ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের সময় ক্ষমতাচ্যুত হয় তৎকালীন শাসক পাহলভি পরিবার। সেই বিপ্লবের পর পেরিয়ে গেছে ৪৫ বছরের বেশি সময়। সম্প্রতি ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রেক্ষাপটে পাহলভি পরিবারের সাবেক যুবরাজ রেজা পাহলভি দাবি করেছেন, ইরানের বর্তমান সরকার খুবই দুর্বল। এখনই আঘাত হানার উপযুক্ত সময়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইরান যখন তার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিরোধ গড়ে তুলছে, ঠিক সেই সময় দেশটি মার্কিন-ইহুদি লবির ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে। এই অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক ও সামরিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চলছে।
মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে গতকাল শনিবার রাত থেকে আজ রোববার ভোর পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত রয়েছে। দুই দেশের এই সামরিক দ্বৈরথ ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উত্তেজনাকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। উভয় পক্ষই একে অপরের কৌশলগত স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলীয় শহর বাত ইয়াম। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার কিছু পর শহরটির একটি আবাসিক ভবনে আঘাত হানে ইরানের একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এ ঘটনায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যমটি। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৩৫ জন।
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এখন চরমে। ইসরায়েলের মানুষ সার্বক্ষণিক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আতঙ্কে ভুগছে। এরই মধ্যে তেল আবিব ও হাইফার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বহু স্থাপনা বিধ্বস্ত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যাও অনেক। এই পরিস্থিতির মধ্যেও ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের আরব বেদুইন সম্প্রদায়ের হাজার হাজার
আগে থেকে অনুমেয় ছিল, কানাডায় আয়োজিত এবারের জি৭ সম্মেলনে প্রধান আলোচ্য বিষয় হবে যুদ্ধ। বিশ্বনেতারা ভেবেছিলেন, এবারের সম্মেলনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক আরোপকে ঘিরে যে বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে পাল্টে গেল চিত্র। আলব
ইরানে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় তেহরানের সামরিকপ্রধান, শীর্ষ বেশ কয়েকজন জেনারেল, শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীসহ নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৮ জন। হামলার জবাবে বেশ কয়েক দফায় ইসরায়েলে আঘাত হেনেছে ইরানও।
হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়ে গেলে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। এতে তেলের দাম আকাশচুম্বী হবে এবং বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
ইসরায়েলে গতকাল শনিবার ভোরে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান। শুক্রবারের হামলার প্রতিশোধ নিতে চালানো এই আক্রমণে অন্তত ৪ ইসরায়েলি নিহত এবং ১৫০ জনের বেশি আহত হয়েছে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে বাড়িঘরসহ বেশ কিছু স্থাপনা ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েল ইরানের সামরিক লক্ষ্যবস্তু ছাড়াও...
রাজধানী তেহরানসহ অন্তত ছয়টি প্রদেশে সক্রিয় করা হয়েছে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। গত শুক্রবার মধ্যরাতে ইসরায়েলের হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এই খবর এল। ইসরায়েলের চালানো ধারাবাহিক হামলার ঠেকাতে ইরানের আকাশে বিভিন্ন অঞ্চলে গোলাগুলির শব্দ ও বিস্ফোরণের ঝলক দেখা গেছে।
ইসরায়েলের ইরানের ওপর প্রথম বিমান হামলা শুরু হওয়ার পরই দেশের মন্ত্রিসভার বেশ কিছু সদস্যের পরিবারকে নিরাপত্তার স্বার্থে বাসা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলের টেলিভিশন চ্যানেল ১২ সূত্রে জানা গেছে, ইরানের প্রতিশোধী হামলার আশঙ্কায় এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ইসরায়েলে ভয়াবহ ও ধ্বংসাত্মক হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সতর্ক করে জানিয়েছে, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলের ওপর ‘ভয়াবহ ও ধ্বংসাত্মক’ পাল্টা হামলা চালানো হবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন এবং তাঁকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার টেবিলে দ্রুত ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ইরানের ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় শুক্রবারের হামলায় অন্তত চারটি গুরুত্বপূর্ণ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে একটি ইউরেনিয়াম রূপান্তর কেন্দ্র এবং একটি জ্বালানি প্লেট উৎপাদন কারখানা রয়েছে।
ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর বন্দর আব্বাস ও রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। এর জবাবে ব্যাপক আকাশ প্রতিরক্ষা অভিযান চলছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ শনিবার সকালে টেলিফোনে কথা বলেন। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের ৫০ মিনিটের এই আলোচনায় ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় দেশটির অর্থনীতি আরও বিপর্যস্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আন্তর্জাতিক তেল ও জ্বালানি বিশ্লেষক মানোচেহর তাকিন।