Ajker Patrika

বিশ্ব ভ্রমণ মুঠোয় নিয়ে এসেছে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি

মো. কামরুল ইসলাম
বিশ্ব ভ্রমণ মুঠোয় নিয়ে এসেছে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি

সারা বিশ্বে অনলাইন ট্রাভেলে এজেন্সি (ওটিএ) ভ্রমণ ব্যবসায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায় গতি বাড়ছে। জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ ব্যবসা। বাংলাদেশে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা খুব অল্প দিনেই ট্রাভেলারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। এই সুযোগে শুরুতেই কিছু অসাধু–সুযোগ সন্ধানীদের কবলে পড়লেও ধীরে ধীরে কিছু প্রতিষ্ঠান জায়গা করে নিচ্ছে। সেখানে হালট্রিপ কিংবা ২৪ টিকেট ডটকমের মতো অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি নানাবিধ সমস্যাকে অতিক্রম করেই এগিয়ে যাচ্ছে। 

সারা বিশ্বের লাখ লাখ হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট বুকিংয়ের জন্য ১৯৯৪ সালে প্রথম ট্রাভেলওয়েব ডটকমের আবির্ভাব ঘটে। এ ছাড়া ১৯৯৫ সালে ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েবের মাধ্যমে ইন্টারনেট ট্রাভেল নেটওয়ার্ক প্রথম এয়ারলাইন টিকিট বিক্রি করে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির ধারণার গোড়াপত্তন করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালের অক্টোবরে এক্সপেডিয়া ডটকম নামের অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির যাত্রা শুরু হয়। এর দীর্ঘ প্রায় দু’দশক পর বাংলাদেশে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার পরিধি বিস্তৃতি লাভ করে। 

প্রযুক্তি উন্নয়নে বৈশ্বিক প্রবণতার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনলাইনে ভ্রমণ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি বাংলাদেশ ট্রাভেল মার্কেটে এক বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটানোর চেষ্টা করছে। অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলো ভ্রমণ পিপাসু মানুষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে সব ধরনের সুবিধা নিয়ে পথ চলতে শুরু করেছে। 

অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলো সারা বিশ্বের সব এয়ারলাইনসের টিকিট সংগ্রহের উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ট্রাভেলারদের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়ার জন্য কাজ করছে। এ এজেন্সিগুলো শুধু অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব রুটের টিকিট বুকিং সেবাই দিচ্ছে না, পাশাপাশি হোটেল বুকিং, ভিসা প্রসেসিং, ট্যুর প্যাকেজসহ ভ্রমণ সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা দেওয়ার হাব হিসেবে ভূমিকা রাখছে। 

ওয়ান স্টপ সার্ভিস কিংবা এক ক্লিকেই সব চাহিদা পূরণ যেভাবেই দেখি না কেনো, অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি আপনার প্রত্যাশা পূরণে এগিয়ে এসেছে। আপনার চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো প্রত্যাশা পূরণে সফলতা দেখিয়ে যাচ্ছে সারা বিশ্বের অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি প্রতিষ্ঠানগুলো। 

ট্রাভেলারেরা অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পেমেন্টসহ নিজের টিকিট নিজেই সংগ্রহ করার স্বাধীনতা পেয়ে থাকেন। করোনা মহামারিতে কিংবা সময়ের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার পছন্দ মতো তারিখ, গন্তব্য, বাজেটের সীমাবদ্ধতার কথা বিবেচনা করে এয়ারলাইনস, হোটেলসহ অন্যান্য সুবিধা পছন্দ করার সুযোগ রয়েছে। সব সুবিধার মধ্যেই গ্রাহক ই-মেইলের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন যে কোনো সময়। গ্রাহকদের জন্য ২৪ ঘণ্টা থাকছে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির সব সেবা। 

অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি আপনার পছন্দমতো যেকোনো এয়ারলাইনস, আসন পছন্দের জন্য ইকোনমি বা বিজনেস ক্লাস, হোটেল পছন্দের ক্ষেত্রে পাঁচ তারকা, চার তারকা কিংবা তিন তারকা যেকোনোটি হতে পারে আবার কক্ষ পছন্দের ক্ষেত্রে ডিলাক্স, সুপার ডিলাক্স কিংবা স্যুট হতে পারে। সবকিছুই নির্ভর করে বাজেটের সীমাবদ্ধতার ওপর। যেকোনো পছন্দকে অগ্রাধিকার দিয়ে ওটিএগুলো গ্রাহকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। 

ওটিএর ওয়েবসাইটে একই সঙ্গে অ্যাভেইলেবল সব এয়ারলাইনসের ভাড়াসহ অন্যান্য তথ্য পেয়ে যাবেন, যার কারণে আপনি টিকিট সংগ্রহের ব্যাপারে সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। 

স্ট্যান্ডার্ড সব অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি থেকে সেবা নেওয়ার জন্য যেকোনো ধরনের ভিসা, মাস্টার কার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস, ইউনিয়ন পে, ডিবিবিএল নেক্সাস, সিটি টাচ-এর মাধ্যমে অনলাইনে পেমেন্ট করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ, রকেট, নগদ ইত্যাদি ব্যবহার করেও সহজে পেমেন্ট করা সম্ভব। 

অস্বাভাবিক রকমের মূল্যছাড় কখনই অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির জন্য সুস্থ ব্যবসা পরিবেশ তৈরি করতে পারে না। অযৌক্তিক অফার প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বয়কট করে সুস্থ স্বাভাবিক ধারার পরিবেশ তৈরি করে জনপ্রিয় এ ব্যবসাকে বাংলাদেশে আরও গতিশীল করার সুযোগ রয়েছে। গুটি কয়েক এজেন্সির অপেশাদারী আচরণের কারণে জনপ্রিয় খাতটি বারবার প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সব সময়ই মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখা প্রয়োজন এ খাতটি। গ্রাহকদের সচেতন হওয়াটাও খুব জরুরি। যারা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গ্রাহকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে তাদের সুরক্ষা দেওয়াও কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। 

অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায় সম্প্রতি ইউএস-বাংলা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ট্রিপলাভার ডটকম আত্মপ্রকাশ করেছে। স্বল্প সময়ের মধ্য গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা অর্জন করতেও সক্ষম হয়েছে। ট্রিপলাভারসহ বাংলাদেশে শেয়ারট্রিপ, গো যায়ান, ফ্লাইট এক্সপার্ট, বাইটিকেটসহ অনেকগুলো অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি এরই মধ্যে বিভিন্ন এয়ারলাইনস ও ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে ব্যবসায়িক সেতুবন্ধ রচনা করতে সক্ষম হয়েছে। 

সুস্থ ধারার ট্রাভেল ব্যবসায় বিশ্বকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা জনপ্রিয় হয়ে উঠুক এটাই প্রত্যাশা। 

লেখক: 
মহাব্যবস্থাপক-জনসংযোগ
ইউএস-বাংলা গ্রুপ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কড়াকড়ি

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

সুদানে ‘গণহত্যা’য় আরব আমিরাতের গোপন তৎপরতা ও কলম্বিয়ার ভাড়াটে সেনা

অবশেষে নতুন ঠিকানায় ১০০ সাজাপ্রাপ্ত বন্দী

ইসরায়েলকে খুশি করতে সাংবাদিক শিরিন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন ‘দুর্বল’ করে বাইডেন প্রশাসন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অপ্রাপ্তবয়স্কদের চ্যাটবটে নিষিদ্ধ করল ক্যারেক্টার এআই

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভার্চুয়াল চরিত্রদের সঙ্গে কথোপকথন করার একটি এআই। ছবি: সংগৃহীত
ভার্চুয়াল চরিত্রদের সঙ্গে কথোপকথন করার একটি এআই। ছবি: সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ক্যারেক্টার এআই (ক্যারেক্টার এআই) চ্যাটবট প্ল্যাটফর্মে ভার্চুয়াল চরিত্রদের সঙ্গে কথোপকথন করা যায়। অনলাইনে তরুণ ব্যবহারকারীদের সঙ্গে এসব ভার্চুয়াল সঙ্গীর কথোপকথন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ১৮ বছরের কম বয়সী বা কিশোর-কিশোরীদের সরাসরি এই চ্যাটবটে কথা বলার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ ব্যবহারকারী ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে।

তবে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকজন অভিভাবক এই প্ল্যাটফর্মটির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সম্প্রতি এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগেও একটি মামলা করা হয়েছে। অনেকে এই প্ল্যাটফর্মকে তরুণ প্রজন্মের জন্য স্পষ্ট বিপদ বলে অভিহিত করেছেন।

এ অবস্থায় ক্যারেক্টার এআই জানিয়েছে, আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে ১৮ বছরের কম বয়সীরা আর চ্যাটবটদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পাবেন না। এর পরিবর্তে তারা শুধু সেই চরিত্রগুলোর ব্যবহার করে ভিডিওর মতো কনটেন্ট তৈরি করতে পারবে।

অনলাইন নিরাপত্তার পক্ষে প্রচার চালানো ব্যক্তিরা ক্যারেক্টার এআই কর্তৃপক্ষের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তারা বলেছেন, এই সুবিধাটি শুরু থেকেই শিশুদের জন্য উন্মুক্ত থাকা উচিত ছিল না।

ক্যারেক্টার এআই জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং অভিভাবকদের কিশোরদের সঙ্গে তাদের চ্যাটবটের মিথস্ক্রিয়া নিয়ে সৃষ্ট উদ্বেগের প্রতিবেদন ও মতামতের ভিত্তিতে তারা এই পরিবর্তন আনছে।

বিশেষজ্ঞরা আগেও সতর্ক করেছিলেন, এআই চ্যাটবটগুলো তরুণ ও সংবেদনশীল ব্যবহারকারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কারণ এগুলো কখনো কখনো ভুল তথ্য দিতে পারে, অতিরিক্ত উৎসাহ জোগাতে পারে কিংবা সহানুভূতির ভান করতে পারে।

ক্যারেক্টার এআই-এর প্রধান করনদীপ আনন্দ বিবিসি নিউজকে বলেন, ‘আমরা বিনোদনের উদ্দেশ্যে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ এআই প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে চাই। এ পদক্ষেপ সেই লক্ষ্যেই নেওয়া।’

তিনি আরও বলেন, ‘এআই নিরাপত্তা একটি চলমান লক্ষ্য। এটি ক্রমাগত পরিবর্তিত ও উন্নত হচ্ছে। তবে আমরা শুরু থেকেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’

অনলাইন নিরাপত্তা সংস্থা ইন্টারনেট ম্যাটার্স ক্যারেক্টার এআই-এর ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও বলেছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো শুরু থেকেই অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত ছিল। সংস্থাটি জানায়, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুরা এআই ব্যবহারের সময়, বিশেষ করে এআই চ্যাটবটের সঙ্গে যোগাযোগের সময় ক্ষতিকর কনটেন্টের সংস্পর্শে আসছে এবং ঝুঁকিতে পড়ছে।’

ক্যারেক্টার এআই অতীতে সমালোচনার মুখে পড়েছিল এমন কিছু চ্যাটবটের কারণে যেগুলো শিশুদের জন্য সম্ভাব্যভাবে ক্ষতিকর বা আপত্তিকর হতে পারে।

২০২৪ সালে প্ল্যাটফর্মটিতে এমন কিছু অ্যাভাটার (ভার্চুয়াল চরিত্র) আবিষ্কৃত হয়, যারা ২০২৩ সালে নিহত ব্রিটিশ কিশোরী ব্রিয়ানা গে এবং ১৪ বছর বয়সে আত্মহত্যা করা মলি রাসেল-এর ছদ্মবেশে তৈরি ছিল। পরে সেগুলো সাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।

