প্রযুক্তি ডেস্ক
ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ব্যক্তিগত কম্পিউটার, অতি ক্ষুদ্র কম্পিউটার এবং সার্ভার আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত। বিক্রির উদ্দেশ্যে কোনো কোম্পানি যদি ভারতে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার আনতে চায় তবে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি বা লাইসেন্স নিতে হবে। বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএফটি) মহাপরিচালক আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। এইচএসএন কোড ৮৪৭১–এর অধীনে সাত ধরনের ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের ওপর এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
কী আছে এইচএসএন কোড ৮৪৭১–এ?
হারমোনাইজড সিস্টেম অব নোমেনক্লেচার (এইচএসএন) কোড হলো—করের উদ্দেশ্যে পণ্য চিহ্নিত করার একটি শ্রেণিবিন্যাস ব্যবস্থা। ডেটা প্রসেসিং মেশিনগুলো এইচএসএন কোড ৮৪৭১–এর অধীনে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। ডেটা প্রসেসিংয়ের জন্য তৈরি করা ডিভাইস চিহ্নিত করতে এই কোড ব্যবহার করা হয়।
কেন এই বিধিনিষেধ?
দেশীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ভারত সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি দেশটিতে আইটি হার্ডওয়্যার উৎপাদনে প্রণোদনা (পিএলআই) প্রকল্প নবায়ন করা হয়েছে। এই পণ্য বিভাগে উৎপাদন ক্ষেত্রে প্রণোদনার জন্য আবেদন করার শেষ সময় আগামী ৩০ আগস্ট। বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞায় চীন ও কোরিয়ার মতো দেশের পণ্যও অভ্যন্তরীণভাবে সরবরাহ করা যাবে না।
এক সরকারি কর্মকর্তার বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কারণে এই বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। তবে, প্রধান কারণ হলো ‘নাগরিকের নিরাপত্তা পুরোপুরি নিশ্চিত করা’।
ওই কর্মকর্তা পিটিআইকে বলেন, ‘কিছু হার্ডওয়্যারের নিরাপত্তাজনিত সমস্যা থাকতে পারে। এর ফলে সংবেদনশীল ও ব্যক্তিগত ডেটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে—আমরা এমন কিছু পণ্য বিবেচনায় নিয়েছি।’
কোনো ছাড় আছে কি?
বিদেশি বাণিজ্য নীতির (এফটিপি) স্থানান্তর বিধান অনুসারে, বিল অব ল্যাডিং ও লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) ৩ আগস্টের আগে খোলা থাকলে আমদানি করা যাবে।
আর একজন আমদানিকারক ৪ আগস্ট থেকে নতুন বিধি অনুযায়ী লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে লাইসেন্সের জন্য ব্যবসায়ীকে নিয়মিত আমদানিকারক হতে হবে।
ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা অতি ক্ষুদ্র কম্পিউটারের একটি ইউনিট আনার ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। এ ছাড়া ই–কমার্স থেকে কেনা পণ্য ডাক বা কুরিয়ারের মাধ্যমে আনা হলে সে ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। তবে এ ক্ষেত্রে পণ্যের বিপরীতে নিয়মিত শুল্ক প্রযোজ্য হবে।
পিটিআই জানিয়েছে, গবেষণা ও উন্নয়ন, পরীক্ষা, বেঞ্চমার্কিং ও মূল্যায়ন, মেরামত ও ফেরত এবং পণ্য উন্নয়নের উদ্দেশ্যে সর্বোচ্চ ২০টি ইউনিট আমদানির ক্ষেত্রে লাইসেন্স নিতে হবে না।
এই নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য প্রভাব
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারের এই ঘোষণার পরপরই ভারতে চুক্তিভিত্তিক স্থানীয় উৎপাদকদের শেয়ার দর বেড়ে গেছে। এর মধ্যে অ্যাম্বার এন্টারপ্রাইজেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের শেয়ার দর ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, ডিক্সন টেকনোলজিস ইন্ডিয়া লিমিটেডের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং পিজি ইলেক্ট্রোপাস্ট লিমিটেডের ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে।
নতুন বিধিনিষেধের কারণে অ্যাপলের মতো টেক জায়ান্টকেও এখন তাদের ল্যাপটপ ভারতেই তৈরি করতে হবে। অথবা তাদের গ্যাজেট ভারতে আমদানি করা বন্ধ করতে হবে। একই নিয়ম লেনোভো, এইচপি, আসুস, স্যামসাং, এসারের মতো কম্পিউটার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে।
ভারতে বিক্রীত বেশির ভাগ ল্যাপটপ এবং পারসোনাল কম্পিউটার চীনে তৈরি বা সংযোজন করা। নতুন বিধির আওতায় সরকার তৈরি ও সংযোজন দুটোই ভারতে করার পরিকল্পনা করছে।
ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ব্যক্তিগত কম্পিউটার, অতি ক্ষুদ্র কম্পিউটার এবং সার্ভার আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত। বিক্রির উদ্দেশ্যে কোনো কোম্পানি যদি ভারতে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার আনতে চায় তবে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি বা লাইসেন্স নিতে হবে। বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএফটি) মহাপরিচালক আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। এইচএসএন কোড ৮৪৭১–এর অধীনে সাত ধরনের ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের ওপর এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
কী আছে এইচএসএন কোড ৮৪৭১–এ?
