Ajker Patrika

বইমেলায় শিশুপ্রহরে নির্মল আনন্দ

সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
বইমেলায় শিশুপ্রহরে নির্মল আনন্দ

ছুটির দিনে গতকাল শুক্রবার তিন বছর আগের সেই পুরোনো আমেজ ফিরে আসে অমর একুশে বইমেলায়। বেলা ১১টা থেকেই দর্শনার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে মেলার প্রাঙ্গণ। বিকেলে ঢল নামে বইপ্রেমীদের। ছুটির দিন পেয়ে মেলায় উপস্থিত হয়েছিলেন নতুন লেখকেরাও। তাঁদের সঙ্গে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন প্রকাশক আর দর্শনার্থীরা। তবে গতকাল দিনটা ছিল শিশুদের।

প্রতিবছর বইমেলায় শিশুদের প্রধান আকর্ষণ এই ‘শিশুপ্রহর’। মূলত শিশুদের বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতেই মেলার একটি অংশকে ঘোষণা করা হয় শিশুপ্রহর হিসেবে। প্রতি শুক্র ও শনিবার হয়ে ওঠে শিশুদের দিন। গতকালও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

মেলায় শিশুদের অন্যতম এ আকর্ষণ উদ্বোধন করা হয় বেলা তিনটায়। বিশেষ এ আয়োজন উদ্বোধন করেন কথাসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও বাংলা একাডেমির সদস্যসচিব ড. মুজাহিদুল ইসলাম। এ সময় জাফর ইকবাল বলেন, ‘সবাইকে বই পড়তে উৎসাহিত করতে হবে। অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ, অনেকেই খাওয়ার সময় বাচ্চাদের হাতে মোবাইল দিয়ে রাখেন। মোবাইল দেবেন না। তাদের হাতে বই দিন। তাদের বই পড়ে শোনান, তাহলে তারা যখন পড়তে শিখবে, তখন নিজেরাই বই পড়বে।’

‘পড়ি বই, জানতে জানতে বড় হই’ স্লোগানে বইমেলায় শিশুপ্রহরের আয়োজন করছে সিসিমপুর। এ আয়োজনে সিসিমপুরের হালুম, টুকটুকি, শিকু, ইকরিরা শিশুদের সঙ্গে মেলার আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। এ বিষয়ে সিসিমপুর স্টলের ইনচার্জ সজীব বলেন, ‘প্রতি শুক্র ও শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা, বেলা সাড়ে তিনটা ও সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মোট তিনটি প্রহর হবে। এ ছাড়া শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলা, কুইজ, চিত্রাঙ্কন থাকবে।’

শিশুপ্রহরে অংশ নেওয়া শিশুরা হালুম, ইকরিদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে অত্যন্ত আনন্দ পেয়েছে। নার্সারি পড়ুয়া তানভীর রাকিন বলে, ‘সিসিমপুর দেখার জন্য এসেছি। টুকটুকি, হালুম, ইকরি, শিকু দেখতে এসেছি।’ শিশু নাবাহা নুজাত রাইফার কণ্ঠে আনন্দ যেন বাঁধ ভেঙে গেছে। এক প্রতিক্রিয়ায় সে জানায়, ‘সকালে মেলায় এসেছি। ড্রয়িং করেছি, খেলাধুলা করেছি আর বই কিনেছি। মেলায় অনেক ভালো লাগছে।’

বিকেল থেকেই বাড়তে থাকে মেলায় আগত দর্শনার্থীর সংখ্যা। ছুটির দিনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন লেখক ও প্রকাশকেরা। তরুণ লেখক রাসেল জায়গীর বলেন, ‘মেলায় কবিতার বই এসেছে। ছোট ভাইদের নিয়ে আনন্দ করছি। এত গুরুগম্ভীর জীবন দিয়ে কিছু হবে না। আনন্দে থাকুন। বই কিনুন, অন্যকে বই উপহার দিন।’

গতকাল মেলায় ৯৬টি নতুন বই এসেছে। এর মধ্যে আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর ‘বাংলাদেশের জাতীয় মুক্তির পথ’, কথা প্রকাশনী প্রকাশিত আনিসুল হকের ‘প্রেরণার গল্প’, অনন্যা প্রকাশনী প্রকাশিত মুনতাসীর মামুনের ‘মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১: শিলিগুড়ি থেকে সিমলা’, ইমদাদুল হক মিলনের নতুন উপন্যাস ‘যে জীবন আমার ছিল’, বিভাস থেকে প্রকাশিত যতীন সরকারের ‘দ্বিজাতিতত্ত্ব, নিয়তিবাদ ও বিজ্ঞান চেতনা’, অন্যপ্রকাশ প্রকাশিত সাদাত হোসাইনের উপন্যাস ‘সে এখানে নেই’ উল্লেখযোগ্য।

এ ছাড়া চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ ‘এই কাহিনি সত্য নয়’ নামে তাঁর প্রথম বই প্রকাশ করেছেন। প্রথমা প্রকাশন থেকে বইটি প্রকাশিত হয়েছে। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘কলকাতা থেকে দার্জিলিং যাওয়ার সময়ের স্মৃতি ও এর সঙ্গে কিছু কল্পনা নিয়ে বইটি লেখা হয়েছে। আমি আমার জীবনের স্মৃতি লিখেছি। কিন্তু আমি মনেপ্রাণে চাই আমার কল্পনার এই কাহিনি যেন সত্য না হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত