ঈদের পোশাক

করোনার কারণে আগের দুই বছর জমেনি স্বাভাবিক ঈদবাজার। তবে সেই অতিমারি কাটিয়ে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে পরিবেশ। আর কিছুদিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই ঈদ ঘিরে দরজিপাড়ায় বেড়েছে ব্যস্ততা। নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দরজিরা।

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় জমে উঠেছে ঈদের বাজার। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ক্রেতাদের ভিড় তত বাড়ছে। করোনার কারণে দুই বছর ঈদে তেমন বেচাকেনা হয়নি, সেই ক্ষতি এবার পুষিয়ে নিতে চান ব্যবসায়ীরা।

মজানের ইতিবাচক বিষয়গুলো সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ডিএনসিসি’র সহযোগিতায় ‘স্নেহের ঈদ উপহার’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দেশের সর্ববৃহৎ অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম দারাজ বাংলাদেশ 

করোনা মহামারির স্থবিরতা কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে ঈশ্বরগঞ্জের ঈদবাজার। আগের দুই বছরের করোনার ধকল সামলে এ বছর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা ব্যবসায়ীদের।

লিফট থেকে নেমে হাতের বাঁ পাশে যেতেই চোখে পড়বে তুলি ফ্যাশন। সানমার ওশান সিটির তৃতীয় তলার ওই দোকানটিতে শোভা পাচ্ছে নজরকাড়া নকশার সব কাপড়।

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় ঈদ সামনে রেখে তৈরি পোশাকের দোকানে বাড়ছে ভিড়। এ ছাড়া অন্যান্য পোশাকের দোকানেও দেখা গেছে ক্রেতা। তবে ক্রেতাদের সিংহভাগই নারী। এদিকে পোশাকের বাড়তি দাম নেওয়ার অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।

কুমিল্লার খাদি কাপড় একসময় ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এখনো বছরজুড়ে জেলায় এই কাপড়ে তৈরি পোশাকের আলাদা কদর রয়েছে। কিন্তু ঈদে ভারতীয় ও পাকিস্তানি মান্নাত-কারিজমার ভিড়ে সেই খাদি কুমিল্লাতেই জায়গা পাচ্ছে না।

দিনাজপুরে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। করোনার দুই বছরের স্থবিরতা কাটিয়ে এ বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় রমজানের শুরু থেকেই বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা শুরু হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলে ঈদের বাজারেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ‘কাঁচা বাদাম’। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূমের ফেরিওয়ালা ভুবন বাদ্যকরের ভাইরাল সেই গানের নাম দিয়ে বাংলাদেশে ঈদের বাজারে দেদারসে বিকোচ্ছে নারীদের থ্রিপিস। 

করোনার প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘ দুই বছর পর খুলে দেওয়া হয়েছে সবকিছু। ঈদকে ঘিরে নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চুয়াডাঙ্গার পোশাক তৈরির কারিগরেরা। রোজার প্রথম সপ্তাহে অর্ডার নেওয়া শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

গতকাল রাজধানীর চাঁদনী চক মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের ভিড়ের মধ্য থেকে কানে এল এক নারী ও তাঁর পুত্রের এমন কথোপকথন। এগিয়ে গিয়ে জানা গেল, ওই নারীর নাম ফিরোজা আক্তার, তাঁর ছেলে নাইমুল শুভ্র। মার্কেটে উপচে পড়া ভিড় দেখে ছেলে চাইছে বাসায় ফিরতে।

যাঁরা নিয়মিত সাজেন, তাঁদের জন্য ঈদের দিনের সাজগোজ করা কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু যাঁদের সাজার অভ্যাস নেই, তাঁদের একটু চিন্তা আছে বৈকি। যত ব্যস্তই থাকুন না কেন দিনশেষে নিজেকে সাজাতে কার না ভালো লাগে!

ঈদে নতুন রঙিন পোশাক শিশুদের আনন্দ বাড়িয়ে দেয়। সে জন্য ঈদ এলেই ফ্যাশন হাউসগুলো শিশুদের পোশাকের প্রতি বাড়তি যত্ন নিয়ে থাকে। শিশুদের পোশাকে সাধারণত প্রাধান্য পায় উজ্জ্বল রং আর শিশুতোষ নকশা। আবহাওয়ার কথা বিবেচনায় রেখে নির্বাচন করা হয় কাপড়।

ঈদ একেবারে দোরগোড়ায়। ঈদে নতুন পোশাক না হলে কি চলে! যদিও করোনাকালে ঈদ উৎযাপনে আগের আমেজ পাওয়া যাবে না, তবু কেনাকাটা একেবারে বন্ধ নেই। ঈদের আনন্দকে ঘরে বসে উদ্যাপনের জন্য হলেও নতুন জামার বিকল্প নেই। সেইসঙ্গে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়দের উপহার প্রদান তো আছেই।