অনলাইন ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে গতকাল শনিবার রাত থেকে আজ রোববার ভোর পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত রয়েছে। দুই দেশের এই সামরিক দ্বৈরথ ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উত্তেজনাকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। উভয় পক্ষই একে অপরের কৌশলগত স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ফলে উভয় দেশেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
ইরানের যেসব স্থানে হামলা করেছে ইসরায়েল
আজ সারা দিন ইরান থেকে আসা খবরে জানা গেছে, ইসরায়েল বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। সেগুলো হলো—
ইস্পাহানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্থাপনা: ইস্পাহানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত একটি স্থাপনায় হামলার খবর পাওয়া গেছে। এটি ইসরায়েলের টানা তৃতীয় দিনের মতো ইরানের ভেতরে হামলা।
শিরাজ ও অন্যান্য স্থান: শিরাজ শহরে একটি ইলেকট্রনিকস কারখানায় হামলা চালানো হয়েছে। আকাশে বিশাল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে। এ ছাড়া ইরানের বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।
কেরমানশাহে ঘোড়ার আস্তাবল: কেরমানশাহে দুটি ঘোড়া প্রজনন আস্তাবলে ইসরায়েলের হামলায় ৫০-৬০টি ঘোড়ার মৃত্যু হয়েছে বলে আইএসএনএ (আইএসএনএ) সংবাদ সংস্থার প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
তেহরানের তেল ডিপো: গতকাল রাতে তেহরানে তেলের ডিপোগুলোতে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। প্রাথমিকভাবে কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছিল, তেল শোধনাগার কেন্দ্রে আঘাত হানা হয়েছে, কিন্তু পরে নিশ্চিত হওয়া যায়, এটি একটি জ্বালানি ডিপো। ঘটনাস্থল থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করছেন। ইরান জানিয়েছে, সেখানে শোধনাগারে উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে।
ইসরায়েলের যেসব স্থানে ইরানের পাল্টা হামলা
ইরানে ইসরায়েলের হামলার পরপরই ইরান পাল্টাব্যবস্থা নিয়েছে। গতকাল রাত থেকে আজ পর্যন্ত ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ব্যাপক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে:
১০ জন নিহত, বহু আহত: মেডিকস ও গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
লক্ষ্যবস্তু: আল-জাজিরার সনদ সংস্থার যাচাই করা তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের একাধিক স্থানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। ইসরায়েলি তেলক্ষেত্রে হামলার পর এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। হাইফা ও বাত ইয়ামের মতো শহরগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। বাত ইয়ামে বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মেয়র জানিয়েছেন, এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন।
এদিকে ইরানের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে কঠোর বিবৃতি এসেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি আজ সকালে বলেছেন, ইসরায়েল যত দিন হামলা চালিয়ে যাবে, ইরানও তত দিন তাদের জবাব দেবে। এ থেকে বোঝা যায়, উভয় পক্ষ চাইলে পরিস্থিতি শান্ত হতে পারে। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি তার থেকে অনেক দূরে।
এই অভূতপূর্ব সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে এক অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে গতকাল শনিবার রাত থেকে আজ রোববার ভোর পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত রয়েছে। দুই দেশের এই সামরিক দ্বৈরথ ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উত্তেজনাকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। উভয় পক্ষই একে অপরের কৌশলগত স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ফলে উভয় দেশেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
ইরানের যেসব স্থানে হামলা করেছে ইসরায়েল
আজ সারা দিন ইরান থেকে আসা খবরে জানা গেছে, ইসরায়েল বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। সেগুলো হলো—
ইস্পাহানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্থাপনা: ইস্পাহানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত একটি স্থাপনায় হামলার খবর পাওয়া গেছে। এটি ইসরায়েলের টানা তৃতীয় দিনের মতো ইরানের ভেতরে হামলা।
শিরাজ ও অন্যান্য স্থান: শিরাজ শহরে একটি ইলেকট্রনিকস কারখানায় হামলা চালানো হয়েছে। আকাশে বিশাল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে। এ ছাড়া ইরানের বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।
কেরমানশাহে ঘোড়ার আস্তাবল: কেরমানশাহে দুটি ঘোড়া প্রজনন আস্তাবলে ইসরায়েলের হামলায় ৫০-৬০টি ঘোড়ার মৃত্যু হয়েছে বলে আইএসএনএ (আইএসএনএ) সংবাদ সংস্থার প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
তেহরানের তেল ডিপো: গতকাল রাতে তেহরানে তেলের ডিপোগুলোতে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। প্রাথমিকভাবে কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছিল, তেল শোধনাগার কেন্দ্রে আঘাত হানা হয়েছে, কিন্তু পরে নিশ্চিত হওয়া যায়, এটি একটি জ্বালানি ডিপো। ঘটনাস্থল থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করছেন। ইরান জানিয়েছে, সেখানে শোধনাগারে উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে।
ইসরায়েলের যেসব স্থানে ইরানের পাল্টা হামলা
ইরানে ইসরায়েলের হামলার পরপরই ইরান পাল্টাব্যবস্থা নিয়েছে। গতকাল রাত থেকে আজ পর্যন্ত ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ব্যাপক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে:
১০ জন নিহত, বহু আহত: মেডিকস ও গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
লক্ষ্যবস্তু: আল-জাজিরার সনদ সংস্থার যাচাই করা তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের একাধিক স্থানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। ইসরায়েলি তেলক্ষেত্রে হামলার পর এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। হাইফা ও বাত ইয়ামের মতো শহরগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। বাত ইয়ামে বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মেয়র জানিয়েছেন, এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন।
এদিকে ইরানের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে কঠোর বিবৃতি এসেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি আজ সকালে বলেছেন, ইসরায়েল যত দিন হামলা চালিয়ে যাবে, ইরানও তত দিন তাদের জবাব দেবে। এ থেকে বোঝা যায়, উভয় পক্ষ চাইলে পরিস্থিতি শান্ত হতে পারে। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি তার থেকে অনেক দূরে।
এই অভূতপূর্ব সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে এক অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে।
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার চলমান সামরিক সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কায়া কাল্লাস আগামী মঙ্গলবার একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন। এই বৈঠকে ইউরোপীয় দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেবেন।
২ মিনিট আগেইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা মেহর নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, তেহরানে অবস্থিত ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ভবনে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ক্ষতি হয়েছে।
১১ মিনিট আগেইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার চলমান সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে রাশিয়া একটি ‘মূল ভূমিকা' পালন করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার বিনিয়োগ দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
২০ মিনিট আগেইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান এয়াল জামির এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইরানে চলমান সামরিক অভিযান আরও ‘তীব্র ও ব্যাপক’ করা হবে। তিনি এই অভিযানকে ‘একটি ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন, যার লক্ষ্য হচ্ছে ইসরায়েলের অস্তিত্বের হুমকি প্রতিহত করা।
৩১ মিনিট আগে