পরে, ২০২৫ সালে, দ্য ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম (টিবিআইজে) এক তদন্তে জানতে পারে যে, শিশু নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত জেফরি এপস্টেইন-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি একটি চ্যাটবটের সঙ্গে ব্যবহারকারীরা ৩ হাজারেরও বেশি কথোপকথন করেছে।

প্রকাশনাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, এক প্রতিবেদক যখন নিজেকে শিশু বলে পরিচয় দেন, তখনও তাঁর সঙ্গে ফ্লার্ট করতে থাকে ‘বেস্টি এপস্টেইন’ নামের ওই অ্যাভাটার। এটি ছিল একাধিক সমস্যাযুক্ত বটের মধ্যে একটি, যেগুলো পরবর্তীতে ক্যারেক্টার এআই সরিয়ে ফেলে।

মলি রাসেলের স্মরণে প্রতিষ্ঠিত ‘দ্য মলি রোজ ফাউন্ডেশন’ ক্যারেক্টার এআই-এর উদ্দেশ্য ও পদক্ষেপের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি বুরোস বলেন, ‘আবারও দেখা গেল, কোনো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে সঠিক কাজটি করাতে মিডিয়া ও রাজনীতিকদের ক্রমাগত চাপই প্রয়োজন হয়েছে। মনে হচ্ছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই ক্যারেক্টার এআই এখন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে।’

ক্যারেক্টার এআই-এর প্রধান বলেন, কোম্পানির নতুন লক্ষ্য হলো কিশোর ব্যবহারকারীদের জন্য ভূমিকা-নির্ভর গল্প বলার সুবিধা তৈরি করা, যা তার মতে উন্মুক্ত কথোপকথনমূলক বটের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ হবে।

তিনি আরও জানান, ক্যারেক্টার এআই নতুন বয়স যাচাই পদ্ধতি চালু করবে এবং একটি নতুন এআই নিরাপত্তা গবেষণা ল্যাব স্থাপনে অর্থায়ন করবে।

সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ ম্যাট নাভারা বলেন, এআই শিল্পের জন্য একে একটি ‘ওয়েক-আপ কল’ বা সতর্ক সংকেত হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

এদিকে, এআই নিরাপত্তা গবেষক ড. নমিশা কুরিয়ান বলেন, কিশোরদের চ্যাটবট ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা একটি বিচক্ষণ পদক্ষেপ। এটি শিশু নিরাপত্তাকে ক্রমবর্ধমানভাবে একটি জরুরি অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করার গুরুত্ব তুলে ধরছে এবং সৃজনশীল খেলা ও ব্যক্তিগত বা আবেগঘন কথোপকথনের মধ্যে একটি স্পষ্ট পার্থক্য তৈরি করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কড়াকড়ি

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

সুদানে ‘গণহত্যা’য় আরব আমিরাতের গোপন তৎপরতা ও কলম্বিয়ার ভাড়াটে সেনা

অবশেষে নতুন ঠিকানায় ১০০ সাজাপ্রাপ্ত বন্দী

ইসরায়েলকে খুশি করতে সাংবাদিক শিরিন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন ‘দুর্বল’ করে বাইডেন প্রশাসন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রশ্নকর্তা যত রূঢ়, চ্যাটজিপিটির উত্তর তত বুদ্ধিদীপ্ত: গবেষণা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ১০
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্রতিদিনই নানা বিষয়ে জ্ঞান আহরণের জন্য ওপেনএআইয়ের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির দ্বারস্থ হই আমরা। কোনো কিছু নিয়ে জানার আগ্রহ হলেই চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করে বসি। গত জুলাইয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওসকে চ্যাটজিপিটি জানিয়েছিল, দিনে গড়ে ২৫০ কোটির বেশি প্রম্পট বা প্রশ্ন পেয়ে থাকে তারা। এবার এক গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রশ্নকর্তা যত রূঢ়ভাবে প্রশ্ন করে বা নির্দেশ (প্রম্পট) দেয়, চ্যাটজিপিটি তত নির্ভুল ও সঠিকভাবে উত্তর দিয়ে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি (পেন স্টেট)-এর এক নতুন গবেষণায় এই ফল পাওয়া গেছে বলে ফরচুন ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে জানা গেছে।

গবেষকেরা ওপেনএআইয়ের জিপিটি-৪ও (GPT-4 o) মডেলে ২৫০টির বেশি ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশনা (প্রম্পট) পরীক্ষা করেছেন। এগুলোর মধ্যে কিছু ছিল অত্যন্ত ভদ্র আর কিছু ছিল একেবারেই রূঢ় ভাষায়। এই পরীক্ষার ফল ছিল চমকপ্রদ।

পিয়ার-রিভিউ না হওয়া এই প্রি-প্রিন্ট গবেষণায় দেখা গেছে, অভদ্র বা সরাসরি নির্দেশ দিলে এআই মডেলটি সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। যখন চ্যাটজিপিটিকে ‘এই, এটা খুঁজে বের করে দাও’ (Hey, gofer, figure this out) এমন ধরনের রূঢ় প্রম্পটের মাধ্যমে কিছু খুঁজে বের করতে বলা হয়, তখন এর নির্ভুলতার মাত্রা ৮৪.৮ শতাংশে দাঁড়ায়। আবার যখন একে ‘আপনি কি দয়া করে এই প্রশ্নটির সমাধান করে দিতে পারেন?’ —এমন প্রম্পটে কিছু জানতে চাওয়া হয় তাঁর নির্ভুলতার মাত্রা রূঢ় প্রম্পটের প্রায় ৪ শতাংশ কম।

গবেষকদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলগুলো প্রম্পটের ভাষার ধরন ও নির্দেশনার গঠন অনুযায়ী ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় বলে এই ফলাফল ইঙ্গিত দেয়। এতে বোঝা যায়, মানুষ ও এআইয়ের মিথস্ক্রিয়ার জটিলতা আগে যেমনটা ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে।

গবেষণার সহলেখক ও পেন স্টেটের অধ্যাপক অখিল কুমার বলেন, ‘একটি প্রশ্ন কীভাবে করা হচ্ছে, তার সামান্য পরিবর্তনও ফলাফলে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।’

তবে গবেষণায় সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কেও সতর্ক করা হয়েছে। গবেষকদের মতে, রূঢ় প্রম্পট ব্যবহার ক্ষতিকর যোগাযোগের অভ্যাসকে উৎসাহিত করতে পারে এবং এআই ব্যবহারে অন্তর্ভুক্তি ও সহজপ্রাপ্যতা ব্যাহত হতে পারে।

যদিও এই ধরনের নির্দেশনায় পারফরম্যান্সের কিছুটা উন্নতি দেখা গেছে, তবে গবেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, এআইয়ের সঙ্গে কথোপকথনে ‘অশালীন বা অশোভন ভাষা’ ব্যবহারকে স্বাভাবিক করে তোলা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

আগের গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, এআই চ্যাটবটগুলো ইনপুট বা নির্দেশনার মান ও টোনের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। কিছু ক্ষেত্রে বারবার নিম্নমানের কনটেন্টের সংস্পর্শে আসার ফলে তাদের উত্তর দেওয়ার দক্ষতা ধীরে ধীরে কমে গেছে। যাকে গবেষকেরা ‘ব্রেন রট’ বা মস্তিষ্কের ক্ষয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

গবেষক অধ্যাপক অখিল কুমার ফরচুন ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘দীর্ঘকাল ধরে আমরা মানুষ-যন্ত্রের কথোপকথনমূলক ইন্টারফেস চাইছিলাম। কিন্তু এখন আমরা বুঝতে পারছি, এমন ইন্টারফেসেরও কিছু সীমাবদ্ধতা ও নেতিবাচক দিক আছে এবং কাঠামোবদ্ধ এপিআই ব্যবহারেরও আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।’