হারমোনাইজড সিস্টেম অব নোমেনক্লেচার (এইচএসএন) কোড হলো—করের উদ্দেশ্যে পণ্য চিহ্নিত করার একটি শ্রেণিবিন্যাস ব্যবস্থা। ডেটা প্রসেসিং মেশিনগুলো এইচএসএন কোড ৮৪৭১–এর অধীনে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। ডেটা প্রসেসিংয়ের জন্য তৈরি করা ডিভাইস চিহ্নিত করতে এই কোড ব্যবহার করা হয়।
কেন এই বিধিনিষেধ?
দেশীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ভারত সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি দেশটিতে আইটি হার্ডওয়্যার উৎপাদনে প্রণোদনা (পিএলআই) প্রকল্প নবায়ন করা হয়েছে। এই পণ্য বিভাগে উৎপাদন ক্ষেত্রে প্রণোদনার জন্য আবেদন করার শেষ সময় আগামী ৩০ আগস্ট। বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞায় চীন ও কোরিয়ার মতো দেশের পণ্যও অভ্যন্তরীণভাবে সরবরাহ করা যাবে না।
এক সরকারি কর্মকর্তার বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কারণে এই বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। তবে, প্রধান কারণ হলো ‘নাগরিকের নিরাপত্তা পুরোপুরি নিশ্চিত করা’।
ওই কর্মকর্তা পিটিআইকে বলেন, ‘কিছু হার্ডওয়্যারের নিরাপত্তাজনিত সমস্যা থাকতে পারে। এর ফলে সংবেদনশীল ও ব্যক্তিগত ডেটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে—আমরা এমন কিছু পণ্য বিবেচনায় নিয়েছি।’
কোনো ছাড় আছে কি?
বিদেশি বাণিজ্য নীতির (এফটিপি) স্থানান্তর বিধান অনুসারে, বিল অব ল্যাডিং ও লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) ৩ আগস্টের আগে খোলা থাকলে আমদানি করা যাবে।
আর একজন আমদানিকারক ৪ আগস্ট থেকে নতুন বিধি অনুযায়ী লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে লাইসেন্সের জন্য ব্যবসায়ীকে নিয়মিত আমদানিকারক হতে হবে।
ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা অতি ক্ষুদ্র কম্পিউটারের একটি ইউনিট আনার ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। এ ছাড়া ই–কমার্স থেকে কেনা পণ্য ডাক বা কুরিয়ারের মাধ্যমে আনা হলে সে ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। তবে এ ক্ষেত্রে পণ্যের বিপরীতে নিয়মিত শুল্ক প্রযোজ্য হবে।
পিটিআই জানিয়েছে, গবেষণা ও উন্নয়ন, পরীক্ষা, বেঞ্চমার্কিং ও মূল্যায়ন, মেরামত ও ফেরত এবং পণ্য উন্নয়নের উদ্দেশ্যে সর্বোচ্চ ২০টি ইউনিট আমদানির ক্ষেত্রে লাইসেন্স নিতে হবে না।
এই নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য প্রভাব
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারের এই ঘোষণার পরপরই ভারতে চুক্তিভিত্তিক স্থানীয় উৎপাদকদের শেয়ার দর বেড়ে গেছে। এর মধ্যে অ্যাম্বার এন্টারপ্রাইজেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের শেয়ার দর ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, ডিক্সন টেকনোলজিস ইন্ডিয়া লিমিটেডের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং পিজি ইলেক্ট্রোপাস্ট লিমিটেডের ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে।
নতুন বিধিনিষেধের কারণে অ্যাপলের মতো টেক জায়ান্টকেও এখন তাদের ল্যাপটপ ভারতেই তৈরি করতে হবে। অথবা তাদের গ্যাজেট ভারতে আমদানি করা বন্ধ করতে হবে। একই নিয়ম লেনোভো, এইচপি, আসুস, স্যামসাং, এসারের মতো কম্পিউটার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে।
ভারতে বিক্রীত বেশির ভাগ ল্যাপটপ এবং পারসোনাল কম্পিউটার চীনে তৈরি বা সংযোজন করা। নতুন বিধির আওতায় সরকার তৈরি ও সংযোজন দুটোই ভারতে করার পরিকল্পনা করছে।
আয় করার মাধ্যম হিসেবে টিকটকের মতো সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করছেন অনেকেই। বড় তারকা না হলেও টিকটকে আয় করা যায়। একটু বুদ্ধি খাটিয়ে ও সঠিক পরিকল্পনা থাকলে সাধারণ কনটেন্ট ক্রিয়েটরও প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারেন—তাও কোনো পণ্য বানানো বা বিক্রি না করেই!
৩৬ মিনিট আগেফাইন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, ২০২৪ সালে বিশ্বের ১০টি বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সিইওদের নিরাপত্তায় খরচ বেড়ে ৪৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে মেটা। ২০২৪ সালে কোম্পানিটি শুধু মার্ক জাকারবার্গের জন্যই খরচ করেছে প্রায় ২৭ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৩ মিলিয়ন ডলার বেশি।
১৬ ঘণ্টা আগেচীনের ইন্টারনেট জায়ান্ট বাইদু ২০২৬ সালে যুক্তরাজ্য ও জার্মানিতে রোবোট্যাক্সি পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রাইড-শেয়ারিং অ্যাপ লিফট–এর মাধ্যমে এ সেবা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হবে সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে।
১৭ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক তাদের কমিউনিটি গাইডলাইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে। গত বৃহস্পতিবার এক ব্লগপোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টিকটকের গ্লোবাল ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি প্রধান সন্দীপ গ্রোভার। নতুন নিয়মগুলো আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে