আজকের পত্রিকা ডেস্ক
‘ইতিহাস আমার রান্নাঘরে এসেছিল এবং ক্ষুধা নিয়েই ফিরে গেছে’—এক কবিতায় এমনটা বলেন অমৃতা প্রিতম। ভারতের প্রখ্যাত কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক অমৃতা লিখতেন হিন্দি ও পাঞ্জাবি ভাষায়। সাহিত্যের মতো তাঁর জীবন, ভাবনা ও যাপন মানুষকে সমান আকৃষ্ট করেছে।
শর্তহীন প্রেমের যাপনের বিষয়ে আলোচনা করলেই আমাদের সামনে আসে প্রখ্যাত নারী তাত্ত্বিক সিমোন দ্য বুভোয়ার ও দার্শনিক জ্যঁ পল সার্তের জীবন। সেটা পশ্চিমা বৈবাহিক শর্তহীন সম্পর্কই বলা যায়। কিন্তু ভারতের বৈবাহিক জীবনেও শর্তহীন প্রেমের যাপনের উদাহরণ হতে পারে অমৃতা প্রিতম ও পেইন্টার ইমরোজের জীবনী।
পাঞ্জাবি ভাষার কবি-কথাশিল্পী-গীতিকার শাহির লুধিয়ানভির সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে অমৃতা দ্বিধা করেননি। মাত্র ষোলো বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। শাহিরের প্রতি ভালোবাসায় এতটুকুও চিড় ধরেনি কখনো।
নানা উত্থান-পতনের পর এটা থেকে গেছে একটা জটিল সম্পর্ক হিসেবে। এত কিছুর পরেও ইমরোজ সাত বছরের বড় অমৃতাকে ভালোবেসে তাঁর সঙ্গে থেকেছেন চার দশক, বিয়ে না করে।
অমৃতা ও ইমরোজের এই প্রথাবিরোধী কিন্তু চমৎকার সম্পর্কের কথা লেখা হয়েছে দুজনেরই ঘনিষ্ঠ জন উমা ত্রিলোকের এই বইয়ে।
অমৃতা সম্পর্কে গুলজার লিখেছেন—কবিতা ছাড়াও তাঁর দোপাট্টার এক গিঁটে উপন্যাস আর গল্প বেঁধে অবহেলায় কাঁধে ফেলে রেখেছেন। আর গায়ে জড়িয়ে নিয়েছেন ভালোবাসার দামি চাদর। তাতে ইমরোজের দৃষ্টির সুগন্ধ।
ড. দলীপ কাউর তিওয়ানার ভাষায়—উমা ত্রিলোক তাঁর এ বইয়ে ইমরোজকে নিয়ে গেছেন অমৃতার সাহিত্য-জীবনের পরিভ্রমণে, আর মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছেন—কেমন করে ইমরোজ পরিপূর্ণ অঙ্গীকারের সঙ্গে ওই সম্পর্কটি রক্ষা করে গেছেন।
অমৃতা ও ইমরোজের ভালোবাসা নিয়ে উমা ত্রিলোকের লেখা ‘অমৃতা-ইমরোজ: একটি প্রেমকাহিনি’ বইটি বাংলাসহ ১২টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এ দুজনকে নিয়ে আরও দুটি বই আছে তাঁর—শি লিভস অন (২০০৭) ও অমৃতা লিভস অন (২০১৯)।
ব্যবস্থাপনায় পিএইচডিধারী উমা ত্রিলোক বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। লেখেন হিন্দি ও ইংরেজিতে। প্রকাশিত বই ১৯টি। কবিতা ছোটগল্প উপন্যাস যা-ই তিনি লিখেছেন, সর্বত্র কথা বলেছেন নিজের সঙ্গে, বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে। উমা ত্রিলোক একজন স্ক্রিপ্টরাইটার ও চিত্রকরও। ভারতীয় ক্ল্যাসিক্যাল সংগীত ও কত্থক নাচ শিখেছেন, অংশ নিয়েছেন মঞ্চ, রেডিও আর টেলিভিশনের নানা অনুষ্ঠানে।
‘অমৃতা-ইমরোজ: অ্যা লাভ স্টোরি’ লেখকের অনুমতি ও আলাপ সাপেক্ষে অনুবাদ করেছেন দিলওয়ার হাসান। তিনি স্বনামধন্য গল্পকার ও অনুবাদক। অনেকে তাঁকে চেনেন সাহিত্যে নোবেলজয়ী আইজ্যাক বাশেভিস সিঙ্গার, হারুকি মুরাকামি, রবার্তো বোলানিওসহ অনেক লেখকের অনুবাদক হিসেবে।