পেন স্টেটের এই গবেষণাটি কেবল এআইকে আমরা কী জিজ্ঞাসা করছি, তা নয়, বরং কীভাবে জিজ্ঞাসা করছি, সেটা বোঝার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। এটি মানব-এআই মিথস্ক্রিয়ার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নৈতিক প্রশ্নও উত্থাপন করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কড়াকড়ি

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

সুদানে ‘গণহত্যা’য় আরব আমিরাতের গোপন তৎপরতা ও কলম্বিয়ার ভাড়াটে সেনা

অবশেষে নতুন ঠিকানায় ১০০ সাজাপ্রাপ্ত বন্দী

ইসরায়েলকে খুশি করতে সাংবাদিক শিরিন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন ‘দুর্বল’ করে বাইডেন প্রশাসন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইউটিউব টিভিতে সম্প্রচার বন্ধ করল ডিজনি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইউটিউব টিভি ন্যায্য মূল্য দিতে অস্বীকার করেছে বলে দাবি ডিজনির। ছবি: সংগৃহীত
ইউটিউব টিভি ন্যায্য মূল্য দিতে অস্বীকার করেছে বলে দাবি ডিজনির। ছবি: সংগৃহীত

এখন থেকে ইউটিউব টিভিতে আর ইএসপিএন, এবিসি ও ডিজনির অন্যান্য চ্যানেলগুলো দেখা যাবে না। দীর্ঘ আলোচনার পরও লাইসেন্সিং চুক্তিতে সমঝোতা না হওয়ায় গুগল-মালিকানাধীন অনলাইন পে-টিভি প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব টিভিতে তাদের চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করছে বলে জানিয়েছে ডিজনি।

ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি আরও জানায়, শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে উপলব্ধ গুগলের মালিকানাধীন এই অনলাইন পে-টিভি প্ল্যাটফর্মটি তাদের কনটেন্টের জন্য ন্যায্য মূল্য দিতে অস্বীকার করেছে। এ কনটেন্টের তালিকায় ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ও ডিজনি চ্যানেলও রয়েছে।

অন্যদিকে, ইউটিউব টিভি এক বিবৃতিতে বলেছে, ডিজনির প্রস্তাবিত শর্তগুলো তাদের গ্রাহকদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে, অথচ ডিজনির নিজস্ব লাইভ টিভি পণ্যগুলোকে সুবিধা দেবে।

উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনার পর নতুন চুক্তিতে পৌঁছানোর সময়সীমা অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের ঠিক আগে চ্যানেলগুলো ইউটিউব টিভি থেকে উধাও হয়ে যায়। এই সম্প্রচার বন্ধের (ব্ল্যাকআউট) কারণে প্রায় ১ কোটি গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

ইউটিউব টিভি জানিয়েছে, যদি ডিজনি চ্যানেলগুলো দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থগিত থাকে, তবে তারা গ্রাহকদের ২০ ডলার করে ক্রেডিট বা ছাড় দেবে।

এ মাসের শুরুর দিকে গুগল শেষ মুহূর্তে কমকাস্ট-মালিকানাধীন এনবিসিইউনিভার্সাল-এর সঙ্গে চুক্তি করে ’সানডে নাইট ফুটবল’-এর মতো অনুষ্ঠানগুলো ইউটিউব টিভিতে রাখতে সক্ষম হয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তারা প্যারামাউন্ট এবং ফক্সের সঙ্গেও চুক্তিতে পৌঁছেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ইউটিউব ও ডিজনির মালিকানাধীন হুলু দেশটির সবচেয়ে বড় অনলাইন টিভি প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম।

চলতি বছর একই বিষয়ে অন্যান্য কিছু মিডিয়া কোম্পানির সঙ্গে ইউটিউবের অনুরূপ বিতর্কিত আলোচনা হয়েছিল, যার ফলে ইউটিউব টিভির গ্রাহকদের জন্য ওই সব চ্যানেল দেখার সুযোগ সীমিত হওয়ার হুমকি তৈরি করেছিল।

