছি না। ঘোড়া নেই, প্রচুর গাড়ি আমার পেছনে ধাওয়া করেছে! আমিও সামনের গাড়িকে। সবাই দৌড়াচ্ছে। কিন্তু কেউ কাউকে ধরতে পারছে না। এমন একটা অবস্থার মধ্যেই আড্ডা

বসন্তের আগমনে বিদায় নিচ্ছে শীত। তার ছোঁয়া লেগেছে বইমেলাতেও। বসন্তের কবিতা নিয়ে বইমেলায় হাজির হয়েছেন শতাধিক তরুণ কবি। তাঁদের কবিতার ছন্দে উত্তাল বইমেলা। মেলার প্রায় প্রতিটি স্টলে রয়েছে কবিতার বই। অনেক স্টলে বইয়ের সঙ্গে আছেন কবিরাও। গত নয় দিনে মেলায় ২১৬টি নতুন কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে।

অমর একুশের এবারের বইমেলায় পাঠকের নজর কেড়েছে কবি, প্রাবন্ধিক ও শিল্প সমালোচক মাহবুবুর রহমান তুহিনের প্রবন্ধ সংকলন ‘কালের কথা’। 

‘তিথির নীল তোয়ালে’ পেয়ে যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন রায়েরবাজার থেকে মেলায় আসা সারিয়া সুলতানা। হ‌ুমায়ূন আহমেদের এই বইয়ের জন্য তিনটি প্রকাশনী ঘুরে অবশেষে সময় প্রকাশনীতে এসে বইটি পেয়েছেন তিনি। তাঁর মুখে বিশ্বজয়ের হাসি।

‘ইতিহাস আমার রান্নাঘরে এসেছিল এবং ক্ষুধা নিয়েই ফিরে গেছে’—এক কবিতায় এমনটা বলেন অমৃতা প্রিতম। ভারতের প্রখ্যাত কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক অমৃতা লিখতেন হিন্দি ও পাঞ্জাবি ভাষায়। সাহিত্যের মতো তাঁর জীবন, ভাবনা ও যাপন মানুষকে সমান আকৃষ্ট করেছে।

করোনাকাল পেরিয়ে এবার পুরোনো চেহারায় ফিরেছে বইমেলা। লেখক, পাঠক—সবার মধ্যেই উৎসবের আমেজ। কিন্তু বই প্রকাশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন রূপ। করোনাকালের চেয়েও এ বছর নতুন বই প্রকাশ কমে গেছে!

ধীরে ধীরে বাড়ছে বইমেলার উত্তাপ। সেই সঙ্গে আশঙ্কা বাড়ছে প্রকাশক ও পাঠকদের মধ্যে। এর প্রধান কারণ—বইয়ের দাম। বইয়ের দাম আগের তুলনায় বেশ বেড়েছে। ফলে পাঠকেরা যেমন বেশি নতুন বই কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন, তেমনি প্রকাশকেরাও জানিয়েছেন, আগ্রহ থাকলেও অতিরিক্ত নতুন বই প্রকাশ করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

পাবনায় শুরু হলো মাসব্যাপী একুশে বইমেলা। গতকাল শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের স্বাধীনতা চত্বরে প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে মেলার উদ্বোধন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় অর্ধশতাধিক স্টল বসেছে। এ ছাড়

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এবার ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনেই শুরু হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। নানা সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে ক্রমেই জমে উঠছে এটি। স্টল, প্যাভিলিয়নগুলোতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা। স্টলগুলোতেও তাকে তাকে উঠেছে নতুন-পুরোনো

কথা হচ্ছিল মা আর মেয়ের মধ্যে। পাশে দাঁড়িয়ে হাসছিলেন বাবা। মা–মেয়ের এই কথোপকথন চলছিল অমর একুশে বইমেলার শিশু চত্বরে। শিশুটির হাতে বাবার দেওয়া টাকা আর মুখে রাজ্যের খুশি। সাবধানে ছোটাছুটি করতে বলায় মেয়ে মাকে বলছিল, বাবা তাকে টাকা দিয়েছে বই কেনার জন্য। এখন সে তার মনের মতো বই কিনে বাড়ি ফিরবে। সেখানে মা যে

ছুটির দিনে গতকাল শুক্রবার তিন বছর আগের সেই পুরোনো আমেজ ফিরে আসে অমর একুশে বইমেলায়। বেলা ১১টা থেকেই দর্শনার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে মেলার প্রাঙ্গণ। বিকেলে ঢল নামে বইপ্রেমীদের। ছুটির দিন পেয়ে মেলায় উপস্থিত হয়েছিলেন নতুন

আজ শুক্রবার বইমেলার তৃতীয় দিন হলেও এ যেন মেলায় শিশুদের প্রথম দিন। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় মেলার প্রথম প্রহরেই মেলা প্রাঙ্গণ নানা বয়সী শিশুর পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে। বেলা তিনটায় মেলায় শিশুদের অন্যতম আকর্ষণ ‘শিশুপ্রহর’-এর উদ্বোধন করেন কথাসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও বাংলা একাডেমির সদস্যসচিব ড. মুজাহিদুল

দ্বিতীয় দিনেই জমে উঠেছে অমর একুশে বইমেলা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই দল বেঁধে আসতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা। পছন্দমতো বই কেনেন। অনেকে আবার নেড়েচেড়ে দেখেন বিভিন্ন লেখকের নতুন-পুরোনো বই। কেউ ছবি তুলছেন, আবার কেউ আপন মনে পড়ছেন পছন্দের বইয়ের সূচিপত্র। কেউবা বসন্তের আগমনী বার্তাবাহক হিসেবে নিজেকে সাজিয়ে

অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও বিকাশ পেমেন্টে ১০% ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন বইপ্রেমীরা। মেলা চলাকালে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক উপভোগ করতে পারবেন। সেই সঙ্গে ৫০০ বা তার বেশি টাকা বিকাশে পেমেন্ট করলেই রয়েছে আরও ৫০ টাকার কুপন, যা মেলা চলাকালে উপভোগ করতে পারবেন

কোনো স্টলে চলছে হাতুড়ি-পেরেকের ঠুকঠুক আওয়াজ, কোথাও পড়ছে রংতুলির শেষ ছোঁয়া, কোনো স্টলে আবার বই সাজিয়ে রাখতে ব্যস্ত কর্মীরা। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আর বাংলা একাডেমি ঘিরে শাহবাগ থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত এলাকাজুড়ে উৎসবের আমেজ। শুরু হয়েছে অমর একুশে বইমেলা।

খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ‘একুশের বইমেলা হচ্ছে বাঙালির প্রাণের মেলা। আলোকিত মানুষ হতে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। বইয়ের প্রতি সবাইকে আকৃষ্ট করতে বইমেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’ তিনি নতুন প্রজন্মকে বই পড়তে উৎসাহ দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।’

দেশের অনেক উন্নতি হয়েছে, এখন আমাদের সমাজ ও সাহিত্যের উন্নতি দরকার। আমরা জাতি হিসেবে দিন দিন লোভাতুর হয়ে যাচ্ছি! এখন আমাদের ভাবতে কষ্ট হয়, আমরা ভাষা আন্দোলন করেছি, মুক্তিযুদ্ধ করেছি কিন্তু লোভ ছাড়তে পারছি না...