দেশের শীর্ষ সব পত্রিকার প্রকাশিত তাঁর অনন্যসাধারণ গল্পের জন্যও তিনি বহুল পঠিত। ছোটদের জন্যও লেখেন। পেশাগত জীবনে অনেকটা সময় কেটেছে সাংবাদিকতায়। কাজ করেছেন দেশি-বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে।
সম্প্রতি প্রকাশিত গল্পের বই: জনাকীর্ণ গুলিস্তানে জাদুবাস্তবতার মহলা, একটি ইঁচড়ে পাকা সাক্ষাৎকারের বয়ান; অনুবাদ গল্পের বই ‘লাতিন আমেরিকার গল্প: ঘুম আর জাগরণের মাঝে’ পাঠক সমাদর পেয়েছেন। প্রকাশিত বই ১৫টি।
১৬০ পৃষ্ঠার ‘অমৃতা-ইমরোজ: একটি প্রেমকাহিনি’ বইটি প্রকাশ করেছে ‘বাতিঘর’।
বই: অমৃতা-ইমরোজ: একটি প্রেমকাহিনি,
মূল: উমা ত্রিলোক,
ভাষান্তর: দিলওয়ার হাসান,
প্রকাশক: বাতিঘর,
প্রকাশ: একুশে বইমেলা ২০২৩,
মূল্য: ৩২০ টাকা।
‘ইতিহাস আমার রান্নাঘরে এসেছিল এবং ক্ষুধা নিয়েই ফিরে গেছে’—এক কবিতায় এমনটা বলেন অমৃতা প্রিতম। ভারতের প্রখ্যাত কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক অমৃতা লিখতেন হিন্দি ও পাঞ্জাবি ভাষায়। সাহিত্যের মতো তাঁর জীবন, ভাবনা ও যাপন মানুষকে সমান আকৃষ্ট করেছে।
শর্তহীন প্রেমের যাপনের বিষয়ে আলোচনা করলেই আমাদের সামনে আসে প্রখ্যাত নারী তাত্ত্বিক সিমোন দ্য বুভোয়ার ও দার্শনিক জ্যঁ পল সার্তের জীবন। সেটা পশ্চিমা বৈবাহিক শর্তহীন সম্পর্কই বলা যায়। কিন্তু ভারতের বৈবাহিক জীবনেও শর্তহীন প্রেমের যাপনের উদাহরণ হতে পারে অমৃতা প্রিতম ও পেইন্টার ইমরোজের জীবনী।
পাঞ্জাবি ভাষার কবি-কথাশিল্পী-গীতিকার শাহির লুধিয়ানভির সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে অমৃতা দ্বিধা করেননি। মাত্র ষোলো বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। শাহিরের প্রতি ভালোবাসায় এতটুকুও চিড় ধরেনি কখনো।
নানা উত্থান-পতনের পর এটা থেকে গেছে একটা জটিল সম্পর্ক হিসেবে। এত কিছুর পরেও ইমরোজ সাত বছরের বড় অমৃতাকে ভালোবেসে তাঁর সঙ্গে থেকেছেন চার দশক, বিয়ে না করে।
অমৃতা ও ইমরোজের এই প্রথাবিরোধী কিন্তু চমৎকার সম্পর্কের কথা লেখা হয়েছে দুজনেরই ঘনিষ্ঠ জন উমা ত্রিলোকের এই বইয়ে।
অমৃতা সম্পর্কে গুলজার লিখেছেন—কবিতা ছাড়াও তাঁর দোপাট্টার এক গিঁটে উপন্যাস আর গল্প বেঁধে অবহেলায় কাঁধে ফেলে রেখেছেন। আর গায়ে জড়িয়ে নিয়েছেন ভালোবাসার দামি চাদর। তাতে ইমরোজের দৃষ্টির সুগন্ধ।
ড. দলীপ কাউর তিওয়ানার ভাষায়—উমা ত্রিলোক তাঁর এ বইয়ে ইমরোজকে নিয়ে গেছেন অমৃতার সাহিত্য-জীবনের পরিভ্রমণে, আর মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছেন—কেমন করে ইমরোজ পরিপূর্ণ অঙ্গীকারের সঙ্গে ওই সম্পর্কটি রক্ষা করে গেছেন।
অমৃতা ও ইমরোজের ভালোবাসা নিয়ে উমা ত্রিলোকের লেখা ‘অমৃতা-ইমরোজ: একটি প্রেমকাহিনি’ বইটি বাংলাসহ ১২টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এ দুজনকে নিয়ে আরও দুটি বই আছে তাঁর—শি লিভস অন (২০০৭) ও অমৃতা লিভস অন (২০১৯)।
ব্যবস্থাপনায় পিএইচডিধারী উমা ত্রিলোক বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। লেখেন হিন্দি ও ইংরেজিতে। প্রকাশিত বই ১৯টি। কবিতা ছোটগল্প উপন্যাস যা-ই তিনি লিখেছেন, সর্বত্র কথা বলেছেন নিজের সঙ্গে, বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে। উমা ত্রিলোক একজন স্ক্রিপ্টরাইটার ও চিত্রকরও। ভারতীয় ক্ল্যাসিক্যাল সংগীত ও কত্থক নাচ শিখেছেন, অংশ নিয়েছেন মঞ্চ, রেডিও আর টেলিভিশনের নানা অনুষ্ঠানে।
‘অমৃতা-ইমরোজ: অ্যা লাভ স্টোরি’ লেখকের অনুমতি ও আলাপ সাপেক্ষে অনুবাদ করেছেন দিলওয়ার হাসান। তিনি স্বনামধন্য গল্পকার ও অনুবাদক। অনেকে তাঁকে চেনেন সাহিত্যে নোবেলজয়ী আইজ্যাক বাশেভিস সিঙ্গার, হারুকি মুরাকামি, রবার্তো বোলানিওসহ অনেক লেখকের অনুবাদক হিসেবে।
দেশের শীর্ষ সব পত্রিকার প্রকাশিত তাঁর অনন্যসাধারণ গল্পের জন্যও তিনি বহুল পঠিত। ছোটদের জন্যও লেখেন। পেশাগত জীবনে অনেকটা সময় কেটেছে সাংবাদিকতায়। কাজ করেছেন দেশি-বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে।
সম্প্রতি প্রকাশিত গল্পের বই: জনাকীর্ণ গুলিস্তানে জাদুবাস্তবতার মহলা, একটি ইঁচড়ে পাকা সাক্ষাৎকারের বয়ান; অনুবাদ গল্পের বই ‘লাতিন আমেরিকার গল্প: ঘুম আর জাগরণের মাঝে’ পাঠক সমাদর পেয়েছেন। প্রকাশিত বই ১৫টি।
১৬০ পৃষ্ঠার ‘অমৃতা-ইমরোজ: একটি প্রেমকাহিনি’ বইটি প্রকাশ করেছে ‘বাতিঘর’।
বই: অমৃতা-ইমরোজ: একটি প্রেমকাহিনি,
মূল: উমা ত্রিলোক,
ভাষান্তর: দিলওয়ার হাসান,
প্রকাশক: বাতিঘর,
প্রকাশ: একুশে বইমেলা ২০২৩,
মূল্য: ৩২০ টাকা।
নোবেলজয়ী পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিও বার্গাস যোসা শুধু কথাসাহিত্যের জন্যই নন, মানবিকতা ও বিশ্ব রাজনীতির প্রতি গভীর মনোযোগের জন্যও পরিচিত। বাংলাদেশে এসিড হামলার শিকার নারীদের নিয়ে তাঁর লেখা হৃদয়বিদারক প্রবন্ধ ‘Weaker sex’ প্রমাণ করে, কীভাবে যোসার কলম ছুঁয়ে গিয়েছিল বাংলার পীড়িত নারীদের কান্না ও সংগ্রাম।
৬ দিন আগেনোবেলজয়ী পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিও বার্গাস যোসা মারা গেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার পেরুর রাজধানী লিমায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তাঁর ছেলে আলভারো বার্গাস যোসা মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
৬ দিন আগেমৃত্তিকাবিজ্ঞানী অধ্যাপক আলমগীর হাইয়ের প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা, ৫ নম্বর গ্যালারিতে চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়।
৭ দিন আগেজর্জ দুহামেল ১৮৮৪ সালের ৩০ জুন প্যারিসের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে খুব একটা সচ্ছল ছিল না। তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান। সব মিলিয়ে তাঁর শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি খুব একটা সুখকর নয়; যা তাঁর আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস লে নতেয়্যাখ দু হ্যাভখ (Le Notaire du Havre) এ ফুটে ওঠে।
৭ দিন আগে