চলতি মাসের শুরুর দিকে গুগল শেষ মুহূর্তে কমকাস্টের মালিকানাধীন এনবিসি ইউনিভার্সালের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছায়, যার ফলে ‘সানডে নাইট ফুটবল’-এর মতো জনপ্রিয় অনুষ্ঠানগুলো ইউটিউব টিভিতে প্রচার অব্যাহত থাকে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রতিষ্ঠানটি প্যারামাউন্ট ও ফক্সের সঙ্গেও সমঝোতায় পৌঁছেছে।

গুগল এবং ডিজনি উভয়ই পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউটিউব টিভিতে ডিজনি কনটেন্ট ফিরিয়ে আনতে তারা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ফি বা মূল্য নির্ধারণ নিয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মতপার্থক্য এখনো রয়ে গেছে।

ডিজনির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্যের মালিক গুগল বাজারে নিজেদের আধিপত্য ব্যবহার করে প্রতিযোগিতা দূর করতে চাচ্ছে এবং শিল্পে প্রচলিত সেই মানদণ্ডকে ভেঙে দিচ্ছে, যা আমরা অন্য সব পরিবেশকের সঙ্গে সফলভাবে চুক্তির মাধ্যমে বজায় রেখেছি।’

অন্যদিকে, ইউটিউব এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ডিজনি এমন ‘ব্যয়বহুল আর্থিক শর্ত’ প্রস্তাব করেছে, যা ইউটিউব টিভির গ্রাহকদের জন্য মূল্য বৃদ্ধি এবং কনটেন্টের বিকল্প সীমিত করে ফেলবে। এর ফলে ডিজনির নিজস্ব লাইভ টিভি পরিষেবা, যেমন হুলু+ লাইভ টিভি সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কড়াকড়ি

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

সুদানে ‘গণহত্যা’য় আরব আমিরাতের গোপন তৎপরতা ও কলম্বিয়ার ভাড়াটে সেনা

অবশেষে নতুন ঠিকানায় ১০০ সাজাপ্রাপ্ত বন্দী

ইসরায়েলকে খুশি করতে সাংবাদিক শিরিন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন ‘দুর্বল’ করে বাইডেন প্রশাসন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মেটার ডেটা সেন্টারের কারণ পানির সংকটে পড়েছেন স্থানীয়রা। ছবি: সংগৃহীত
মেটার ডেটা সেন্টারের কারণ পানির সংকটে পড়েছেন স্থানীয়রা। ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের নিউটন কাউন্টির প্রান্তে ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার নির্মাণ করার পর থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা নলকূপর পানির ওপর নির্ভরশীল, তাঁরা ভয়াবহ পানি সংকটে পড়েছেন।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে উদাহরণ হিসেবে, বেভারলি (৭১) এবং জেফ মরিস (৬৭) দম্পতির সংকটের কথা উল্লেখ করেছে। তাঁদের বাড়িটি মেটার ডেটা সেন্টার থেকে মাত্র ১ হাজার ফুট দূরে। ২০১৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার কয়েক মাস পরই বাড়ির পানির কল শুকিয়ে যেতে শুরু করে। এই দম্পতি ইতিমধ্যে পানির সমস্যা সমাধানে ৫ হাজার ডলার খরচ করেছেন। নতুন নলকূপ বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় ২৫ হাজার ডলার জোগাড় করতে পারছেন না।

ডেটা সেন্টার এবং অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির কারণে পানির ব্যবহার যে হারে বেড়েছে, তাতে স্থানীয়দের জীবন ও সরকারি পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দুটোই হুমকির মুখে পড়েছে।

ডেটা সেন্টারগুলো শীতল রাখার জন্য দৈনিক বিপুল পরিমাণ পানি ব্যবহার করতে হয়। মেটা যেই আকারের ডেটা সেন্টার ব্যবহার করে তেমন একটি ডেটা সেন্টার সাধারণত দিনে ৫ লাখ গ্যালন পানি ব্যবহার করে। নতুন এআই-ভিত্তিক ডেটা সেন্টারগুলোতে প্রতিদিন কয়েক মিলিয়ন গ্যালন পানি লাগতে পারে। নিউটন কাউন্টিতে এই পরিমাণ পানি সরবরাহ করা অসম্ভব।

একটি প্রতিবেদন অনুসারে, নিউটন কাউন্টি ২০৩০ সালের মধ্যে গুরুতর পানি সংকটের মুখে পড়তে চলেছে। এরই মধ্যে কাউন্টির ওয়াটার অথোরিটি আগামী দুই বছরের মধ্যে পানি বিল ৩৩ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা স্বাভাবিক ২ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি। যেখানে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের রাজধানী আটলান্টা থেকে মাত্র দেড় ঘণ্টা পূর্বে অবস্থিত এই নিউটন কাউন্টির জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার।

মেটার প্রকল্পটি ছিল জর্জিয়ায় আসা প্রথম বড় ডেটা সেন্টার। ২০১৮ সালে এটির কাজ শুরু হয়, শেষ হয় গত বছর। রাজস্ব বৃদ্ধির আশায় স্থানীয় কর্মকর্তারা এই প্রকল্পগুলোতে উৎসাহ জুগিয়েছেন।

নিউটন কাউন্টি ওয়াটার অ্যান্ড স্যুয়ারেজ অথোরিটির নির্বাহী পরিচালক মাইক হপকিন্স জানান, মেটার ডেটা সেন্টার বর্তমানে কাউন্টির মোট দৈনিক পানি ব্যবহারের প্রায় ১০ শতাংশ ব্যবহার করছে। সম্প্রতি, নয়টি কোম্পানি নিউটন কাউন্টিতে ডেটা সেন্টার তৈরির আবেদন করেছে। এর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান দিনে ৬০ লাখ গ্যালন পর্যন্ত পানি চেয়েছে—যা কার্যত কাউন্টির পুরো দৈনিক ব্যবহারের সমান।

কাউন্টির পানি সরবরাহ কর্তৃপক্ষ তাদের পুনর্ব্যবহার সুবিধা উন্নত করতে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি খরচের একটি প্রায় অসম্ভব প্রকল্প বাস্তবায়নে তোড়জোড় শুরু করেছে, যাতে এই সংকট মোকাবিলা করা যায়।

অলাভজনক পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা চ্যাট্টাহুচি রিভারকিপার-এর ওয়াটার পলিসি ডিরেক্টর ক্রিস মাংগানিয়েলো জানিয়েছেন, ডেটা সেন্টার কোম্পানিগুলো সাধারণত তাদের পানি ব্যবহারের পরিমাণ প্রকাশ করে না। তিনি একসময় ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, একটি ডেটা সেন্টার কোম্পানি দিনে ৯০ লাখ গ্যালন পানি চেয়েছে, যা প্রায় ৩০ হাজার পরিবারের দৈনিক ব্যবহারের সমান।

এই চাপের কারণে কিছু আইনপ্রণেতা কর প্রণোদনা বাতিল করার জন্য বিল উত্থাপন করেছিলেন। তবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের অজুহাত দেখিয়ে গভর্নর ব্রায়ান কেম্প সেটিতে ভেটো দিয়েছে।

মেটার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা মরিস দম্পতির জমিতে একটি নলকূপ সমীক্ষা করেছে। তারা দেখেছে, ডেটা সেন্টার পার্শ্ববর্তী ভূগর্ভস্থ পানির সরবরাহকে প্রভাবিত করেছে এমন সম্ভাবনা ‘খুব কম’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কড়াকড়ি

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

সুদানে ‘গণহত্যা’য় আরব আমিরাতের গোপন তৎপরতা ও কলম্বিয়ার ভাড়াটে সেনা

অবশেষে নতুন ঠিকানায় ১০০ সাজাপ্রাপ্ত বন্দী

ইসরায়েলকে খুশি করতে সাংবাদিক শিরিন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন ‘দুর্বল’ করে বাইডেন প্রশাসন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত